টাঙ্গাইলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে বহুল প্রতীক্ষিত আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ ক্রীড়াযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, “তারুণ্যকে সুস্থ ও উদ্দীপনাময় পথে এগিয়ে নিতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ফুটবল জেলা টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য—এ টুর্নামেন্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, দলীয় মনোভাব ও ক্রীড়া নৈতিকতা শেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরও জানান, নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির আসক্তি থেকে দূরে রেখে মাঠমুখী করতে জেলা প্রশাসন সবসময়ই ক্রীড়াবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে। টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে জেলার কলেজগুলোতে চলছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। দলগুলো নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে বাড়তি উৎসাহ; গ্যালারিতেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিযোগিতার উত্তাপ। এবারের আয়োজনে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, নাগরপুর, সখীপুর, দেলদুয়ার, মধুপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কলেজগুলো অংশগ্রহণ করছে। প্রতিদিন বিভিন্ন দলের মধ্যকার নকআউট ও লিগ ভিত্তিক খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকদের আশা, পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে জেলাজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের ঢল নামবে। আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, ফুটবল টাঙ্গাইলের প্রাণের খেলা। এই টুর্নামেন্ট তরুণদের মাঝে ক্রীড়া চেতনা, সুস্থ প্রতিযোগিতা এবং সমৃদ্ধ ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দলীয় বন্ধন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশেও এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আগামী এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধাপে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসন সার্বিকভাবে টুর্নামেন্ট সফল করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। টাঙ্গাইলে ক্রীড়া প্রাণের স্রোত এনে দেওয়া এ আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এবারও নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছে ফুটবলপাগল তরুণদের মাঝে।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে স্পোর্টস লাভারস্ অ্যাসোসিয়েশনের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলার সাড়ে তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। এসময় ধনবাড়ী নওয়াব এস্টেটের মোতাওয়াল্লী আফিফ উদ্দিন আহমাদ স্মারক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রতিটি মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে অধ্যাবসায়ের বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে মুঠোফোন, অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহার, মাদকসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বলেন, এমন আয়োজনে তরুণরা মাদক দূরে থেকে খেলাধুলার প্রতি প্রতিযোগী হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া আশরাফুল আলম কাশেম বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সিলেট এসেছি। প্রথম হয়ে খুব ভালো লাগছে। নিজেকে সুস্থ রাখতে সুশৃঙ্খল সমাজ গড়তে ম্যারাথনসহ খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া পাবনার ইমরান হোসেন বলেন, বর্তমানে সমাজে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ বেড়েই চলেছে। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে ও সুস্বাস্থ্যের জন্য ম্যারাথনে অংশ নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রানারদের যে পরিমাণ প্রাইজমানি দেওয়া হয়, তা যথেষ্ট নয়। এটি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা থেকে চার শহীদের স্মরণে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিরিশিরি জিবিসি মাঠে এ খেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপি‘র সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন মাস্টার। কেন্দ্রীয় বিএনপি‘র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচের মুখোমুখি হয় দুর্গাপুর ইউনিয়ন একাদশ বনাম বাকলজোড়া ইউনিয়ন একাদশ। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয় লাভ করে বাকলজোড়া ইউনিয়ন একাদশ। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজারো ফুটবল প্রেমীদর্শক উপস্থিত ছিলেন। নকআউট সিষ্টেম অংশগ্রহনমুলক এই খেলা চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। পরবর্তিতে সেমিফাইনাল এবং পরবর্তিতে ফাইনাল খেলার মধ্যদিয়ে এ খেলা শেষ হবে। বিএনপি‘র নেতাকর্মীরা জানান, দুর্গাপুরের ৪ শহীদ উমর ফারুক, জাকির হোসেন, সাইফুল ইসলাম সেকুল ও মাসুম বিল্লাহর আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এবং সমাজ থেকে মাদক কে চিরতরে বিতারিত করতে, তরুণ প্রজন্মের মাঝে খেলাধুলার চেতনা জাগিয়ে তুলতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে একতা যুবসংঘ বনাম সুফিয়ান একাডেমির মধ্যে প্রথম সেমিফাইনাল ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে এই ম্যাচটির উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১(তাহিরপুর,মধ্যনগর,ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল। ফুটবল সেমিফাইনালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানরম্যান মোঃ জুনাব আলী,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান উজ্জল,জেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন,উপজেলা বিএনপির আহবায়তক কমিটির সদস্য চাঁন মিয়া মাষ্টার,মোঃ সাখাওয়াত হোসেন,আমির শাহ,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সবুজ আলম,বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মনজুর আলী,সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম শিকদার,বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির হারুনুর অর রশিদসহ তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার ফুটবলপ্রেমী দর্শকরা খেলার মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ-১(তাহিরপুর,মধ্যনগর,ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল বলেছেন, দেশের বিশাল যুব সমাজকে লেখাড়ার পাশাপাশি খেলাধূলায় মনোনিবেশ করতে পারলে লেখাপড়ায় মনন ও মেধা বিকাশের মাধ্যমে সুস্থ সবল ও শারীরিক গঠনে খেলাধূলার বিকল্প নাই। বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা যেমন মেধা ও মননে আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে যেমন আগামীতে দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিবে তেমনি মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজে রক্ষা করা সম্ভব তেমনি একজন যুবক লেখাপড়া অর্জন করে সাবলম্বী হলে তার পরিবারকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন,আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বিশাল এই নতুন প্রজন্মের যুবককে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলায় মনোনিবেশের জন্য সব সময় দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করে আসছেন। একটি দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে দক্ষ যুবসমাজ গঠনের কোন বিকল্প নেই। তাই আসুন সবাই মিলে যুবসমাজকে মাদকাশক্ত থেকে দূরে রেখে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলায় উজ্জীবিত করে দেশ গঠনে সকল অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কতৃক আয়োজিত ৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়ন মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬নং নটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত ফাইনালে বিজয়ী দলের হাতে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেয় অতিথিরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বরকত উল্ল্যা বুলু। মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম এ হাই (ভুট্টো) এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও বরকত উল্ল্যা বুলুর স্ত্রী শামীমা বরকত লাকী। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস। সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক দিদার হোসেন, সদস্য সচিব কুতুবউদ্দিন সানি। মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আনোয়ার হোসেন রনি এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জহির উদ্দিন হারুন। নাটেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাখায়েত হোসেন সাকু সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম তাসনিমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের আর্মি রেডিও সোমবার স্বীকার করেছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির ১,১৫২ সৈন্য নিহত হয়েছেন। কঠোর সামরিক সেন্সরশিপের মধ্যেও এই সংখ্যা সামনে এসেছে, যা ইসরায়েলি সমাজে শোকের মাত্রা ও সংঘাতের মানবিক মূল্য আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। রেডিওর তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশই ২১ বছরের কম বয়সী তরুণ, যাঁরা ফ্রন্টলাইনে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং অধিকাংশই অবিবাহিত। এ সময়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের রেজিস্ট্রিতে ৬,৫০০-এর বেশি নতুন স্বজন যুক্ত হয়েছে—যার মধ্যে ১,৯৭৩ জন বাবা-মা, ৩৫১ জন বিধবা, ৮৮৫ জন অনাথ ও ৩,৪৮১ জন ভাইবোন রয়েছেন। গত এক বছরে নতুন করে তালিকাভুক্ত ২৬২ সৈন্যের মৃত্যুর খবরে বলা হয়, নিহতদের বড় অংশই সামনের সারির লড়াইয়ে থাকা তরুণ সেনা। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন কঠোর সামরিক সেন্সরশিপের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণচিত্র এখনো অজানা রয়ে গেছে। এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জেনারেল ইয়িত্ঝাক ব্রিক দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁর ভাষায়, হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি না হয়ে সংঘাত লম্বা করায় ইসরায়েল “সবচেয়ে বড় পরাজিত” হয়েছে। গাজা থেকে বন্দিদের জীবিত ফেরানো ও প্রতিরোধ সংগঠন ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে ফলপ্রসূ হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাসনিমের ভাষ্য, ইসরায়েলি বিমান হামলায় কয়েকজন বন্দির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, আর গাজায় প্রতিরোধও মাঠে টিকে রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর এই হিসাব প্রকাশ—এবং অভ্যন্তরীণ সমালোচনার সুর—ইঙ্গিত দিচ্ছে যে গাজার অভিযানের রাজনৈতিক ও সামরিক মূল্য নিয়ে ইসরায়েলের ভেতরেই প্রশ্ন বাড়ছে।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ সুপার ফোরের উদ্বোধনী ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনায় এক বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ৬১ রান, তৌহিদ হৃদয়ের সুনিয়ন্ত্রিত ৫৮ রান এবং মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিং (৩ উইকেটে ২০ রান) ম্যাচের নায়ক হয়ে উঠেন। শ্রীলঙ্কার ইনিংস প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা তোলে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন দাসুন শানাকা। ৩৭ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস লঙ্কানদের ভরসা জোগায়। কুশল মেন্ডিস করেন ৩৪ রান এবং পাথুম নিসাঙ্কা ২২ রান। তবে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেন। মাহেদী হাসান ২টি উইকেট নেন, আর মুস্তাফিজ শেষদিকে অসাধারণ বোলিং করে শ্রীলঙ্কার রান আটকে দেন। বাংলাদেশের ইনিংস ১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা শুরুতে বিপাকে পড়লেও সাইফ হাসান ও লিটন দাস (২৩) দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে স্থিতি দেন। পরে সাইফ ও হৃদয় মিলে আরও ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয়ের ভিত তৈরি করেন। শেষদিকে উত্তেজনা তৈরি হয় যখন দুশমন্থা চামিরা হৃদয়কে আউট করেন এবং শানাকা শেষ ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন। তবে বাংলাদেশ ঠাণ্ডা মাথায় খেলেই শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয়। ম্যাচের সেরা পারফর্মার ব্যাটে: সাইফ হাসান – ৬১ রান সহায়তা: তৌহিদ হৃদয় – ৫৮ রান বলে: মুস্তাফিজুর রহমান – ৩/২০ এই জয়ে শ্রীলঙ্কার অপরাজিত ধারা ভাঙল এবং সুপার ফোরে মূল্যবান ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বাংলাদেশ।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত এশিয়া কাপে শেষ গ্রুপ ম্যাচে ওমানকে ২১ রানে হারিয়ে অপরাজিত থাকল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত তোলে ১৮৮ রান ৮ উইকেটে। ওমান, যারা বিশ্ব টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২০তম স্থানে রয়েছে, ব্যাট হাতে দুর্দান্ত লড়াই করে। আমির কালিমের ৬৪ এবং হাম্মাদ মির্জার ৫১ রানের উপর ভর করে দলটি ৪ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬৭ রান। কালিম ও মির্জার জুটি দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেয়। তবে হার্দিক পান্ডিয়া প্রথমে হার্শিত রানা’র বলে কালিমকে দারুণ এক ক্যাচে ফিরিয়ে দেন, এরপর নিজের গতির ঝড় তুলেই মির্জাকে আউট করেন। বাঁ-হাতি পেসার অর্শদীপ সিং তুলে নেন ইনিংসের চতুর্থ উইকেট এবং একইসাথে টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন। এর আগে ভারতের ইনিংসে উইকেটকিপার-ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। তার সাথে উদ্বোধনী ব্যাটার অভিষেক শর্মা ১৪ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দ্রুত রান তোলে দেন। ওমানের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিলেও ভারতের ব্যাটিং শক্তিকে পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি। শাহ ফয়সাল, বাঁ-হাতি পেসার জিতেন রমানন্দি ও স্পিনার আমির কালিম নেন দুটি করে উইকেট। এই জয়ের ফলে ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার ফোরে উঠেছে। রবিবার আবারও মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান, যেখানে আগের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোচনায় ছিল। অন্যদিকে গ্রুপ ‘বি’ থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে। শনিবার শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু হবে।
আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর, রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল চার ঘটিকায় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন ২০২৫ সালের বার্ষিক ইন্টার স্কুল ফাইনাল ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করে কাবারিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাটিকামারি উচ্চ বিদ্যালয়। খেলার আয়োজন করে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নং আওনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও নবগঠিত কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুরুজ্জামান সুরুজ মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, হেডমাস্টার, বাটিকামারি উচ্চ বিদ্যালয় আওনা ইউনিয়ন বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন খেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের উপস্থিতিতে ফাইনাল ম্যাচটি রোমাঞ্চকর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
সূচনা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রধান আয়োজক প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান, সভাপতি মালয়েশিয়া বিএনপি। খেলায় অংশগ্রহণ করেন গোপালপুর উপজেলা ইউনিয়ন, ও কালিহাতী উপজেলা বাংড়া ইউনিয়ন,খেলাটি ট্রাইব আকারে ৪-২ গোলে গোপালপুর ইউনিয়ন জয়লাভ করেন, প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন এবং রানার্সআপ দলকে ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন উক্ত খেলায় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান, মোঃ শাওন, কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক মন্ডলী সহ, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন, সভাপতি সূচনা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট, সাবেক খেলোয়াড় সুলতান উদ্দিন, দুলাল মিয়া,টিটু শফিকুল ইসলাম শফি, বাংড়া ইউনিয়ন দলের সভাপতি শামসুল ফকির, শাহানুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি,( নোয়াবাড়ি), সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।