টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী, ছাত্রদলের নেতা রানা আহমেদ, ইব্রাহিম খান বাদশা, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সজীব হাসান, ছাত্র শক্তির নেতা মাহতাব খান ভাসানী ও ছাত্রদলের নেতা হাবিব প্রমুখ। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নবাব আলী স্মারকলিপি প্রদানকালে বলেন, “আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকে বিনীত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই যে, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র সংসদ কেবল নির্বাচিত কমিটি নয়; এটি শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশ, সমস্যা সমাধান, সাংস্কৃতিক এবং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার একটি গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম।” নবাব আলী আরও বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আসাদুজ্জামান স্যার আপনার সদয় উদ্যোগে আমাদের কলেজে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। এটি শিক্ষার্থীদের অধিকারকে সম্মান জানাবে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও সুন্দর, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সমৃদ্ধ করবে।” ছাত্রদের দাবি, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব অনুষ্ঠিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্রশাসন তাদের এই বৈধ দাবি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।
টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সিরাজগঞ্জ জেলায় নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কড্ডার মোড়ের তাহফিজুল কোরআন শিক্ষা একাডেমী ও মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী, মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি রবিউল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা জুবায়ের, সিরাজগঞ্জ জেলা জিম্মাদার আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সদর জিম্মাদার হাফেজ আবুহানিফ, গোপালপুর জয়নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মোজাম্মেল হক এবং মুফতি ফয়সাল আহমেদসহ স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষকেরা। ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও ময়মনসিংহ—চার জেলার মোট ২৫টি উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, ২০১৭ সাল থেকে তারা বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে আসছেন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) নির্বাচন বিষয়ক সচেতনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উন্নয়নকে কেন্দ্র করে যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সেমিনার রুমে ‘নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’ আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় তরুণদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রে তরুণদের ভূমিকা, নাগরিক দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়। শিক্ষার্থীদের চারটি দলে বিভক্ত করে ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতামত সংগ্রহ করা হয়। গ্রুপভিত্তিক আলোচনায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি রোধ, মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, স্বচ্ছ নির্বাচন ও গণতন্ত্র চর্চা বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন মাভাবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদেকীন। তিনি বলেন, “সচেতন নাগরিক গড়ে উঠলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি সম্পর্কে জানবে, প্রশ্ন করবে এবং নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকবে—এটাই একটি উন্নত রাষ্ট্রের ভিত্তি।” অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান এবং সহযোগী প্রোগ্রামার মাহদিয়া মাহমুদ তাইমা। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সেশনে অনুষ্ঠিত হয় গ্রুপ ওয়ার্ক, ওপেন ডিসকাশন এবং নির্বাচনী সিমুলেশন সেশন, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রক্রিয়া সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা অর্জন করেন। আয়োজকরা জানান, যুব সমাজকে সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে সারাদেশজুড়ে এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হবে বলে তারা জানান।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করা হচ্ছে পরীক্ষার ফি, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা** টাঙ্গাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে কোনো লিখিত নির্দেশনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায় করায় অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা দিতেই এ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ সত্ত্বেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, প্রশ্নপত্র সিলগালা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় খামের সরকারি বরাদ্দ না থাকায় প্রশ্নের গোপনীয়তা রক্ষা করা যাচ্ছে না। জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি নির্ধারণে অনলাইনে মতামত চেয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি – ২০ টাকা,তৃতীয় শ্রেণি – ৩০ টাকা,চতুর্থ শ্রেণি – ৪০ টাকা,পঞ্চম শ্রেণি – ৫০ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে লিখিত অনুমোদন বা আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগেই বিদ্যালয়গুলোতে ফি আদায় শুরু হয়ে যায়, যা নিয়মবহির্ভূত। অভিভাবকদের প্রতিবাদেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, আদায়কৃত টাকার