ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৯, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
logo

প্রকাশিত; ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মায়ানমারে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মায়ানমারে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মায়ানমারে সম্প্রতি সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ঔষধ, তাবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য রেসকিউ টিম ও মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।

আজ ৩০ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলা থেকে বিমান বাহিনীর ০১টি সি-১৩০জে বিমান এবং আর্মি এভিয়েশনের ০১টি কাসা সি-২৯৫ডব্লিউ বিমান ত্রাণ সামগ্রীসহ মায়ানমারের ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গমনের প্রাক্কালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত ছিলেন এবং তারা মিয়ানমারে জরুরি সহায়তা প্রদানকারী দলের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও তাদের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।

গত ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে মায়ানমারে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জনের অধিক নিহত এবং ৩০০০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট, বাসস্থান সমস্যার পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশের এই বিপর্যয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে মর্মাহত এবং তাদের সহায়তায় বদ্ধপরিকর। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মায়ানমার সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তী ধাপে এই উদ্ধারকারী ও মেডিকেল দলসমূহ প্রেরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে, এই মানবিক সহায়তা মায়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী যেকোনো বৈশ্বিক মানবিক প্রয়োজনে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।