সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান দালালচক্রের ৪ জন গ্রেফতার, অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ সকালে এ অভিযান চালিয়ে দালালচক্রের চার সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অতিরিক্ত টাকা আদায় ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের একটি বিশেষ দল পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করে দালালদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে। একপর্যায়ে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার ব্যক্তিদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র, টাকা ও দালালি কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, “পাসপোর্ট অফিসকে পুরোপুরি দালালমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।” অভিযানে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত অভিযান হলে দালালচক্রের আধিপত্য কমে যাবে এবং পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তার (৪০) হত্যা মামলার এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম লেবু মিয়া (৩৫)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌলি দক্ষিনপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।গ্রেফতারকৃত লেবু মিয়া টাঙ্গাইলের পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা হত্যা মামলারও আসামী। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিপিসি-৩ র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প হতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিসুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে (৪০) কুইজবাড়ি গ্রামে নিজেদের বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া গত (২৬ মে) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলটিয়া বাড়ি মোড়ে পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ রানা কুপিয়ে আহত করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। দুটি ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিপিসি-৩ র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ক্যাম্প। তদন্তে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় লেবু মিয়াকে সন্দিগ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আনসার ক্যাম্প সড়কে অভিযান পরিচালনা করে আসামী লেবু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রেল লাইনের পাশে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার এলাকায় শোকের ছায়া। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় রেল লাইনের পাশ থেকে শ্যামলী বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া রেল লাইনের পাশে স্থানীয়দের নজরে এলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরের দিকে রেল লাইনের পাশে এক বৃদ্ধার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা দ্রুত থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, শ্যামলী বেগম দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার সকালেই তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। মঙ্গলবার দিনের কোনো একসময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। লাশ শনাক্ত করতে থানায় যান শ্যামলী বেগমের ছোট ভাই রাজু আহমেদ রাজ্জাক। তিনি জানান, তার বোনের তিন মেয়ের মধ্যে দুইজনই প্রতিবন্ধী এবং অসহায় অবস্থায় তারা-ও ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল। “বোনটি প্রতিদিনই ভোরে বের হতো। আজ এভাবে তাকে পাওয়া যাবে—কখনো ভাবিনি,” বলেন তিনি। মির্জাপুর থানার দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “মৃতদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে মানবিক সংকটে থাকা পরিবারটিকে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, প্রতিবন্ধী দুই মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম অসহায় পরিস্থিতিতে রয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শ্যামলী বেগম নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শ্যামলী বেগম উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ার ঠান্ডু সওদাগরের মেয়ে। শ্যামলী বেগম ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত সোমবার শ্যামলী বেগম ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বুধবার দুপুরে ধেরুয়া রেল লাইনের পাশে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে শ্যামলী বেগমের ছোট ভাই রাজু আহমেদ রাজ্জাক থানায় গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। রাজু আহমেদ রাজ্জাক জানান, তার বোনের তিন মেয়ের মধ্যে দুইজনই প্রতিবন্ধী। তারাও ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার দিনের কোন এক সময় শ্যামলী বেগমের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ ধারনা করছেন। মির্জাপুর থানার দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা টাঙ্গাইলে নিজ বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের চার কন্যা। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তারা হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানবাবা হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারেদ্বারে ঘুরে অবশেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেল করলেন চার কন্যা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৃত আঃ আজিজের চার কন্যার এক কন্যা আনিকা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামের আনিকা তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান যে, তাদের বাবা হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছেন তাদের চাচাতো ভাই রুবেল, উজ্জল ও তাদের চাচা কাজিম উদ্দিন। তাহাদের কার সাজিতে সেচ স্কীম বেদখলের উদ্দেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটায়। ধনবাড়ীতে গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা প্রতিপক্ষরা টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটি নর্থ টাঙ্গাইল এর কমিটি গঠন তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, “বিগত ১২ জানুয়ারী ২০২৫ দিবাগত রাতে আনুমানিক ১১ ঘটিকায় মাইস্তানয়া পাড়া গ্রামে আমাদের সেচ প্রকল্পের পাশে আবাদী জমিতে আমাদের পিতা আঃ আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগন বেপরোয়া ভাবে মাইরপিট, নিলাফোলা রক্তাক্ত জখম করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে বিবাদীগন মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য এবং পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে পিতাকে মারতে থাকে। উক্ত সময়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দেখতে পাই বিবাদী আসাদুল, রাজু, দুলাল সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের বাবা আঃ আজিজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উজ্জল, আসাদুল ও রাজু নাম বলে যান। বাবাকে তাৎক্ষনিক স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে চার কন্যা এরপর সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। আমাদের চাচাতো ভাই রুবেল চালাকি ও চতুরতার আশ্রয় নিলে তাহার বন্ধু ও বাহাম ভুক্ত পুলিশের সহযোগিতায় নিউরোসায়েন্স এরস্টোক ইউনিটে ভর্তি করে। উক্ত চিকিৎসালয়ে বাবা মৃত্যুবরণ করলে চাচাতো ভাই রুবেল মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরীকরে। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হতে কোন সক্রিয় ভূমিকা না পেয়ে অতিশয় অসহায় বোধ করছি। কালিহাতী থানায় মামলা হলে বিবাদী পক্ষের কারসাজিতে থানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনরূপ সহযোগিতা করেনাই। আমরা আসামীদের বিচার চেয়ে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বড় মেয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তাদের বাবাকে হত্যা করা হলেও মূলহোতারা এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্ত অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো নয়। আমরা চার বোন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।” এ সময় অন্যান্য কন্যারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, হত্যার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবারের ওপর চাপ ও হুমকির কথাও তুলে ধরেন তারা। ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের সন্তানরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর। তারা তদন্ত সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার এক আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান পরিষ্কার ভাষায় বললেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার কোনও ব্যক্তিগত আপত্তি নেই, কিন্তু যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো কাঠামোতে এ বিচার হওয়া তিনি গ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে—গণতন্ত্রহীনতা, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা—এসবের জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য। “তার ফাঁসি হোক, আমার আপত্তি নেই,”—এ কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন—“কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে বিচার টিকবে না।” তার মতে, ১৯৭৩ সালের যে আইনে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচার হয়েছে, সেই একই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হওয়া আইনি দৃষ্টিতে ভুল। এটি যুদ্ধাপরাধের কোর্ট, রাজনৈতিক অপরাধের নয়। ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম নিরপেক্ষ নয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান প্রসিকিউটর অতীতে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং খুনের মামলারও আসামি ছিলেন। “বরের পিশি, কনের মাসি হয়ে বিচার হয় না”—বলে তিনি প্রসিকিউটরদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে উচ্চ আদালত এ ট্রাইবুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তখন দেওয়া রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। “যদি কোর্টই ঠিকভাবে গঠিত না হয়—তাহলে তার দেওয়া ফাঁসির রায়ের মূল্য কী?”—তিনি বলেন। নিজ দলের অবস্থান থেকেও ভিন্ন মত প্রকাশ করে তিনি জানান, দল তাকে অভিনন্দন জানালেও তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী হিসেবে নিজের বিবেক অনুযায়ী কথা বলছেন। শেষে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন—“ভারত থেকে ধরে এনে হাসিনাকে ফাঁসি দিলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল কোর্টে বিচার হলে সেটা আমি মানতে পারি না।”
টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ, কামালিয়াচালা থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে লা*শটি সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।টাঙ্গাইলের সখিপুরে চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ এক ব্যবসায়ী আটক ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আল মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তার হেফাজত থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানান—রুবেল ও অন্তর নামের দু’জন ব্যক্তি নিয়মিত তার কাছে এসব মালামাল সরবরাহ করত। পুলিশ বলেছে, ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাটি টাঙ্গাইলের সখীপুরে সাম্প্রতিক সময়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার একটি অংশ, যেখানে গত দুই মাসে অন্তত চারটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে বলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে উল্লেখ করেছে। চোরাই বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ একজন ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।সখীপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।সম্প্রতি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরির হিড়িক পড়েছে বলে দেশ রূপান্তর করেছে।এই পরিস্থিতিতে চোরদের ধরতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাওয়া গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি এক আইনি নোটিশের মুখোমুখি হয়েছে। জানা যায়, এক ব্যক্তি বা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট দাবিসহ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু নির্দিষ্ট কাজ বা দাবির ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছে, যা আইনি পথে সমাধান দাবি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, নোটিশটি প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছে এবং আইনগত পরামর্শ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের অভিযোগের দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। আইনজীবীরা মনে করছেন, সময়মতো লিখিত প্রতিউত্তর এবং প্রমাণাদি সংগ্রহের মাধ্যমে এই ধরণের নোটিশের যথাযথ মোকাবিলা করা সম্ভব। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করছে যে, কোনোরকম মামলা এড়িয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে, শিক্ষাব্যবস্থা বা সেবা কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না এবং এই আইনি প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
সাজিদ পিয়াল: আজ ১৬ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওসার বাঁধন আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত তোহর আলী (৬০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সোয়েব আলীর পুত্র। মেজর কাওসার বাঁধন জানান, গতকাল (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তোহর আলীকে সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা তল্লাশি চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মাদক বহনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার ব্যাগের সেলাই করা অংশ থেকে চার পুরিয়া হেরোইন এবং পেয়ারার বস্তা থেকে চারটি পলিথিন প্যাকেটে রাখা মোট ৪৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জব্দকৃত হেরোইন আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে। কালিহাতীতে ব্যাগ সেলাই করে ও পেয়ারার বস্তায় লুকিয়ে অবৈধ মাল বহন — দুই জন গ্রেফতার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অভিনব কায়দায় ব্যাগের ভেতর সেলাই করে এবং পেয়ারার বস্তার নিচে লুকিয়ে অবৈধ মালামাল বহনের সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিচৌকিতে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিহাতী পৌরসভার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি ভ্যান থামানো হলে চালক ও সহযাত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ভ্যানের পেছনে রাখা দুইটি ব্যাগ ও একটি বড় পেয়ারার বস্তা পরীক্ষা করা হয়। তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাগ দুটির ভেতর বিশেষভাবে সেলাই করে গোপনে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল। সেলাই কেটে ভিতরে ঢোকানো ছিল ছোট প্যাকেট, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য এবং সন্দেহজনক কাগজপত্র। পেয়ারার বস্তার নিচেও একইভাবে লুকানো ছিল আরও কিছু অবৈধ পণ্য। বস্তার উপরের স্তরে পেয়ারার মতো ফল সাজিয়ে রাখা হলেও নিচের অংশে গাদাগাদি করে রাখা ছিল নিষিদ্ধ সামগ্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধ মালামাল পাচার করছিল। তবে এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল— সেসব বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অত্যন্ত চতুর উপায়ে অবৈধ পণ্য পরিবহনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের নিয়মিত তল্লাশির কারণেই এটি ধরা পড়ে। জব্দ করা মালামালের সঠিক হিসাব ও ধরন যাচাই করা হচ্ছে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।” পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মালামাল থানায় রাখা হয়েছে এবং পুরো চক্র শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আপনি চাইলে উদ্ধারকৃত মালের নির্দিষ্ট ধরন, মোট মূল্য, আটক ব্যক্তিদের নাম, এবং তারিখ দিলে আমি এটি আরও নির্ভুল ও পোর্টাল-রেডি সংবাদের মতো সাজিয়ে দিতে পারব।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১নং আটগাও ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা পরিচয়ে পরিচিত অভিযুক্ত ডিলার সালাম মিয়ার এই কর্মকান্ডে ডিলারশিপ অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তোষ ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪-এর একাধিক মৌলিক শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪ অনুযায়ী, ডিলারকে ইউনিয়নের নির্ধারিত হাট/বাজারের নিজস্ব বা ভাড়ার দোকান থাকতে হবে এবং সেখানে কমপক্ষে ১৫ (পনের) মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে এই শর্তগুলোর মারাত্মক ব্যত্যয় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিলার সালাম মিয়া আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানেই তাঁর চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মেম্বার কালাম মিয়া, ইউনূস মিয়া সহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস আগে এই অবৈধ স্থাপনাটি ঘর তোলা হয়েছে। নীতিমালায় বলা আছে ১৫মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সরেজমিনে দেখা গেছে ডিলারের সরকারি ভূমিতে নির্মিত ঘরটিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ মে. টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা