দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার তথা বাংলাদেশের প্রথম "দারুল হাদীস" প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৮ ঈ. সনে। হাটহাজারী মাদরাসা প্রতিষ্ঠার আরো আট বছর পর। হাটহাজারী মাদরাসার আয়তন: ১৭১৬০ বর্গমিটার। এই জায়গার ঠিক ভূমধ্যে উপরে টিন ও নিচে ১৫ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দ্বারা কুঁড়েঘরের মতো একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি বাংলার প্রথম দারুল হাদীস। এখানে সর্বপ্রথম হাদীসের দারছ প্রদান করেন– উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ, "বড় মুহাদ্দিস" নামে খ্যাত, হযরত মাওলানা সাঈদ আহমদ সন্দীপী রাহ.। দাওরায়ে হাদীসের ছাত্রসংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধির কারণে দারুল উলূমের অভ্যন্তরে আরো দুই জায়গায় হাদীসের দারছ স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমান চতুর্থ স্থানে (দারুল হাদিসে) হাদীসের সর্বোচ্চ কিতাব বুখারী শরীফ'সহ বিশুদ্ধ ছয় গ্রন্থের দারছ দেয়া হচ্ছে।
• ১৯০৮ থেকে ১৯৩৮ ঈ. পর্যন্ত শাইখুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করেন– হযরত মাওলানা সাঈদ আহমদ সন্দীপী রাহ.।
• ১৯৩৮-১৯৪১ ঈ. পর্যন্ত হযরত মাওলানা ইব্রাহিম বলিয়াভী রাহ.।
• ১৯৪১-১৯৫৮ ঈ. পর্যন্ত হযরত মাওলানা ইয়াকুব সাহেব জিরী রাহ.।
• ১৯৫৮-১৯৮১ ঈ. পর্যন্ত হযরত মাওলানা আবদুল কাইয়ুম রাহ.।
• ১৯৮১-২০০০ ঈ. পর্যন্ত হযরত মাওলানা আবদুল আযীয রাহ.।
• হযরত মাওলানা আবদুল আযীয রাহ. এর ইন্তেকালের পর প্রায় দেড় বছর শাইখুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করেন হযরত মাওলানা মুফতী আহমাদুল হক রাহ.।
• অত:পর ২০০২ ঈ. থেকে ২০২০ ঈ. পর্যন্ত শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ.।
. এটি বর্তমান দারুল হাদীসের প্রবেশপথ বা প্রধান ফটক। এই মনোমুগ্ধকর নয়নাভিরাম দৃশ্যের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলেও বিরক্তি স্পর্শ করবে না। বরং অন্তরে ভালো লাগার মর্মস্পর্শী অনুভূতি সৃষ্টি হবে। এসেছিলেন কোনোদিন হাটহাজারী মাদরাসার হৃদয়গ্রাহী পরিবেশ পরিদর্শনে!?