বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে “সমন্বিত বন্যা সহনশীল কর্মসূচি পালিত হয়েছে IFRC—এর তৃতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে (বেস্ট প্র্যাকটিস শেয়ারিং ওয়ার্কশপ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সঞ্জয় কুমার মহোন্ত। সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক শাহিন। অতিথি উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান নুসরাত তাবাসসুম মিমি,নির্বাহী সদস্য সাদেকুল আলম খোকা, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও মনিরুল ইসলাম। ওয়ার্কশপে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবক ও সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মশালায় বন্যা ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় উদ্যোগ এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক টেকসই কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
টাংগাইলের সখিপুরে বিভিন্ন কসমেটিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর দোকানগুলোতে এক যোগে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সখিপুর উপজেলার সখিপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে অবৈধ ও নিষিদ্ধ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নকল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত ভাবে মনিটরিং করবে ।জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বাংলা স্টার’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা চলন্ত অবস্থায় বাসটিতে আগুন দেয়। এসময় যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে প্রাণে রক্ষা পান। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ূন কার্ণায়েন বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় "বাংলা স্টার" নামের একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসটি ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার সাথে সাথে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করেন। স্থানীয় লোকজন টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে, তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করছে।
সাজিদ পিয়াল: টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী তারাকান্দি মহাসড়কে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর, ২০২৫), বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। একটি মাইক্রোবাস সিএনজি চালিত অটোরিকশার পিছনে ধাক্কা দিলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এবং সিএনজিটি আগুনে পুড়ে যায়।এই ঘটনায় সিএনজির এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, যার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহত সিএনজি চালক শান্তকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রফেসর সোহরাব উদ্দিন আই এম টি এন্ড ম্যাটস এর ল্যাব ডিপার্টমেন্ট এর ১৩ তম ব্যাচ ২০১৯ -২০ সেশনের (আল আমিন) নামের ব্যাক্তি শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আহত সিএনজি চালক শান্তকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একজন যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে ছড়ে আসা একটি সিএনজি ভূঞাপুরের দিকে যাচ্ছিলো। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সিএনজিটি কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। চালক শান্ত বাইরে বের হয়ে আসলেও ভিতরে আগুনে পুড়ে মারা যায় এক যাত্রী। খবর পেয়ে ভূঞাপুর ও এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে সিএনজিটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসের ধাক্কার পরপরই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মাইক্রোবাসের চালককে আটক করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। এই বিশ্রামাগারে মিনি কনফেকশনারি, পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক টয়লেট, মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র, ক্যান্টিন এবং বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা রয়েছেএ সময় বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ন্যায়কুঞ্জকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'আদালতে আগত বিচার প্রার্থীদের মধ্যে নারী বিচার প্রার্থীদের যেন বিশ্রামাগারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়। আদালতে এসে অনেকে টয়লেট ও ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েন। আশা করি এর মাধ্যমে সেই কষ্ট লাঘব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হলো সবার সহযোগিতায় আশা করি সেটি সফল হবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ন্যায়কুঞ্জকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, 'আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে নারী বিচারপ্রার্থীদের যেন বিশ্রামাগারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়। আদালতে এসে অনেকে টয়লেট ও ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েন। আশা করি এর মাধ্যমে সেই কষ্ট লাঘব হবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হলো সবার সহযোগিতায় আশা করি সেটি সফল হবে। উদ্বোধনকালে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. কাওসার আহমেদ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জহুর আজহার খান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, জেলা জজ কোর্টের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপনসহ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।