গাজা সিটিতে হামাস নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র দঘমুশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বৃহৎ সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর এটি গাজার সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চোখো দেখা সাক্ষীরা জানান, গাজা সিটির জর্ডানিয়ান হাসপাতালের কাছে মুখোশধারী হামাস যোদ্ধারা দঘমুশ গোত্রের যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং সশস্ত্র সদস্যদের আটক করতে তীব্র লড়াই শুরু করে। মন্ত্রণালয় জানায়, “একটি সশস্ত্র মিলিশিয়ার হামলায়” তাদের আট সদস্য নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দঘমুশ পরিবারের ১৯ সদস্য ও হামাসের আট যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। চোখো দেখা সাক্ষীরা বলেন, দক্ষিণ গাজা সিটির তেল আল-হাওয়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন ৩০০-র বেশি হামাস যোদ্ধা একটি আবাসিক ভবন ঘিরে ফেলে, যেখানে দঘমুশ পরিবারের সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভারী গুলিবর্ষণের মধ্যে বহু পরিবার ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় — যাদের অনেকেই যুদ্ধ চলাকালীন একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। একজন বাসিন্দা বলেন, “এইবার মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে নয়, নিজেদের লোকের কাছ থেকে পালাচ্ছিল।” দঘমুশ পরিবার গাজার অন্যতম প্রভাবশালী গোত্র, যাদের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করছে এবং সতর্ক করেছে যে “প্রতিরোধের কাঠামোর বাইরে কোনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ড” কঠোরভাবে দমন করা হবে। উভয় পক্ষ একে অপরকে সংঘর্ষ শুরু করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হামাসের দাবি, দঘমুশ পরিবারের বন্দুকধারীরা তাদের দুই সদস্যকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার পর তারা অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। তবে দঘমুশ পরিবারের এক সূত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামাস বাহিনী গাজা সিটির প্রাক্তন জর্ডানিয়ান হাসপাতাল ভবনে আসে, যেখানে দঘমুশ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল— কারণ তাদের আল-সাবরা এলাকার বাড়িগুলো সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই সূত্রের দাবি, হামাস ওই ভবনটি নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরিবারটিকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর হামাস প্রায় ৭,০০০ নিরাপত্তা সদস্যকে আবার মোতায়েন করেছে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। খবরে আরও জানা গেছে, হামাসের সশস্ত্র ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় মোতায়েন হয়েছে— কেউ বেসামরিক পোশাকে, আবার কেউ গাজা পুলিশের নীল ইউনিফর্মে। তবে হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর দাবি করেছে, “রাস্তায় কোনো যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়নি।”
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে মোঃ হারুন (৩৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ মাখনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন শিপ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কিছুদিন আগে ছুটিতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় হারুন বাটিকামারী গ্রামে তার মামার বাড়ির দরজার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দরজায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ (যার ভেতরে ছিল ২,৪১০ টাকা) এবং কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।” পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি, হারুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলেন, এক সময় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হারুন, কিন্তু নেশার কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন তিনি।
কাতার, সৌদি আরব ও ইরানসহ আঞ্চলিক দেশগুলো আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত বাহিনী ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দুই দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই পক্ষকে সংলাপ, কূটনীতি ও সংযমের মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করতে আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।” ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তার প্রতিবেশী পরিবেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ কারিবুল্লাহ সাদাত বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের অব্যাহত থাকা সকল দেশের জন্য ক্ষতিকর। সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক বোঝাপড়া ও পুনর্মিলনের মাধ্যমে হতে পারে—আফগানিস্তানে পাকিস্তানের দূতাবাস এবং পাকিস্তানে আফগান দূতাবাসের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত।” ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তান যদি আবারও হামলা চালায়, তবে আফগানিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। মুজাহিদ বলেন, “কাতার ও সৌদি আরব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, এবং ইসলামিক আমিরাত সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ স্থগিত করেছে। তবে আজ সকালে পাকিস্তানের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলা অব্যাহত থাকলে আফগানিস্তান তার ভূখণ্ড রক্ষার পূর্ণ অধিকার রাখে।” অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, “আমাদের দেশ জাতীয় স্বার্থ ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূখণ্ড থেকে ভারতের মদদপুষ্ট খারেজি সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে—এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে নথিভুক্ত বাস্তবতা।” এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি দাবি করেন, আফগান বাহিনীর পাকিস্তান ভূখণ্ডে গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এদিকে ভারতের সফরে থাকা আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি বলেন, “আফগান জাতির বৈশিষ্ট্য হলো—যখন কোনো বিদেশি শক্তি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তখন সকল আলেম, নেতা ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়।” উল্লেখ্য, পাকিস্তান আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুরান্ড লাইনের পারের পাকিস্তানি পোস্টগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়, যা চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চালানো পাল্টা অভিযানে অন্তত ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। মুজাহিদ বলেন, “কাল্পনিক ডিউরান্ড লাইনের ওপারে পরিচালিত এই প্রতিশোধমূলক অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্রও অস্থায়ীভাবে জব্দ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই অভিযানে ৯ জন আফগান সেনা শাহাদত বরণ করেছেন এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন, পাশাপাশি ২০টি পাকিস্তানি নিরাপত্তা পোস্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। মধ্যরাতে অভিযান স্থগিত: মুজাহিদ জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে শনিবার মধ্যরাতে অভিযান স্থগিত করা হয়। আইএসআইএস-খোরাসান নিয়ে অভিযোগ: মুজাহিদ দাবি করেন, আইএসআইএস-কে আফগানিস্তানে পরাজিত করার পর সংগঠনটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে। তার ভাষায়, “খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আইএসআইএস-খোরাসানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। করাচি ও ইসলামাবাদ বিমানবন্দর হয়ে সেখানে সদস্যদের আনা হচ্ছে। আমাদের তথ্যে জানা গেছে, ইরান ও মস্কোর সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পরিকল্পনাও সেখান থেকেই করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তনে সংঘটিত আইএসআইএস-খোরাসানের হামলাগুলো এই ঘাঁটিগুলো থেকেই পরিকল্পিত হয়েছে। তাই পাকিস্তান সরকার যেন এই গোষ্ঠীর মূল সদস্যদের ইসলামিক আমিরাতের কাছে হস্তান্তর করে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান: মুজাহিদ জানান, পাকিস্তান আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছিল, তবে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামিক আমিরাত সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের হুঁশিয়ারি: আফগান বাহিনী শনিবার রাতে ডিউরান্ড লাইনের বিভিন্ন আফগান প্রদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান চালায়। মুজাহিদ সতর্ক করে বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের যে কোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে।”
গাজা সিটিতে হামাস নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র দঘমুশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বৃহৎ সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর এটি গাজার সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চোখো দেখা সাক্ষীরা জানান, গাজা সিটির জর্ডানিয়ান হাসপাতালের কাছে মুখোশধারী হামাস যোদ্ধারা দঘমুশ গোত্রের যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং সশস্ত্র সদস্যদের আটক করতে তীব্র লড়াই শুরু করে। মন্ত্রণালয় জানায়, “একটি সশস্ত্র মিলিশিয়ার হামলায়” তাদের আট সদস্য নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দঘমুশ পরিবারের ১৯ সদস্য ও হামাসের আট যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। চোখো দেখা সাক্ষীরা বলেন, দক্ষিণ গাজা সিটির তেল আল-হাওয়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন ৩০০-র বেশি হামাস যোদ্ধা একটি আবাসিক ভবন ঘিরে ফেলে, যেখানে দঘমুশ পরিবারের সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভারী গুলিবর্ষণের মধ্যে বহু পরিবার ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় — যাদের অনেকেই যুদ্ধ চলাকালীন একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। একজন বাসিন্দা বলেন, “এইবার মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে নয়, নিজেদের লোকের কাছ থেকে পালাচ্ছিল।” দঘমুশ পরিবার গাজার অন্যতম প্রভাবশালী গোত্র, যাদের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করছে এবং সতর্ক করেছে যে “প্রতিরোধের কাঠামোর বাইরে কোনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ড” কঠোরভাবে দমন করা হবে। উভয় পক্ষ একে অপরকে সংঘর্ষ শুরু করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হামাসের দাবি, দঘমুশ পরিবারের বন্দুকধারীরা তাদের দুই সদস্যকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার পর তারা অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। তবে দঘমুশ পরিবারের এক সূত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামাস বাহিনী গাজা সিটির প্রাক্তন জর্ডানিয়ান হাসপাতাল ভবনে আসে, যেখানে দঘমুশ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল— কারণ তাদের আল-সাবরা এলাকার বাড়িগুলো সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই সূত্রের দাবি, হামাস ওই ভবনটি নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরিবারটিকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর হামাস প্রায় ৭,০০০ নিরাপত্তা সদস্যকে আবার মোতায়েন করেছে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। খবরে আরও জানা গেছে, হামাসের সশস্ত্র ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় মোতায়েন হয়েছে— কেউ বেসামরিক পোশাকে, আবার কেউ গাজা পুলিশের নীল ইউনিফর্মে। তবে হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর দাবি করেছে, “রাস্তায় কোনো যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়নি।”
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, কালিহাতী উপজেলা শাখার নতুন কমিটির পরিচিতি ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান গত ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা পরিষদের কন্ফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি শাহ আলম এবং পরিচালনা সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আনন্দ মহন দত্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কালিহাতী থানার ওসি তদন্ত মোঃশরিফুল ইসলাম শরিফ, ফেরদৌস আলম ফিরোজ কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান কবির, কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও মীর আনোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা।। অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন,, সহ সভাপতি গোবিন্দ চন্দ সাহা, মিজানুর রহমান, শফিউর রহমান খান শাফি,মাসুদুর রহমান বালা, আব্দুল বারেক, শামীম প্রামাণিক, জাকির হোসেন জিন্নাহ, শফিকুল ইসলাম, রাশিদা খানম প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানবাধিকার সংরক্ষণ শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নয়, এর বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ চর্চার মধ্য দিয়েই একটি সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে।” বিশেষ অতিথি সায়েদা খানম লিজা বলেন, “জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।” অন্য বিশেষ অতিথি মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন পুলিশের ভূমিকা আছে, তেমনি মানবাধিকার সচেতনতা সমাজে অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।” সভাপতি শাহ আলম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি সে লক্ষ্যেই কাজ করবে।” পরে অতিথিবৃন্দ নতুন কমিটির সদস্যদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজারে লন্ডন প্রবাসী সামছুল ইসলাম (রাজা) কর্তৃক সরকারী জায়গা ও বিদ্যুৎ এর খুঁটি ঘুরের ভেতরে ঢুকিয়ে ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় বাজারের আতংঙ্কিত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসির আয়োজনে পাথারিয়া বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীসহ এলাকার শত শত লোকজন অংশগ্রহন করেন। পাথারিয়া বাজারের ইজারাদার ও পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মুমিনের সভাপতিত্বে এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার,ব্যবসায়ী মোশাহিদ মিয়া,ব্যবসায়ী মোঃ জাবেদ মিয়া,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আক্কাস মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন,পাথারিয়া গ্রামের মৃত রোসন আলীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী ও আওয়ামীলীগের দোসর মোঃ সামছুল ইসলাম(রাজা) পাথারিয়া বাজারে ব্যাক্তি মালিকানায় পৌনে এক শতক(৭৫ পয়েন্ট) জায়গা খরিদ করলে ও তিনি সরকারী খাস খতিয়ানের আরো (৪.২৫ পয়েন্ট) জায়গা জোর জবর দখল নিজের নামে আর এস রেকর্ড করেন। গত আগষ্ট মাসে ঐ জায়গার পাশে সরকারী চলাচলের রাস্তা ও ওয়াব্দার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি দখল করে রাস্তার পাশে ঘর নির্মাণ করেন। এতে রাস্তাটি সরু হওয়াতে সাধারন মানুষজনসহ গরু ব্যবসায়ীরা গোবাদি পশু নিয়ে চলাচলে বিঘœতা সৃষ্টি এবং ঘরের ভেতরের টিনের চালের উপর বিদ্যুৎতের তার ঝুলিয়ে থাকার কারণে যেকোন মারাত্মক র্দূঘটনার আশংঙ্খা করছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষজন। অবিলম্বে এই ভূমিখেকো সামছুল ইসলাম(রাজা)”র কবল থেকে বিদ্যুৎতের খুঁটি ও দখলকৃত রাস্তার জায়গা উদ্ধার করে তাকে দ্রুুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী গফরগাঁও উপজেলার পাইথন ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৫ আগস্ট সোমবার সময় বাদ আসর জয়গরখালীতে অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গফরগাঁও উপজেলা শাখার আমীর ও ময়মনসিংহ জেলা মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য এবং ময়মনসিংহ-১০ আসনে জামায়াত ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সোহেল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক ও আদর্শনিষ্ঠ দল, যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষই নিরাপদ। আগামী দিনে জামায়াত সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে, সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। ইনসাফ কায়েম করতে হলে এবং ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে দাঁড়িপাল্লার সমর্থক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। শহীদ আব্দুল মালেক থেকে শুরু করে আবু সাঈদ মুগ্ধের মতো ত্যাগ ও উৎসর্গের মানসিকতা নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, তবেই বিজয়ের সোপান রচিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি আকরাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য ও পাগলা থানা আমীর মাওলানা এমদাদুল হক,পাগলা থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তালেব, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে মাওলানা সাইদুল ইসলাম ও এডভোকেট আতিকুর রহমান হীরা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাইথল ইউনিয়ন সভাপতি ডা. রোকন উদ্দিন,মশাখালী ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা কামরুল হাসান, লংগাইর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, ছাত্রশিবির গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,পাগলা থানা সভাপতি শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
হকার্স সমবায় সমিতি লিঃ " পক্ষ থেকে ৬ অক্টোবর বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান কতৃক সমিতির সচিব আবুল খায়ের রাসেল ও সমিতির পিয়ন মমিন উল্যাহ সুমনকে মারধর ও সমিতির অফিসের আলমারি ডয়ার তল্লাশী করে এবং তান্ডবের প্রমাণ মুছে দিতে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সমিতির পরিচালকবৃন্দ এ সময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হকার্স সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউছুপ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমিতি প্রতি বছর চৌমুহনী পৌরসভাকে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে। অথচ পৌর প্রশাসক মার্কেটের রাস্তায় পৌরসভার লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, সুইপারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে মার্কেটে ছয় মাস ধরে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে আছে,যা ব্যবসায়ীদের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,আমাদের সমিতিকে বাঁচান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নিন। তিনি আরও বলেন,মার্কেটের সামনে ইউ-টার্ন দেওয়ার কারণে বড় গাড়িগুলো মালামাল আনতে পারছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ইউ-টার্নটি অপসারণের দাবি জানাই। তিনি দুঃখের সঙ্গে আরও বলেন, মার্কেটের পানের আড়তের দক্ষিণ পাশে থাকা টয়লেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখন উত্তর পাশে নতুন টয়লেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এটি ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি। তিনি বলেন,সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ডাস্টবিন ভেঙে দেওয়া হয়, দুই সদস্যের দোকানের সিঁড়িও ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি অস্থায়ী খুঁটি ভেঙে সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব জায়গায় জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণের অপচেষ্টা চলছে। সমিতির অনুমোদিত ময়লা পরিস্কারের বক্স ও ব্যবসায়ীদের ৩০টি ভ্যান গাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,হাইকোর্ট ও জজকোর্ট কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ মুখে হাইকোর্টকে ‘হইরা কোর্ট’ বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেন এবং অকথ্য ভাষায় সমিতির পরিচালকদের গালিগালাজ করেন। পরিচালনা পরিষদের ২৫জন সদস্যের উপস্থিতে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক। কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন দুলাল মার্কেটের সদস্য কাজী মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আর্দশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সদস্য সুশান্ত বণিকের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এ্যাডভোকেট দীপংঙ্কর বণিক সুজিতের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক অশোক তালুকদার। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ভাস্কর রায়,শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অজিত দাস,শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রনজিৎ সূত্রধর,শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রমাকান্ত দাস,জেলা যুবদলের সদস্য রামকৃষ্ণ তালুকদার সবুজ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২(দিরাই ও শাল্লা) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী অশোক তালুকদার বলেছেন,বিগত ফ্যাসিবাদি আওয়ামীলীগের আমলে জাতীয়তাবাদি দলের আর্দশের সৈনিক হওয়াতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারিনি। তিনি অবিলম্বে সময় কালক্ষেপন না করে দ্রæত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
মোঃ আরিফুল ইসলাম
গাজা সিটিতে হামাস নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র দঘমুশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বৃহৎ সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার পর এটি গাজার সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চোখো দেখা সাক্ষীরা জানান, গাজা সিটির জর্ডানিয়ান হাসপাতালের কাছে মুখোশধারী হামাস যোদ্ধারা দঘমুশ গোত্রের যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং সশস্ত্র সদস্যদের আটক করতে তীব্র লড়াই শুরু করে। মন্ত্রণালয় জানায়, “একটি সশস্ত্র মিলিশিয়ার হামলায়” তাদের আট সদস্য নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দঘমুশ পরিবারের ১৯ সদস্য ও হামাসের আট যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। চোখো দেখা সাক্ষীরা বলেন, দক্ষিণ গাজা সিটির তেল আল-হাওয়া এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন ৩০০-র বেশি হামাস যোদ্ধা একটি আবাসিক ভবন ঘিরে ফেলে, যেখানে দঘমুশ পরিবারের সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভারী গুলিবর্ষণের মধ্যে বহু পরিবার ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় — যাদের অনেকেই যুদ্ধ চলাকালীন একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। একজন বাসিন্দা বলেন, “এইবার মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে নয়, নিজেদের লোকের কাছ থেকে পালাচ্ছিল।” দঘমুশ পরিবার গাজার অন্যতম প্রভাবশালী গোত্র, যাদের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করছে এবং সতর্ক করেছে যে “প্রতিরোধের কাঠামোর বাইরে কোনো সশস্ত্র কর্মকাণ্ড” কঠোরভাবে দমন করা হবে। উভয় পক্ষ একে অপরকে সংঘর্ষ শুরু করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হামাসের দাবি, দঘমুশ পরিবারের বন্দুকধারীরা তাদের দুই সদস্যকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার পর তারা অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। তবে দঘমুশ পরিবারের এক সূত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামাস বাহিনী গাজা সিটির প্রাক্তন জর্ডানিয়ান হাসপাতাল ভবনে আসে, যেখানে দঘমুশ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল— কারণ তাদের আল-সাবরা এলাকার বাড়িগুলো সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই সূত্রের দাবি, হামাস ওই ভবনটি নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরিবারটিকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর হামাস প্রায় ৭,০০০ নিরাপত্তা সদস্যকে আবার মোতায়েন করেছে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। খবরে আরও জানা গেছে, হামাসের সশস্ত্র ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় মোতায়েন হয়েছে— কেউ বেসামরিক পোশাকে, আবার কেউ গাজা পুলিশের নীল ইউনিফর্মে। তবে হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর দাবি করেছে, “রাস্তায় কোনো যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়নি।”
কাতার, সৌদি আরব ও ইরানসহ আঞ্চলিক দেশগুলো আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত বাহিনী ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দুই দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই পক্ষকে সংলাপ, কূটনীতি ও সংযমের মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করতে আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।” ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তার প্রতিবেশী পরিবেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।” রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ কারিবুল্লাহ সাদাত বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের অব্যাহত থাকা সকল দেশের জন্য ক্ষতিকর। সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক বোঝাপড়া ও পুনর্মিলনের মাধ্যমে হতে পারে—আফগানিস্তানে পাকিস্তানের দূতাবাস এবং পাকিস্তানে আফগান দূতাবাসের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া উচিত।” ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তান যদি আবারও হামলা চালায়, তবে আফগানিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। মুজাহিদ বলেন, “কাতার ও সৌদি আরব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, এবং ইসলামিক আমিরাত সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ স্থগিত করেছে। তবে আজ সকালে পাকিস্তানের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলা অব্যাহত থাকলে আফগানিস্তান তার ভূখণ্ড রক্ষার পূর্ণ অধিকার রাখে।” অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, “আমাদের দেশ জাতীয় স্বার্থ ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূখণ্ড থেকে ভারতের মদদপুষ্ট খারেজি সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে—এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে নথিভুক্ত বাস্তবতা।” এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি দাবি করেন, আফগান বাহিনীর পাকিস্তান ভূখণ্ডে গুলি চালানো আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এদিকে ভারতের সফরে থাকা আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি বলেন, “আফগান জাতির বৈশিষ্ট্য হলো—যখন কোনো বিদেশি শক্তি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তখন সকল আলেম, নেতা ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়।” উল্লেখ্য, পাকিস্তান আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুরান্ড লাইনের পারের পাকিস্তানি পোস্টগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়, যা চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চালানো পাল্টা অভিযানে অন্তত ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। মুজাহিদ বলেন, “কাল্পনিক ডিউরান্ড লাইনের ওপারে পরিচালিত এই প্রতিশোধমূলক অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্রও অস্থায়ীভাবে জব্দ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই অভিযানে ৯ জন আফগান সেনা শাহাদত বরণ করেছেন এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন, পাশাপাশি ২০টি পাকিস্তানি নিরাপত্তা পোস্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। মধ্যরাতে অভিযান স্থগিত: মুজাহিদ জানান, কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে শনিবার মধ্যরাতে অভিযান স্থগিত করা হয়। আইএসআইএস-খোরাসান নিয়ে অভিযোগ: মুজাহিদ দাবি করেন, আইএসআইএস-কে আফগানিস্তানে পরাজিত করার পর সংগঠনটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে। তার ভাষায়, “খাইবার পাখতুনখাওয়ায় আইএসআইএস-খোরাসানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। করাচি ও ইসলামাবাদ বিমানবন্দর হয়ে সেখানে সদস্যদের আনা হচ্ছে। আমাদের তথ্যে জানা গেছে, ইরান ও মস্কোর সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পরিকল্পনাও সেখান থেকেই করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তনে সংঘটিত আইএসআইএস-খোরাসানের হামলাগুলো এই ঘাঁটিগুলো থেকেই পরিকল্পিত হয়েছে। তাই পাকিস্তান সরকার যেন এই গোষ্ঠীর মূল সদস্যদের ইসলামিক আমিরাতের কাছে হস্তান্তর করে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান: মুজাহিদ জানান, পাকিস্তান আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছিল, তবে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামিক আমিরাত সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের হুঁশিয়ারি: আফগান বাহিনী শনিবার রাতে ডিউরান্ড লাইনের বিভিন্ন আফগান প্রদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান চালায়। মুজাহিদ সতর্ক করে বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের যে কোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে।”
ইসরায়েল সরকার গাজা যুদ্ধবিরতির “প্রথম ধাপ” অনুমোদন করেছে, যার অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময় ও গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গ্যারান্টির ভিত্তিতে এই সমঝোতার প্রথম ধাপ মানেই “গাজার যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ”—এমনটাই তাদের অবস্থান। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার মধ্যরাতের বৈঠকে শুক্রবার ভোরে (১০ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী— লড়াই থামানো: অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় লড়াই থামানোর পথ তৈরি হবে। বন্দি বিনিময়: হামাসকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, বিনিময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির কথা রয়েছে। সেনা প্রত্যাহার: ইসরায়েল গাজার কিছু অঞ্চল থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং নির্ধারিত লাইনে সরে যাবে। হামাসের আলোচক খালিল আল-হাইয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস—এই সমঝোতা যুদ্ধের সমাপ্তি টানবে। তবে সমঝোতাটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির বিস্তৃত রূপরেখায় কীভাবে বসানো হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলের ডানপন্থী শরিকরা চুক্তির বিরোধিতা করেছে। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন—“গাজায় হামাসের শাসন চলতে দিলে” তিনি এমন সরকারের অংশ থাকবেন না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নিহত: অন্তত ৬৭,১৯৪ জন আহত: ১,৬৯,৮৯০ জনের বেশি ধ্বংসস্তূপে চাপা: আরও বহু মানুষ থাকার আশঙ্কা ইসরায়েলে নিহত (৭ অক্টোবর ২০২৩ হামলা): ১,১৩৯ জন; প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন শুরু হলে গাজায় ত্রাণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার হওয়ার আশা করা হচ্ছে। আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল এলাকায় শিশুদের আনন্দ উদ্যাপনের দৃশ্য ধরা পড়েছে, তবে পর্যবেক্ষকদের মতে—সত্যিকারের স্বস্তির জন্য টেকসই রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
'ধৃতর বাবা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা' ! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের TMC যোগ, বিস্ফোরক শুভেন্দু
গত ৩ বছরে সোনার দামে ১৪০% বৃদ্ধি, এই ধনতেরসে কি সোনার দাম দেড় লাখের বেশি হবে?
নোবেন পাননি, কিন্তু ট্রাম্পের বিরাট প্রাপ্তি ইজরায়েলে! এই সম্মান আগে পেয়েছিলেন ওবামা
দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন সৌগত, কী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ শোভনদেবের ? 'মমতা নির্দেশ দিলে..'
সন্তানস্নেহে এই গাছ লালন করেছিলেন, টাকার লোভে বৃদ্ধাকে না জানিয়েই বৃক্ষ-নিকেশ! শেষ স্মৃতি জড়িয়ে কান্না অশীতিপরের
ফের বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্ট, ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি, আহত ৭
ইউটিউব ভিডিওতে ১০০০ ভিউ পেলে কত আয় হয় ? জেনে নিন টাকার গণিত
হোপ, ক্যাম্পবেলের পার্টনারশিপে দুরন্ত লড়াই, দুই উইকেটে ১৭৩ রান তুলে দিন শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়