গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের কারণে মানুষ আকাশে উড়ে গিয়ে আবার মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এমন দৃশ্য হলিউড সিনেমার মতো হলেও এটি বাস্তব, এবং এটি গাজায় চলমান নৃশংসতারই একটি অংশ।
এই ভাইরাল ভিডিওটি ঘিরে শনিবার (তারিখ উল্লেখ করুন) ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজারো মানুষ তা শেয়ার ও মন্তব্য করে নিজেদের ক্ষোভ ও কষ্টের প্রকাশ ঘটান।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন—
“ঝোড়ো হাওয়ায় যেভাবে গাছের শুকনো পাতা উড়ে যায়, বোমার আঘাতে পবিত্র ভূমির মানুষদেরও তেমনভাবে আকাশে উড়তে দেখা গেল।”
তিনি আরও লেখেন,
“পৃথিবীর ২৮ কোটি আরব, ২০০ কোটি মুসলমান, জাতিসংঘ, ওআইসি কিংবা আরব বিশ্ব—কেউই হায়নাদের হাত থেকে একটি জনপদকে রক্ষা করতে পারল না। বরং সবাই যেন রোমের কলোসিয়ামের গ্যালারিতে বসে গ্ল্যাডিয়েটরদের মৃত্যু উপভোগ করছে।”
শায়খ আহমাদুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন—
“এই বর্বরতা থেকে বোঝা যায়, আজকের বিশ্ব কতটা সভ্য আর মানবিক। আর এই নির্মমতার দায়ভার আমাদের সবার। একদিন আমাদের সকলকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
শেষে তিনি একটি হৃদয়স্পর্শী প্রার্থনা করেন—
“মহান রবের কাছে একটাই চাওয়া, মৃত্যুর আগে যেন এই জুলুমের শেষ দেখে যেতে পারি।”
তার স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে তিনি ভবিষ্যতের ইতিহাসের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন—
“আজ থেকে শত বছর পর যখন গাজার ইতিহাস পড়া হবে, তখন মানুষ অবাক হয়ে ভাববে—সে সময়ের মানুষ কীভাবে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটতে দিলো? আমরা যারা আজ বেঁচে আছি, আমাদের সবাইকে এই লজ্জার ইতিহাস নিয়ে মরতে হবে।”
এই স্ট্যাটাস এবং ভিডিওটি এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনার বিষয় নয়, বরং তা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন