ইসরায়েলের উত্তর উপকূলের হাদেরা শহরের সৈকতে সোমবার (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা) একটি সম্ভাব্য হাঙরের হামলার ঘটনায় এক ডুবুরি নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড অ্যাডম’।
পুলিশ জানায়, “অল্প সময় আগেই হাদেরা পুলিশের নৌ ইউনিটকে জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হয়, কারণ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন—একজন ডুবুরির ওপর একটি হাঙর আক্রমণ চালিয়েছে।” এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ডুবুরির খোঁজ মেলেনি।
ঘটনার পর হাদেরা পৌরসভা বিচ বিভাগ জেট স্কি ব্যবহার করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তারা জানায়, “আমরা এলাকাটি স্ক্যান করছি ডুবুরিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনে নিয়মিত আপডেট জানানো হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা পানিতে না নামে এবং হাঙরদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকে।”
এই ঘটনার একটি গ্রাফিক ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখতে দর্শকদের সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, হাদেরা থেকে খুব বেশি দূরে নয় এমন এলাকায়, বেইত ইয়ানাই উপকূলে দুইটি নারী ‘ডাস্কি শার্ক’ (Carcharhinus obscurus) দেখা গিয়েছিল—যাদের সাধারণত মানুষদের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচনা করা হয় না। প্রত্যক্ষদর্শী ইহুদা জিমব্রিস জানান, “আমি হঠাৎ পানিতে দুইটি ছায়া দেখতে পেলাম। ভিডিও করতে শুরু করি এবং বুঝতে পারি ওগুলো হাঙর। তারা ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে উপকূলে চলে আসে, ফলে সাঁতারুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”
প্রতি শীতকালে হাদেরা নদীর মুখে (যেখানে একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উষ্ণ পানি নির্গত হয়) ডাস্কি শার্ক এবং বিপন্ন প্রজাতির স্যান্ডবার শার্কদের উপস্থিতি দেখা যায়। ফলে হাদেরা রিভার পার্কে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করেন, এমনকি অনেকে পানিতে নেমে হাঙরের কাছেও চলে যান, যদিও কর্তৃপক্ষ বারবার নিষেধ করে।
যদি এই ঘটনাটি নিশ্চিত হয়, তবে এটি হবে গত ৮০ বছরে ইসরায়েলে মাত্র চতুর্থ হাঙরের আক্রমণের ঘটনা। এর আগে ১৯৪৬ সালে এক ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার, ১৯৭৪ সালে এক জার্মান শিক্ষার্থী এবং ২০১৩ সালে আশদোদের উপকূলে মাছ চাষ প্রকল্পে কর্মরত এক ব্যক্তি হাঙরের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
মুক্তধ্বনি এই ঘটনাটির ওপর নজর রাখছে এবং পরবর্তী আপডেট পাওয়া মাত্র পাঠকদের জানানো হবে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন