দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
সাজিদ পিয়াল: হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১০ নং হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আজ বাদ আছর বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও পূর্ণ সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের মধ্যে ছিল প্রাণচাঞ্চল্য, আবেগ ও গভীর শ্রদ্ধার পরিবেশ। হুগড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় অংশ নেন। স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয় কর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোয়া মাহফিলে শরিক হয়ে দেশনেত্রীর সুস্থতার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন,“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু বিএনপির নেতৃত্বই নন; বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাহস, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল প্রতীক। তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।”নেতারা আরও বলেন,আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আবারও নেতৃত্ব দিতে পারেন।”অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও খতম অনুষ্ঠিত হয়। পরে মোনাজাতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, এবং বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের সম্মানিত ইমাম।দোয়া মাহফিল শেষে হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা বলেন,“দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা মানেই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা।” তারা আরও বলেন,“যতদিন তিনি সুস্থ না হচ্ছেন, ততদিন আমরা নিয়মিত দোয়া–মোনাজাত অব্যাহত রাখব।” এই দোয়া মাহফিলটি হুগড়া ইউনিয়নে শুধু রাজনৈতিক অনুষ্ঠানই নয়, বরং দেশনেত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভকামনার এক প্রতিফলন হয়ে ওঠে। পুরো এলাকাজুড়ে ছিল শান্ত, গম্ভীর ও আবেগঘন পরিবেশ।
দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং দ্রুত সুস্থতা কামনায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর দাইন্যা ইউনিয়নে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে দাইন্যা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। স্থানীয় নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আজ তিনি অসুস্থ—তাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করা পুরো জাতির দায়িত্ব। এই আয়োজনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা ঐক্য, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। প্রধান অতিথি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল আবেগভরা কণ্ঠে বলেন— “গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন — তিনি এই দেশের মানুষের বুকের স্পন্দন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকা এই সাহসী নেত্রী আজ অসুস্থ—এটা ভাবতেই বুকটা ভারী হয়ে আসে। আমরা তার সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে মিনতি জানিয়েছি। তিনি ফিরে এলে দেশে নতুন আলো জ্বলবে। আমি প্রতিটি মানুষের কাছে অনুরোধ করছি—নামাজের পর তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে সুস্থ করে আবার মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দেন।” দোয়া মাহফিল শেষে দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি — দেশে-বিদেশে উদ্বেগ, পরিবারের আহ্বান দোয়ার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আবারও নাজুক হয়ে পড়েছে বলে দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকা এই বর্ষীয়ান নেত্রীর স্বাস্থ্যের হঠাৎ পরিবর্তন দেশে-বিদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জাতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তিত্বের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সাধারণ জনগণ—সকলের মাঝে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতাগুলো নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও তীব্র হয়েছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এবং প্রতিটি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, কোনো ঝুঁকি না নিতে চিকিৎসক দল ২৪ ঘণ্টাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অবস্থা তাঁদের মানসিকভাবে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারা বলছেন, “এখন প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চিকিৎসকদের সব নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করছি। দেশবাসীর দোয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের প্রধান নেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা গভীরভাবে চিন্তিত। প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে পরিবার ও চিকিৎসকদের সঙ্গে। দলীয় নেতারা উল্লেখ করেন—“দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যিনি জীবনের প্রায় পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন, সেই নেত্রীকে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পুরো জাতি অপেক্ষা করছে।”বিএনপি মহাসচিব ও অন্য শীর্ষ নেতারা দেশবাসীর কাছে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। তারা বলেন, “জাতির প্রিয় নেত্রীর সুস্থতা এখন জাতীয় প্রত্যাশা। আমরা আল্লাহর রহমত কামনা করছি।”ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ নানা অঞ্চলে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, উপাসনালয়—সব জায়গায়ই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে শুভকামনা ও সমর্থনের বার্তা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবনতির খবর শুধু তাঁর দলের ভেতরেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বাড়তি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের সিদ্ধান্ত এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ওপর এ ঘটনা প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন।বহু দশকের রাজনৈতিক জীবনে নানা কঠিন সময় অতিক্রম করা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এখন রাজনীতি, পরিবার এবং জনগণের মাঝে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। দেশবাসী তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় একত্রিত হয়েছে।