সম্প্রতি নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক একটি জাতীয় কমিশন “বৈবাহিক ধর্ষণ”কে ধর্ষণের আইনি পরিভাষায় আনার প্রস্তাব দেয়। এই সুপারিশের বিরোধিতা করে স্পষ্ট ও কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানালেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ মুফতি আবু মুহাম্মদ রাহমানি।
ফেস দ্যা পিপল" নামক টক-শোতে তিনি বলেন, "বিবাহ এবং ধর্ষণ — এই দুটি শব্দ একসাথে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ ভুল। বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে জোরপূর্বক কিছু হলে সেটাকে ধর্ষণ বলা হাস্যকর দাবি ছাড়া কিছু নয়। এটা ইসলাম বিরোধী এবং আমাদের সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।"
তিনি আরও বলেন, "নারী অধিকার মানে সমান অধিকার নয়, বরং ন্যায্য অধিকার।" ইসলাম নারীকে সম্মান দিয়েছে, কিন্তু সব জায়গায় সমানাধিকার দাবি করা বাস্তবতা বিবর্জিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারী কমিশনের প্রস্তাবে যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকেও কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন মুফতি রাহমানি। তিনি বলেন, "এটা শুধু ইসলাম নয়, বরং সব ধর্ম, সামাজিক চেতনা এবং সুস্থ বিবেকের বিরুদ্ধে। পতিতাবৃত্তিকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বরং এই পেশা থেকে নারীদের বের করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল।"
তিনি আরও বলেন, কুরআনের নির্ধারিত উত্তরাধিকার আইন নিয়ে নারীদের ‘সমান অধিকার’ নিশ্চিত করার প্রস্তাব সরাসরি কুরআনের বিরোধিতা। সূরা নিসা’র ১১ নম্বর আয়াতে যেভাবে পুরুষ ও নারীর জন্য উত্তরাধিকার নির্ধারিত হয়েছে, তা মানবিক ও ন্যায্য, এবং তা পরিবর্তন করার কোনো অধিকার কারো নেই।
মুফতি রাহমানি ইঙ্গিত করেন যে, নারী কমিশনের এইসব ‘সংস্কারের নামে বিকৃতি’ মূলত ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন,
"তারা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে, ধর্ম ও জনগণের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চায়। এমনকি তারা ড. ইউনুসের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করে গোলা পানিতে মাছ শিকারের কৌশল নিচ্ছে।"
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সমাজকে ধর্মবিমুখ ও পারিবারিক বন্ধনহীন করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করছে এই কমিশন।
📺 ভিডিও লিংক: YouTube ভিডিও দেখুন
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন