ঢাকা, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শির্‌ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্‌তে লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে ? হাদিস কি বলে

মোঃ আরিফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৪:৫৫ এএম

HTML tutorial
শির্‌ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্‌তে লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে ? হাদিস কি বলে
HTML tutorial

পরিচ্ছেদঃ ২/২২. পাপ কাজ জাহিলী যুগের অভ্যাস। আর শির্‌ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্‌তে লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে না।

لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم : إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى )إِنَّ اللهَ لاَ يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ(

যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [আবূ যার (রাযি.)-কে লক্ষ্য করে] বলেছেনঃ তুমি এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের অভ্যাস রয়েছে। আর আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/৪৮)

৩০. মা’রূর (রহ.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি একবার রাবাযা নামক স্থানে আবূ যর (রাযি.)-এর সঙ্গে দেখা করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তাঁর ভৃত্যের পরনেও ছিল ঠিক একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ একবার আমি জনৈক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আবূ যার! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো অন্ধকার যুগের স্বভাব বিদ্যমান। জেনে রেখো, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন তাকে নিজে যা খায় তাকে তা-ই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা-ই পরায়। তাদের উপর এমন কাজ চাপিয়ে দিও না, যা তাদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে তোমরাও তাদের সে কাজে সহযোগিতা করবে। (২৫৪৫, ৬০৫০; মুসলিম ২৭/১০ হাঃ ১৬৬১, আহমাদ ২১৪৮৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০)

HTML tutorial
HTML tutorial