প্রকাশিত; ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতে একই দিনে হোলি উৎসব ও পবিত্র রমজানের জুমার নামাজ পড়ায় উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বিশেষত উত্তরপ্রদেশের শাম্ভালে, যেখানে ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদসহ দশটি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সংঘাত এড়ানোর জন্য। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা রোধে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। তবুও, প্রশাসনের উদ্যোগ ও কঠোর নিরাপত্তার কারণে শুক্রবারের জুমার নামাজ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। নয়া দিল্লিতেও রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবারে বহু মুসল্লি নামাজ আদায় করেন, যেখানে অনেকেই হোলির শুভেচ্ছা জানান।
একজন মুসলিম প্রতিনিধি বলেন, "আমরা ইসলামের পক্ষ থেকে সমগ্র ভারতবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা জানাতে চাই। যদিও আমরা হোলি উদযাপন করি না, তবে আমাদের আবেগ ও শুভকামনা তাদের সঙ্গে রয়েছে।"
শাম্ভালের রাস্তায় নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে মুসল্লিদের এবং হোলি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের আলাদা রাখা হয়। ভারত পুলিশ নিশ্চিত করে যে দুপুর আড়াইটার আগে হোলি উদযাপিত হবে এবং তারপর জুমার নামাজ আদায় করা হবে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দেন যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে রং লাগানো যাবে না। তবে স্থানীয় মুসলিমদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে হোলিকে ব্যবহার করে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করছে।
এই ঘটনায় ধর্মীয় সম্প্রীতির এক মিশ্র চিত্র ফুটে উঠেছে। একদিকে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা ও মুসলিমদের ধৈর্যের কারণে সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে, অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু ক্ষোভও রয়ে গেছে।