ঢাকা, শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনে যেভাবে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম

আন্দোলনে যেভাবে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে

শুধু রংপুরেই  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ফলে বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় অন্তত তিন ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে এই প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে চলুন আজ আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে কি ধরনের ও কত প্রকার প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে সেসব অস্ত্র ব্যবহারের মাত্রা কি রকম ছিল এসব অস্ত্রের গুলিতে কতজন প্রাণহানি হতে পারে এর সবকিছু আলোচনা করবো।

১৬ জুলাই থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এর পরদিন অর্থাৎ ৬ই আগস্ট পর্যন্ত ৭৫৮ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন প্রাণঘাতী অস্ত্রের গুলিতে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি হিসেবে এই মৃত্যুর ৭০ শতাংশই হয়েছে গুলিতে রংপুরে আবু সাঈদকে গুলির ওই ঘটনার দুটি ভিডিও যাচাই করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব সংস্থাটি জানিয়েছে স্যাটেলাইটের ছবি ব্যবহার করে তারা দেখেছে ১৬ মিটার দূর থেকে আবু সাঈদকে গুলি করা হয় সাঈদ তখন পুলিশের জন্য কোন হুমকির কারণ ছিলেন না বলে মনে করছেন সংস্থাটি। 

আপাদ দৃষ্টিতে ওই গুলির ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল বলে মনে করছেন তারা এরকম আরো ছয়টি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে তথ্য যাচাইকারী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাতে দেখা যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের মত পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অ্যাসল্ট রাইফেলের মত প্রাণঘাটি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে নির্বিঘ্নে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪১ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এর মধ্যে ১৭৫ জনের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ১৩৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী গুলি ও ২২ জনের শরীরে শর্টগানের গুলির আঘাত বা আঘাতের চিহ্ন ছিল তাদের অনেককে এইম ফায়ার বা লক্ষ্যবস্তু করে গুলির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট।

বিভিন্ন সূত্র ৪ আগস্ট থেকে পরের সময়ে এখন পর্যন্ত আরো ৪১৭ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে এর মধ্যে ৪ আগস্ট একদিনেই সারাদেশে নিহত হন ১১৬ জন ওইদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও আন্দোলনকারীদের উপর প্রাণঘাতী আগ্নেস্ত্র দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে এই ব্যাডা আমিন আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫ আগস্ট সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এলোপাতারি গুলি চালিয়েছে সবচেয়ে বেশি গুলির ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে এখন আমরা যদি থানায় হামলার সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশের গুলির ঘটনা বাদ দেই তাহলে ১৬  জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সূত্র গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন হাসপাতাল ও তথ্য যাচাইকারী একাধিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রের ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি করার ক্ষেত্রে শর্টগান পিস্তল ও চাইনিজ রাইফেল এই তিন শ্রেণীর অস্ত্রের ব্যবহার বেশি হয়েছে কোথাও কোথাও এসএমজি ও এলএমজির মত অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোলাবারত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা গেছে ।

শর্টগান থেকে রাবার ও শিষার দুই ধরনের গুলি ব্যবহার করা যায় এই গুলিগুলোকে ছড়া গুলিও বলে থাকেন অনেকে কারণ এর কার্তুতিজের ভেতর ছোট ছোট বল বা স্প্লিন্টার থাকে মূলত দাঙ্গা দমন করতে এই বন্দুকের ব্যবহার করা হয় যা সাধারণত প্রাণঘাতী নয় তবে বলের সংখ্যা আকার ও লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব ভেদে ছড়া গুলিও প্রাণঘাতী হতে পারে যেমনটা ঘটেছে রংপুরের আবু সাঈদের ক্ষেত্রে গুলি খাইছে গুলি খাইছে একটা মৃত্যুর পর দেখা গেছে স্প্লিন্টার বৃদ্ধ হয়ে তার বুক ও প্রিট ঝাঁজরা হয়ে গেছে পুলিশ সূত্র অনুসারে এখন পুলিশ বাহিনীতে ৭৬২ এবং ৯ এমএম ক্যালিবারের অস্ত্রের ব্যবহার আছে তবে ৯ এমএম পিস্তলের ব্যবহারই বেশি এছাড়া পুলিশের কাছে ৭৬২ এমএম চাইনিজ রাইফেল সাব মেশিনগান বা এসএমজি ও লাইট মেশিনগান বা এলএমজি রয়েছে গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞ একজন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বত সেনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন ৯ এমএম পিস্তলের গুলির কার্যকর সীমা বা ইফেক্টিভ রেঞ্জ ৫০ মিটার তবে অবস্থা ভেদে কয়েকশো দূরত্বে আঘাত করলেও তা প্রাণঘাতী হতে পারে আধা স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোমেটিক ৭৬২ mm চাইনিজ রাইফেলের গুলি ৩০০ m এর মধ্যে কারো শরীরে লাগলে তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।  আবার কার্তুজের ধরনের উপর নির্ভর করে শর্টগানের গুলি ৪০ থেকে ৫০ m এর মধ্যে লাগলে প্রাণনাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও গুলি করেছেন তাতে বাংলাদেশের সংবিধান দ্বন্দবিধি ও পুলিশ প্রবিধানসহ প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এই ধরনের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক।

আন্তর্জাতিক চুক্তিরও লঙ্ঘন এখন একটু জেনে নেই দেশের প্রচলিত আইন কি বলে পুলিশ প্রবিধানের ১৫৩ ধারা অনুযায়ী তিন ক্ষেত্রে পুলিশ আগ্নেস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে এগুলো হল ব্যক্তির আত্মরক্ষা ও সম্পদ রক্ষার অধিকার প্রয়োগ বেয়নি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ও গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ও ১০৩ ধারা অনুযায়ী প্রাণহানি মারাত্মক আঘাত ও অগ্নিসংযোগের দ্বারা অনিষ্ট করাসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশকে আক্রমণকারীদের মৃত্যু ঘটানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ প্রবিধান পিআরবি ১৫৩ তে বলা হয়েছে নিজেদের বা জনগণের সরকারি সম্পত্তি হামলা থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে কোন সমাবেশ যদি বেআইনীয় হয় তাহলে তা ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি করার আগে হুশিয়ারি বা ওয়ার্নিং দেয়ার বিধান রয়েছে পুলিশ প্রবিধানে ।

প্রবিধান ১৫৩ গ তে বলা হয়েছে সকল প্রকার চেষ্টা ও ব্যবস্থার পরেও যখন জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য একান্তভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে তখন সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে তবে পিআরবিতে এটিকে চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোপ ও সংঘাত চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের উপর অনেক গুলি করেছে পুলিশ প্রবিধান ১৫৪ তে উল্লেখ করা হয়েছে গুলি সবসময় নির্ধারিত লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হতে হবে একেবারে অপরিহার্য ব্যতীত কোনরূপ বড় রকমের ক্ষতিসাধন করা যাবে না এবং উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া মাত্র গুলি বন্ধ করতে হবে কিভাবে গুলি করা যাবে সে বিষয়েও পুলিশ প্রবিধানের ১৫৫ তে বলা আছে গুলি চালানোর নির্দেশ দানকারী কর্মকর্তা গুলি বর্ষণকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন যাতে সর্বনিম্ন ক্ষতিসাধন করে দ্রুত উদ্দেশ্য পূরণ করা যায় সমবেত জনতার মাথার উপর দিয়ে অথবা সমাবেশে থাকা ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কোন

লক্ষ্যে গুলি করা কঠোরভাবে নিষেধ কারণ এতে দূরবর্তী অপরাধ লোক হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে দূরত্ব লক্ষ্য ও গুলির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে তাছাড়া জনতার সরে যাওয়া ও ছত্রভঙ্গ হওয়ার সামান্যতম প্রবণতা থাকলেও গুলি চালানো বন্ধের নির্দেশনা আছে পিআরবিতে কিন্তু এই শক্তি প্রয়োগের মাত্রাটা কিরকম দন্ডবিধির ৯৯ ধারায় এই শক্তি প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এই ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার জন্য যত প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না তাছাড়া দন্ডবিধির ১০২ ধারা অনুযায়ী যখনই ক্ষতির আশঙ্কা শেষ হবে তখনই

আত্মরক্ষার জন্য শক্তি প্রয়োগের অধিকারও শেষ হবে কোন বিক্ষোপ বা রাস্তায় নেমে আসা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ কাউকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে গুলি করা পুলিশের কাজ নয় তাছাড়া ঘর বারান্দা ও ছাদে থাকা মানুষের শরীরে গুলি লেগেছে কেউ কেউ মারা গেছে এগুলো খুবই ভয়ঙ্কর ও অপেশাদার বলেও মনে করেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান ওদিনকার সন্ধ্যার সময় আমার ছেলে হচ্ছে এই পড়ার টেবিলে ছিল এইখানে পড়তেছিল আমার ছোট ভাইটা এখানে ছিল হঠাৎ করে যখন ক্রাউড শব্দ শুরু হয় একটা

গ্যাস আসা শুরু করছে তখন আমার ছোট ভাইটা এসে এই জানালাটা জাস্ট এভাবে বন্ধ করতে চাচ্ছিল আর এই জায়গাটা পিছে আমার ছেলে একটা এই টুলটার উপরে দাঁড়ায় ছিল তখনই বন্ধ করার সময় একটা গুলি এসে জাস্ট আমার ভাইয়ের এই কাঁধে লেগে পিছে আমার ছেলে দাঁড়ায় ছিল ওর ডান চোখ দিয়ে গিয়ে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়ে এই দেয়ালের মধ্যে লাগলো প্রথম আমার প্রতিবেদকেরা ঢাকার ৩১ টি হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন ১৬ থেকে ২২ জুলাই এর মধ্যে এই হাসপাতাল গুলোই আহত ৬০০০ , ৭০৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন এর মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ১৮ থেকে ২২ জুলাই

ভর্তি হয়েছেন ৯৬৪ জন তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছিলেন ২৩১ জন কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ প্রবিধানের এসব নির্দেশনা মানাই হয়নি যার কারণে বাসার ভেতরে বারান্দায় ও ছাদে থাকা অবস্থায়ও অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঢাকার কেবল তিনটি হাসপাতালেই ৬১৫ জন চোখে ছড়া গুলি ও রাবার বুলেট বৃদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এসব ঘটনার কোনটিতেই পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার মতো অবস্থায় দেখা যায়নি এমন পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট পুলিশের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ডিআইজি মোঃ মনিরুজ্জামান তিনি তার আবেদনে লিখেছেন।

গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে হয়েছে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বরবর আদেশে শিশু কিশোর সহ বহু মানুষকে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের কারনিশে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিকে পরপর কয়েকটি গুলি করা হয়েছে এই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এএফপি বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির বলেছেন রামপুরার নির্মাণাধীন ভবনটিতে ঝুলে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন একজন কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পরে ওই ব্যক্তির

সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয় পেশায় দোকানকর্মী সেই ব্যক্তির নাম আমির হোসেন থাকতেন বনশ্রীর মেলাদিয়া এলাকায় ওইদিন বাসায় ফেরার সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি ওই নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে পুলিশ তার দুই পায়ে ছয়টি গুলি করে সেদিন আর কি আফতাবনগর চাকরি করে হোটেলে সে জায়গাতে আর কি বাসায় ফিরতেছিলাম বাসায় ফিরার পথে আর কি গ্যাঞ্জামের মাঝখানে পইড়া যায় আর কি তারপরে আমি দৌড়ায় যাইয়া বিল্ডিং ছাদের উপরে উঠছি সেই জায়গায় আর কি আমার পিছনে পিছনে পুলিশ গেছে কিন্তু একটা পুলিশ তিন তলায় নাইমা আর কি গুল্লি করছে সেই ছয়টা

গুল্লি করছে আর কি আমার পায়ে তারপরে গুল্লি কইরা চইলা যাওয়ার পরে আমি তিন তলায় ঝাপদা পড়ছি চার তলা থেকে আর HTML tutorial

HTML tutorial