ভারতের মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে তারাবির নামাজের সময় উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি গোষ্ঠী একটি মসজিদের গেট ভাঙার চেষ্টা চালিয়েছে। বুধবার রাতে সংঘটিত এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল উশৃঙ্খল জনতা বিশাল আকৃতির গাছের গুঁড়ি নিয়ে মসজিদের গেট ভাঙতে উদ্যত হয় এবং উচ্চস্বরে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। আশেপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
স্থানীয় মুসলিম নেতারা এই ঘটনাকে "চরম সাম্প্রদায়িক উসকানি" হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, "একটি ধর্মীয় স্থানে নামাজের সময় এমন হামলা পরিকল্পিত এবং এটি আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নির্দেশ করে। প্রশাসনের উচিত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।"
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেউ জোর করে মসজিদের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেনি, তবে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ ও ধর্মীয় নেতারা পুলিশের এই অবস্থানকে দায়সারা বলে মনে করছেন এবং এর কঠোর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর আক্রমণাত্মক মনোভাব ও প্রশাসনের নীরব সমর্থনের কারণে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
✔️ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি
✔️ ধর্মীয় স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
✔️ প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ বন্ধ করা
এই হামলা শুধু ভারতের মুসলিমদের জন্য নয়, বরং সমগ্র ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য একটি অশনি সংকেত।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন