টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালাংকা এলাকায় মসজিদের নামে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মসজিদ নির্মাণের অজুহাতে "জাগির মামুদ মন্ডল ওয়াকফ এস্টেট"-এর ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সালাংকা এলাকার ওয়াকফ সম্পত্তির ৯৩৭ শতাংশ ফসলি জমি ১৭ বছর ধরে কোনো আয় না থাকায়, সেটি বিক্রি করে মসজিদ নির্মাণ করা হবে—এই দাবি করে শুরু হয়েছে মাটি কাটা ও বিক্রির মহোৎসব। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকেও ‘ম্যানেজ’ করে এই কাজ চালানো হচ্ছে। অথচ দলিল নম্বর ৩৬৩৮ অনুযায়ী এবং সরকারি ইসি নম্বর ১০৫৮০ অনুযায়ী, এই জমির আয় ব্যয় হওয়ার কথা এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং ধর্মীয় উন্নয়নমূলক কাজে।
স্থানীয়রা জানান, জাগির মামুদ মন্ডলের মৃত্যুর পর এখন পর্যন্ত ওয়াকফ এস্টেটের কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। কিন্তু তার ছেলেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ ইচ্ছেমতো মাটি বিক্রি করছেন এবং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মসজিদের নাম ব্যবহার করে তারা ফসলি জমি নষ্ট করছে, যার ফলে আশপাশের বসতবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, “তারা যেভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে, তাতে পরিবেশ এবং ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে দরখাস্ত দিয়েছি, যাতে মাটি কাটা বন্ধ হয়।”
অভিযুক্ত মুসলেম উদ্দিন বলেন, “মসজিদ নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশেই মাটি বিক্রি করছি। এটি আমার বাবার জমি।”
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসীর দাবি, মসজিদের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যক্তিস্বার্থে অর্থ আত্মসাৎ না করতে পারে, সেজন্য দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন