প্রকাশিত; ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:২৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে না দাঁড়াতো, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো—এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশটি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল হক নূর বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীকে কেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে?" তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অস্বীকার করে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে, যা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, "ছাত্র সমন্বয়করা তদবির করে আওয়ামী লীগের দোষীদের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে বসানোর সুযোগ তৈরি করছে, অথচ দোষ চাপাচ্ছে সেনাবাহিনী ও সরকারের উপর।"
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, "আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।"
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এবং গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।