সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিভি)-এর পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম এবং মহান আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-কে কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
রাখাল রাহার এই পোস্টের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেশের ১৫০ জন বিশিষ্ট আলেম তার অপসারণ ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থী সমাজও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে ছাত্রশিবির এবং ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজপথে নেমেছে।
বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও আলেমগণ সরকারের কাছে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেছেন যে, এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয় নয়, বরং এটি পরিকল্পিতভাবে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি এবং দেশের স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রাখাল রাহা তার পূর্বের পোস্ট মুছে ফেলে এবং নতুন একটি পোস্টে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি লেখেন, "আমি ভুল করেছি, আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন এবং মুসলিম সমাজ আমাকে ক্ষমা করুক।" তবে সাধারণ মানুষ ও আলেম সমাজের একাংশ তার এই ক্ষমা প্রার্থনাকে গ্রহণ করতে রাজি নয় এবং তাকে এনসিটিভি থেকে অপসারণ ও বিচার দাবি করেছে।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সরকারকে ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন কার্যকর করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার দুঃসাহস না দেখায়।