সাজিদ পিয়াল: টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী তারাকান্দি মহাসড়কে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর, ২০২৫), বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। একটি মাইক্রোবাস সিএনজি চালিত অটোরিকশার পিছনে ধাক্কা দিলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এবং সিএনজিটি আগুনে পুড়ে যায়।এই ঘটনায় সিএনজির এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, যার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহত সিএনজি চালক শান্তকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রফেসর সোহরাব উদ্দিন আই এম টি এন্ড ম্যাটস এর ল্যাব ডিপার্টমেন্ট এর ১৩ তম ব্যাচ ২০১৯ -২০ সেশনের (আল আমিন) নামের ব্যাক্তি শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আহত সিএনজি চালক শান্তকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একজন যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে ছড়ে আসা একটি সিএনজি ভূঞাপুরের দিকে যাচ্ছিলো। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সিএনজিটি কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। চালক শান্ত বাইরে বের হয়ে আসলেও ভিতরে আগুনে পুড়ে মারা যায় এক যাত্রী। খবর পেয়ে ভূঞাপুর ও এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে সিএনজিটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসের ধাক্কার পরপরই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মাইক্রোবাসের চালককে আটক করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি ধানবোঝাই ট্রাক পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি একটি স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মির্জাপুরের জুরান মার্কেট থেকে বাঁশতৈল বাজারগামী রাস্তায়, ১০ নভেম্বর দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ায় ধানবোঝাই ট্রাকটি ভারসাম্য হারিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। ট্রাকে ৩৬০ মণ ধান বোঝাই ছিল। ট্রাকের চালক ও সহকারী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান এবং স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ জুরান মার্কেট থেকে বাঁশতৈল বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল এবং বারবার অভিযোগ করেও কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এটি মূলত স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন, যা একটি নির্দিষ্ট ঘটনার বিবরণ দিয়েছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী হাতিয়া বাজারের পূর্ব পাশে একটি হানিফ কোম্পানির একটি বাস খাদে পড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার হাতিয়া বাজারের পূর্ব পাশে বিশ্বরোডে, ১০/১১/২৫ ইং তারিখের বিকেল ৪টার সময়। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে সব যাত্রী আহত হয়েছে, তবে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির উদ্যোগে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের অর্থ সহজে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলে ওয়াটার গার্ডেন রিসোর্টের হল রুমে এমএফআই-ব্যাংক লিংকেজ বিষয়ে আঞ্চলিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার অগ্রগতি নিয়ে গভর্নর বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ইংল্যান্ডে আইনজীবী পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ অফ কোম্পানিগুলোর ক্লেমটা এস্টাব্লিসড করার চেষ্টা করছেন তারা। যদি সাকসেসফুল হয়, তাহলে দ্রুত পজিটিভ রেজাল্ট আসবে। অনুষ্ঠানে এমআরএ’র নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান, ব্রাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল মোমেন প্রমুখ।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন যে, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ফল আসতে পারে। তার বক্তব্য অনুযায়ী এই অগ্রগতির মূল বিষয়গুলো হলো পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ইংল্যান্ডে আইনজীবী পাঠানো হয়েছে। এই আইনজীবীরা বিভিন্ন কোম্পানি বা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদের পাওনা বা দাবিগুলো প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। যদি তারা সফল হন, তবে দ্রুত ইতিবাচক ফলাফল আসবে বলে গভর্নর আশা প্রকাশ করেছেন। পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা চলছে এবং তারা এ বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ দেখিয়েছে। গভর্নর স্বীকার করেছেন যে, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা একটি দীর্ঘ এবং জটিল আইনি প্রক্রিয়া, তবে সরকার এই বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি, অর্থ পাচার রোধে আইন সংস্কার এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। গভর্নরের মতে, এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে পাচারকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। এই বিশ্রামাগারে মিনি কনফেকশনারি, পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক টয়লেট, মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র, ক্যান্টিন এবং বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা রয়েছেএ সময় বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ন্যায়কুঞ্জকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'আদালতে আগত বিচার প্রার্থীদের মধ্যে নারী বিচার প্রার্থীদের যেন বিশ্রামাগারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়। আদালতে এসে অনেকে টয়লেট ও ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েন। আশা করি এর মাধ্যমে সেই কষ্ট লাঘব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হলো সবার সহযোগিতায় আশা করি সেটি সফল হবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ন্যায়কুঞ্জকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে নারী বিচারপ্রার্থীদের যেন বিশ্রামাগারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়। আদালতে এসে অনেকে টয়লেট ও ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েন। আশা করি এর মাধ্যমে সেই কষ্ট লাঘব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হলো সবার সহযোগিতায় আশা করি সেটি সফল হবে। উদ্বোধনকালে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. কাওসার আহমেদ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জহুর আজহার খান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, জেলা জজ কোর্টের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপনসহ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সখিপুর উপজেলা শিক্ষক ও কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ (কালব)-এর দায়ের করা চেক জালিয়াতির মামলায় সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেহেরীন খাদিজা লতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ নভেম্বর রাতে সখিপুর থানা পুলিশ তাকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। আপনার প্রশ্নে উল্লিখিত "হামিদুর রহমান" নামের কোনো শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি, বরং "মেহেরীন খাদিজা লতা" নামের এক শিক্ষিকাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সখিপুর উপজেলা শিক্ষক ও কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ( কালব)এর দায়ের কৃত চেক জালিয়াতি মামলায় সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের হামিদপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মেহেরীন খাদিজা লতাকে গ্রেপ্তার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। গত কাল ৬ নভেম্বর রাতে ঐ শিক্ষকাকে তার নিজস্ব বাস ভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে এস আই লিবাস চক্রবর্তী চৌকস টিম। মামলার বাদী সখিপুর কালব এর সহকারি ম্যানেজার মামুন জানান গত ২০২২ সালে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে ৫-৬ টি কিস্তি দেয়ার পর আর কোন যোগাযোগই করেন নাই। কিস্তি দেয়ার জন্য তাকে বার বার তাগাদা দিয়ে নোটিশ করেও যখন ইস্তি আদায় করতে পারি নাই, তখনই আইনের আশ্রয় নিয়ে ২০২৪ সালে মামলা করা হয়। আদালতে মামলা হওয়ার পরও তিনি দাপটের সাথে ঋণের কিস্তি না দিয়ে সময় ক্ষেপণ করে। যার ফলশ্রুতিতে আইন আদালত খাদিজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরো না জারি করেন। সখিপুর থানার উপ পরিদর্শক লিবাস চক্রবর্তী বলেন সিআর মামলার আসামী মেহেরিন খাদিজাকে আজ ভোর বেলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নবজাতক ফেলে যাওয়ার যে ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্ভবত সাম্প্রতিক নয় এবং এতে কিছু বিভ্রান্তি থাকতে পারে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ধরনের একটি ঘটনা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নয়। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৬ নভেম্বর ২০২৪ বা ২০২৫, তারিখের উল্লেখ বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন) এক নবজাতক কন্যাসন্তানকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। শিশুটির পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল: “আমি একজন হতভাগী পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ ৪/১১/২৫। রোজ মঙ্গলবার। বাচ্চাটি কে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক, আমিন।” শিশুটিকে তার নানা-নানি পরিচয়দানকারী এক দম্পতি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল এবং চিকিৎসকদের কথা বলার এক পর্যায়ে তারা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক ইউনিটে (৫১৭ নম্বর ডাক্তারের রুমে) চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং নিয়মিত চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানে আছে। চিরকুটের ছবি ও খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। মানবিক আবেগে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতাল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। দিনাজপুর সমাজসেবা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ চাইলে সরাসরি দত্তক নেওয়া সম্ভব নয় এ বিষয়ে নির্ধারিত আইন মেনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনাটি সমাজে নারীর অসহায় অবস্থার এক বেদনাদায়ক চিত্র তুলে ধরে। একজন মা নিজের সন্তানকে ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আমাদের সমাজে এমন মায়েদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি যাতে আর কেউ এমন পরিস্থিতিতে না পড়ে।
টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর ওপর হা'ম'লা'র প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর, ২০২৫) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জেলা কালচারাল রিফর্মেশন ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। রিফর্মেশন ফোরাম টাঙ্গাইলের সভাপতি ও জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে সংস্কৃতি কর্মীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর উপর বর্বরোচিত হামলা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতন হলে লাবু কালচারাল রিফর্মেশন ফোরাম ও হাসিনার ১৭ বছরের দুঃশাসন নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করেন। যা ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান। টাঙ্গাইলে এখনো বিভিন্ন পদে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সঙ্গতঃ কারনে লাবুর উপর এমন ন্যাক্কারজনকক হামলা ও তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন কালচারাল রিফর্মেশন ফোরামে সাধারন সম্পাদক অনিক রহমান বুলবুল, সহসভাপতি ফরহাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত রিয়াজুল রিজু, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সস্পাদক মহব্বত হোসেন, সংস্কৃতি কর্মী সুলতানা বিলকিস লতা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথি প্রমুখ। তারা অবিলম্বে দোষিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলার পর্যটন সম্ভাবনা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্য তুলে ধরতে জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক-এর উদ্যোগে নির্মিত তথ্যচিত্র "Colours of Tangail" একটি চমৎকার উদ্যোগ। এই ভিডিওটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করা সম্ভব। তথ্যচিত্রটি শেয়ার করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার (Share on Digital Platforms) সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media): Facebook, YouTube, Instagram এবং Twitter-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি আপলোড করা হইছে।বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও পর্যটন বিষয়ক পেজগুলোতেও এটি শেয়ার করা যেতে পারে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Official Websites): টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সরকারি পোর্টালে ভিডিওটি যুক্ত হয়েছে। পর্যটন ব্লগ ও ফোরাম (Tourism Blogs and Forums): দেশি-বিদেশি পর্যটন বিষয়ক ব্লগ, ট্রাভেল ফোরাম এবং কমিউনিটি গ্রুপগুলোতে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচার (International Promotion) বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস (Embassies Abroad): বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ভিডিওটি পাঠান, যাতে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা তাদের নিজস্ব প্রচার মাধ্যমে এটি প্রদর্শন করতে পারে। আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ও মেলা (International Events and Fairs): আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বা সাংস্কৃতিক উৎসবে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ থাকলে সেখানে এই ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় অর্থনীতি ও জিআই পণ্যের প্রসার (Promoting Local Economy and GI Products) জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিং (Branding GI Products): ভিডিওতে প্রদর্শিত টাঙ্গাইলের শাড়ি, মিষ্টি, ইত্যাদি জিআই পণ্যের অনলাইন প্রচারের ব্যবস্থা । ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযোগ স্থাপন করে সরাসরি বিক্রির সুযোগ তৈরি করা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা (Supporting Local Entrepreneurs): তথ্যচিত্রের মাধ্যমে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোক্তাদের কাজকে তুলে ধরুন, যা তাদের পণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে। টেকসই উন্নয়নের নিশ্চয়তা (Ensuring Sustainable Development) সচেতনতা সৃষ্টি (Awareness Creation): পর্যটকদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করুন। পরিকল্পিত পর্যটন (Planned Tourism): পর্যটন স্থানগুলোতে ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। "Colours of Tangail" ডকুমেন্টারিটি টাঙ্গাইলকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত করতে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাশিল বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অবৈধ জাল বিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার কাশিল বটতলা এলাকায় অবৈধ জাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর। এসময় প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল ইসলামসহ বাসাইল থানার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং মৎস্য দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ছোট মাছ, মা মাছ রক্ষার্থে এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ এ ধরণের জালের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
টাঙ্গাইলে ভারতীয় মথ ডালে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রির অপরাধে দুই অসাধু ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ছয়আনী বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন মিয়া এবং জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল। জানা গেছে, বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুগ ডালের নামে মথ ডাল বিক্রি করছে। এর পাশাপাশি ওই ডালে রং মিশিয়ে বাজারজাত করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে ছয়আনী বাজারের মা লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ ও অনিক এন্টারপ্রাইজ নামের দুই দোকানে ভারতীয় মথ ডালে মানবদেহের ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মুগ ডাল হিসেবে বিক্রির অভিযোগ হাতেনাতে প্রমানিত হয়। এ অপরাধে দুই দোকানের মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল সাংবাদিকদের বলেন, মুগ ডাল বলে মথ ডাল বিক্রি করা এবং তাতে রং মেশানো স্পষ্ট প্রতারণা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য ৩ দালাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আটক করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের সমস্যা এবং এ বিষয়ে প্রায়শই অভিযোগ পাওয়া যায়। এই দালাল চক্র হাসপাতালের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা আর্থিকভাবে প্রতারিত ও হয়রানির শিকার হন। এই দালালদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এবং অনেককে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দালালরা সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই ঘোরাফেরা করে এবং গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের টার্গেট করে। প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া বা জোরজবরদস্তি করার অভিযোগও রয়েছে। এদের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয় এবং পরিবেশ নষ্ট হয়। টাংগাইলে হাসপাতালে ৩ জন দালাল আটক। মোবাইল কোটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান। মারুফ ৩৫ পিতা- মৃত আইন উদ্দিন সাং- বিল ঘারিন্দা থানা ও জেলা টাংগাইল। ৭ (সাত) দিনের জেল। আমিনুর রহমান ৪০পিতা- মৃত সুমন আলী সাং- দাইন্যা, থানা ও জেলা টাংগাইল ১০ (দশ) দিনের জেল।বাবু ২২পিতা- আরজু মিয়া সাং- দিঘুলিয়া থানা ও জেলা টাংগাইল। ৫(পাঁচ) দিনের জেলা।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবস্থিত এলেঙ্গা রিসোর্টটি বকেয়া ভাড়ার কারণে প্রশাসন সিলগালা করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ইজারা নেওয়া জমিতে রিসোর্টটি পরিচালিত হচ্ছিল, কিন্তু রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া পরিশোধ করছিল না। সিলগালা করার কারণ বকেয়া ভাড়া পরিশোধের জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ বারবার নোটিশ দিলেও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। প্রায় সোয়া কোটি টাকা ভাড়া বকেয়া থাকার পর বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) রিসোর্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রিসোর্টটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানকার অনেক কর্মচারী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। তাদের কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে এবং এখন বেতন কে দেবে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এলেঙ্গা রিসোর্টটি স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।গ্রাম-গঞ্জ বকেয়া ভাড়ার কারনে এলেঙ্গা রিসোর্ট বন্ধ করল প্রশাসন জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল | বকেয়া ভাড়ার কারনে এলেঙ্গা রিসোর্ট বন্ধ করল প্রশাসন উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এলেঙ্গা রিসোর্ট (সাবেক বিরতি) বকেয়া ভাড়ার কারণে সিলগালা করেছে প্রশাসন। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ১২ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রিসোর্টটি সিলগালা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলেঙ্গা রিসোর্টটি যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের জায়গা ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। তবে বেশ কয়েক মাসের ভাড়া পরিশোধ না করায় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে রিসোর্টটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, এলেঙ্গা রিসোর্টের কাছে ৩০ মাসের ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ভাড়া বকেয়া রয়েছে। সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসানুল কবীর পাভেল জানান, আমাদের স্টেট ডিপার্টমেন্ট দীর্ঘদিন তারা ভাড়া দেয়নি। এ বিষয়ে বড় ধরনের একটা অডিড আপত্তি হয়েছে। তারি প্রেক্ষিতে অফিসের নির্দেশনায় আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এলেঙ্গা রিসোর্ট সিলগালা করে দিচ্ছি। কালিহাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা জানান, এলেঙ্গা রিসোর্টটি মূলত বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমিতে প্রতিষ্ঠিত। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিসোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে জমিটি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বকেয়া ইজারার অর্থ পরিশোধ না করায় সেতু কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চিঠি ও নোটিশ প্রদান করলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রিসোর্টে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী জানান, এখানে ৫৪ জন লোক কাজ করি। আমাদের প্রায় ছয় মাসের বেতন বাকি। হঠাৎ করে রিসোর্ট বন্ধ হবে এটা আমরা কেউই জানতাম না। এখন বাড়ী যাবো আমাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নাই, আমরা বেতনের দাবীতে রাস্তায় দাঁড়াবো। এখানকার মালিক বিদেশে থাকে তাকে আমরা পাইনা, এখন কে আমাদের দাবী পূরণ করবে। স্থানীয়দের মতে, এলেঙ্গা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এলাকায় বহু পর্যটক ও যাত্রী অবস্থান করেন। ফলে এই রিসোর্টটি ছিল বেশ পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান। তবে মালিকপক্ষের বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইলে গ্রামীণ সড়ক কোর রোড নেটওয়ার্ক ও সড়ক অগ্রাধিকার নির্ধারণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫ ইং) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের আয়োজনে সদর উপজেলা হল রুমে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। কর্মশালায় গ্রামীণ সড়ক কোর রোড নেটওয়ার্ক ও সড়ক অগ্রাধিকার নির্ধারণকরণ বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ সড়ক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন (জিআইএস) স্পেশালিস্ট প্রকৌশলী শিমুল কুমার কুন্ডু। কর্মশালায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোর রোড হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৮টি রাস্তা প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে কর্মশালায় প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়। যা পরবর্তীতে আরো যাচাই-বাছাই করে রাস্তাগুলো প্রকল্প আকারে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ জাকির হোসেন, হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর এ আলম, মাহমুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম হোসেন, গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম খান, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক মোখাখারুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাজিদ পিয়াল: প্রিপেইড মিটার নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও ভোগান্তি বেশ সাধারণ ঘটনা। এই ধরনের মিটার ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যার কারণে অনেকেই মনে করেন এটি ভোগান্তির আরেক নাম। প্রিপেইড মিটারের সাথে সম্পর্কিত কিছু সাধারণ সমস্যা ও হঠাৎ ব্যালেন্স শেষ হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অনেক সময় ব্যবহারকারীরা খেয়াল করেন না বা ভুলে যান যে তাদের মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে আসছে। এর ফলে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। বিশেষ করে রাতে বা ছুটির দিনে এমন হলে ভোগান্তি আরও বাড়ে, কারণ তৎক্ষণাৎ রিচার্জ করা কঠিন হতে পারে ।পোস্টপেইড মিটারে মাস শেষে বিল দেওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু প্রিপেইড মিটারে নিয়মিতভাবে ব্যালেন্স চেক করতে হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করতে হয়। অনেক সময় রিচার্জ সেন্টার খুঁজে পাওয়া বা অনলাইনে রিচার্জ প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে । অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে তাদের মিটার দ্রুত ব্যালেন্স শেষ করে দেয় বা অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়। যদিও এর পেছনে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ দায়ী হতে পারে, তবুও এই ধারণা অনেকের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে মিটারে বিভিন্ন সময় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যেমন ডিসপ্লে কাজ না করা বা রিচার্জের পর ব্যালেন্স যোগ না হওয়া। এসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলার। অনেক সময় মনে হয় যে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর সবসময় একটা নজর রাখতে হয়, যা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। যদিও প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়িতা আনতে সাহায্য করতে পারে এবং বিল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ কমায়, কিন্তু উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে এটি অনেকের কাছে 'ভোগান্তির আরেক নাম' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো এই সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছে, যেমন অনলাইনে বা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করার সুবিধা চালু করা
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্বাধীনতা কমপ্লেক্স হল রুমে ভূঞাপুর পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রায় ২০০ জন চালককে বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও বৈধ লাইসেন্স কার্ড প্রদান করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ও যাত্রী সেবার নীতিমালা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল বিআরটি'র মোটরযান পরিদর্শক এনামুল হক ইয়ন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাদী চকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুল, অধ্যাপক ও সাংবাদিক আখতার হোসেন খান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাহাঙ্গীর হোসেন (হৃদয়) প্রমুখ। পৌর প্রশাসক রাজিব হোসেন বলেন, “চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে পৌর শহরের যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। এ উদ্যোগটি নিয়মিতভাবে চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) এর অর্থায়নে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন এর বাস্তবায়নে চাইল্ড স্পন্সরশিপ প্রোগ্রামের -এর আওতায় কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর সিআইসি অফিস দরবার হলে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য ও বিভিন্ন পোশাক বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মোট ২৩৯ জন শিশুর মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ, ৭৪ জন কণ্যা শিশুর মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ১৪৫ জন শিশুর মাঝে শার্ট-প্যান্ট, ৪১ জন শিশুর মাঝে থ্রি-পিস, ৯৪ জন শিশুর মাঝে ওড়না, ৫৩ জন শিশুর মাঝে ফ্রগ ও পায়জামা এবং ২৩৯ জন শিশুর মাঝে জুতা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সুরাইয়া আক্তার সুইটি, ডেপুটি সেক্রেটারি ও ক্যাম্প ইনচার্জ, ক্যাম্প-৪। এ সময় সাইট ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট -এর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সুশীলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আরিফুল ইসলাম, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আঁখি পারভিন, সোবহান আলী এবং জাহিদুল হক। নতুন পোশাক ও পুষ্টিকর খাবার পেয়ে শিশুদের মাঝে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। তারা সুশীলন ও এইচসিআই-এর প্রতি তাদের অব্যাহত সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
টাংগাইল জেলার ০৪/১১/২০২৫ তারিখ কালিহাতি উপজেলার থানাঘাট সংলগ্ন এলাকায় আনুমানিক রাত ১১:৩০ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহ স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টাকালে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ৫০০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়। এই অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশ প্রশাসন বিশেষ ভূমিকা পালন করেন জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
০৫/১১/২০২৫ তারিখ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক উপস্থিতিতে জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেট , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে টাংগাইলের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব শরীফা হক টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি ২০২৫-এর সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল-এর কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত সঞ্চালনা করেন এবং এক মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে শেষ হবে আগামী ১২ নভেম্বর, ২০২৫ ।
সাজিদ পিয়াল: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ওভারব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রানাশাল গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে অটোচালক রহিজ সিকদার (৪৬) ও দেওহাটা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৬০)। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইলগামী একটি যাত্রীবাহী বাস দেওহাটা ওভারব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি অটোরিকশা হঠাৎ মহাসড়কে উঠে যায়। দ্রুতগতির বাসটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে চালক ও যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সারোয়ার জানান, অটোচালক উল্টো পথে ওভারব্রিজে উঠতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক ও চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।