রাজনীতি

টাঙ্গাইল ৮ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান (বায়ে) ও টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন (ডানে)।
বহিষ্কারের প্রতিবাদে ফেসবুক লাইভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে বহিষ্কারের দাবি

দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আহমেদ আযম খানকেও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সখীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে প্রায় এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট বক্তব্য দেন নাসির উদ্দিন। এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টাঙ্গাইল-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী আহমেদ আযম খানকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। লাইভ বক্তব্যে নাসির উদ্দিন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হলেও তিনি কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কিংবা জমি দখলের সঙ্গে জড়িত নন। বরং টাঙ্গাইল-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী আহমেদ আযম খান সখীপুর উপজেলার ঘেঁচুয়া মৌজায় প্রায় তিন একর জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়া সখীপুরে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগও তোলেন আযম খানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের পক্ষে তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন নাসির উদ্দিন। ফেসবুক লাইভে একাধিকবার তিনি আহমেদ আযম খানকে ‘জমি দখলবাজ’ হিসেবে আখ্যা দেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালকেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের দাবি জানান নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে (টুকু) মনোনয়ন দেওয়ার পর ফরহাদ ইকবাল প্রকাশ্যে ওই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি করে ফরহাদ ইকবালের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস আগে সখীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করে জেলা বিএনপি। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নাসির উদ্দিনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুপুরে বহিষ্কারের চিঠি পাওয়ার পরই তিনি রাতেই ফেসবুক লাইভে আসেন। নাসির উদ্দিন সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খান তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সাড়ে পাঁচ মাস আগে সখীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করেছিল জেলা বিএনপি। এরপর সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম দলের সঙ্গে থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে কিন্তু দল বহিষ্কার করেনি। অথচ সভাপতি নাসির উদ্দিন গত সাড়ে পাঁচ মাস ধরে দলের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। জেলা কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এ আসনে যখন ধানের শীষের বিজয় প্রায় নিশ্চিত, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে এসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সখীপুরে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে দমন করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী মত দমন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপচেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানান নেতারা। জেলা এনসিপি’র আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান শাওনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এনসিপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এনসিপি’র সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান রাসেল। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের উপর হামলা করে জনগণের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। জাতীয় নাগরিক পার্টি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায় করে নেবে।” এছাড়াও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা যুব শক্তির আহ্বায়ক মীর সায়মন ইসলাম ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আবু আহমেদ শেরশাহ। তারা বলেন, তরুণ সমাজ আর কোনো সন্ত্রাসী রাজনীতি মেনে নেবে না এবং হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব মাহাথির খান ভাসানী। এসময় জেলা এনসিপি, যুবশক্তি ও ছাত্র শক্তির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ 0
নির্বাচন ঠেকাতে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র চলছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
নির্বাচন ঠেকাতে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র চলছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে একটি চক্র প্রতিবেশী দেশ ভারতে বসে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার কায়েম করতে চায়—তারাই এসব ষড়যন্ত্রের মূল হোতা।’ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন, ‘যারা অতীতে এ দেশের নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তারাই আজ নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। গণতন্ত্র ধ্বংস করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি দাবি করেন, ‘এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব একমাত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য।’ সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল হক শাহীন, শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী এবং জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম। বক্তারা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় আন্দোলন আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ 0
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত

(সাজিদ পিয়াল):- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মশালার শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) শেষ দিনের অধিবেশনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি এবং গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ)-এর প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শেষ অধিবেশনে জোনায়েদ সাকি ছাত্র রাজনীতির বর্তমান বাস্তবতা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার অধিকার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে ছাত্রসমাজ সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আগামীতেও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ছাত্রদের সচেতন, সংগঠিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনায় তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণ, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সংকুচিত হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ—এসবের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে ছাত্র আন্দোলন পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। কর্মশালার শেষ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অন্যান্য অতিথিরাও। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা জানান, দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় রাজনৈতিক শিক্ষা, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, আন্দোলনের কৌশল এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একাধিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মশালা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। কর্মশালার শেষ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীরা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
শরিফ ওসমান হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

শরিফ ওসমান হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) টাঙ্গাইল-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মিছিলটি টাঙ্গাইল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নেতাকর্মীরা হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের ওপর ধারাবাহিক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা।প্রতিবাদ মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন,নির্বাচনের মাঠে বিরোধী কণ্ঠকে দমন করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায় করব।” মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতের দিকে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি বলেন, “একজন রাজনৈতিক নেতার ওপর প্রকাশ্য হামলা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য চরম হুমকি। অবিলম্বে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এবং শহর আমীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী। বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বারবার হামলা চালানো হচ্ছে, যা দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা “হামলাকারীদের গ্রেফতার চাই”, “রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধ কর”, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত কর”সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। নেতাকর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ছাত্রশিবিরের বিপুলসংখ্যক কর্মী অংশ নেন। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও পুরো সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জামায়াতের পথসভায় হামলার অভিযোগ
নির্বাচনি মাঠে সংঘাত: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জামায়াতের পথসভায় হামলার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. হুমায়ুন কবিরের নির্বাচনি পথসভায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত একজন জামায়াত কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফলদা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় কিছু সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, মাওলানা হুমায়ুন কবিরকে সঙ্গে নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি পথসভা ও প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সভা চলাকালে হঠাৎ স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামায়াত নেতাকর্মীরা সভা শেষ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের দাবি, জামায়াতের নেতাকর্মীরা অন্য পথ দিয়ে সরে যাওয়ার সময় একপাশে রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয় এবং সভাস্থলে থাকা চেয়ার, টেবিল ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে জামায়াতের এক কর্মী আহত হন। ভূঞাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের সভার আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। এটি পরিকল্পিত হামলা। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের হামলা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু। তিনি বলেন, “এটি কোনো পরিকল্পিত হামলা নয়। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র, যা ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আমরা কাউকে প্রতিহত করিনি, বরং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সহায়তা করেছি। ভবিষ্যতেও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা প্রস্তুত।” এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাব্বির রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।” এ ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ আসনে টুকুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে কফিন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে কফিন মিছিল করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলটিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পরে কফিন বহন করে অংশ নেন। প্রতিবাদের এক ভিন্নমাত্রা তৈরি হওয়ায় মিছিলটি শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন—“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঠিক এই সময়ে একটি সিন্ডিকেট সদরের জনমানুষের মতামত উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে মনোনয়ন ঘোষণা করেছে।”তারা বলেন,“সদরের জন্ম- এমন কাউকে বাদ দিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে তৃণমূলের বহু ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাকর্মী চরমভাবে হতাশ হয়েছে। এই মনোনয়ন বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে বিভাজন তৈরি করবে।” বক্তারা দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূলের সমর্থন তাঁর দিকেই বেশি।” বক্তাদের মতে,পক্ষপাতদুষ্টভাবে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা চলছে,স্থানীয় নেতাদের ত্যাগ-সংগ্রাম মূল্যায়ন করা হয়নি,তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে একটি সিদ্ধান্ত পুরো সংগঠনকে বিপদে ফেলতে পারে। মিছিল ও সমাবেশে বক্তাদের অভিযোগ—“যে সিদ্ধান্তে কর্মীদের রক্তক্ষরণ বাড়ে তা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না।” সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন—রফিকুল ইসলাম স্বপন সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি,হাদিউজ্জামান সোহেল সিনিয়র সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি,মামুন সরকার সহ-সভাপতি সদর উপজেলা বিএনপি এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল–সমর্থিত নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়দের মতে, এটি সাম্প্রতিক সময়ে টাঙ্গাইল সদর বিএনপির সবচেয়ে বড় প্রতিবাদমূলক শোভাযাত্রা। কফিন মিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—কেন্দ্র ঘোষিত মনোনয়নকে তৃণমূলের ব্যাপক প্রত্যাখ্যান,দলীয় ঐক্যে সংকটের সম্ভাবনা,নির্বাচনী প্রচারণায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে,বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ জরুরি।

