ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ছয়টি আলাদা স্থানে একযোগে হামলা চালানোর পর যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। ভারতের এই অভিযানকে “অপারেশন সিঁদুর” নাম দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে।
পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি পাকিস্তানও। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারতের মিসাইল হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর জানিয়েছে, পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে হামলার পর পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কড়া জবাব দিয়েছে। পাঁচটি ভারতীয় ফাইটার জেটে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে একটি ড্রোন ও একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরও।
পাকিস্তান দাবি করেছে, অভিযানে অংশ নেওয়া তাদের সমস্ত যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। ভূপাতিত ভারতীয় জেটগুলোর মধ্যে রয়েছে—তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢোকা হয়নি; বরং তারা কাশ্মীরে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র ভারতের এই পদক্ষেপকে “লজ্জাজনক ও কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতের আরও বড় ক্ষতি হবে। আমরা সব ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।”
ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তীব্র কূটনৈতিক বিবৃতি আদান-প্রদান চলছে।
জাতিসংঘ এবং ওআইসি (OIC) উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না এলে এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে।
পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে; স্কুল, সরকারি দপ্তর এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে দুই দেশের জনগণ চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন