এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শূন্য শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর বকশিবাজারে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি ফলের বিস্তারিত তুলে ধরে।
চলতি বছরে শতভাগ পাস করেছে ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত বছর যেখানে শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি, এবার তা বেড়ে ২০২টিতে পৌঁছেছে, অর্থাৎ ১৩৭টি প্রতিষ্ঠান বেশি ফেল করেছে।
গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, যা এবার প্রায় ১৯ শতাংশ কমে গেছে। একইসঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও কমেছে প্রায় ৭৮ হাজার।
অপরদিকে, এবারও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি নারী শিক্ষার্থী পাস করেছে, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯৯১ জন বেশি।
উল্লেখ্য, এর আগে এত কম পাসের হার দেখা গিয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর থেকে ফলাফলের হার ক্রমান্বয়ে বেড়েছিল।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।এবারও ফলাফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে’।
নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।
উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানান চর্চা জাতিসত্তার ভিত্তি’ — প্রধান অতিথি মনছুরুল আলম হীরা গৌরাঙ্গ বিশ্বাস,বিশেষ প্রতিনিধি যে জাতি তার ভাষাকে শুদ্ধভাবে ভালোবাসতে শেখে, সেই জাতি কখনোই পরাধীন থাকে না”— এমন আহ্বান জানিয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. মুনছুরুল আলম হীরা বলেছেন, এই বিদ্যালয় আমার স্বপ্ন দেখার সূতিকাগার। এখানে আমি শিখেছি কীভাবে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা মানুষকে চিন্তাশীল, শিকড়সচেতন এবং জ্ঞানসমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ কেবল ভাষাগত দক্ষতা নয়, এটি সাংস্কৃতিক দায়িত্বও বটে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষা: শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চা’ শীর্ষক কর্মশালা এবং মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ‘ছায়ানীড়’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্থানীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানীড়ের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অব.) মো. শাহীনুর ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কালিহাতী শাখার সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জহুরুল হক সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক, এবং সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষা-দক্ষতা গড়ে তুলতে এ কর্মশালা ও পাঠাগার একটি মাইলফলক হবে। শিক্ষার্থীরা যেন শুদ্ধ উচ্চারণ ও বানানে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। ছায়ানীড়’-এর প্রশাসনিক পরিচালক শাহানাজ রহমান কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষাকে শুধু পাঠ্যবইয়ের সীমায় না রেখে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মর্যাদার সঙ্গে ব্যবহার করুক। মুক্ত পাঠাগার সেই চর্চার দ্বার খুলে দেবে। দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমী, সাংবাদিক, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষার শুদ্ধতা রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই আয়োজন উপস্থিত সবার মধ্যে গভীর প্রশংসা কুড়ায়।
নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আজ নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৫। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার ৪টি উপজেলা বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী,চাটখিল, সেনবাগ এর বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে আগত ২ হাজার এরও বেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে , গণিত অলিম্পিয়াডে আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে উচ্ছ্বাসিত দেখা যায়। অভিভাবকগণ জানান ছাত্রশিবির এটি চমৎকার আয়োজন করেছে, এমন আয়োজনে সন্তানেরা মেধার বিকাশ ঘটাবে। আগত শিক্ষকগণ জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবির যে আয়োজন করেছে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়, খুব ভালো উদ্যোগ। ছাত্রশিবির তাদের এ শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ অব্যাহত রাখবে বলে আমরা আশা করি। গণিত অলিম্পিয়াডে পরিদর্শনে আসেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান। বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমরা তাদের কাছে এমন শিক্ষার্থীবান্ধব কাজেই প্রত্যাশা করি। ছাত্রশিবিরের এই চমৎকার আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। দেশ এবং জাতি গঠনে ছাত্রশিবির মেধাবীদেরকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন করে যাবে এটাই প্রত্যাশা। ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি দাউদ ইসলাম বলেন “গণিত কেবল একটি বিষয় নয়, এটি যুক্তিবোধ ও সৃজনশীলতার বিকাশের চাবিকাঠি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে চিন্তা, অনুসন্ধান ও যুক্তির চর্চাকে জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করেছে। ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন। গণিত শুধু একটি সংখ্যা নয় এটি চিন্তা চেতনার এক শৃঙ্খলা, আজকের এই গণিত অলিম্পিয়াড ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধারাবাহিক কাজেরই অংশ। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীবান্ধব কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহযোগী হবে ইনশাল্লাহ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রীবাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ, শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক সোমা বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক শ.ম মমতাজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল, জয়শ্রী ঘোষ, নজরুল ইসলাম, তারক চন্দ্র সরকার, আব্দুল ওহাব, সুকুমার ঘোষ, দেবব্রত কুমার মিস্ত্রী, মোশাররফ হোসাইন চৌধুরী, মো. বদরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদুর রহমান, ইকবাল খলিল খান, বিকাশ চন্দ্র মিস্ত্রী, মর্জিনা মোমতাহানা শিখা সুলতানা, বিলকিস আক্তার, আরেফা ফারজানা, রতন কুমার ঘোষ, প্রভাষক আওছাফুর রহমান, গোবিন্দ দুলাল বর, শম্পা রানী মৃধা, সাইয়েদুতুন্নেছা মুক্তা, আমিনুর রহমান, শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, নন্দলাল মন্ডল, নবতরণ গাইন, কামরুল ইসলাম, প্রদর্শক সনজিত সরকার, সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।