মুক্তধ্বনি ডেক্স ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী: “সবাইকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ অংশ নেবে”

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, “দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন হলে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচন করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও অংশ নেবো না।” বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়” — কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে আমি চিনতে পারিনি। আমার আগে আপনাকে চিনেছে শেখ হাসিনা, চিনেছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়, আওয়ামী লীগের অন্যায়ও নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যায়ও নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জন্ম দেননি। তাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করি না, কারণ তিনি মনে করেন দেশটা তার বাবার—আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক, আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম।” “আওয়ামী লীগের বিচার কেউ করতে পারবে না” কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার করতে চাইলে করুন, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করতে পারবেন না। আইয়ুব খান পারেনি, ইয়াহিয়া খান পারেনি—আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু সবাই তো দোষ করেনি।” বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি, জিয়াউর রহমানও ছিলেন। দু’জনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে ভিন্নতা নেই; ভিন্নতা সৃষ্টি করেই আমরা স্বাধীনতা–বিরোধী জামায়াতকে শক্তিশালী করেছি।” জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত যে ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন করেছে—বাংলাদেশের মা–বোনের সম্মান ধ্বংস করেছে—তারা ক্ষমা না চাইলে দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতার কারণেই তারা বেঁচে যেতে পেরেছে।” টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস: ইতিহাস, স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত হয়—এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাদেরিয়া বাহিনী আলোচনা সভা আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের স্মৃতি, তখনকার পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, “বাংলাদেশ আজ যেকোনো সংকটেও টিকে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কারণেই। দেশের সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।” সভায় বক্তারা কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দেলদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তহের বাবলু প্রমুখ। সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বিশেষ দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা
"কালিহাতীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে দাবিতে মশাল মিছিল" - পর্তুগাল বিএনপির আহব্বায়কের তীব্র নিন্দা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কের মধ্যে দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে কালিহাতীতে অবরোধ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচি নির্দেশ প্রদান করেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো। তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার। তার ফেসবুক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি নিজেও এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আমরা সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী বেনজির আহমেদ টিটো ব্যতীত সকলেই লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন করেছি। বেনজির আহমেদ টিটো যে মশাল মিছিল করেছেন তা দল এবং সাধারণ জনতার কাছে তার নিজ ইমেজকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। এছাড়াও এই মহাসড়কের অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করলে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানাতে পারেন কালিহাতীর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।” এ বিষয়ে আবু ইউসুফ তালুকদার মুক্তধ্বনি ডটকমকে জানান, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তিনি এই খবর পেয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, ইউসুফ তালুকদারের ভিডিও বার্তার কমেন্ট সেকশনে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম. এ. বাতেন বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে ইউসুফ তালুকদারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।" বিগত ১৭ বছরের রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করে ইউসুফ তালুকদার উল্লেখ করেন, “স্বৈরাচার আমলে দেশে আসতে পারিনি। দেশের বাইরে থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে আমার পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয় এবং ভাইয়েরা রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে বার বার কারাবরণ করেছে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল। টাঙ্গাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দোয়া মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিকেলে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পুরো মাঠ মুখর হয়ে ওঠে। দোয়া মাহফিল শুরুর আগেই কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ সমবেত হতে শুরু করেন। ব্যানার–ফেস্টুন ও দোয়ার ব্যানারে মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয় আধ্যাত্মিক পরিবেশ। অনেকেই খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ব্যক্তিগতভাবেও মোনাজাত করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের এমপি প্রার্থী এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।তার বক্তব্যে তিনি বলেন— বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণতন্ত্র আন্দোলনের অগ্রবর্তী মুখ। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং দেশের মানুষের স্বাধীনতা, অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। তার সুস্থতা আজ শুধু দলের নয়—সারা জাতির কামনা। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং সেই প্রার্থনায় আজ সবাই একত্রিত হয়েছি।”