সম্ভব। নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়ার দোকানের ক্ষেত্রে ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্র জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত একটি অবৈধ স্থাপনার জন্য কিভাবে বৈধ ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরি এবং তা ডিলারশিপের জন্য গৃহীত হলো, তা নিয়ে জনমনে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান,এই ডিলারশিপ অনুমোদনের পেছনে বড় ধরনের অনিয়ম থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এদিকে, দাউদপুর বাজার কমিটির সহ-সভাপতি প্রেমতুষ দাস অভিযোগ করেন, ঘরটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পূর্বে গ্রামের শিব (বেন্নাথ) গাছ থাকায় তারা পূজা-পার্বণে প্রসাদ বিতরণ করতেন। তিনি বলেন, ডিলার ও চেয়ারম্যান তাদের বলেছিলেন 'কিছু দিনের জন্য চাল বিতরণ করা হবে, পরে ভেঙে ফেলা হবে'। কিন্তু এখন যেভাবে কার্যক্রম চলছে, তাতে স্পষ্টতই জায়গাটি দখল করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, বিএনপি নেতা সালাম হঠাৎ করেই পরিষদের জায়গায় ২০/৪০ জন মানুষ নিয়ে এসে সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘর নির্মাণ করে। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এখানে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইউএনও সাহেব অবগত আছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ডিলারশিপ নেওয়া সালাম মিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন ডিলার সালাম ফোন চার্জে লাগিয়ে বাহিরে গেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আটঁগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন-নোমান স্থাপনাটির অবৈধতা স্বীকার করে বলেন,"এটা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা না। এখানে পূর্বে বিআরডিবির অফিস ছিল। এখানে আমরা অস্থায়ী কার্যালয় করেছি। এই জায়গাটি সরকারি জমি স্থাপনাটি অবৈধ।" তবে তিনি দাবি করেন, ডিলার সালাম মিয়ার বাজারে দোকান থাকলেও জায়গা কম থাকায় এখানে এসে চাল বিতরণ করে থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, "এই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সচেতন মহলের দাবি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি ভূমি দখলের অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। স্থানীয়রা মনে করেন, অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটির মাধ্যমে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিলারশিপের শর্ত পূরণের নথি এবং স্থাপনার বৈধতা যাচাই করা প্রয়োজন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কানকাটা কাদিরাকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাতদিন পর এক সৌদি প্রবাসীসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের আব্দুল কাদের চেরাং বাড়ির বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো. ইদ্রিস ওরফে মানিক (৩৪), মোহাম্মদ রাকিব(২৬) ও একই বাড়ির মো.জাফর (২৮)। বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, একই দিন ভোরে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত জিলানী ওই উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. গোফরানের ছেলে। পুলিশ জানায়, এক মাস আগে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চেরাং বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী মানিক দেশে ফিরেন। দেশে আসার পর তার থেকে ইয়াবা সেবনের জন্য টাকা দাবি করেন ভিকটিম চার মামলার আসামি কানকাটা কাদিরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই সুযোগে কাদিরার প্রতিপক্ষ গ্রুপের রাকিব ও জাফরসহ একাধিক অস্ত্রধারী কাদিরাকে হত্যার মিশনে নামেন। পরবর্তীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০-১৫জন সন্ত্রাসী উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মুন্নার দোকানের সামনে তাকে পিটিয়ে এবং উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কুতুব উদ্দিন লিয়ন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ৭দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন আসামির মধ্যে দুইজন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন
মধুপুরে বাসচাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (১৬) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল–জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোলাবাড়ী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আরেকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, ঢাকা–ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে সামনে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ভাইঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গী গুরুতর আহত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নিহত জাহিদ গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বাসুদেববাড়ী গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে। পরিবার জানান, অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসে বাড়ি ফেরার পথে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়। জাহিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশ মানুষ মহাসড়কে জড়িয়ে পড়ে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে টাঙ্গাইল–জামালপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরানুল কবীর বলেন, “নিহত জাহিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কটিতে দ্রুতগতির যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল ও নজরদারির অভাবে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো.আরাফাত (২৫), মো.আশ্রাফ (১৮) মো.সিয়াম (২১), মো.ইমন (২০), মো.সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো.রাহাত (১৮), আরমান (২৩, সোহাগ (৩০) নুরউদ্দিন (৩৩) ও রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জিহাদ (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রাশেদ (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্বরণে দিবারাত্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটি। এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে পাশের মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা খেলার রেফারি রাশেদকে বিতর্কিত দাবি করে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। খেলার একপর্যায়ে মাঠে একটি থ্রো ফাউল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় দর্শক সারি থেকে মদিনা বাজার উদীয়মান সংঘ টিমের একজন সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে রেফারি রাশেদ তাকে চড় মারেন। এনিয়ে রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার টিম ও মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে। এতে মুছাপুরের ১০জন ও রামপুর ইউনিয়নের ৮জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৪জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ইউনিয়নের লোকজনই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আরও বলেন, বিষয়টি শুনেছি, ফুটবল খেলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা, গ্রেফতার ৪। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে বাংলা স্টার নামে যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা ওই বাসটিতে আগুন দেয়। এসময় যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যান। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ূন কার্ণায়েন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বাঐখোলা গ্রামের মাসুদ, জুলহাস, কামাল ওরফে তালু এবং বয়রা গ্রামের শহিদ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী ‘বাংলা স্টার’ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ বাসটিতে আগুন দেয়। বাসের যাত্রীরা দ্রুত নেমে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাসাইল থানা পুলিশ, গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ এবং টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে পুড়ে যাওয়া বাসটি রেকারের সহায়তায় গোড়াই হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অগ্নিসংযোগে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে চলন্ত বাসে আগুন ধরানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে গোড়াই হাইওয়ে থানার এসআই মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বাসাইল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের পৃথক দুই অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প পৃথক দুইটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর ও মধুপুরে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাব জানায়, প্রথম অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার দৈনিক বাজার এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১৯,৪৬৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এ সময় পলিথিন মজুদ ও সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ পলিথিনের পাইকারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় অভিযানে র্যাব-১৪ এর একটি দল টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর নন্দবয়রা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা ওই আসামির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গুরুতর অভিযোগ ছিল। র্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অধিনায়ক জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই অভিযান চালানো হয় এবং দুই দোকান মালিককে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাসাইল পৌর শহরে পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় এই জরিমানা আদায় করা হয়। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি রাস্তার পাশে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, কারণ এই তেল দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে।টাঙ্গাইলের বাসাইলে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ সঠিকভাবে অনুমোদন না থাকার অপরাধে দুই দোকান মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা। জানা গেছে, দুপুুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দাহ্য পদার্থ অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করার অপরাধে দোকান মালিক এমদাদুল হক ও আফাজ মিয়াকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের মতো দাহ্য পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত খোলা বাজারে বিক্রি করায় দুজন দোকান মালিককে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ এর ৪ (ক) (খ) ধারা লঙ্ঘনে ২০ ধারায় ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নোয়াখালী। গ্রেপ্তার মো.শাহআলম (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান । এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে আসামি ভিকটিমের কাছে ফেইসবুক আইডি'র লিংক পাঠিয়ে ২শত টাকা চেয়ে পার্টটাইম কাজ করা যাবে বলে সম্মত করে টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করে। প্রথমে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে ২০০ টাকার বিনিময়ে প্রথমবারে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনলে লভ্যাংশসহ ৩৭০ বাদীকে বিকাশে ফেরত পাঠায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তারিখ ও সময় লেনদেন ও প্রোডাক্ট কেনাকাটা হয়। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত লাভের আশায় লোভে পড়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা আসামির বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। পরে বাদীকে টাকা বা প্রোডাক্ট ফেরত দেয়ার জন্য বার বার বা অনুরোধ করলে আসামি বিভিন্ন কৌশলে টাকা আটকে গেছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আরশাদ আলী'র নামীয় একাউন্টে আরও ৩ লক্ষ টাকা জমা দিলে বাদীকে লভ্যাংশসহ সব টাকা একসাথে ফেরত পাঠাবে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে বাদী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, আসামি উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সিজিপিএ ২.৭৩ পেয়ে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি দেশে চলে আসেন। কিছুদিন বেকার থাকার পর বেকার অবস্থায় অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণমুলক বিজ্ঞাপন দেখে তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতারণার সাথে জড়িত হয়ে যান। তারপর বিভিন্ন এ্যাপস দিয়ে মানুষকে পার্ট টাইম জব দেওয়ার কথা বলে উক্ত আসামি ও তাহার বড় ভাই নুর আলম অনলাইনে প্রতারণা করে টাকা নিত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য শাহআলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ০৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ মম ফুড প্রোডাক্টস, সয়া বাজার, পালিমা, কালিহাতিকে অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মানহীন চিপস তৈরি,পরিবেশন, উৎপাদনের পূর্বেই উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ১৩০০০০/-(এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জেলার কালিহাতী উপজেলার সয়া বাজারে অবস্থিত মম ফুড প্রোডাক্টস-কে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মানহীন চিপস তৈরি ও পরিবেশন, এবং উৎপাদনের পূর্বেই প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ বসানো এবং নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর প্রমাণ পাওয়া গেছে ফলে সেই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাদকসেবনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে এক বছর ১১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেছে। গত (৫ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১০টা দিকে, গোপালপুর পৌর এলাকার ডুবাইল গাঙ্গাপাড়া এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় এক ব্যক্তিকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮” এর সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে ০১ (এক) বছর ১১ (এগার) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর থানার এসআই নাসির আহম্মেদ ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা হত্যার পর বাড়ির পাশে জঙ্গলে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ৫ নভেম্বর সকালে উপজেলার চারান উত্তরপাড়া গ্রামে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত ব্যক্তি একই এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে কামাল খান (৬৫)। স্থানীয়রা জানান, কামাল খান সরকারি একটি জাদুঘরে চাকরি করতেন। অবসরের পর পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করতেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যান জমি-জমা দেখাশোনার জন্য। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে বাড়ির পাশের জঙ্গলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।নিহত ব্যক্তি একই এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে কামাল খান (৬৫)। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৩/১১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব লাবিবুজ্জামান মুস্তাবীন ও নুসরাত জাহান কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮" এর আওতায় ০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। টাঙ্গাইল সদর থানাধীন কান্দাপাড়া পতিতালয় ও হরিজন পল্লী সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল এর সমন্বয়ে ৪০ সদস্যের একটি টিম অংশ নেয়। জনস্বার্থে সমগ্র জেলায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে । পতিতালয় ও মুচিপট্টিতে বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ, ৭ জন মাদক কারবাড়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়া পতিতালয় ও মুচিপট্টি এলাকায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ এবং সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অভিযানে অংশ নেন টাঙ্গাইল সদর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য সদস্যরা। অভিযানের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের তিন দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দল কান্দাপাড়া পতিতালয়ে এবং দুটি দল মুচিপট্টির বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। মুচিপট্টির একটি বাড়ির আঙিনার মাটির নিচের সুরঙ্গ থেকে প্রায় ৩,০০০ লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ (ওয়াশ) উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১০ লিটার চোলাই মদ এবং পাঁচ পুরিয়া হেরোইন জব্দ করা হয়। অভিযানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাতজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রফিকুল ইসলাম (৩ মাস), আমিনুল ইসলাম (৭ দিন),উত্তম রবিদাস (৬ দিন),শামিম (৭ দিন),শাকিব ইসলাম (৭ দিন),সাব্বির (৭ দিন)। এছাড়া বাড়ির মালিক লাসিয়া রবিদাসের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২০(গ) ধারায় টাঙ্গাইল সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবিবুজ্জামান মোস্তাবিন এবং পরিদর্শক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “টাঙ্গাইলকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”