ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে কিডনি রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০৬ এএম

কেরানীগঞ্জে কিডনি রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ
HTML tutorial

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে এক ব্যতিক্রমী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অভিযুক্ত তিন যুবক দাবি করেছেন যে, তারা একজন মৃত্যুপথযাত্রী কিডনি রোগীকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।

পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্তরা মুভি দেখে প্রভাবিত হয়ে এটি অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে করতে চেয়েছিলেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, তারা অর্থ সংগ্রহ করে এক কিডনি রোগীর চিকিৎসা খরচ জোগানোর জন্য এই পথ বেছে নেন। তবে তাদের দেওয়া রোগীর ঠিকানার সত্যতা যাচাই চলছে।

তিনি বলেন, "এদের অপরাধী বলা যায় না। তারা হয়তো পথভ্রষ্ট হয়েছে। হয়তো অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে তারা এমন একটি বিপজ্জনক কাজ করতে এসেছেন। তবে তাদের উদ্দেশ্য আসলেই সাহায্য করা ছিল কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছেন। পুলিশ সুপার জানান, "ঘটনার শুরু থেকেই আইজিপি স্যার লাইভে এসে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নিশ্চিত করেছি যে, কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়া অভিযান শেষ হয়।"

ডাকাতদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এমনকি তাদের আইজিপির সঙ্গেও কথা বলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তারা আত্মসমর্পণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

ডাকাতরা প্রথমে দাবি করেছিল যে, বাইরে আরও সহযোগী রয়েছে। তবে পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে, ব্যাংকের ভেতরে থাকা তিনজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাদের এই মিথ্যা দাবি মূলত পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য করা হয়েছিল।

অভিযুক্তদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে যে, তাদের দাবি অনুযায়ী কিডনি রোগীকে সাহায্য করার ইচ্ছা আসলেই তাদের ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল কি না।

পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, "আমরা বিষয়টিকে মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই বিবেচনা করছি। যদি তাদের বক্তব্য সত্য হয়, তবে এটি সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যে, কিভাবে ভুল সিদ্ধান্ত একটি বিপদজনক পথে ঠেলে দিতে পারে।"

এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যের প্রতি সহানুভূতি দেখালেও অনেকে এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন

বাংলাদেশ রিলেটেড নিউজ

HTML tutorial