প্রকাশিত; ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া – এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। তিনি জানান, প্রথম দফায় প্রায় ১,০০০ ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্য ও তুরস্ক সফরের সূচনায় প্রাবোও বলেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন দ্রুত ফিলিস্তিনি পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফিলিস্তিনিদের ইন্দোনেশিয়ায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
তিনি বলেন, “আমরা আহত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এবং এতিম শিশুদেরকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত। তারা সুস্থ হয়ে উঠা পর্যন্ত ও গাজায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা ইন্দোনেশিয়াতেই থাকবে।”
ইন্দোনেশিয়া, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, বরাবরই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫০,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও জানান, ইন্দোনেশিয়া এই সংকট নিরসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চায়, যদিও এটি সহজ হবে না বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার প্রতিশ্রুতি আমাদের আরও সক্রিয় হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।”
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট প্রাবোওর বক্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন দু’মাস আগেই ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, “ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে আমরা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করি।”
তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে গাজায় শান্তিরক্ষী সেনাও পাঠাতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া – এমন ঘোষণা তিনি আগেই দিয়েছিলেন, যখন তিনি এখনো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।
সুত্রঃ রয়টার্স