বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত এক আর্থিক সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াব আব্দুল্লাহ আল হাম্মাদীর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

বৈঠকে ড. ইউনূস মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা শেখার সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। তারা এই প্রযুক্তি দক্ষতাগুলো রপ্ত করতে পারবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “বাংলাদেশের লাখ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রযুক্তি শিক্ষা চালু করা অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো সহযোগিতাকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাবো।”

কওমী অঙ্গন রিলেটেড নিউজ

ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদরাসা

হেফাজতের দাবি: ৫ মে ২০১৩ শাপলা চত্বরে ৯৩ জন নিহত, চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করছে সংগঠনটি

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঝাওয়াইল ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক

হাটহাজারীর ‘বাবা হুজুর’ খ্যাত মাওলানা মুমতাজুল করিম ইন্তেকাল করেছেন

জবাবে কাতার চ্যারিটির প্রধান উল্লেখ করেন, সংস্থাটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে একাধিক মাদ্রাসাকে জীবন দক্ষতা ও জীবিকা কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো।”

এসময় ড. ইউনূস বাংলাদেশের এতিম পৃষ্ঠপোষকতা কর্মসূচি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণ এবং অন্যান্য মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিশেষ করে মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট সহায়তা আহ্বান জানান।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তবে বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার কাঠামোতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে।