জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় ৩২ বছর আগে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবু বকর ছিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান (ঢুরিয়াভিটা, পোগলদিঘা ইউনিয়ন) বর্তমানে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি মৃত রুহুল আমীনের ছেলে।

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

বেগমগঞ্জে ১৪৫ তম স্কাউটস ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে

আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের উদ্যোগে আলোচনা সভা, সম্প্রীতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিস্টদের সংঘটিত করার অপচেষ্টা

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম নাজমুল হুদা জানান,
১৯৯৩ সালের ২৩ মে বিকেলে হাফিজুর রহমান তার বাল্যবন্ধু মোজাম্মেল হক মোজাফফরকে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পরদিন জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তার পাশে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করে। পরে ২৫ মে জামালপুর সদর থানায় মামলা (নং ২২/২৫-০৫-৯৩) দায়ের হয়, যা জিআর মামলা নং ১০০(২)/১৯৯৩ ও দায়রা মামলা নং ১৩/১৯৯৯ হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

নিখোঁজ মোজাম্মেল হকের ভাই শাহজাহান ২৮ মে থানায় গিয়ে ছবি ও জব্দ মালামালের ভিত্তিতে মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন—

• হাফিজুর রহমান (ঢুরিয়াভিটা)

• মোস্তাফিজুর রহমান (গোবিন্দনগর)

• শওকত আলী (কেন্দুয়া, দেওয়ানীপাড়া)

• গোলাম রব্বানী (পাখাডুবি)

• ওমর আলী (পাখাডুবি)

২০০০ সালের ১১ অক্টোবর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রায়ে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অন্য চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক।

সংবাদ প্রেরক:
আমাদের উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আজিজ, সরিষাবাড়ী।