মধ্য থেকে ১৫ টাকা করে শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হচ্ছে। এছাড়া মডেল বৃত্তি পরীক্ষার OMR শিটের জন্যও প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ৩০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনিয়ম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রিকশাচালক লাল চান বলেন, “গরিব বলেই ছেলেকে সরকারি স্কুলে দিয়েছি। আগে কোনো পরীক্ষার ফি লাগত না। কিন্তু এবার ফি না দিলে ছেলেকে পরীক্ষায় বসতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়েছি।” সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জাকারিয়া হায়দার বলেন, “পরীক্ষার ফি নেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত আদেশ পাইনি, তবে মৌখিক অনুমতি পেয়েছি। আর প্রশ্নপত্র সিলগালা করার জন্য বরাদ্দ না থাকায় গোপনীয়তা রক্ষা করা কঠিন। প্রশ্ন বাইরে ছড়িয়ে পড়লে করার কিছু থাকে না।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিনও ২৪ নভেম্বর পরীক্ষার সময়সূচিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করলেও প্রশ্নপত্র নিরাপত্তা বা ফি আদায়ের বিষয়ে কোনো পরিষ্কার নির্দেশনা দেননি। অভিভাবকরা বলছেন, পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁস, আবার কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফি আদায়—এসব ঘটনায় তারা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। তাঁরা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন
সাজিদ পিয়াল:সরকারি সা'দত কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে বিদায় সংবর্ধনা এবং বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সা'দত কলেজ শিক্ষক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা স্যারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনসিসি প্লাটুনের ক্যাডেটরা দুই গুণী শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ–এর মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং–এর পরিচালক প্রফেসর কাজী মোঃ আবু কাইয়ুম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দু'জনই অসাধারণ দায়িত্বশীলতা, সৎ নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের বিদায় কলেজের জন্য এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করবে, তবে তাঁদের রেখে যাওয়া শিক্ষা ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আবেগঘন এই বিদায় অনুষ্ঠানে প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া ও প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা কলেজের প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং সকলের কাছে দোয়া ও শুভকামনা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্মারক উপহার প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা শেষ হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বার্ষিক পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন অভিভাবকেরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সখীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। পরীক্ষার হলে নেই চেনা শিক্ষক–শিক্ষিকারা। প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে কখনো বাবা, কখনো মা কক্ষের ভেতর হাঁটাহাঁটি করে নজরদারি করছেন শিক্ষার্থীদের ওপর। তিন দফা দাবিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির প্রেক্ষাপটে সখীপুর উপজেলার ১৪৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকেরা জানান, সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় প্রধান শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে পরীক্ষায় সহায়তার জন্য অভিভাবকদের ডাকছেন। বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতি এড়াতে তারা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সখীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা অফিস কক্ষে বসে আছেন, আর পরীক্ষার হলে অভিভাবকেরাই কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েকটি কক্ষে কোনো অভিভাবক না থাকায় প্রধান শিক্ষক নিজে গিয়ে আগ্রহী অভিভাবকদের খুঁজে দায়িত্ব প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীনা আখতার বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশেই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সহকারী শিক্ষকেরা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছেন না। এমনকি অভিভাবকদের দায়িত্ব পালনে বাধাও দিচ্ছেন।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার বলেন, ‘আমরা পরীক্ষায় বাধা দিচ্ছি না, তবে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সহযোগিতা করতে পারছি না। প্রধান শিক্ষক আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন না।’ পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অভিজ্ঞ শিক্ষক নয়, অভিভাবকদের ওপর দেওয়া—এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন অভিভাবক। বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে তারা প্রতিবাদ জানান। ফারজানা আক্তার নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এভাবে অভিভাবক দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া একদম উচিত না। আমরা তো প্রশিক্ষিত নই।’ আরেকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, ‘দায়িত্ব পালনকারী কিছু অভিভাবক নিজেদের বা পরিচিত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে দিয়েছেন।’ তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক অভিভাবক দাবি করেন, ‘আমি আমার সন্তানের কক্ষে দায়িত্ব পালন করিনি। নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুরোধেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে।’ কালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন কমিটির সক্রিয় সদস্য মুক্তি মালেক বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে চাপ প্রয়োগ করে সহকারী শিক্ষকদের পরীক্ষায় দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ শিক্ষক কর্মসূচি অনুযায়ী দায়িত্ব থেকে বিরত ছিলেন।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন,‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে বার্ষিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কিছু বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জেনেছি। তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সহকারী শিক্ষকদের অন্তত পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল।’
রমনা রেজিমেন্টের ডি কোম্পানি, ৫ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের নারী ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সরকারি সা'দত কলেজের শিক্ষার্থী শ্যামলী আক্তার। রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় আশুলিয়ার বাইপাইল বিএনসিসি ট্রেনিং একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) শ্যামলী আক্তারকে র্যাংক ব্যাজ প্রদান করেন রমনা রেজিমেন্টের ৫ বিএনসিসি ব্যাটালিয়নের অ্যাডজুটেন্ট মেজর মো. মুরসালীন ইবনে সিদ্দিক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেনিং একাডেমির প্রশিক্ষক কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্লাটুন কমান্ডার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। শ্যামলী আক্তার সরকারি সা'দত কলেজের বাংলা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। নতুন দায়িত্ব হিসেবে তিনি শুধু সরকারি সা'দত কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনই নয়, আরও ৭টি মহিলা প্লাটুনের নেতৃত্ব দেবেন। প্লাটুনগুলো হলো— আনন্দমোহন কলেজ (ময়মনসিংহ),মমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ (২টি প্লাটুন)।মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,(টাঙ্গাইল)কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজ(টাঙ্গাইল),সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ (জামালপুর,)শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ (শেরপুর)। নতুন দায়িত্বপাপ্ত সিইউও শ্যামলী আক্তার জানান, “এই র্যাংক আমার জন্য শুধু সম্মানই নয়, আরও বড় দায়িত্ব। দেশের সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক ক্যাডেট তৈরি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।” বিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, আচরণ, প্রশিক্ষণে দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা—এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ সিইউও পদ প্রদান করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে কুমুদিনী সরকারি কলেজ ছাত্রীনিবাসে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বার্ষিক প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্রীনিবাসের মুক্তমঞ্চে আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চারদিকে উৎসবমুখরতা ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক খান এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোয়াজ্জম হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান হোস্টেল সুপার ও সহযোগী অধ্যাপক (ইংরেজি) মোহাম্মদ আকতার হোসেন। বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক উন্নয়ন গঠনে এ ধরনের সৃজনশীল আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীদের আত্ম-উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, সৃজনশীলতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক পর্বে ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, নাটিকা ও একক পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করেন। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে একটি উৎসবমুখর ও অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সবশেষে প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আয়োজকরা জানান, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্প্রীতি ও ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে
টাঙ্গাইলের বাসাইলে শহীদ দারুস সুন্নাহ্ ইসলামিয়া নুরানী ও দাখিল মাদরাসায় নতুন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মাদরাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদান নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তারা বলেন, সুশিক্ষার আলোয় নিজেদের গড়ে তুলে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এসময় মাদরাসার শিক্ষকরা নবীনদের জন্য পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়া, শৃঙ্খলার সঙ্গে চলা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা শেষে নবীন শিক্ষার্থীরা এমন আয়োজন পেয়ে আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করেন। মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ভবিষ্যতে আরও উন্নত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করে।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (GAIN) ও সান ইয়ুথ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী “ফুড সিস্টেমস ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং” অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবিএসটিইউ রিসার্চ সোসাইটি নিউট্রিশন ক্লাব অব এমবিএসটিইউ আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে আসা মোট ৩৮ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেন। তিন দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক। উদ্বোধনী বক্তব্যে তারা তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, টেকসই খাদ্যব্যবস্থা নির্মাণ এবং পুষ্টি–গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন। দ্বিতীয় দিনের সেশনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের কর্মকর্তারা মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উপস্থাপন করেন। এদিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু জুবায়ের। তিনি পুষ্টি-নিরাপত্তা ও খাদ্যব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণের শেষ দিনে অংশগ্রহণকারীরা টাঙ্গাইল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (MCWC) পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান পদ্ধতি, পুষ্টি হস্তক্ষেপ এবং মাতৃ-শিশুস্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন বাস্তবধর্মী দিক পর্যবেক্ষণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আবু জুবায়েরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, অতিথি এবং স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সেশন পরিচালনা করেন সান ইয়ুথ নেটওয়ার্কের চারজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক। লিড ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রোকসানা এ. রব, এবং সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন মো. রিয়াজ হোসেন। অংশগ্রহণকারীরা খাদ্যব্যবস্থা, পুষ্টিবিজ্ঞান, নেতৃত্বগুণ, ক্যাম্পেইন ডিজাইন, কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট ও কৌশলগত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন করেন। টাঙ্গাইল অঞ্চলে পুষ্টি, খাদ্যনিরাপত্তা এবং মাতৃ-শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে অংশগ্রহণকারীরা তিনটি কমিউনিটি অ্যাকশন টিম—“পুষ্টিভাই”, “মাতৃ সুরক্ষার দোলনা” এবং “নিউট্রি হেভেন”—গঠন করেন। এসব টিম শিগগিরই মাঠপর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবে বলে আয়োজকরা জানান।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ক্যারিয়ার কার্নিভাল-২০২৫। করপোরেট জগৎ, আইটি শিল্প, স্টার্টআপ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের এক মঞ্চে নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয় ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও পেশাগত দিকনির্দেশনার এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সেমিনার রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম। অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপনা করেন— সায়েদুল আজহার সারোয়ার (হেড অব বিজনেস, পারটেক্স স্টার গ্রুপ), কামরুল ইসলাম (ম্যানেজার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স), এস. এম. আসিফ বিন আজগার (অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, এমএনসি), বেনজির আবরার (ফাউন্ডার, এক্সিলেন্স একাডেমি), অদ্রিক এশনা পূর্বাশা (ম্যানেজার, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স), ফারহান সাকিব (প্রোগ্রাম লিড, টেন মিনিট স্কুল), মীর মইনুল ইসলাম (ফ্যাকাল্টি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি), আসাদুজ্জামান জয় (কনটেন্ট ক্রিয়েটর), হাসান মাহমুদ সম্রাট (কো-ফাউন্ডার, এক্সিলেন্স একাডেমি), মায়মুনা সরকার (অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ) ও মোহাম্মদ তানজিল (এক্সিকিউটিভ, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং)। দিনব্যাপী এ কার্নিভালে ছিল— ক্যারিয়ার গাইডেন্স ,সেমিনার,সিভি রিভিউ কর্নার, মক ইন্টারভিউ ,করপোরেট বুথ পরিদর্শন,চাকরি ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়, ক্যারিয়ার পরামর্শ গ্রহণ এবং নিজেদের দক্ষতা উপস্থাপনের সুযোগ পান। বিশেষ করে চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সদ্য গ্র্যাজুয়েট ও চাকরি-প্রত্যাশীদের জন্য এ আয়োজনটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নতুন দিক উন্মোচন করেছে বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা
টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ—এই চার জেলার ২৫টি উপজেলা থেকে মোট ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবারের নূরানী স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষায়। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও ধাপে ধাপে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বৃত্তি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) গোপালপুরের দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। এর আগে ভূঞাপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হেরাল মডেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, “টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ বৃত্তি পরীক্ষা নূরানী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বয়ে আনবে। এটি বাচ্চাদের পড়ার গতি ও মনোযোগ বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।” গোহাটা মসজিদের ইমাম ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি নাজির সিদ্দিকী বলেন, “নূরানী শিক্ষা শিশুদের প্রাথমিক ও ভিত্তিমূলক শিক্ষা। আরবি হরফ ও বাংলা বর্ণের সাথে পরিচয়ের প্রথম ধাপ এটি। তাই শিশুদের চরিত্র গঠন ও নৈতিক শিক্ষায় এর ভূমিকা অনন্য।” ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন উপজেলার জিম্মাদাররাও পরীক্ষা পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঘাটাইল উপজেলা জিম্মাদার মুফতি আব্দুর রশিদ বলেন, “এ ধরনের বৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে এবং তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায়।” মাওলানা জুবায়ের বলেন, “শিশুরা সারা বছর যে পরিশ্রম করে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তার সঠিক মূল্যায়ন হয়। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ে।” মধুপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা ইবরাহিম খলিল জানান, “নূরানী শিক্ষার প্রসারের জন্য ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ছোট বাচ্চাদের শিক্ষাজীবনে এটি বড় উৎসাহের সৃষ্টি করে।” গোপালপুর উপজেলা জিম্মাদার মাওলানা নোমান আহমেদ বলেন, “প্রতিটি কেন্দ্রেই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ছিল প্রশংসনীয়।” অভিভাবকরা জানান, নূরানী স্কলারশিপ পরীক্ষা শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায় এবং সারা বছরের শেখার মূল্যায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন, “এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সাথে ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়ে।” টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী জানান, “২০১৭ সাল থেকে এ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। উত্তীর্ণ মেধাবীদের বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ, সম্মাননা ক্রেস্টসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।” সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, নূরানী শিক্ষার বিস্তারে এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষাজীবনকে আরও উৎসাহিত করবে এবং আলোর পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
টাঙ্গাইলে নতুন রূপে উন্মুক্ত হলো পাঠকবান্ধব পাবলিক লাইব্রেরি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি নতুন রূপে পাঠক-সমাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া ইন্টেরিয়র উন্নয়ন, আধুনিক সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে লাইব্রেরিটি এখন আরও আকর্ষণীয় ও পাঠকবান্ধব রূপ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনির্মিত লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে তিনি বলেন,“একটি আধুনিক ও পাঠকবান্ধব লাইব্রেরি গড়ে তোলা আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল। তরুণ প্রজন্মের জ্ঞানচর্চা এবং মানসিক বিকাশে এই লাইব্রেরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”তিনি আরও উল্লেখ করেন, নতুন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিমুখী করবে এবং নাগরপুরে জ্ঞানচর্চার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী তোরাপ আলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন,নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বকুল,এ ছাড়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নাগরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে নতুন রূপে সাজানো এই লাইব্রেরি জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একটি উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।পাবলিক লাইব্রেরিকে আরও পাঠকবান্ধব করার লক্ষ্যে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। করা হয়েছে ইন্টেরিয়র ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। সংস্কার কাজ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিতা কেটে নতুন করে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান।উদ্বোধনকালে ইউএনও আরাফাত মোহাম্মদ নোমান বলেন, একটি আধুনিক ও পাঠকবান্ধব লাইব্রেরি গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। তরুণ প্রজন্মের জ্ঞানচর্চা ও মানসিক বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন রূপে সাজানো লাইব্রেরি শিক্ষার্থীদের আরও আকৃষ্ট করবে এবং নাগরপুরে জ্ঞানচর্চার নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার, এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী তোরাপ আলী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন, নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বকুল প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন
সাজিদ পিয়াল: সরকারি সাদত কলেজ, টাঙ্গাইলের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া–এর আজ কলেজজীবনের শেষ কর্মদিবস। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শিক্ষা সেক্টরে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পুরো কর্মজীবনজুড়ে তিনি একজন সৎ, দক্ষ, দায়িত্বশীল ও মানবিক শিক্ষাপ্রশাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি কলেজের একাডেমিক পরিবেশ উন্নত করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম তদারকি, পরীক্ষার শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক-স্টাফদের মাঝে সমন্বয় এবং কলেজের সার্বিক উন্নয়নই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তার নেতৃত্বে— ক্লাসরুম ও একাডেমিক কার্যক্রম হয়েছে আরও সুসংগঠিত,শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতার চর্চা বেড়েছে,প্রশাসনিক কার্যক্রমে এসেছে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা,কলেজে শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের প্রতি ছিল তার আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীল দৃষ্টি। যে কোনো সমস্যা সমাধানে তিনি ছিলেন সবসময় ইতিবাচক ও সহযোগিতাপূর্ণ।স্যারের শেষ কর্মদিবসে কলেজ পরিবারে বিরাজ করছে আবেগঘন পরিবেশ। সহকর্মী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী প্রশাসক, সহজ-সরল ব্যক্তি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নেতা। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, তিনি ছিলেন একজন অনুপ্রেরণাদায়ী অভিভাবকসুলভ অধ্যক্ষ, যিনি সর্বদা শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও কল্যাণকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন।তার অবদানকে স্মরণ করে সবাই আজ তাকে গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। শিক্ষাজীবনের দীর্ঘ পথ চলায় তার নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও মানবিক আচরণ ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।সরকারি সাদত কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া স্যারের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সুস্থ-সুখী আগামীর কামনা। তার শিক্ষাব্যবস্থায় অবদান আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে—এটাই সকলের বিশ্বাস।
তারুণ্য মেলা ২০২৫ জনসেবা চত্বর, টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলের প্রাণকেন্দ্র জনসেবা চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে “তারুণ্য মেলা ২০২৫”। তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি চর্চাকে সামনে রেখে আয়োজিত এ মেলা প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। মেলায় অংশ নিয়েছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, স্টার্টআপ প্রতিনিধিরা, প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও ক্রীড়াবিদরা। রয়েছে স্টল, প্রদর্শনী, উদ্ভাবনী প্রকল্প, বইমেলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং কর্নার, তরুণ উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, তারুণ্য মেলা তরুণদের প্রতিভা বিকাশ, নেতৃত্ব গঠন ও ইতিবাচক সমাজ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনের পথ তৈরি করতেই এ মেলার উদ্দেশ্য — “তারুণ্যের শক্তি দেশের শক্তি”। দিনব্যাপী মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ, আলাপ-আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় জনসেবা চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। আগামী প্রজন্মের স্বপ্ন, উদ্ভাবন ও সম্ভাবনার মিলনমেলা হয়ে উঠেছে এই আয়োজন।
নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ে টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন। ধাপে ধাপে এই ৪ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শাহ্পুর তাহিরীয়া দারুস্ সুন্নাহ্ হাফিজিয়া ও নূরানী মাদরাসা এবং কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও আবু আশরাফ খান (অবঃ জজ) মাদসায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জেলার ভূঞাপুর, মধুপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসা এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিহাতীর রাজাফৈর কওমীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও আবু আশরাফ খান (অবঃ জজ) মাদসায় বৃত্তি পরীক্ষা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিয়া ও হাসান বলেন- তারা এর আগে কখনো বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে তারা আনন্দিত। অভিভাবকরা বলেন- এই স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষায় শিশুদের পড়াশোনায় উৎসাহ তৈরি করছে এবং বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সারা বছরের পড়াশোনার মেধার বিকাশ ঘটে। মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন- এটি শুধু বৃত্তি পরীক্ষা নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ার উন্নয়ন ঘটে এবং পড়াশোনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রতিযোগীতা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যভাসে আরও আত্মবিশ^াসী হয়। এছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশন সভাপতি শেখ মাহদী হাসান শিবলী বলেন- টাঙ্গাইল, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ২৫টি উপজেলা থেকে এবার ৮ হাজার শিশু শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন উপজেলায় বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাহদী হাসান শিবলী আরও বলেন- ২০১৭ সাল থেকে টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই পরীক্ষার আয়োজন করে আসছেন। উত্তীর্ণ মেধাবী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ ও সম্মাননা ক্রেস্টসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করে থাকেনা। পাশাপাশি ফাউন্ডশন থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদেরও সম্মাননা প্রদান করেন। তারা এই ধারাবাহিকতা ভবিষতেও অব্যাহত রাখবেন। ক্যাপশন: টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
সরকারি সা'দত কলেজ শিক্ষক পরিষদ নির্বাচন (২০২৫-২৬) এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০ ঘটিকা হতে দুপুর ০২ ঘটিকা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। উক্ত নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জনাব মোঃ আবদুল্যাহ তালুকদার (সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ) এবং ড. শেখ ফরিদ (সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ)। জনাব মোঃ আবদুল্যাহ তালুকদার পেয়েছেন ৪৫ ভোট এবং ড. শেখ ফরিদ পেয়েছেন ৭১ ভোট। প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ ফরিদ। যুগ্ম-সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জনাব মোঃ নাইমুল হাসান (সহকারী অধ্যাপক, ইসলামী শিক্ষা বিভাগ) এবং জনাব আতিকুর রহমান (সহকারী অধ্যাপক, গণিত বিভাগ)। জনাব মোঃ নাইমুল হাসান পেয়েছেন ৯০ ভোট এবং জনাব আতিকুর রহমান পেয়েছেন ২৮ ভোট। প্রায় তিন গুণের বেশি ভোট পেয়ে যুগ্ম - সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ নাইমুল হাসান। কোষাধক্ষ্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় হয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ সুমন মিয়া।
১৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার আমাদের ডিবেটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪–২৫ সেশনের বিদায়ী কমিটির সভাপতি সানজিদা মেহের নাহিদা ও সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার রাহমান সাজিদ এর বিদায় এবং নতুন কমিটি (২০২৫–২৬) ও নতুন তার্কিকদের আনুষ্ঠানিক বরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর এবং আবেগঘন। ক্লাবের পুরনো ও নতুন প্রজন্ম একসাথে মিলিত হয়ে এক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনিরুজ্জামান মিয়া, সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা ও সাবেক উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৃদুনচন্দ্র ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: আব্দুল্যাহ তালুকদার সাধারণ -সম্পাদক, সরকারি সাদ'ত কলেজ শিক্ষক পরিষদ, ড. আরমান হোসেন আজম সহকারি অধ্যাপক, বাংলা ও শিক্ষক উপদেষ্টা, সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব,মো. নাইমুল হাসান সহকারী অধ্যাপক ইসলামী শিক্ষা ও শিক্ষক উপদেষ্টা, সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব, সাইফুল মালেক আনসারি, বিভাগীয় প্রধান অর্থনীতি, আবেদ আহাদ, বিভাগীয় প্রধান, সমাজকর্ম। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আবু হানিফ, সভাপতি সরকারি সা'দত কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের গর্ব, সম্মানিত সাবেকরা: প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার নিপুণ হোসাইন,সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান রুবেল,সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন,সাবেক সভাপতি আবু আহমেদ শেরশাহ,সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হাসান ও এছাড়াও সরকারি সা'দত কলেজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকারি সা'দত কলেজ ছাত্রদলের সদস্য , সরকারি সা'দত কলেজ ছাত্রশিবির। এসময় বিদায়ী কমিটির সদস্যদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং নতুন কমিটি ও সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আলোচনা পর্বে ক্লাবের অর্জন, অতীত ইতিহাস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ক্লাবের সম্ভাবনা, বর্তমান কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন সম্মানিত অতিথিবৃন্দ। ক্লাবের সদস্যরা রম্য বিতর্ক, গান, ম্যাজিক ও আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলো। অংশগ্রহণকারী সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করি। বিদায়ী কমিটির দায়িত্বশীল নেতৃত্ব আমাদের ক্লাবকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। আর নতুন কমিটি ও নতুন তার্কিকরা ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা সবসময় ক্লাবের পাশে থেকেছেন। তাদের দিকনির্দেশনা, সহযোগিতা এবং একান্ত সমর্থনই অনুষ্ঠানটিকে এত সুন্দরভাবে আয়োজন করতে সাহায্য করেছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের প্রধান অতিথি মনিরুজ্জামান মিয়া স্যারকে, তার সহযোগিতা ও সমর্থনের কারণে আয়োজন সফল হয়েছে। ডিবেটিং ক্লাব সবসময় যুক্তি, সত্য ও সুন্দর মত প্রকাশের জায়গা। পুরানোদের অভিজ্ঞতা আর নতুনদের স্বপ্ন এক হয়ে ক্লাবকে এগিয়ে নেবে আরও অনেক দূর।
১৬,১৭,১৮ নভেম্বর টানা তৃতীয় দিনের মত সরকারি সা'দত কলেজ প্রভাষকবৃন্দ কর্মবিরতি পালন করলো। তাদের দাবি ৩ টিঃ- ১।শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক যোগ্য সকলের প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা। ২.শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ২০০০ বিধির কলেজসমূহে জাতীয়করণের তারিখ হতে ক্যাডারভুক্তির নিয়মিত করণের সকল অবৈধ প্রজ্ঞাপন সমূহ বাতিল করতে হবে। ৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা। "No promotion, No work" কর্মসূচি চলমান থাকবে। ১৯/১১/২৫ তারিখ মাউশিতেও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।
সরকারি সা'দত কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কর্তৃক "উপাধ্যক্ষ (সাবেক বিভাগীয় প্রধান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ) প্রফেসর সুব্রত কুমার সাহা স্যারের অবসরজনিত বিদায় ও মিলনমেলা"-র আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি সাদ'ত কলেজের অধ্যক্ষ জনাব, মো: মনিরুজ্জামান মিঞা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি সাদ'ত কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ-সম্পাদক জনাব, মো: আব্দুলাহ তালুকদার, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান জনাব,এস এম গিয়াস উদ্দিন । এ ছাড়াও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থী এ "বিদায় ও মিলন" মেলায় অংশ নিয়ে সফল ভাবে সম্পন্ন করেন।
নাদিম তালুকদার:বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত যোগ্য সকল প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবিতে সরকারি সা'দত কলেজে প্রভাষকদের "No Promotion, No Work" কর্মসূচি পালন। গত ১৪ নভেম্বর ২০২৫ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সারাদেশে "NO PROMOTION, NO WORK" কর্মসূচির ডাক দেন "বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ"। ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর দুই দিন উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে টাঙ্গাইলের করটিয়ায় অবস্থিত সরকারি সা'দত কলেজের প্রভাষকবৃন্দ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।