ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ: হাসিনা তদন্তের সময়সীমা নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম

HTML tutorial
বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ: হাসিনা তদন্তের সময়সীমা নির্ধারণ
HTML tutorial

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত জোরদার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।  

সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ  

আগস্ট মাসে একটি গণ-অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ জন সাবেক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাকে "গণহত্যাকে সক্ষম করার" অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ১১ জন প্রাক্তন মন্ত্রী, একজন প্রাক্তন সরকারি সচিব এবং একজন বিচারক রয়েছেন। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের দমন-পীড়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।  

প্রসিকিউটর বলেন, “তারা পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেছে, সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।”  

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ  

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ওপর দমন-পীড়ন, গণ আটক এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার শাসনের পতনের পর অস্থিরতার সময় পুলিশের অভিযানে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  

৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে করে ভারতের নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে হাসিনা পলাতক। তাকে "গণহত্যা, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের" অভিযোগে আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।  

তদন্তের অগ্রগতি  

ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারক গোলাম মর্তুজা মজুমদার তদন্ত শেষ করার জন্য ১৭ ডিসেম্বর সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। তদন্তকারীরা প্রসিকিউটরদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও সময় চেয়েছিলেন।  

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস  

শেখ হাসিনার শাসনামলে সারাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার শাসনের সময় গণহত্যা, গণ আটক, এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের বিষয়টি উল্লেখ করেছে।  

আন্তর্জাতিক চাপ এবং প্রত্যর্পণ  

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি পুনরায় উত্থাপন করা হলেও তার পলাতক অবস্থা এবং ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় তাকে আইনের আওতায় আনার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।  

এই মামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জবাবদিহিতার প্রশ্ন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।   HTML tutorial

HTML tutorial
HTML tutorial