তিনি আরও বলেন,শীতের সময় অসহায় মানুষের কষ্ট আরও বাড়ে। তাই সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আজ শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে অন্তত কিছু মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়।”দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হুগড়া এলাকার স্থানীয় মসজিদের ইমাম। মোনাজাতে— বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য,দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা,মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতিএবং আগত দিনগুলোতে জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ইমাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানুষের সেবাই ইবাদত। আজকের এই সমাবেশ মানবতার উদাহরণ। আল্লাহ যেন প্রার্থনার সবকিছু কবুল করেন।” অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।মোনাজাত শেষে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নারী, পুরুষ ও বয়স্ক মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। শতাধিক পরিবারের হাতে কম্বল ও অন্যান্য শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হয় বলে আয়োজকেরা জানান। শীতবস্ত্র পেয়ে অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন,এই আয়োজন শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই করা হয়েছে। উপস্থিত অনেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে আরও সুসংগঠিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে শৃঙ্খলা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় ছিল। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা
টাঙ্গাইলের ৪টি আসনে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা - মনোনীত হলেন যারা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলার আটটি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। দলটি সারাদেশের ঘোষিত ১২৫টি আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার চারটি আসনে চারজনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী— টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী ও মধুপুর) মনোনয়ন পেয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির সদস্য ও ধনবাড়ী উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাইদুল ইসলাম আপন। তিনি জুলাই আন্দোলনের শহীদ সাজিদের ভাই। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ডেপুটি মুখ্য-সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) সাইফুল্লাহ হায়দার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাসুদুর রহমান রাসেলকে মনোনীত করা হয়েছে। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) টাঙ্গাইল জেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার মাসুদ পারভেজ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা কমিটির সদস্যসচিব ও সদরে মনোনীত প্রার্থী মাসুদুর রহমান রাসেল বলেন, “যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।” দলীয় সূত্র জানায়, বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই পর্যায়ক্রমে ঘোষণা দেওয়া হবে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলাজুড়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ৮টি আসনের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ ও বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নেয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। প্রায় প্রতিদিনই এসব আসনে মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলছে। একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও ঘটছে। অবস্থান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে—বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ সংকটের সুযোগ নিতে ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর–ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই তীব্র প্রতিযোগিতা ও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিতরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়নকে কেন্দ্রেও জমেছে ক্ষোভ। তার বিপক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ ইকবালের সমর্থকেরা মশাল মিছিল, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করছেন। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনেও মনোনীত প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলুকে ঘিরে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে দৃশ্যমান অসন্তোষ বিরাজ করছে। দেলদুয়ারে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহতও হয়েছেন। টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বনাম অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। এই আসনে কোন্দল দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইতোমধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, দোকানপাট ভাঙচুরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, দু’গ্রুপের প্রতিনিয়ত অবস্থান—এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিএনপির এই বিভক্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী। টাঙ্গাইল-৩: নাসির বনাম আজাদ, উত্তেজনায় ঘাটাইল। ঘাটাইলে নতুন মুখ অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির মনোনয়ন পেলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ তার ছেলে-মেয়ে, অনুসারীদের নিয়ে শোডাউনে ব্যস্ত। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মানববন্ধনসহ নানা ধরনের কর্মসূচির কারণে ঘাটাইল এলাকায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। এদিকে জামায়াতের প্রার্থী হুসনি মোবারক বাবুল নীরবে-নিভৃতে মাঠ গরম রাখছেন। টাঙ্গাইল-৪: দীর্ঘদিনের বিভক্তি, যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়। কালিহাতীতে দীর্ঘদিনের বিএনপির বিভক্তি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিন সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকলেও, বেনজির আহমেদ টিটো মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত মিটিং-মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আসনে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে ঘিরে। তার অনুসারীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে যে শোডাউন করেছেন, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিকে জামায়াত, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সারওয়ার সিরাজ শুক্লার সম্ভাব্য প্রার্থিতাও এই আসনকে বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। টাঙ্গাইল-৭: আজাদ সিদ্দিকী বনাম সাইদ সোহরাব—মির্জাপুরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। মির্জাপুরে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী পুরোদমে প্রচারণায় নেমেছেন। অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব প্রকাশ্যেই মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তুলে সভা-সমাবেশ করছেন। এই আসনে কয়েকটি ইসলামী দলের প্রার্থীও সক্রিয় হওয়ায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। টাঙ্গাইল-৮: বাসাইল–সখীপুরে দুই প্রার্থীর শক্ত অবস্থান। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান মাঠে প্রচারণা জোরদার করলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন প্রত্যাশী সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল মাঠে ব্যাপক তৎপরতা বজায় রেখেছেন। রাসেলের তহবিল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অনুদান, রাস্তাঘাট মেরামতসহ জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। এ আসনে কাদের সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতা এবং জামায়াতের সক্রিয়তা নির্বাচনকে আরও জটিল করবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন,“মনোনয়ন নিয়ে এমন বিভক্তি থাকলে বিএনপির ভোটব্যাংক ছিন্নভিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীরা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।”অন্যদিকে, তৃণমূল বিএনপি নেতাদের দাবি—“কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কার্যকর না হলে প্রার্থী–বিরোধিতা বিএনপির নিজস্ব শক্তিকেই দুর্বল করে দেবে।” জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন—“বিএনপি বড় দল। একাধিক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক, তবে বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একমঞ্চে আসতে হবে।”

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0
টাংগাইল সদর আসন ৫ জামাতে ইসলাম হতে মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আউলটিয়া বাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩ নং ঘারিন্দা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও টাঙ্গাইল জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, এলাকার উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই আমাদের মূল প্রতিশ্রুতি। জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি আসন্ন নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, “এলাকার শান্তি, উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।” মতবিনিময় সভায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নির্বাচনী প্রস্তুতির ব্যস্ততা। সভা শেষে অতিথি ও নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শহরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে সাধারণ জনগণ। সোমবার বিকেলে শহরের নিরালা মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মুখে কালো কাপড়, হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড—কিন্তু স্লোগানহীন নীরব প্রতিবাদই ছিল তাদের প্রধান বার্তা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষোভ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তারা এই মৌন মিছিলে যোগ দিয়েছেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের দাবি–দাওয়া ও ভোগান্তির বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে আরও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল
টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পৌর উদ্যান থেকে এই মৌন মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ঝলক, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কয়েকটি আসনে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। টাঙ্গাইল-৫ আসনেও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্ত করে এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যার জন্ম অন্য উপজেলায়—যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলেন, “যে আসনে স্থানীয় মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, সেখানে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে।" সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ঘোষিত মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে স্থানীয় নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা ফরহাদ ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানান। তারা বলেন, ফরহাদ ইকবাল স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, যোগ্য এবং দীর্ঘদিন ধরে দলের কঠিন সময়ে রাজপথে ছিলেন। মিছিলে সদর উপজেলা ও শহর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন। পুরো কর্মসূচি জুড়ে দলীয় নেতারা মুখে কালো ব্যাজ ধারণ করে নীরব প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় রাজনীতিতে এই মৌন মিছিলকে বড় ধরনের বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ
টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে গণসংযোগ জোরদার করেছেন গণ অধিকার পরিষদ (ট্রাক প্রতীক) মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং জেলা গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক। নির্বাচনী মাঠ গরম হওয়ার আগেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও মতবিনিময়ে তিনি দিন-রাত ছুটে চলেছেন শহর থেকে গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রেজিস্ট্রিপাড়া ও পোস্ট অফিস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। শুধু সেদিনই নয়, প্রতিদিন তিনি শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নানান পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের মতামত ও সমস্যার কথা শুনছেন। গণসংযোগে শফিকুল ইসলাম শফিকের সঙ্গে ছিলেন— করটিয়া ইউনিয়ন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াদ আলী,জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার আহমেদ,অর্থ সম্পাদক মাহতাব মাহি,সহ দপ্তর সম্পাদক জুবাইদুল ইসলাম,টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমাদ সিয়াম,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদ,কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,“আমি নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে একটি সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এলাকায় পরিণত করব। যুবসমাজকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়—তাদের এই উৎসাহ ও আস্থা প্রমাণ করে দেয়, জনগণ নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনই আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি দিচ্ছে। নতুন কিছু হবে আপনাদের নিয়েই, আপনাদের জন্যই।” গণসংযোগ চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দারা শফিকের সঙ্গে মতবিনিময় করে নানা সমস্যা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এলাকায় মাদক, সড়কের বেহাল দশা, কর্মসংস্থানের স্বল্পতা এবং যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অনেকে। শফিকুল ইসলাম শফিক আরও বলেন,“রাজনীতিকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাই। ন্যায়বিচার, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে গণ অধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপজেলা প্রশাসন গঠন করা।” অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে শফিকুল ইসলাম শফিকের মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে শুরু করেছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যেও তাকে নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একটি বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে অফিসের উদ্বোধন করেন জননেতা মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির, যিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–এর নেতৃবৃন্দের একজন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুব বিভাগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, নতুন অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলাকার যুব সমাজ আরও সংগঠিত হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম আরও গতিশীলভাবে পরিচালিত হবে। এসময় এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, “যুবকদের দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুসংগঠিত ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে এ ধরনের অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও উপস্থিত সবার সাথে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অফিস উদ্বোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল ডিসেম্বর ৭, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মী, সুধীজন ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক উপস্থিতি জানান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম আব্দুল হামিদ। দেলদুয়ার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আল মোমেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল–৬ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা পরিচালক রাশেদুল হাসান এবং জামায়াতপ্রার্থী ডা. আব্দুল হামিদের ছেলে ব্যারিস্টার হাসনাত জামিল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে বিজয়ী করা সময়ের দাবি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের সমর্থনই হলো জামায়াতের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রধান অতিথি ডা. একেএম আব্দুল হামিদ তার বক্তব্যে বলেন,“আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে দেলদুয়ার–নাগরপুরবাসী আমাকে তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। জয়ী হলে জনগণের অধিকার ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।” তিনি আরও বলেন,“এ অঞ্চলের অবহেলিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে নাগরপুর–দেলদুয়ারকে উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।” সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মিছিলসহকারে উপজেলা পরিষদ চত্বর ত্যাগ করেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি
“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের শঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “এসব শঙ্কা দূর করে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবেশ কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।” শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরে শ্রমিক, কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ ও নিপীড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘মাথাল মার্কার মিছিল’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার এখন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত। সংস্কার করতে হলে ‘ভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের’ নির্বাচন প্রয়োজন। এ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া ছাড়া গণতন্ত্রের সঠিক অগ্রযাত্রার বিকল্প নেই। এই নির্বাচন যাতে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট রাজনীতির ধারকরা বিভিন্নভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এসব অপচেষ্টা রুখে দিতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।” এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য একটি ‘পরিবেশ কমিটি’ গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। মিছিলে সদর আসনের প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক ফাতেমা রহমান বীথি, সংগঠক তুষার আহমেদ, সদর উপজেলার সদস্য সচিব ফারজানা জেসমিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জীবিকার ন্যায্য হিস্যা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এবং সংসদীয় সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শন করেন।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থিতা ঘোষণার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার এই উদার পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। মনোনয়ন ঘোষণার পর সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজে পোস্ট দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা কমিটির আমীর আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি লিখেন, “অভিনন্দন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের জন্য।” এ পোস্টে তার অনুসারীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, রাজনীতিতে এ ধরনের উদার ও শিষ্টাচার আচরণ সবার জন্য উদাহরণ হওয়া উচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানানো একটি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়। এটি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রসার ঘটায় এবং মতবিরোধের মধ্যেও সহমর্মিতা ও শালীনতা বজায় রাখে। এদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ জনগণও আহসান হাবীব মাসুদের এই পোস্টকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে সম্মান জানানো দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এভাবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানানোর ঘটনা টাঙ্গাইল-৫ আসনে আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নাদিম তালুকদার ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

শীর্ষ সপ্তাহ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
সারা দেশ

টাঙ্গাইলের কাকুয়া ইউনিয়নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে