আইন-অপরাধ

ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা

ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা পাবনার ইশ্বরদীতে ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক ও নিন্দনীয় এক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে— এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে ৮টি কুকুরছানাকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের জানান, নিহত ছানাগুলোর মা কুকুরটি ছিল শান্ত, নিরীহ ও মিশুক স্বভাবের। মানুষের প্রতি ছিল তার গভীর বিশ্বাস। মা কুকুরটি কোয়ার্টার এলাকায় সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করত। কিন্তু তার সদ্যোজাত ছানাগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর দেখা যায়, মা কুকুরটি দিশেহারা হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে করুণ স্বরে কান্না করছে— “কি দোষ ছিল আমার বাচ্চাদের?”— যেন এমনই প্রশ্ন তার চোখে-মুখে। খবর জানাজানি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে ওই দম্পতিকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী মনে করছেন, এমন জঘন্য ঘটনার শাস্তি শুধু কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া— এটা অত্যন্ত সামান্য। “যে দেশে মানুষ হত্যার বিচার ঠিকমতো হয় না, প্রাণীর হত্যার বিচার আশা করাও যেন বোকামি”— এমন ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। প্রাণী অধিকার activists ও সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী এ ধরনের প্রাণী হত্যা ও নির্যাতন স্পষ্টভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যায়। তাদের মতে— “মানুষ যে হারে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, প্রাণী হত্যা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।” ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। অনেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতা করতে সাহস না পায়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে ব্যাটারি রিকশার সাথে ধাক্কা লাগায় অটোচালককে খুর দিয়ে আঘাতে হত্যার চেষ্টা

সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে ব্যাটারি রিকশার সাথে ধাক্কা লাগায় অটোচালককে খুরদিয়ে আঘাতে হত্যার চেষ্টা, রিকশাচালক আটক। টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে রিকশা ও অটোর মধ্যকার সামান্য ধাক্কাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রিকশা ও চলন্ত অটোর মধ্যে হালকা ধাক্কা লাগলে প্রথমে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে রিকশাচালক ক্ষুব্ধ হয়ে হাতে থাকা খুর দিয়ে অটোচালকের গলায় আঘাত করেন। এতে অটোচালক গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রিকশাচালককে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে তাঁকে পুলিশ এসে হেফাজতে নেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তির নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানায়, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ২, ২০২৫ 0
বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় যুবক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বন্ধুকে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় যুবক। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নাজরুল একাডেমি মাঠে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার পর কুড়াল হাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম মুনতাসির ফাহিম (২২)। তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং চার মাস আগে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর বাড়ি চিকনা মনোহর গ্রামে। হত্যার পর রাতেই ত্রিশাল থানায় এসে “আমি বন্ধুকে মেরেছি”—এ কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন তার বন্ধু আহিদুল ইসলাম আনিক (২২)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা এবং ফাহিমের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে আনিক ফাহিমকে নাজরুল একাডেমি মাঠের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে—এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁদ পেতে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধু দ্বারা এভাবে হত্যার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
নিহত হাসু
টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে পরকীয়া প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে পরকীয়া প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম হাসমত উল্লাহ হাসু। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— রাশেদুল ইসলাম (৩৬), গ্রামনাহালি, মহেড়া ইউনিয়ন, মির্জাপুর। ইয়ামিন ইসলাম (৩২), একই গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী নিশি বেগমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জামালপুরের বকশীগঞ্জের হাসমত উল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাসু টাঙ্গাইল সদরের আইএফআইসি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুল দেশে ফেরার পরও হাসু নিশির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে স্বামী–স্ত্রী মিলে হাসুকে দেখা করতে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিশির সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাশেদুল, ইয়ামিন ও মেহেদী হাসু কে চোর সন্দেহে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই রহমত উল্লাহ ছয়জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাশেদুল ও ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাবেদ পারভেজ বলেন, “দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।” মির্জাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, “পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
ভুয়া সাংবাদিক ফারুক পাটোয়ারীর উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীরা

ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ফারুক পাটোয়ারী আবারও আলোচনায়। এবার দেশবর্ণ নিউজের একজন সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বারবার প্রতারণা ও গ্রেফতারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি অল্প কিছুদিন আগে উত্তরা উত্তরখানের চায়না ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে “সাংবাদিক” পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে পুলিশ ফারুক পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি সাতক্ষীরার একটি বেকারিতে “ম্যাজিস্ট্রেট” পরিচয়ে পুনরায় চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার সঙ্গে আরও দুইজনকেও আটক করা হয়। জেল থেকে বের হয়ে তিনি পুনরায় একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশবর্ণ নিউজ সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গালাগাল একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়—ফারুক পাটোয়ারী দেশবর্ণ নিউজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে উচ্চস্বরে বলেন, “কোনো সাংবাদিককে গোনায় ধরি না।” এই মন্তব্যের পর সাংবাদিক নাদিম শেখ আদর তাকে জিজ্ঞাসা করেন— “আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক? এবং সাংবাদিক সমাজকে এভাবে গালাগাল করছেন কেন?” প্রশ্ন শুনে ফারুক পাটোয়ারী মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন এবং পেশাদার সাংবাদিকদের নামে “নিউজ করে দেখে নেওয়া হবে” বলে হুমকি দেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোনো বৈধ পরিচয় দিতে পারেননি। সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন—এই ভুয়া সাংবাদিকদের শেষ কোথায়? ফারুক পাটোয়ারীর মতো প্রতারকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকতার সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাদের মন্তব্য— শুধু কথা বলতে পারলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না একজন প্রকৃত সাংবাদিককে প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার কিছুই জানেন না এসব ভুয়া ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার মুখোশ পরে যারা পেশাটিকে কলঙ্কিত করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি—ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে যারা প্রতারণা, হুমকি ও চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। নইলে এই অপসংস্কৃতি বিস্তার লাভ করবে এবং সাধারণ মানুষসহ প্রকৃত সাংবাদিকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
ফটিকছড়িতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশেরসহ দু’জন নিহত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাইন্দং আমতল (বড় খইয়ে) এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ভয়াবহ সংঘর্ষে নয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যসহ দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে দ্রুতগতির দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখি ধাক্কা খেলে ঘটনাস্থলেই দু’জন প্রাণ হারান। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুঃখজনক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা নিহতদের ক্ষমা ও মাগফিরাত দান করুন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা 

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ২৮, ২০২৫ 0
দেলদুয়ারে নদীর তীর থেকে অবৈধ মাটি উত্তোলন রোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান
টাঙ্গাইলে দেলদুয়ারে অবৈধ মাটি উত্তোলন রোধে মোবাইল কোর্টের অভিযান

সাজিদ পিয়াল: দেলদুয়ারে নদীর তীর থেকে অবৈধ মাটি উত্তোলন রোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান ধানকী মহেড়া ও বারপাখিয়ায় অভিযান, ভেকু সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা দেলদুয়ার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫: দেলদুয়ার উপজেলাধীন ডুবাইল ইউনিয়নের ধানকী মহেড়া এবং এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া এলাকায় নদীর তীর থেকে ভেকু ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে একটি ভেকু উদ্ধার করা হয়। মালিকানা প্রমাণ করতে না পারায় উক্ত ভেকুটি সাময়িকভাবে কাজের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোহরা সুলতানা যূথী এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম। এছাড়াও অভিযান চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেলদুয়ার থানার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেনআজ ২৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দেলদুয়ার উপজেলাধীন "ডুবাইল" ইউনিয়নের ধানকী মহেড়া নামক স্থানে নদীর পাড় হতে ভেকু দ্বারা অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ঘটনাস্থলে একটি ভেকু পাওয়া যায় এবং মালিকানা দাবি না করায় উক্ত ভেকুটি সাময়িকভাবে কাজের অযোগ্য করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে "এলাসিন" ইউনিয়নের বারপাখিয়া নামক স্থানেও এ অভিযান অব্যাহত থাকে। অভিযান পরিচালনা করেন দেলদুয়ার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জোহরা সুলতানা যূথী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম। এছাড়া উক্ত অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ দেলদুয়ার থানার পুলিশ সদস‌্যগণ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার মাধ্যমে নদী সংরক্ষণ এবং মাটি সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় অপসারিত কাউন্সিলর শামীম খান গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় অপসারিত কাউন্সিলর শামীম খান গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক (অপসারণকৃত) ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাকে উপজেলার একটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মির্জাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাহাড়পুর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শামীম খান মির্জাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো বলে জানিয়েছেন মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ আগস্ট শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কয়েকজনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জোবায়েদ ইসলাম নিঝুম। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ছিলেন শামীম খান। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গ্রেপ্তারকৃত শামীমকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের সকল পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ করলে শামীম কাউন্সিলরশীপ হারান। থানা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার দিন শামীম খান নেতৃত্বাধীন কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানায়, শামীম খান দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন। পাশাপাশি অপসারণের কারণে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকেও বহির্ভূত হন। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বলছে, মামলার অন্যান্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে জরিমানা করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কান্দাপাড়ায় একটি রান্নাঘরকে পচা ও বাসি মাংস দিয়ে বিরিয়ানি প্রস্তুত এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর, ২০২৫) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে পরিচালিত এক যৌথ অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। জহিরুল ইসলাম নামে এক রান্নাঘর মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রান্নাঘরটিতে বাসি, পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত মাংস ব্যবহার করে খাবার তৈরি করা হচ্ছিল। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার স্থানীয় জনপ্রিয় কয়েকটি রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করা হতো। খাবার সরবরাহ করা হতো এমন নামিদামি হোটেলগুলো হলো - কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি। ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।টাঙ্গাইলে পচা-বাসি মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (২৪ নভেম্বর) পৌরসভার কান্দাপাড়া রোডে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাইওয়ে সুইটসকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা জহিরুল ইসলাম উৎপাদিত এসব খাবার স্থানীয় কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি ও হানিফ বিরিয়ানিতে সরবরাহ করতেন। এই তিনটি দোকানের মালিকও তিনি। ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘‘রান্নাঘরজুড়ে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধ বিরাজ করছিল। প্রতিদিনই পচা-বাসি মাংস দিয়ে নতুন করে খাবার রান্না করা হতো। যা ভোক্তার জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয় ও রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৪, ২০২৫ 0
**টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান দালালচক্রের ৪ জন গ্রেফতার, অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ সকালে এ অভিযান চালিয়ে দালালচক্রের চার সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অতিরিক্ত টাকা আদায় ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের একটি বিশেষ দল পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করে দালালদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে। একপর্যায়ে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার ব্যক্তিদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র, টাকা ও দালালি কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, “পাসপোর্ট অফিসকে পুরোপুরি দালালমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।” অভিযানে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত অভিযান হলে দালালচক্রের আধিপত্য কমে যাবে এবং পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর দুই হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তার (৪০) হত্যা মামলার এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম লেবু মিয়া (৩৫)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌলি দক্ষিনপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।গ্রেফতারকৃত লেবু মিয়া টাঙ্গাইলের পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা হত্যা মামলারও আসামী। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিপিসি-৩ র‍্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প হতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে (৪০) কুইজবাড়ি গ্রামে নিজেদের বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া গত (২৬ মে) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলটিয়া বাড়ি মোড়ে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা কুপিয়ে আহত করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। দুটি ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিপিসি-৩ র‍্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প। তদন্তে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় লেবু মিয়াকে সন্দিগ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে আসামী লেবু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাদিম তালুকদার নভেম্বর ২১, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রেল লাইনের পাশে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রেল লাইনের পাশে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার এলাকায় শোকের ছায়া। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় রেল লাইনের পাশ থেকে শ্যামলী বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া রেল লাইনের পাশে স্থানীয়দের নজরে এলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরের দিকে রেল লাইনের পাশে এক বৃদ্ধার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা দ্রুত থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, শ্যামলী বেগম দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার সকালেই তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। মঙ্গলবার দিনের কোনো একসময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। লাশ শনাক্ত করতে থানায় যান শ্যামলী বেগমের ছোট ভাই রাজু আহমেদ রাজ্জাক। তিনি জানান, তার বোনের তিন মেয়ের মধ্যে দুইজনই প্রতিবন্ধী এবং অসহায় অবস্থায় তারা-ও ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল। “বোনটি প্রতিদিনই ভোরে বের হতো। আজ এভাবে তাকে পাওয়া যাবে—কখনো ভাবিনি,” বলেন তিনি। মির্জাপুর থানার দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “মৃতদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে মানবিক সংকটে থাকা পরিবারটিকে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, প্রতিবন্ধী দুই মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম অসহায় পরিস্থিতিতে রয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শ্যামলী বেগম নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শ্যামলী বেগম উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ার ঠান্ডু সওদাগরের মেয়ে। শ্যামলী বেগম ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত সোমবার শ্যামলী বেগম ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বুধবার দুপুরে ধেরুয়া রেল লাইনের পাশে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে শ্যামলী বেগমের ছোট ভাই রাজু আহমেদ রাজ্জাক থানায় গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। রাজু আহমেদ রাজ্জাক জানান, তার বোনের তিন মেয়ের মধ্যে দুইজনই প্রতিবন্ধী। তারাও ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার দিনের কোন এক সময় শ্যামলী বেগমের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ ধারনা করছেন। মির্জাপুর থানার দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা

টাঙ্গাইলে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা টাঙ্গাইলে নিজ বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের চার কন্যা। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তারা হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানবাবা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেল করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আঃ আজিজের চার কন্যার এক কন্যা আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামের আনিকা তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান যে, তাদের বাবা হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাহাদের কার সাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটায়। ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটি নর্থ টাঙ্গাইল এর কমিটি গঠন তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, “বিগত ১২ জানুয়ারী ২০২৫ দিবাগত রাতে আনুমানিক ১১ ঘটিকায় মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আঃ আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগন বেপরোয়া ভাবে মাইরপিট, নিলাফোলা রক্তাক্ত জখম করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে বিবাদীগন মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। উক্ত সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলাল সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের বাবা আঃ আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজু নাম বলে যান। বাবাকে তাৎক্ষনিক স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তাহার বন্ধু ও বাহাম ভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এরস্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। উক্ত চিকিৎসালয়ে বাবা মৃত্যুবরণ করলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরীকরে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অতিশয় অসহায় বোধ করছি। কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করেনাই। আমরা আসামীদের বিচার চেয়ে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বড় মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের বাবাকে হত্যা করা হলেও মূলহোতারা এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্ত অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো নয়। আমরা চার বোন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।” এ সময় অন্যান্য কন্যারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, হত্যার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের ওপর চাপ ও হুমকির কথাও তুলে ধরেন তারা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের সন্তানরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর। তারা তদন্ত সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
প্রসিকিউটর তাজুল শিবির-কর্মী ও খুন মামলার আসামি ছিলেন: ফজলুর রহমান

ঢাকার এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান পরিষ্কার ভাষায় বললেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার কোনও ব্যক্তিগত আপত্তি নেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো কাঠামোতে এ বিচার হওয়া তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে—গণতন্ত্রহীনতা, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা—এসবের জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য। “তার ফাঁসি হোক, আমার আপত্তি নেই,”—এ কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন—“কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে বিচার টিকবে না।” তার মতে, ১৯৭৩ সালের যে আইনে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচার হয়েছে, সেই একই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া আইনি দৃষ্টিতে ভুল। এটি যুদ্ধাপরাধের কোর্ট, রাজনৈতিক অপরাধের নয়। ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম নিরপেক্ষ নয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান প্রসিকিউটর অতীতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং খুনের মামলারও আসামি ছিলেন। “বরের পিশি, কনের মাসি হয়ে বিচার হয় না”—বলে তিনি প্রসিকিউটরদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে উচ্চ আদালত এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তখন দেওয়া রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। “যদি কোর্টই ঠিকভাবে গঠিত না হয়—তাহলে তার দেওয়া ফাঁসির রায়ের মূল্য কী?”—তিনি বলেন। নিজ দলের অবস্থান থেকেও ভিন্ন মত প্রকাশ করে তিনি জানান, দল তাকে অভিনন্দন জানালেও তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী হিসেবে নিজের বিবেক অনুযায়ী কথা বলছেন। শেষে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন—“ভারত থেকে ধরে এনে হাসিনাকে ফাঁসি দিলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল কোর্টে বিচার হলে সেটা আমি মানতে পারি না।”

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ, কামালিয়াচালা থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে লা*শটি সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের সখীপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।টাঙ্গাইলের সখিপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ী আটক ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আল মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তার হেফাজত থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানান—রুবেল ও অন্তর নামের দু’জন ব্যক্তি নিয়মিত তার কাছে এসব মালামাল সরবরাহ করত। পুলিশ বলেছে, ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাটি টাঙ্গাইলের সখীপুরে সাম্প্রতিক সময়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার একটি অংশ, যেখানে গত দুই মাসে অন্তত চারটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে বলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে উল্লেখ করেছে। চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ একজন ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।সখীপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।সম্প্রতি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরির হিড়িক পড়েছে বলে দেশ রূপান্তর করেছে।এই পরিস্থিতিতে চোরদের ধরতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাওয়া গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি এক আইনি নোটিশের মুখোমুখি হয়েছে। জানা যায়, এক ব্যক্তি বা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট দাবিসহ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু নির্দিষ্ট কাজ বা দাবির ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছে, যা আইনি পথে সমাধান দাবি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, নোটিশটি প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছে এবং আইনগত পরামর্শ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের অভিযোগের দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। আইনজীবীরা মনে করছেন, সময়মতো লিখিত প্রতিউত্তর এবং প্রমাণাদি সংগ্রহের মাধ্যমে এই ধরণের নোটিশের যথাযথ মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করছে যে, কোনোরকম মামলা এড়িয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে, শিক্ষাব্যবস্থা বা সেবা কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না এবং এই আইনি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৭, ২০২৫ 0
কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — ২ জন গ্রেফতার

সাজিদ পিয়াল: আজ ১৬ নভেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত তোহর আলী (৬০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সোয়েব আলীর পুত্র। মেজর কাওসার বাঁধন জানান, গতকাল (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তোহর আলীকে সন্দেহ হলে র‍্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মাদক বহনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার ব্যাগের সেলাই করা অংশ থেকে চার পুরিয়া হেরোইন এবং পেয়ারার বস্তা থেকে চারটি পলিথিন প্যাকেটে রাখা মোট ৪৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জব্দকৃত হেরোইন আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে। কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — দুই জন গ্রেফতার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অভিনব কায়দায় ব্যাগের ভেতর সেলাই করে এবং পেয়ারার বস্তার নিচে লুকিয়ে অবৈধ মালামাল বহনের সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিচৌকিতে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিহাতী পৌরসভার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি ভ্যান থামানো হলে চালক ও সহযাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ভ্যানের পেছনে রাখা দুইটি ব্যাগ ও একটি বড় পেয়ারার বস্তা পরীক্ষা করা হয়। তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাগ দুটির ভেতর বিশেষভাবে সেলাই করে গোপনে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল। সেলাই কেটে ভিতরে ঢোকানো ছিল ছোট প্যাকেট, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য এবং সন্দেহজনক কাগজপত্র। পেয়ারার বস্তার নিচেও একইভাবে লুকানো ছিল আরও কিছু অবৈধ পণ্য। বস্তার উপরের স্তরে পেয়ারার মতো ফল সাজিয়ে রাখা হলেও নিচের অংশে গাদাগাদি করে রাখা ছিল নিষিদ্ধ সামগ্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধ মালামাল পাচার করছিল। তবে এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল— সেসব বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অত্যন্ত চতুর উপায়ে অবৈধ পণ্য পরিবহনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নিয়মিত তল্লাশির কারণেই এটি ধরা পড়ে। জব্দ করা মালামালের সঠিক হিসাব ও ধরন যাচাই করা হচ্ছে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।” পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মালামাল থানায় রাখা হয়েছে এবং পুরো চক্র শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আপনি চাইলে উদ্ধারকৃত মালের নির্দিষ্ট ধরন, মোট মূল্য, আটক ব্যক্তিদের নাম, এবং তারিখ দিলে আমি এটি আরও নির্ভুল ও পোর্টাল-রেডি সংবাদের মতো সাজিয়ে দিতে পারব।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১নং আটগাও ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা পরিচয়ে পরিচিত অভিযুক্ত ডিলার সালাম মিয়ার এই কর্মকান্ডে ডিলারশিপ অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তোষ ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।  স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪-এর একাধিক মৌলিক শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪ অনুযায়ী, ডিলারকে ইউনিয়নের নির্ধারিত হাট/বাজারের নিজস্ব বা ভাড়ার দোকান থাকতে হবে এবং সেখানে কমপক্ষে ১৫ (পনের) মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে এই শর্তগুলোর মারাত্মক ব্যত্যয় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিলার সালাম মিয়া আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানেই তাঁর চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মেম্বার কালাম মিয়া, ইউনূস মিয়া সহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস আগে এই অবৈধ স্থাপনাটি ঘর তোলা হয়েছে।  নীতিমালায় বলা আছে ১৫মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সরেজমিনে দেখা গেছে ডিলারের সরকারি ভূমিতে নির্মিত ঘরটিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ মে. টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা সম্ভব। নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়ার দোকানের ক্ষেত্রে ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্র জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত একটি অবৈধ স্থাপনার জন্য কিভাবে বৈধ ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরি এবং তা ডিলারশিপের জন্য গৃহীত হলো, তা নিয়ে জনমনে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান,এই ডিলারশিপ অনুমোদনের পেছনে বড় ধরনের অনিয়ম থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।  এদিকে, দাউদপুর বাজার কমিটির সহ-সভাপতি প্রেমতুষ দাস অভিযোগ করেন, ঘরটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পূর্বে গ্রামের শিব (বেন্নাথ) গাছ থাকায় তারা পূজা-পার্বণে প্রসাদ বিতরণ করতেন। তিনি বলেন, ডিলার ও চেয়ারম্যান তাদের বলেছিলেন 'কিছু দিনের জন্য চাল বিতরণ করা হবে, পরে ভেঙে ফেলা হবে'। কিন্তু এখন যেভাবে কার্যক্রম চলছে, তাতে স্পষ্টতই জায়গাটি দখল করা হয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, বিএনপি নেতা সালাম হঠাৎ করেই পরিষদের জায়গায় ২০/৪০ জন মানুষ নিয়ে এসে সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘর নির্মাণ করে। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এখানে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইউএনও সাহেব অবগত আছেন বলে জানান তিনি।  এ ব্যাপারে অভিযুক্ত  বিএনপি নেতা ডিলারশিপ নেওয়া সালাম মিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন ডিলার সালাম ফোন চার্জে লাগিয়ে বাহিরে গেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আটঁগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন-নোমান স্থাপনাটির অবৈধতা স্বীকার করে বলেন,"এটা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা না। এখানে পূর্বে বিআরডিবির অফিস ছিল। এখানে আমরা অস্থায়ী কার্যালয় করেছি। এই জায়গাটি সরকারি জমি স্থাপনাটি অবৈধ।" তবে তিনি দাবি করেন, ডিলার সালাম মিয়ার বাজারে দোকান থাকলেও জায়গা কম থাকায় এখানে এসে চাল বিতরণ করে থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, "এই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সচেতন মহলের দাবি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি ভূমি দখলের অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ।  স্থানীয়রা মনে করেন, অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটির মাধ্যমে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিলারশিপের শর্ত পূরণের নথি এবং স্থাপনার বৈধতা যাচাই করা প্রয়োজন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
বেগমগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কানকাটা কাদিরাকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাতদিন পর এক সৌদি প্রবাসীসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের চেরাং বাড়ির বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো. ইদ্রিস ওরফে মানিক (৩৪), মোহাম্মদ রাকিব(২৬) ও একই বাড়ির মো.জাফর (২৮)। বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, একই দিন ভোরে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।   নিহত জিলানী ওই উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. গোফরানের ছেলে। পুলিশ জানায়, এক মাস আগে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী মানিক দেশে ফিরেন।  দেশে আসার পর তার থেকে ইয়াবা সেবনের জন্য টাকা দাবি করেন ভিকটিম চার মামলার আসামি কানকাটা কাদিরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই সুযোগে কাদিরার প্রতিপক্ষ গ্রুপের রাকিব ও জাফরসহ একাধিক অস্ত্রধারী কাদিরাকে হত্যার মিশনে নামেন।  পরবর্তীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০-১৫জন সন্ত্রাসী উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মুন্নার দোকানের সামনে তাকে পিটিয়ে এবং উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ৭দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন আসামির মধ্যে দুইজন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন

মুক্তধ্বনি ডেক্স নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 0
**মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (১৬) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল–জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোলাবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আরেকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, ঢাকা–ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে সামনে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ভাইঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গী গুরুতর আহত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত জাহিদ গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বাসুদেববাড়ী গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে। পরিবার জানান, অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসে বাড়ি ফেরার পথে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়। জাহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশ মানুষ মহাসড়কে জড়িয়ে পড়ে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে টাঙ্গাইল–জামালপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরানুল কবীর বলেন, “নিহত জাহিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দ্রুতগতির যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও নজরদারির অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল নভেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

শীর্ষ সপ্তাহ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
সারা দেশ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে