ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে চালানো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পুরুষ নিহত হওয়ার পর ভারত সরকার কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা এর পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

এই হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলা হচ্ছে। হামলাকারীদের সন্ধানে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় সফরে ছিলেন, তিনি সেই সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি এই হামলাকে “বর্বর ও জঘন্য কাজ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “হামলাকারীদের বিচার হবেই”।

বিশ্ব/আন্তর্জাতিক রিলেটেড নিউজ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ দামেস্ক ছেড়েছেন, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে হোমস ও কারাগার

কাশ্মীরে আকাশযুদ্ধ: পাকিস্তানের J-10 দিয়ে ভূপাতিত ৫ ভারতীয় জেট!

কাশ্মীর হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি পাকিস্তানের, সন্দেহভাজনদের বাড়িতে অভিযান ও ভাঙচুর

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার আশঙ্কা, বন্ধ ১,০০০-এর বেশি মাদ্রাসা

এদিকে, একটি অল্প পরিচিত গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, কাশ্মীরে ৮৫,০০০-এরও বেশি "বহিরাগত" বসতি স্থাপন করেছে, যা অঞ্চলটিতে “গণতান্ত্রিক পরিবর্তন” ঘটাচ্ছে এবং এই অসন্তোষ থেকেই তারা হামলা চালিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে SAARC ভিসা ছাড়ের আওতায় কোনো পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ভ্রমণ করতে পারবে না। এই স্কিমের আওতায় পূর্বে ইস্যুকৃত সব ভিসা বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে। যেসব পাকিস্তানি নাগরিক বর্তমানে এই ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে: পাহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার দৃশ্য
(ভিডিও সময়কাল: ০:৩৪ মিনিট)

এই ঘটনাটি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ও দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।