সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ^ম্ভরপুর) আসনের সর্বস্তরের সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও আদাব জানাচ্ছি। আমি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চাই। তাই আমি আপনাদের এক স্বজন,সন্তান,ভাই ও বন্ধু হিসেবে আপনাদের নিকট আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং আগামীতে এই আসনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমার পরিচিতি সম্পর্কে সর্ব প্রথমে আপনাদের কাছে উল্লেখ করতে চাই, আমি হোসেন পাঠান (বাচ্চু) সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আমার পিতা মরহুম (সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) আব্দুল ওয়াদুদ পাঠান ও পরবর্তীতে চাকরি শেষে আমার পিতা মানুষের কল্যাণের স্পৃহায় অনুপ্রাণিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে একাধারে তিনবার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়ে অত্যন্দত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমার মাতা মরহুমা লিলি বেগম চৌধুরী সুনামগঞ্জ মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তখনকার রাজনৈতিক শূন্যতায় ১৯৭৮ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনে তৎকালীন সময়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। আমার চাচা মরহুম অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাকিব ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন এলাকার মানুষের সু- চিকিৎসার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ঠ সহযোগিতা প্রদান করে পরিচিত জনদের নিকট আজও স্বরণীয় হয়ে আছেন! আমার বাল্যজীবন ও শিক্ষা জীবন সুনামগঞ্জে সমাপ্ত করে ঢাকার নটরডেম কলেজে পড়াশোনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য সেখানে অধ্যয়ন শেষে প্রবাসে কর্মজীবন শুরু করার পাশাপাশি বিএনপির নিউজার্সি ষ্টেট (নর্থ) ইউএসএ (য়ুক্তরাষ্ট্র)”র সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার ছোট ভাই ফরিদ পাঠান শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করে যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, দেশে থাকাকালীন সময়ে আমার পিতার সংস্পর্শে থাকার সুবাদে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। পরবতীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে আমেরিকা যাওয়ার আগে সিলেটে ও ঢাকায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে যাই। আমেরিকা এসে ও বিএনপির আদর্শিকতার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, পরবর্তীতে আর রাজনীতির নেশা থেকে আজ অবধি মুক্ত হতে পারেনি। বিগত এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমেরিকাতে জনমত সংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করেছি। তাছাড়া ১/১১ মঈন ফখরের বিরুদ্ধে তৎকালীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে সরকারের নিকট থেকে ক্ষমতা হাইজ্যাক করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। এছাড়াও স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ জালিম ও স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে সরকারের খুন, গুম ও আয়নাঘরের নির্মম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী জালিম সরকারের রুদ্ররোষের শিকারে পড়ে বহু প্রতিকূল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমি আমেরিকাতে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি বিকশিত করার লক্ষ্যে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে দেখা করে দেশের রাজনীতি এবং আমাদের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছি। এছাড়াও প্রবাসী বাঙালিদের কল্যাণে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সকলের মতামতের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি হঠাৎ কেন নির্বাচনের প্রার্থী হলাম। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত বিগত দুই দশক যাবৎ দেশে বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সহ অনেক মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ছিল, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, বংশীয়করণের মাধ্যমে মেধা এবং যোগ্যতাকে পদদলিত করে তাদের দলীয় ও অযোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে, মেধাবী ও যোগ্য মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে ছিল। অনুরূপভাবে দলীয়করণের কারণে আজ আমাদের এলাকার অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী নিজেদের যোগ্যতা থাকা সত্বে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে আজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় দারিদ্র্যের অভিশাপে শিক্ষিত যুবক যুবতীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পূর্ন জেলার মর্যাদায় স্বীকৃতি পেয়ে ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আজ আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছি। শহরের রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা, খাবার পানি সংকট, কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকা, দরিদ্র মানুষের শিক্ষার ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী সমাধান না করে, প্রতি বছর হরিলুটের কান্ড সুনামগঞ্জের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করে আমি সুনামগঞ্জের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছি! সর্বোপরি সুদুর প্রবাসে থাকলে ও সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। জীবনের স্মৃতি বিজড়িত সুনামগঞ্জের মাটি আমার খ্যাতি, প্রতিটি মানুষ আমার স্বজন, প্রতিটি ঘর আমার ঘর। তাই আমার এই পরিণত বয়সে অনেক শ্রদ্ধার মুরব্বীদের অনেকেই আজ জীবিত নেই! কিন্তু তাদের চেষ্টায় আমাদের এলাকা এখন জেলায় উন্নীত হয়েছে।সেই জন্য আমরা আমাদের প্রয়াত মুরুব্বিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আল্লাহতালার দরবারে প্রার্থনা করছি, মহান আল্লাহ পাক যেন, তাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন।
আমার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, আমার মনে বদ্ধমূল আস্থা জন্মেছে, দলের নেতৃবৃন্দের সাথে, পরিচয়, সম্পর্ক ও আন্তরিকতার সুবাদে আপনারা যদি আমাকে সমর্থন করে আমার পক্ষে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করেন, তবে আমি আমার এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবো! পরিশেষে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে, আপনাদের সদয় সহানুভূতি কামনা করছি।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ইতিমধ্যেই সরগরম হলেও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে এখনো বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে করে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও উদ্বেগ। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহমেদুল হক সতিল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। মাঠপর্যায়ের তৃণমূল নেতাদের মতামত, সাংগঠনিক শক্তি, এবং বিগত দিনের ভূমিকার ওপর ভিত্তি করেই প্রার্থী বাছাই করবে কেন্দ্র। স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, প্রার্থী ঘোষণা বিলম্বিত হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের প্রচারণা ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম কিছুটা ধীর হয়েছে। তারা দ্রুত প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, টাঙ্গাইল-৫ আসনটি বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলটি এই আসনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চায়। এ কারণেই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে দলটি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে বিএনপি’র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তালিকা প্রকাশ করেন। তবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা: টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী): ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর): আব্দুস ছালাম পিন্টু, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল): ওবায়দুল হক নাসির টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী): লুৎফর রহমান মতিন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে): রবিউল আউয়াল লাভলু, উপজেলা বিএনপি সদস্য টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর): আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আযম খান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন না দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল উভয়ই ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধারণা, এ আসন থেকে কেউ একজন নির্বাচিত মনোনয়ন পাবেন।
টাঙ্গাইল জেলায় আসন্ন ২০২৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর ৫ আসন জুলাই সনদ এবং নানাবিধ কার্যকলাপ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (২৭ অক্টোবর ২০২৬ ইং) তারিখে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তারা। দাবিগুলো হলো, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে PR পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্ব করেন। টাঙ্গাইল জেলার জামায়াতী ইসলামে সদর ৫ আসনের প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ বলেন,দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, সহকারী সেক্রেটারি হোসনে মোবারক বাবুল, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের জেলা সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান মাদানি, খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কোরায়েশী, শহর আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সবাইকে ধৈর্য এবং শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানান এবং দেশের সকল নেতাকর্মীদের সঠিকভাবে কার্যকলাপ অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানান।