নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমের মধ্যে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো.নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে দেয়। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া নামদার কুমিল্লি গ্রামে প্রেমের অভিযোগে কারাগারে থাকা যুবকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। রোববার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমিল্লি বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার শত শত মানুষ যেটি একটি অন্যরকম আলোড়নায় সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসনকে উল্লেখ করে বলা হয় যে সোহাগের নামে যে মিথ্যা এবং অন্যায় ভাবে তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সোচ্চার এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার এলাকাবাসীর। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রামের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, খলিলুর রহমান, আশরাফ আলী মিঞা,ফরিদ মিঞা ,মজিবর রহমান মিঞা, আবুল কালাম আজাদ, মো. জাহিদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া প্রমুখ। নামদার কুমল্লী গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২৩) দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মো. লোমান মিয়ার মেয়ে নাফিছা আক্তার লুবনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে লুবনা গত দুই বছরে একাধিকবার সোহাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতিবারই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেন। সম্প্রতি লুবনা আবারও প্রেমিক সোহাগের কাছে চলে এলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতা লোমান মিয়া সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর—নারী ও শিশু ১৫৭/২৫। বর্তমানে ওই মামলায় সোহাগ চার মাস ধরে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, মেয়ের পিতা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ককে ‘অপহরণ’ আখ্যা দিয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তারা অবিলম্বে সোহাগের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং মুক্তি না পেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে সোহাগের বাবা সহিদুল ইসলাম ও মা সুর্যভানু কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের মুক্তির আবেদন জানান। মানববন্ধন শেষে নামদার কুমিল্লি বাজার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে ৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৬ হাজার ৪০০ টাকা সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গড়গোবিন্দপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। মাসুদ রানা (৩৮), পিতা সাহেদ আলী, মাতা মৃত বেহুলা, সাং শাহিন স্কুলের পাশে, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, সখীপুর পৌরসভা।মোঃ নাজমুল হোসেন (২৫), পিতা মোঃ মোতালেব হোসেন, মাতা শাহানাজ বেগম, সাং প্রতিমাবংকী, ইউনিয়ন দাড়িয়াপুর। মোঃ আশিক মিয়া (২৮), পিতা আঃ রাজ্জাক, মাতা রত্না বেগম, সাং লাঙ্গুলিয়া বংশীবাড়ী, থানা সখীপুর।পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৬৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চোর ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত ইমন মিয়া (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রনির নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আল মাহাবুব (৩৭) ও তার পিতা দিল মোহাম্মদ (৬৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই জানায়, গত ৫ অক্টোবর রাতে আড়াইহাজার উপজেলার মারুয়াদী এলাকায় অটোরিকশা চুরির অভিযোগে একজনকে আটক করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমন মিয়া গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রেফতারকৃত দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পিবিআই-এর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুয়েটে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দ্রুত শাস্তির দাবি জানায়। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুয়েট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার ভূমিকা রাখছে, এবং প্রশাসনও এসব ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
গুম ও হত্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল–১ এই আদেশ দেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত দুইটি গুম মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় এই শুনানি হয়। তিনটি মামলায় মোট ৩২ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হাজির না হলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে ট্রাইবুনাল জানিয়েছে। হাজির হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমনসহ আরও অনেকে। আজ ভোরে বাংলাদেশ প্রিজন সার্ভিসের নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইবুনালে আনা হয়। সকাল ৭টার কিছু পর তারা ট্রাইবুনাল চত্বরে প্রবেশ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে কোথায় তাদের রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সাব-জেলে তাদের রাখা হতে পারে। রাজধানীতে ট্রাইবুনাল এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশও ছিল সীমিত।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের দুই মামলায় জড়িত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেলে এ মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে — যার মধ্যে একটিতে ১৭ জন ও অন্যটিতে ১৩ জন। দুই মামলাতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সকালে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইবুনালে আনা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম, কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল মুশেখ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কোভিদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুর হকসহ আরও কয়েকজন। আসামিদের প্রত্যেকেই জামিন আবেদন করেছেন, যার শুনানি বর্তমানে চলছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই ও জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, সকাল থেকে ট্রাইবুনাল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট মাজারগেট, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ একাধিক পয়েন্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশ আজ ট্রাইবুনাল প্রাঙ্গণে সীমিত রাখা হয়েছে। তবে আদালতের ভেতরে শুনানি চলমান বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ট্রাইবুনালের পরবর্তী ব্রিফিং শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
সিনিয়র রিপোর্টার জুয়েল খন্দকার :- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মূলহোতা সিফাত ও আবরারসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। সোমবার বেলা ১২ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন উক্ত মামলার আসামি ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন কোতয়ালী মডেল থানা ১৪ জন ও র্যাব-১১ এর কুমিল্লা গ্রেফতার করেছেন ০২ জন। পুলিশ জানায়, দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে চারজন গুরুতর আহত হন মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাত তার বাহিরের বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল। তদন্তে জানা গেছে, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণ সিফাত। ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।” জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার দু’জন ও কিশোর গ্যাং এর ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ওসি মহিনুল ইসলাম জানান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জন ও কিশোর গ্যাং এর ০৮ জন সকল আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : হামলাকারীদের মূল দুই লিডার ১।মোঃ তানভীর সীফাত ২। আলমগীর জিসান, ভিক্টোরিয়া কলেজ, ৩। আরিফুল ইসলাম নাঈম, ৪। দ্বীন ইসলাম, ৫। লোহান তালুকদার, ৬। আলিফুল হক জিহাদ, ৭। আব্দুল্লাহ আল সিয়াম, ৮ মোঃ আরাফাত হোসেন, ৯। আলিফুল হক জিহাদ হুইচ্চামিয়া হাইস্কুল, ১০। মোঃ তাহসিন ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ১১। সোয়াদ আহসান তৌসিন ইবনে তাইমা স্কুল, ১২। আব্রার লালমাই সরকারি কলেজ, ১৩। তৌহিদুল ইসলাম মাহিন রূপসী বাংলা কলেজ, ১৪। সাফায়েত ইসলাম, ১৫। আশরাফুজ্জামান সীফাত, ১৬। তৌহিদুল ইসলাম মাহিম সহ কিশোর গ্যাং এর ৮ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে নির্মিত বিশ্বের সর্বাধিক গম্বুজবিশিষ্ট “২০১ গম্বুজ মসজিদ”-সংলগ্ন নির্মাণাধীন মার্কেট ভবনে রবিবার গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য মাওলানা হুমায়ূন কবির জানান, রাতের কোনো একসময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। নির্মাণাধীন মার্কেট ভবনের দোতলায় কাপড়ের ছাউনি বেঁধে চা–কফি বিক্রি করা হতো। ভবনের পূর্ব পাশে ডাল চাষাবাদের ভুষির বস্তা রাখা ছিল। রাতের আঁধারে কে বা কারা ভুষির বস্তাগুলো ছাউনির পাশে সারি করে রেখে কাঠ ও বাঁশ জড়ো করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ভুষির বস্তাগুলোতে আগুন ধরে দ্রুত উত্তর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের চোখে আগুন ধরা পড়লে তারা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। মুসল্লিদের মতে, তখন আগুনটি দেখতে না পেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ২০১ গম্বুজ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার ধারণা, শত্রুতাবশত কেউ এই আগুন লাগিয়েছে। মহান আল্লাহ সব দেখছেন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাদের নিজের গুণে ক্ষমা করে দেন।
১২ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানায় দুই সহোদর ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোর্টের আদেশ পালনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। সরজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালীর আল আমিন বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডাইরেক্টর আপন দুই ভাই শিবলী মির্জা ও হাসান মির্জা। চেক ডিজঅনার (সিআর) মামলায় অর্থদণ্ড ও ১২বছর করে সাজাপ্রাপ্ত হলেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের নাকের ডগায়। তাদের প্রতিষ্ঠান আল আমিন বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ ও আল আমিন সুইটস এন্ড ক্রেকার্স লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চৌমুহনী শাখা থেকে বিনিয়োগ নেওয়া শুরু করে। বিনিয়োগ নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি শুরু করে। বাধ্য হয়ে ব্যাংক অর্থঋণ আদালতে মামলার পাশাপাশি সিআর (চেকের) মামলা করে। এর মধ্যে ১২টি মামলার আমলী আদালত নং-৩ নোয়াখলী এর সিআর মামলা নং-৩৯০/২১ এর (২টি), ৩৯১/২১ এর (২টি), ৩৯৪/২১ এর (২টি), ৩৯৫/২১ এর(২টি), ১৫৫/২২ (২টি) ১৫৬/২২ (২টি) রায় হয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে ১বছর করে সাজা হয়েছে দুই ভাইয়েরই। পাশাপাশি কোর্ট থেকে ৩৬.১০ কোটি টাকা প্রদানেরও আদেশ হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশের কর্মকর্তারা তাদেরকে গ্রেফতার করছেনা। পুলিশের এমন অবহেলা মূলক আচরণে সাধারণ জনগণ হতাশ হয়ে তাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাথেসাথে অতিবিলম্বে কোর্টের আদেশ পালনে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় এক ১৩ বছরের মাদ্রাসাছাত্রীকে তিন দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে জয় কুমার দাস ও লোকনাথ চন্দ্র দাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে মেলায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে এবং একটি বাসায় আটকে রেখে তিন দিন ধরে যৌন নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করেছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় নাবালিকা ও শিশু ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পরিবার সামাজিক চাপ বা হুমকির কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবাধিকার ও শিশু অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অপরাধীদের দ্রুত বিচার, ভুক্তভোগী শিশুদের মানসিক ও আইনি সহায়তা, এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। তারা গণমাধ্যমকেও আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করছে, যাতে এই ধরনের অপরাধের খবর দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছায়। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তরা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পান এবং এই ধরনের অপরাধ প্রতিহত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবীতে, দুর্গাপুরে মানববন্ধন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দাস (রাখাল) (৫৭) ময়মনসিংহের সিবিএমসি হাসপাতালে পাঁচদিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। স্যারকে ময়মনসিংহে নেয়ার সময় তার বাম হাতে ও গলায় বিভিন্ন কাটা চিহ্ন থাকায় এই মৃত্যু রহস্যজনক দাবী করে, এলাকাবাসী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সীমান্তবর্তী বারোমারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। চন্দন কুমার দাস পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া এলাকার মৃত চন্দ্র শেখর দাসের বড় ছেলে। ওই স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী শেলী রানী দাস স্কুলের এক শিক্ষক কে মুঠোফোনে বলেন, তাঁর স্বামী অসুস্থ্য দ্রুত তাঁর বাসায় চলে আসতে। পরবর্তিতে ওই শিক্ষক হেড স্যার অসুস্থ্য বলে তার অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান, হেড স্যারের স্ত্রী তাদের স্যার কে দেখতে বারণ করেন এবং তাড়াাতাড়ি ডাক্তার কে খবর দিতে বলেন। পরে এলাকাবাসী এবং ওই সহকারী শিক্ষকগণ স্যারকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তার স্ত্রী হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতেই ডাক্তার আনতে বলেন। পরবর্তিতে এ বিষয়টি কারো কারো সন্দেহ হলে, একপ্রকার জোর করেই কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান, স্যারের শরীর প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসছে। ওনার হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাচিহ্ন রয়েছে এবং রক্ত ঝড়ছে। পরে দ্রুত অটোরিক্সাযোগে তাকে দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে দ্রুত ময়মনসিংহে নেয়ার পরমর্শ দেন। পরবর্তিতে রোগীর স্বজনরা দুপুর ১২ঘটিকার দিকে এ¤ু^লেন্সের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে নিয়ে কমিউনিটি বেসড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রায় ৫দিন নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকগন। একাধিক এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রচন্ড বাগ-বিতন্ডতা শুনতে পাই এবং কিছু জিনিষপত্র ভাংচুরেরও শব্দ পেয়েছি। তবে মাঝে মধ্যেই তার স্ত্রীর এমন আচরণ আমরা লক্ষ করি। যার কারনে আমরা ওইদিন রাতে ওই বাড়িতে কেউই যাইনি। পরদিন সকালে বিস্তারিত জানতে পারি। প্রধান শিক্ষকের সহকর্মী মোজাম্মেল মাস্টার বলেন, চন্দন স্যারকে তার বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর দেখতে পাই তার গলায় এবং বাম হাতে কাটা চিহ্ন রয়েছে এবং কাটার ক্ষতস্থান দিয়ে তখনো রক্ত ঝরছিলো, সেইসাথে মুখ দিয়ে গন্ধযুক্ত লালা বেরোচ্ছো। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষককে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ চেতনানাশক কোন কিছু খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে। আমাদের স্যারকে হয়তো অজ্ঞান করার পর, নির্যাতনও করা হয়েছে। স্যারের মৃত্যু রহস্যজনক, আমরা শিক্ষক সমাজ, এলাকাবসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটাই দাবী তদন্ত সাপেক্ষে এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিনা। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সহ ন্যায় বিচারের দাবীতে বারোমারী এলাকায় আমরা মানবন্ধন শুরু করেছি। এই মৃত্যু রহস্যজনক। প্রশাসন অনতিবিলম্বে যদি দোষিদের গ্রেফতার না করে, তাহলে পুরো উপজেলায় হরতাল দিবো। দুর্গাপুরের প্রানপ্রিয় প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অচিরেই নিতে হবে। উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল বলেন, চন্দন দাস আমার প্রতিবেশি, তার ছোট ভাই টুকন চন্দ্র দাস গত ছয় মাস আগে আকষ্মিক মৃত্যুবরণ করেন। বিবাহিত জীবনে চন্দন দাসের কোন সন্তানাদি না থাকায়, একমাত্র ছোট ভাইয়ের মেয়ে টুম্পা দাস কে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করতেন। এটি দেখেই তার স্ত্রী শেলী দাস, ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রায়ই ওই শিক্ষকের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে সংসারে অশান্তি লাগিয়ে রাখতেন। আমরা এই মৃত্যুর বিচার চাই। উল্লেখ্য : গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাখাল স্যার স্কুলে ক্লাশ নিয়েছেন। স্যারের এই হঠাৎ মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছিনা। প্রাণপ্রিয় প্রধান শিক্ষক রাখাল স্যারের মরদেহ এক নজর দেখার জন্য, পৌরশহরের প্রেসক্লাব মোড়ে গতকাল রাত থেকে আজকে বিকাল পর্যন্ত শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া রাখাল স্যারের মৃত্যুর তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে মানববন্ধন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক সাইদ হাসান।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইসমাইল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। মামলার পর থেকে পলাতক থাকা ইসমাইলকে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর সিপিসি-৩ সদস্যরা মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নাছির গ্রুপ কোম্পানি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাক প্রতিবন্ধী ১৮ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত মার্চ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইসমাইল। ভয়ে কিশোরী বিষয়টি কাউকে জানায়নি। পরবর্তীতে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে পরিবার সন্দেহ করে এবং লিখে ও ইশারায় মেয়েটি ঘটনার বিস্তারিত জানায়। ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমাদের বোবা মেয়েটি এসএসসি পাস করেছে। বড় হয়ে কিছু করার স্বপ্ন ছিল তার। সেই স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে ইসমাইল। সে আমাদের সম্মানও নষ্ট করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, মামলার পর মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দির ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সহপাঠী, প্রতিবেশী ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কালিহাতী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক নীরু ব্যানার্জি ও সদস্য সচিব মানিক ভট্টাচার্য বলেন,এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সমাজে ভয়াবহ বার্তা দেয়। তাই আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রেফতারে সন্তোষ প্রকাশ করে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় নেতা গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, অবশেষে আইন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করছে দেখে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। এই ঘটনার ন্যায়বিচার যেন দ্রুত নিশ্চিত হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাংবাদিক শাহ আলম বলেন, একজন প্রতিবন্ধী কিশোরীর প্রতি এমন পাশবিক আচরণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা চাই, এই মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হোক এবং অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ইসমাইলের গ্রেফতারের খবরে নারান্দিয়া এলাকায় স্বস্তি ও আনন্দের বন্যা বইছে। স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন— ন্যায়বিচার পেলে সমাজে শান্তি ফিরবে। যেন আর কোনো মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার না হয়।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের এক কিশোরকে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কাকশিয়ালি নদীর পাড়ে সরকারি সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। আহত কিশোরের নাম নাঈম রহমান তুহিন (১৮), সে কুশলিয়া ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ও পূর্বপরিচিত শরিফুল (১৮), নলতা ইন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা, তুহিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নদীর পাড়ে পৌঁছালে হঠাৎ করে শরিফুল তার গলায় ধারালো ছুরি চালায় এবং পালিয়ে যায়। তুহিনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানান, তুহিন ও শরিফুল আগে থেকেই পরস্পরের পরিচিত ছিল, তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে পুলিশ বলেছে, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রকৃত ঘটনার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শরিফুল পলাতক রয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে একাধিক যুবক। অনেকে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্য হুমকি দেয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যবহার করার চেষ্টা চালায়। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বন্দকাটি গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রী হায়দারের পুত্র রবিউল ইসলাম। সে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে চায়ের দোকানের আড়ালে জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। জুয়ার এজেন্ট চালিয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু একসময় ছিল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। দুবেলা- দুমুঠো খাওয়া জুটত না মা মানুষের বাড়ি গৃহচারিকার কাজ করত। এখন জুয়ার এজেন্ট রবিউল রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করে। গড়েছে একতলা বাড়ি, গাড়িসহ লক্ষ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। রবিউল সিন্ডিকেটে ৭-৮ জন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টদের প্রভোলনে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে। আবার অনেকে নিঃস্ব হয়ে ঋণের দায়ে এলাকায় আসতে পারছে না। এজেন্টরা অভিনব কায়দায় বিভিন্ন ছত্রছায়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে বন্দকাটি গণ গোরস্থান মোড়ে আব্দুল্লাহ টেলিকমের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ। একসময় আব্দুল্লাহর বিকাশ-নগদে-ফেক্সিলোড়ের রমরমা ব্যবসা ছিল। জুয়ার এজেন্ট রবিউল সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা হেরে ঋণের দায়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বছর পর বছর এলাকায় আসতে পারছে না পাওনাদারদের চাপে । আরেকজন অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে বন্দকাটি গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র বিপ্লব হোসেন। বাড়ি তৈরি ৪-৫ লক্ষ টাকা অনালইন জুয়ায় হেরে সে আজ নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে গণমাধ্যমে সামনে তার নিঃস্ব হওয়ার গল্প তুলে ধরেছে। অনলাইন জুয়ার এজেন্ট রবিউল ইসলামের শাস্তি দাবি করেছে। একই গ্রামের যুবক লেদ মিস্ত্রী মিলন ও চায়ের দোকানদার সবুজ হোসেন অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পারে নিঃস্ব হয়ে দোকানপাট বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে ঋণের দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পাওনাদারা তাদের টাকার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে বন্দকাটি গ্রামের অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক যুবক অনেকে প্রশাসনের ভয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে সাহস পায়নি। অনলাইন জুয়ার নিঃস্ব হয়ে যুবকরা ভয়ংকর অপারধে ঝুঁকছে বেড়েছে চুরি ডাকতির মত ভয়ংকর অপরাধ। অনেকে সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ডাকাতি করে লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। গত কয়েকমাসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চেতনাশক স্প্রে ব্যবহারে ডাকাতি করে ২০ টি পরিবারের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। নাগরিক নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জুয়ার এজেন্টদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তারা ধোরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অভিযানের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টদের ধরে আইনের আওতায় আনা হোক। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,অনলাইন জুয়ার বিষয় পুলিশ সচেতন রয়েছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান করে বিভিন্ন এজেন্ট করে আটক করেছি। অনলাইন জুয়ার বাকি এজেন্টদের ধরার চেষ্টা করছি।অনলাইন জুয়ার এজেন্টদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি কুঠিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি অনুদানের অর্থ নিয়ে চাঁদাবাজির জেরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের এড হক কমিটির সভাপতি খালেদ হোসেন সোহন জানান, বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি সরকার থেকে একটি বিশেষ বরাদ্দ আসে। ওই বরাদ্দের টাকায় স্থানীয় কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী চাঁদা দাবি কর।। কিন্তু কমিটি তাদের দাবিতে সাড়া না দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় ওই দুষ্কৃতিকারীরা। এর জের ধরে গত বুধবার ( ৮ অক্টোবর) ১১ টায় বিদ্যালয় চলাকালীন অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত মব তৈরি করে বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। স্কুলের জানালা-দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। তারা আরও জানান, বিদ্যালয়ে হামলা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা ও থমথমে পরিবেশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনন্দ কুমার পাল বলেন, বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে এটা নিয়ে ঝামেলা হয় এবং বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
বেগমগঞ্জে বড়শি প্রতিযোগিতায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১নং আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দেরখীল গ্রামে বড়শি প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫ অক্টোবর স্থানীয় বিএনপি নেতা ওমর ফারুক বাবুর লিজ নেওয়া নাপিতের বাড়ির দিঘিতে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিনি, ৫ তারিখে দীঘির মাছ ধরার বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্থানীয় দীঘির লিজ নেয়া ব্যাক্তি। মোট ১৫টি চারা বিক্রির মধ্যে ১নং চারা ক্রয় করেন লতিফপুরের পিচ্চি কাউছার ও মাজহারুল হক নিরব, আর পাশাপাশি ২নং চারা ক্রয় করেন নিজাম ও মাকছুদ পাটোয়ারীসহ কয়েকজন। প্রতিযোগিতা চলাকালে এক পর্যায়ে মাছ ধরতে গিয়ে এক চারার বড়শি অন্য চারার এলাকায় জড়িয়ে পড়ে, এতে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, কাউছার ও নিরব মাকছুদ পাটোয়ারীকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এর জেরে বুধবার (৮অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজাম ও মাকছুদ পাটোয়ারী নিরবের উপর তার এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। তবে এতে কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পিচ্চি কাউছার পূর্বেও একাধিক মামলার আসামি এবং এলাকায় বিভিন্ন সময় সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত। দুই পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত, এবং তারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যবহার করে দায় একে অপরের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সংঘর্ষমূলক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর মারওয়ান হোসেন বিজয় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) সিপিসি-৩, নোয়াখালী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো,শাফায়েত হোসেন সৈকত (২০)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব একলাশপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ ও শাহিদা আখতারের ছেলে। সোমবার (৬ অক্টোবর ) সকালে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ( ৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নূর ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কল্লা মার্কেট এলাকায় মারওয়ান হোসেন বিজয় (১৭) নামের এক কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন শতাধিক বার কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের বোন শাহানাজ আক্তার সুবর্ণা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত সৈকতসহ অন্যান্য আসামীরা স্থানীয় কুখ্যাত ‘দেলোয়ার বাহিনীর’ সদস্য। তারা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বিজয়কে রাস্তার ওপর আটকে ধারালো রামদা, কিরিচ, ছোরা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। বিজয়ের সঙ্গে থাকা আরেকজনকেও তারা কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় বিজয়কে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন,ঘটনার পর থেকে মামলার আসামীরা পলাতক ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর গোয়েন্দা তৎপরতায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে
স্বামীর অতিরিক্ত লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন ঘটনাটি ঘটে জিইসির মোর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসমাইল টাওয়ারের (২য়) তলায় তথ্য সুত্রে জানাযায় গত ১৬/০৯/২০১৯ সালে সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ (৩৮) এর সাথে আবিদা তাসমিন (৩২) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী কিছু বছর তাদের দাম্পত্য জীবন স্বভাবিক ছিল। কিন্তু ইসমাইল টাওয়ারের ফ্ল্যাট টি ছিল আবিদা তাসমিন (৩২) এর নামে। উক্ত ফ্ল্যাটটি তাহার স্বামির নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাসমিনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাসমিন উক্ত ফ্লাটটি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও পারিবারিক কলহে লিপ্ত হইয়া তাসমিনকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতে লাগলো। তার স্বমীর এসব কর্মকান্ডে তাসমিন মানসিক ভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করিছিল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় তাসমিনকে হুমকি ও দিত। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখআনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময় আবিদা তাসমিন (৩২) তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ এর সঙ্গে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ অনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৩০ হতে অনুমান ০৭:৪০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিল্ডিং এর নীচ থেকে লোকজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। শোরগোলের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বিল্ডিং এর নীচে গিয়ে দেখতে পাই আবিদা তাসমিন (৩২) রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিং এর মূল গেইটের সামনে রাস্তায় পরে আছে। তথ্য সুত্রে জনা যায় তাসমিন ৯ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নীচে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাসমিনকে প্রথমে চট্টগ্রাম চকবাজার থানাধীন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পার্কভিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাসনিমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ ১০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করেন। ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) এর মৃত্যুর কারণ Brought in Dead/Fall from height বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনা নিয়েঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে চকবাজার থানার একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় ঘাতক স্বামী মারুফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাই এলাকার জনগণের একটাই দাবি আর কত মেয়ে স্বামীর লোভের কারণে তার পথ বেছে নেবে তাই দ্রুত এই লোভী নরঘাতক পাষন্ড স্বামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রশাসনের কাছে করার জন্য অনুরোধ জানান।
ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া থানার পুলিশের অভিযানে ১৩০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ০৪ অক্টোবর শনিবার রাত ০০.২৫ ঘটিকার সময় থানাধীন ঘোষগাঁও ইউনিয়নের পান্ডাপাড়া সাকিনস্থ ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে ধোবাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৩০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ এরশাদুল হক (৪৪) নামের ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধোবাউড়া থানার মামলা নং-০২, তাং-০৪/১০/২০২৫, ধারা- ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়েছে
গাজীপুর মহানগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। সম্প্রতি একই এলাকায় দুই সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে জানা গেছে। ছিনতাইয়ের শিকার মহসিন মোল্লা প্রথম ঘটনা ঘটে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভোরে। সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মহসিন মোল্লা (৫০) শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফেরার পথে ফ্লাইওভারের মাথায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে। ধারালো অস্ত্রের মুখে ফেলে তারা মহসিন মোল্লাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার মালিকানাধীন ইয়ামাহা এফ-জেড ভি-৩ মডেলের মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ২০-৭৭৫৭), নগদ ৩১ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং এফ-২৩ মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি বাসন থানায় মামলা করলেও এখনো আসামিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চুরির শিকার আলমগীর হোসেন এর আগে ২৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে একই এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির শিকার হন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুভি বাংলা টেলিভিশনের কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, জরুরি কাজে গাজীপুর চৌরাস্তার রহমান শপিংমল এলাকায় যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ব্যবহৃত লনসিন জিপি-১৬৫ মডেলের কালো রঙের মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল ৬০-৭৬০৯) চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পর তিনি বাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো তার মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। আলমগীর হোসেন বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি বাইক চুরি নয়, বরং নাগরিক নিরাপত্তার বড় সংকেত। সাংবাদিক হয়েও আমি নিরাপদ নই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।” সাংবাদিক সমাজের উদ্বেগ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, “চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।” পুলিশের অবস্থান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গাজীপুর মহানগরে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।