সিলেট

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ বাজারে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে চাল বিতরণ

সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গণিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও দুই শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র নারী পূরুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।  আজ শনিবার দুপুর ২টায় সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাথারিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও আজির উদ্দিন ও হর গোপালের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন ভূইয়া,জয়কলস ইউনিয়ন কমিটির সিনিয়র সদস্য আব্দুস সালাম,পূর্ববীরগাঁও ইউনিয়ন সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের সহ-সভাপতি আরজু মিয়া,পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন কমিটির প্রস্তাবিত সভাপতি বজলু মিয়া ও আমেরিকা প্রবাসী শওকত আলী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠন শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ছাদিকুর রহমান বলেছেন,আমরা উপজেলার কয়েকজন সমাজেসবী ব্যাক্তিরা মিলে ২০২২ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যে হলো এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে যারা অসহায় ও হতদরিদ্ররা রয়েছেন তদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। সমাজে অনেক গরীব লোকজন রয়েছেন যারা অর্থাভাবে তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না অথবা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ঐ সমস্ত পরিবারকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। পরে আগত দুই শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে প্রত্যেককে ১০ কেচি করে চাল বিতরণ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ 0
আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজাঁ উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ পূজাঁ উদযাপন পরিষদ ও বাংলদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টসহ সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয় দূর্গপূজাঁ ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।  ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক(রুটিন দায়িত্ব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্যে রাখেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন,সুনামগঞ্জ সেনাক্যাম্পের মেজর রাহাত,আনসার বিডিপির উপ পরিচালক রুবায়াত হাসান,সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতিসন্তোষ রায় সন্তু,সাধারন সম্পাদক বলাই এষ,সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির সভাপতি বিধান দাস,সহ সভাপতি অরুণ তালুকদার, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক বাবু অশোক তালুকদার,সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট দিপংঙ্কর বণিক সুজিত,অজিত দাস,রাজন তালুকদার,শংকর কুমার দাস,রমাকান্ত দাস,প্রজেশ রঞ্জন চৌধুরী,সুমন চক্রবর্তী,রনজিৎ সূত্রধর,পীযূষ কান্তি তালুকদার,দেবেশ রায়,পিংকু রায়,সজীব রায়,সুব্রত বণিক,চন্দন রায়,অরবিন্দু তালুকদার,নিরঞ্জন দেবনাথ,রিন্টু রায়,রতন কুমার মিস্ত্রি,জগন্নাথ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বিজন দে,জামালগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের  সভাপতি সমরেন্দ্র আচার্য্য শম্ভ,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুমন পাল চৌধুরী,বিশ^ম্ভর কমিটির সভাপতি জীবন কৃষ্ণ দাস,সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক স্বপন বর্মণ,শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষশদের সভাপতি জ্যোতি ভ’ষন তালুকদার ঝন্টু,সাধারন সম্পাদক সুরঞ্জিৎ চৌধুরী টপ্পা,তাহিরপুর কমিটির  সাধারন সম্পাদক গণেশ তালুকদার,দিরাই কমিটির সাধারন সম্পাদক স্বাধীন দাস সহ জেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী,বিজিবিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রথমে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দরা  অভিযোগ করেন বিগত আওয়ামীলীগের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির সহযোগি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দদেরকে জেলায় কোন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে দেয়া হয়নি। গত বছরের ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস আওয়ামীলীগের পতনের পর এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উন্মুক্তভাবে এখন তারা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সভা সমাবেশ পালন করতে পারছেন বলে জানান।   ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক(রুটিন দায়িত্ব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন,আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রদায়ের ৫দিনব্যাপী হিন্দু সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে তাই পূজাঁ নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জ হচ্ছে সম্প্রীতির একটি নিরাপদ জায়গা। এই জেলায় প্রতিটি ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির যে একটা মিলবন্ধন রয়েছে তা বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি বলেন আগামী দূর্গাপূজা নির্বিঘেœ পালন করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় তৈরী করবেন এবং পূজামন্ডপে নিজস্ব ভলেন্টিয়ার থাকবে এবং প্রতিটি পূজামন্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে ও তিনি জানান।   

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ 0
সুনামগঞ্জে ভারতীয় গরু নিলাম কার্যক্রম স্থগিত জিম্মাদার নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন এডিএম রেজাউল করিম

আটক করার দীর্ঘ ৪ মাসের ব্যবধানে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগ্রহী প্রায় ৭০ জন দরদাতাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার গ্রহন করার পরও জব্দকৃত বিভিন্ন আকৃতি ও রঙ্গের ভারতীয় ৯০টি ডেকা ষাড় গরুর নিলাম সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন সনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।  মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের এজলাস কক্ষে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন,জনাকীর্ণ আদালতে এই নিলাম কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।  বিজ্ঞ আদালতের দুইজন বিচারক একত্রে এজলাসে বসে ঘোষণা করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং ০২ (জিআর ১২৬/২০২৫) তাং ৪/৫/২০২৫ইং এর মাধ্যমে জিম্মাদারদের কাছে যে ৯০টি গরু জিম্মায় দেয়া হয়েছিল তারা আজকে আদালতে এতদিন গরুগুলোর ভরন পোষন বাবত ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে আদালতের কাছে দাবী করেছেন। অন্যদিকে আজকে আদালতের সামনে যে ৯০টি গরু উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখেছি পূর্বের জব্দকৃত গরুগুলোর সাথে আকারে প্রকারে আজকের আনীত গরুগুলোর কোন মিল নেই। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে আদালতের নিলাম কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৯০টি গরু উপস্থাপন করতে গিয়ে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হয়েছে। এসব কারণে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আমরা নিলাম কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করলাম। জানা যায়,সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সদস্যরা দোয়ারাবাজার থেকে একটি স্ট্রীলবডি ইজ্ঞিন চালিত নৌকায় করে সুরমা নদী দিয়ে পাচারকালে ইঞ্জিননৌকাসহ যে ৯০টি ভারতীয় গরু আটক করেছিল সেই গরুগুলো তৎকালীন চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৫জন চোরাকারবারীর কাছে জিম্মা দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আওতাভূক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঐ জিম্মাদানের ঘটনাটিকে জিম্মা নাটক বলে এই প্রক্রিয়াকে বেআইনী ঘোষণা করে সিলেটের বিভাগীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে লিখিত বক্তব্য দিয়ে সম্পৃক্ত হন সুনামগঞ্জের সচেতন ৮/১০ জন সাংবাদিক। এদিকে ২৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়স্থিত নিলাম কমিটির আহবায়কের এজলাস কক্ষে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে ৯০টি গরু। আগ্রহী ক্রেতাগনকে যথাসময়ে উপস্থিত থেকে ৯০টি ডেকা ষাড় গরু ক্রয়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট আদালতের নেজারত বিভাগের রুপালী ব্যাংক শাখার অনুকূলে ১৯৩৩০২৪০০০০২৩ নং হিসেবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে বলা হয়। গত ১০/০৮/২০২৫ইং তারিখে ৩৮২ নং স্মারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও সিজেএম কোর্টের নিলাম সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক মুহাং হেলাল উদ্দিন উক্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জারী করলে একাধিক আগ্রহীরা নিলামে অংশগ্রহন করেন। কিন্ত কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষের মতে এই নিলাম এখতিয়ার বহির্ভূত। কাস্টমসকে উপেক্ষা করে আদালত একতরফাভাবে নিলাম করতে পারেনা বলে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটিই বাস্তবায়িত হলো।   এর আগে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি হোসাইন মাহমুদ শাহীনসহ ৮জন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আহবায়ক কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার রেজভী আহাম্মেদ এবং একই বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজনের কাছে সুনামগঞ্জে ৯০টি ভারতীয় গরু অদৃশ্য হওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে দায়ী করে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১২মে কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর ০৮.০১.৬০০০.০১৭.৩৪.০০৩.০৭ (অংশ-১)/২৪৬৮ নং স্মারকাদেশ মোতাবেক জনৈক আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ৪ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।   দায়েরকৃত অভিযোগে সাংবাদিকরা বলেন,গত ৩০ এপ্রিল আমরা সুনামগঞ্জ শহরে কর্মরত প্রায় ২০ জন সাংবাদিক ঘটনার সময় জেলার আব্দুজ জহুর সেতুতে অবস্থান করে,নদীপথে ৯০টি ভারতীয় চোরাই গরু পাচার করা হইতেছে দেখে স্বউদ্যোগী হয়ে বিজিবি সুনামগঞ্জকে একের পর এক মোবাইল কল করত: সংবাদ দেই। আমাদের মোবাইল ফোনের সংবাদে বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের অচিন্তপুর গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে নৌকাসহ ৯০টি গরু আটক করে ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টারে আটককৃত নৌকাসহ ৯০টি গরু নিয়ে যায়। আটককৃত গরুগুলোর ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত সাহা,এগুলো ভারতের মেঘালয় এলাকার গরু বলে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন। এরপর আমরা সাংবাদিকরা সুনামগঞ্জ বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে সরজমিনে গিয়ে আটককৃত গরুগুলোর ভিডিও ধারন করি। এসময় সাংবাদিকদের সামনে  উপস্থিত কাস্টমস কর্মকর্তা  মোঃ জালাল উদ্দিন ,স্টমস আইন ২০২৩ ও বিধি অনুযায়ী গরুগুলো নিলাম দেওয়ার জন্য বলার পরও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনামগঞ্জ (এডিএম) মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দোহাই দিয়ে ৫ জন ব্যবসায়ী বিজিবির মল্লিকপুরস্থ হেডকোয়ার্টারে অনধিকার প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি অনধিকার প্রবেশকারী ঐ ৫জন লোক ভারতীয় গরুর চোরাকারবারী। এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম,ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রচলিত কাস্টমস আইনকে উপেক্ষা করে ঐ ৫ জন লোকের কাছে একে অপরের যোগসাজশে তার পছন্দের ব্যক্তি হিসেবে আটককৃত ভারতীয় গরুগুলো নির্বাহী ম্যাজিট্টেট মেহেদী হাসান হৃদয় কে প্রেরণ করে উপস্থিত সকল সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করে গরুগুলো তাদের জিম্মায় দিতে বিজিবিকে বাধ্য করেছেন। ঐদিন তিনি জেলা সদরে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের ও চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। জিম্মা গ্রহনকারীরা ঐ গরুগুলো এডিএম রেজাউল করিমের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ও পরোক্ষ সহযোগীতায় কালোবাজারে বিক্রয় করেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।  সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় তদন্তাধীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল আমিন সরজমিনে গিয়ে ৯০টি ভারতীয় গরু জিম্মাদারদের কাছে না পেয়ে গত ১০ জুন বিজ্ঞ আদালতকে লিখিতভাবে অবগত করেন। পরবর্তীতে ভারতীয় গরু পাচারের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এডিএম মোহাম্মদ রেজাউল করিম কথিত ৫ জিম্মাদারকে যেকোন মূল্যে ৯০টি গরু তাদের হেফাজতে পুনরায় সংগ্রহের নির্দেশ দিলে উক্ত জিম্মাদাররা দেশী বিদেশী আরো ৯০টি গরু সংগ্রহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,বিজিবি,কাস্টমস এর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা জিম্মাদারদের জিম্মায় নেয়া পূর্বের গরুর মধ্যে মাত্র ১৪টি ভারতীয় গরুর কোনরকম মিল পেলেও বাকী গরুগুলো পূর্বের আটককৃত ও জিম্মায় দেয়া গরুর সাথে মিলেনা বলে জানিয়েছেন এবং মতামত ব্যক্ত করেছেন। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,বিজিবির উপস্থাপন মতে ৯০টি গরুর মধ্যে পূর্বের গরুর সাথে মাত্র ১৪টি গরুর মিল পাওয়া গেছে মর্মে গত ২৮ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে আমি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।   ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার অভিযোগটি ধামাচাপা দিতে এবং বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহন করা হচ্ছে বলেও দুদকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন। গত ২৯ জুলাই কাস্টমস বরাবরে সাংবাদিকদের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ  সাংবাদিক হোসাইন মাহমুদ শাহীন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সদাশয় সরকারের ৭০ লক্ষ টাকা রাজস্বের ক্ষতিসাধন এবং কাস্টমস আইন অমান্য করে জিম্মদার নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু পাচারে সহায়তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এডিএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিযোগকারী সাংবাদিকবৃন্দ। জানা যায়,এডিএম রেজাউল করিম ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি সুনামগঞ্জে এডিসি হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী,এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে তার ব্যক্তিগত দহরম মহরম গড়ে উঠে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে থেকে হাঠবাজারের গরু বিক্রেতাদের সাথে গড়ে উঠে তার অন্যরকম সম্পর্ক।  ‎সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, ৯০টি গরু টাস্কফোর্স কমান্ডার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ৫ জনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে জানতে পেরেছে আমাদের আটককৃত গরুগুলো জিম্মাদারদের কাছে নেই।  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওই ঘটনার টাস্কফোর্স কমান্ডার মেহেদি হাসান হৃদয় ইতিপূর্বে সাংবাদিকদের বলেন,আমি বিজিবিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়ে গরুগুলো ৫ জনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। এগুলো রাখার এখতিয়ার আমাদের নেই। এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে শত শত গরু বিক্রেতা ও খামারী থাকার পরও দোয়ারাবাজারের সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীদের কাছে কার নির্দেশে জিম্মায় দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন,যে ম্যাজিস্ট্রেট গরুগুলো জিম্মায় দিয়েছেন এবং যে কর্মচারী কথিত জিম্মানামায় স্বাক্ষর করেছেন তাদের উভয়কেই বিজিবির হেডকোয়ার্টারে প্রেরণ করেছেন এডিএম রেজাউল করিম। সুতরাং জিম্মা নাটকের মাধ্যমে ভারতীয় গরু আড়াল করার ঘটনার দায় তিনি কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেননা।   কিন্ত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বরাবরই বলে এসেছেন,এটা কোর্টের বিষয় কোর্ট দেখবে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সুনামগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী কমিশনার গৌরব মহাজন ও বড়ছড়া কাস্টমস এর গোডাউন কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন,আমরা বারবার বলে আসছি ভারতীয় গরু নিলামের এখতিয়ার শুধুমাত্র কাস্টমস আইনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সের হাতেই ন্যস্ত রয়েছে। আমরা বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসন,বিজিবি,ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিলাম করার আইনগত অধিকার রাখি। ৩০ এপ্রিলের জব্দকৃত গরুগুলো ঐসময়ই নিলাম করার কথা। কিন্তু জেলা প্রশাসন কাস্টমস আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ না করায় ৪ মাস পরে নিলাম দেওয়ার কথা উঠেছে।  তাছাড়া পূর্বের ৯০টি ভারতীয় গরুর মধ্যে বর্তমানে আছে ১৪টি। বাকি ৭৬টি ভেজাল গরু সংগ্রহ করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় যারা গ্রহন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব সুনামগঞ্জবাসীকে নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পূর্বের জব্দকৃত ৯০ টি ভারতীয় গরুর মধ্যে যেখানে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট মতে ৭৬টি গরু এখনও বাস্তবে নেই সেই ৭৬টি গরুর দায়িত্ব কে নেবে ? এবং ৩০ এপ্রিলের পর ১লা মে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির হেডকোয়ার্টারে আমাদের নির্ধারিত ৭০ লক্ষ টাকা নিলামের সরকারী রাজস্ব মূল্য কে দেবে ? এরজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি ? এছাড়া বিজিবি হেডকোয়ার্টারে হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েও যেসব চোরাকারবারীদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি এমনকি আসামী করা হয়নি মামলার এজাহারে সেই ৫ জিম্মাদারের কবল থেকে ৭৬টি গরু উদ্ধারের কোনরকম প্রচেষ্টা কি আদৌ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেবে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে।  মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতের সামনে উপস্থিত আইনজীবী,সাংবাদিক,আইনজীবী সহকারী,নিলামে অংশ নেয়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা একবাক্যে বলেন,আজ আমরা যে গরুগুলো দেখলাম তার মধ্যে একটি গরু ও পূর্বের জব্দকৃত মোটাতাজা ভারতীয় গরু নয়। এগুলোর সবকটিই হচ্ছে স্থানীয় জাতের গরু। এর মধ্যে ৭৬টিই হচ্ছে ছোট বকনা বাছুর। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।

আগস্ট ২৭, ২০২৫ 0
ছাতকের রাজনপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে জায়গা দখল ও মোবাইলসহ নগদ দু”লাখ টাকা ছিনতাই আদালতে মামলা দায়ের

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কৈতক রাজনপুর গ্রামে এক নিরীহ ব্যাক্তির সাথে গ্রামের প্রতিপক্ষ আত্মীয় হলে ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়াতে গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি,জায়গা জমি ও বাড়ির সীমানা এবং ডুবা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে নগদ দু”লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই ও শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণে হত্যার হুমকিদাতা গংদের বিরুদ্ধে আমল গ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ই আগষ্ট রোজ বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে।  এই ঘটনায় গত ১৯ আগষ্ট রাজনপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে নিরীহ আব্দুর রহিম নিজে বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ হুমকিদাতা আলমাছ আলীর আলী আহমদ(৪০),স্বাধীন মিয়া,আহাদ মিয়ার ছেলে ইজাজুল মিয়া,আসদ আলীর ছেলে আব্দুল্লা,মারুফ মিয়ার ছেলে রহমত আলী,স্বাধীন মিয়ার স্ত্রী রুবেনা বেগমকে আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১১৪/৩২৩/৩০৭/৩৮২/৩৭৯/৫০৬ ও ৩৪ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন।  মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত গত ১৩ই আগষ্ট মামলার বাদি আব্দুর রহিমের মামাতো ভাই মৌলভীবাজারের শোয়েব মিয়া দুবাইয়ে অবস্থান করায় তার ফুফাতো ভাই মামলার বাদি আব্দুর রহিমকে দুবাইয়ের ভিসার প্রসেসিং করায় আব্দুর রহিম শান্তিগঞ্জ বাজারের পাশে তার বড়বোন মনোয়ারা বেগমের নিকট হতে দুইলাখ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসেন।  এমন খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ গ্রামের আলী আহমদ,স্বাধীন মিয়া ও তার স্ত্রী রুমেনা বেগম দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহিমের গতিরোধ করে গলায় দাঁড়ালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুইলাখ টাকা,ত্রিশহাজার টাকা দামের একটি এন্ডএজ মোবাইল ও পাচঁহাজার টাকা দামের বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকারীরা বাদি আব্দুর রহিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে রক্তাক্ত করে এবং যাওয়ার সময় এই ঘটনা নিয়ে কাউকে জানালে তোমার বাড়িঘর দখলসহ প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে বাদি আব্দুর রহিমের বসতভিটার দ্ইুহাত জায়গা  এবং চলাচলের রাস্তাটি র্যন্ত জোরপূর্বক দখল করে তাদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসবের প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নামাংঙ্খিত ব্যাক্তিরা প্রাণনাশের ও হুমকি দিত বলে উল্লেখ করা হয়।  এ ব্যাপারে মামলার বাদি আব্দুর রহিম জানান মৌলভীবাজারে আমার মামতো ভাই দুবাই প্রবাসী হওয়াতে  তিনি আমার জন্য ভিসার ব্যবস্থা করেন। আমি এমন খবর পেয়ে ভিসার টাকার জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আমার বড়বোনের বাড়ি হতে নগদ দু”লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ আলী আহমদ,স্বাধীন মিয়া ও তার সহধর্মিনী রুমেনা বেগম দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে আমার গতিরোধ করে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকাপয়সা ও দুটি মোবাইল ফোনে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে মারধোর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি দেয়। বর্তমনে আমি পরিচার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। অবিলম্বে এই সমস্ত ছিনতাইকারি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আমার টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট দাবি জানাই।  এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হামলাকারি আলী আহমদ ও স্বাধীন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা ছিনতাই ও হামলার ঘটনাটি অস্বীকার করেন।  এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল ইসলাম খাঁন জানান,আদালতে মামলা হলেও মামলার কপি হাতে আসেনি। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগস্ট ২৪, ২০২৫ 0
সুনামগঞ্জে ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী 'অভিযোজন এক্সপো' মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া

ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অভিযোজন এক্সপো মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  হয়েছে। আজ বুববার বিকেল সাড়ে ৪টায়  এনজিও সংস্থা ইরা- সিআরইএ প্রকল্পের আয়োজনে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনার বিষয় ছিল লিঙ্গ-সংবেদনশীল দূর্যোগ ঝুকি হ্রাস ও প্রস্তুতি। ইরা'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও এনটিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন  'মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন' এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আহসানুল ওয়াহেদ। প্রথমআলো স্টাফ রিপোর্টার অ্যাড. খলিল রহমান, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রুনা শাহিনারা লেইস, ইরা'র প্রধান উপদেষ্টা ফাহমিদা আক্তার, বাতিঘর সংগঠনের আবৃত্তি শিক্ষক তাজকিরা হক তাজিন। পরে বিকালে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইরা'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামান।  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। তিনি বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তন ও বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সবাইতে বেশী করে সচেতন হলে নিজেকে যেমন রক্ষা করা সম্ভব পাশাপাশি ছেলেমেয়ে গোবাদি পশুসহ সবকিছু এই বন্যার ঝুকি মোকাবেলা করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।  আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্েয এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট প্রদর্শন করায় সকল স্টল দায়িত্বশীলদের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ১৪টি স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অন্যান্য অতিথিরা।  অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ও ফতেহপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭০ জন উপকারভোগী অংশ নেন। 

আগস্ট ২১, ২০২৫ 0
সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালি,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপন

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালী, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠিত হয়।  মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  সমাবেশ স্থলে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংকর বনিক সুজিত।  পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন ও ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপন করা হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও এবং সুনামগঞ্জ ড্যাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ,সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া,লিয়াকত আলী, আনোয়ার আলম, মোজাহিদুল ইসলাম শিপলু সৈয়দ মোহাদ্দিস,বাহাউদ্দীন শাহী,মনসুর আহমদ, ওমর ফারুক, সামসুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য (দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত) দপ্তর সম্পাদক ছাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন আপু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য নুর জালাল মন্টি,এডভোকেট আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম আতাহার চৌধুরী শাহীন, মাসুম বিল্লাহ,আতহাব চৌধুরী হাসান,আসাদুজ্জামান সাগর,মাছুম বিল্লাহ,জুবায়ের আহমদ  সহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অধীনস্থ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা।  

আগস্ট ২০, ২০২৫ 0
তাহিরপুরে প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনার দাদন ব্যবসা ও মামলা হামলার হুমকিতে দিশেহারা সাংবাদিক ও তার ছোটভাই

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের দাদন ব্যবসার ভেড়াজালে পড়ে এবং মিথ্যা মামলা হামলার ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাহেব আলীর ছেলে সংবাদকর্মী শফিউল আলম ও তার আপন সহোদর হাবিজুল আলম।  এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় জানাযায় হাবিজুলের আপন বড়ভাই স্থানীয় সংবাদকর্মী শফিউল আলমের শ্বশুর জামালগঞ্জ উপজেলার তেলিয়া লামাপড়া গ্রামের বাসিন্দা আলিম উদ্দিনের একটি পাওয়ার টিলার জমি আবাদের জন্য পাঠনো হয় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামে। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জানতে পারেন দেনাদার হাবিজুল আলমের বড়ভাই সাংবাদিক শফিউল আলমের শ্বশুরের পাওয়ার টিলার রাজাই গ্রামে নেওয়া হয়েছে জমি চাষাবাদের জন্য। এই সুযোগে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম দলবল নিয়ে গত ২০২৩ সালের ৭ই আগষ্ট রাজাই গ্রামে গিয়ে এই পাওয়ার টিলারটি জোরপূর্বক নিয়ে আসার চেষ্টাকালে সাংবাদিক শফিউল আলম ৯৯৯ এই নম্বরে কল করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাওয়ার টিলারটি আর নিতে দেয়া হয়নি।  এই শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং তিনি আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রেহেনা বেগম ভূক্তভোগী চড়াসুদের দেনাদার হাবিজুল ও শামছুল আলম এবং শফিউল আলমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দামকী দিয়ে আসছিলেন। দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা মোছাঃ রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমের আপন ছোটভাই হাবিজুলকে দেড়লাখ টাকা চড়াসুদে দেওয়ার পর থেকে সুদে আসলে টাকা পরিশোধ করতে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতির কারণে সাংবাদিক শফিউল আলম ২০২৩ সালের ৯ই আগষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,২০২৩ ইং সালের ৬ মার্চ মাসে বিপদে পড়ে হাবিজুল আলম ঐ শিক্ষিকা দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের দারস্থ হন এবং চড়াসুদে দেড়লাখ টাকায় আরো ত্রিশহাজার টাকা মুনাফা দেয়ার অঙ্গীকার করে সুদে টাকা গ্রহন করেন। সময়মতো সুদ ৩০ হাজার টাকা প্ররিশোধ করলে ও আসলের একলাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কৃষক হাবিজুল আলমকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় সুদখোর রেহেনা। পরবর্তীতে দেনাদার হাবিজুল আলম ২০২৩ সালের ৯ আগষ্ট মোট টাকার মধ্যে চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে দাদন ব্যবসায়ী রেহেনা বেগমের বাড়িতে গেলে রেহেনা বেগম চল্লিশ হাজার টাকা রেখে ষ্ট্যাম্পে আর ৬০ টাকা বর্ধিত করে মোট দুইলাখ চল্লিশ হাজার টাকা দুয়েকদিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।এঘটনায় হাবিজুল আলম মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিক শফিউল আলম জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ বরাবর সুদখোর রেহেনার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফ থেকে তদন্ত করা হলে ও কোনধরনের সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে দাদন ব্যবসায়ী  রেহেনা বেগম রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও বড় ভাই শামছুল আলম এবং তার ছোট ভাই তফছিরুল আলম হাবিজুল আলমের বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে সুদের টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগে ও দায়ের কৃত মামলার লিখিত ভাষ্য ভিন্ন ভিন্ন দেখা যায়।  পরবর্তীতে তৎকালীন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সাংবাদিক শফিউল আলম ও হাবিজুল  আলমকে  ২০২৪ ইং সালের ১৫ মে পরিষদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন উভয়পক্ষই যথাসময়ে পরিষদে হাজির হন। সাংবাদিক শফিউল আলম উপস্থিত হয়ে এই টাকার সাথে তার ও তার আরও দুই ভাই শামছুল আলম ও তফছিরুল আলমের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন।ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে রেহেনার দায়ের করা অভিযোগ খারিজ হয় কিন্তু  কোনরকম সুরাহা হয়নি। এদিকে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সাংবাদিক শফিউল আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের জরুরী কাজে বাদাঘট বাজারে গেলে দাদন ব্যবসায়ী স্কুল শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ সে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করে দুই লাখ টাকা দাবি করে।তাদের সৃজনকৃত একটি লিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে নগদ ত্রিশহাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং সাংবাদিকের সোনালী ব্যাংক শাখার একটি চেক এ একলাখ ৭০ হাজার টাকা লিখে চেক রেখে তাকে ছেড়ে দেয়। এই চেক রাখার পর সাংবাদিককে শাসিয়ে দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী বলে দেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলার ও হুমকি দিয়ে দেন। এদিকে আহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিশ্বম্ভরপুর এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর থানায় সুদখোক শিক্ষিকা রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ১৮দিন পরে সুদখোর মহাজন রেহেনা বেগম ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বাদি হয়ে সাংবাদিক শফিউল আলম ও তার ছোটভাই হাবিজুল আলমের নিকট দুইলাখ টাকা পাবে এমন অভিযোগ এনে আমল গ্রহনকারী  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭০/২০২৪ইং তারিখ। এই মামলা থেকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাংবাদিক শফিউল আলমকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলাটি বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে এই মামলার পর সাংবাদিক শফিউল আলম সুদখোর মহাজন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে মামলা নং ১১৭/২৪ একটি মামলা দায়ের করেন।মাননীয় আদালত  মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কে।এ মামলার তদন্তে রেহেনার দাদন ব্যবসার বিষয় টি উঠে আসে।সি আর ১১৭/২৪  এই মামলার পরপরই রেহেনা বেগম সাংবাদিক শফিউল আলমকে আসামী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।  এদিকে সাংবাদিক শফিউল আলম বৃহস্পতিবার(১৪ই আগষ্ট ২০২৫) ইং তারিখে সুদখোর রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আরো পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে শিক্ষিকা রেহেনা বেগম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চড়াসুদে দাদন ব্যবসা করে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা আর তার চড়াসুদের ব্যবসায় ইতিমধ্যে অনেকগুলো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই এমন অভিযোগের কথা সাংবাদিকদের জানান।  এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী মোছাঃ রেহেনা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুদের ব্যবসার কথা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগস্ট ২০, ২০২৫ 0
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে ও সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে গণ-সমাবেশ ও মানববন্ধন
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে ও সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে গণ-সমাবেশ ও মানববন্ধন

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে গণ-সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন সুনামগঞ্জের আয়োজনে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার(ট্রাফিক পয়েন্টে) এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশগ্রহন করেন।  হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন সুনামগঞ্জের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ওবায়দুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমদের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন,জনউদ্যোগের আহবায়ক রামেন্দ্র কুমার দে মিন্টু,সুনামগঞ্জ জেলা সিপিবি”র সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার,পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি একেএম আবু নাছার,জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারন সম্পাদক এড. খলিল রহমান,জেলা উদীচীর সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এড.দিপংঙ্কর বণিক প্রমুখ। বক্তারা বলেন,প্রাকৃতিক সুন্দর্য্যে ও জীববৈচিত্রের লীলাভূমি সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর ও সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। এইসব সিলেট বিভাগের পরিপূর্ণ সম্পদ ভান্ডার ও পর্যটকদের বিনোদনের আকর্যনীয় স্থান। কিন্তু পটপরিবর্তেনর ফলে একশ্রেণীর দূর্নীতিবাজরা রয়েছেন যারা স্থানীয় প্রশাসনের কিছু দূর্নীতিবাজদের সহায়তায় গত দুই তিনমাসে এসব প্রাকৃতিক সম্পদ সাদাপাথর লুটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিলেন। এইসব দূর্নীতিবাজদের দ্রæত সময়ের মধ্য গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানান এবং সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের অপরিকল্পিত হাউসবোর্ডগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশী থাকলে ও অধিকমাত্রায় গানবাজনা ও বজ্র ফেলে দেয়ার কারণে জীববৈচিত্র,বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ,গাছপালা ও পশুপাখির নিরাপদ আভাসস্থল এই টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশকে বিনষ্ট করার কারণে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  সরকারের প্রতি দাবি জানান ।

আগস্ট ১৫, ২০২৫ 0
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে শালিসি ব্যাক্তি শামছুল হকের উপর চাঁদা দাবির মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আজ ২৮ জুলাই সোমবার ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে ০৩ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়নসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, নিজেকে মানুষ রুপে প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে বই পড়া। বই হতে পারে আমাদের সব থেকে বড় সঙ্গী। যার মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ মেধা বিকাশ ঘটে থাকে। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে প্রভেদ করতে পারি। তাই আমাদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক গল্পের বই পড়তে হবে, যা আমাদের সঠিক মানুষ হওয়ার পথ-প্রদর্শক হতে পারে। সমাপনী বক্তব্য ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বই আমাদের পরম বন্ধু। তাই আমাদের সকলকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। তাহলেই আমরা নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। এছাড়া ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ১৭ টি স্টলের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ করা হয়  

আগস্ট ৪, ২০২৫ 0
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আর্দশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আর্দশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আর্দশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শনিবার দুপুরে শহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ১২টি উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন।  হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সদস্য সুশান্ত বণিকের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এ্যাডভোকেট দীপংঙ্কর বণিক সুজিতের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক অশোক তালুকদার।  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ভাস্কর রায়,শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অজিত দাস,শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রনজিৎ সূত্রধর,শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রমাকান্ত দাস,জেলা যুবদলের সদস্য রামকৃষ্ণ তালুকদার সবুজ প্রমুখ।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২(দিরাই ও শাল্লা) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী অশোক তালুকদার বলেছেন,বিগত ফ্যাসিবাদি আওয়ামীলীগের আমলে জাতীয়তাবাদি দলের আর্দশের সৈনিক হওয়াতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারিনি। তিনি অবিলম্বে সময় কালক্ষেপন না করে দ্রæত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।

জুলাই ৩১, ২০২৫ 0
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে একাধিক দাগে ভূমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও ভূমিহীন সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫শে জুন এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জামালগঞ্জ উপজেলার বুতিয়ারপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার পুত্র গোলাপ মিয়া।  অভিযোগ সূত্রে জানা য়ায়, গত দুই যুগ পূর্বে সরকারি খাস ভূমিতে মাটি ভরাটসহ বনজঙ্গল পরিষ্কার করে বাড়িঘর তৈরী করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন গোলাপ মিয়াসহ আরো বেশ কিছু পরিবার।  তবে কিছু ভূমিখেকো কু-চক্রি মহলের লোক তাদের জমি-জামা থাকার পরেও ভূমিহীন সেজে এসব ভূমি বন্দোবস্ত হাসিল করে নেয়। এমনকি বর্তমানে তারা প্রতিনিয়িত অভিযোগকারীকে বাড়িঘর ছাড়তে ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছ্যেদে উঠে পড়ে লেগেছে তারা।  এমন অবস্থায় ভোক্তভোগী ওই নীরিহ পরিবারের লোকজন মাথা গোজার শেষ সম্ভলটুকু রক্ষায় নুরুল আমিনের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী জানান জেলা প্রশাসকের কাছে।  এ ব্যপারে জামালগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিব বলেন, নুরুল আমিন জীবিত থাকতে আমার বাপ-চাচাদের জমির উপরে বন্দোবস্ত দেখাইয়া একটি মামলা দায়ের করে। পরে আমরা কাগজপত্র দেখানোর পর আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার গংরা বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের খালসহ নীরিহ ১৫/২০টি পরিবারের উপর মামলা দায়ের করে। এখন তারা আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে উচ্ছ্যেদের পায়তারা করছে।  একই গ্রামের শামসুল হক বলেন, নুরুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার কোর্টে মুহুরিগিরী করে। তার বাবা ও মায়ের নামে বেশ কিছু ভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে নেয়। এখন নানা ভাবে মানুষকে মামলার ভয়ভীতি দেখায়। নানা ধরনের হুমকি-দামকি দিয়ে সুনামগঞ্জে আসলে মারধর করবে বলে হুশিয়ারি দেয়। তার এসব হুমকি-দামকি ও মামলার হাত থেকে বাঁচতে নিরীহ মানুষরা তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  এ ব্যপারে অভিযোগকারী গোলাপ মিয়া বলেন, আমরা বিগত ৩০ বছর পূর্বে সরকারী আইডব্লিউটি এর জায়গায় বসবাস করে আসছিলাম। তবে নদীভাঙ্গনের আমাদের এসব বসতভিটা বিলীন হওয়ার পরে আমার শশুরের দখলে থাকা জায়গার বনজঙ্গল পরিষ্কার করে মাটি ভরাটের মাধ্যমে বসতবাড়ি তৈরী করে বসবাস করে আসছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী প্রভাবশালী ও বহু জমির মালিক নুরুল আমিনের বন্দোবস্ত বাতিল করে আমরা নিরীহ ও অসহায় পরিবারের মানুষদের বসবাসের সুযোগ করে দিবেন।   এ ব্যপারে অভিযুক্ত নুরুল আমিনের পুত্র দেলোয়ার বলেন, আমার বাবা যখন ভূমিহীন ছিলেন তখন জমিগুলোর বন্দোবস্ত পান। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । উল্টো শামছু গংরা আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে এবং আমার কাছে চাঁদা দাবী করছে। আমি এ বিষয়ে আমি জামাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।  এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া বলেন, জামালগঞ্জে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এবং যেগুলো বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছিলো তার অনেকগুলোর বন্দোবস্ত আমরা বাতিল করেছি। এসব পক্রিয়ার সাথে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।   

জুলাই ৩১, ২০২৫ 0
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কোনোও সুযোগ নেই-সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ধর্ম উপদেষ্টা

সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ  ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।  আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন,  ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে।  সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং,  সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে।  আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু,  নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন,  তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।

মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া

“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”

স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন

স্বামীর অতিরিক্ত লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন ঘটনাটি ঘটে জিইসির মোর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসমাইল টাওয়ারের (২য়) তলায় তথ্য সুত্রে জানাযায়  গত ১৬/০৯/২০১৯ সালে সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ (৩৮) এর সাথে আবিদা তাসমিন (৩২) এর সঙ্গে  বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী কিছু বছর তাদের দাম্পত্য জীবন স্বভাবিক ছিল। কিন্তু ইসমাইল টাওয়ারের ফ্ল্যাট টি ছিল আবিদা তাসমিন (৩২) এর নামে। উক্ত ফ্ল্যাটটি তাহার স্বামির নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাসমিনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাসমিন  উক্ত ফ্লাটটি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও পারিবারিক কলহে লিপ্ত হইয়া তাসমিনকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতে লাগলো। তার স্বমীর এসব কর্মকান্ডে তাসমিন মানসিক ভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করিছিল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় তাসমিনকে হুমকি ও দিত। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখআনুমানিক  ০৭:০০ ঘটিকার সময় আবিদা তাসমিন (৩২) তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ এর সঙ্গে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ অনুমানিক  সন্ধ্যা ০৭:৩০ হতে অনুমান ০৭:৪০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ  বিল্ডিং এর নীচ থেকে লোকজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। শোরগোলের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বিল্ডিং এর নীচে গিয়ে দেখতে পাই আবিদা তাসমিন (৩২) রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিং এর মূল গেইটের সামনে রাস্তায় পরে আছে। তথ্য সুত্রে জনা যায় তাসমিন ৯ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নীচে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাসমিনকে প্রথমে চট্টগ্রাম চকবাজার থানাধীন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পার্কভিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাসনিমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ ১০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করেন। ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) এর মৃত্যুর কারণ Brought in Dead/Fall from height বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনা নিয়েঐ এলাকায়  চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে চকবাজার থানার একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় ঘাতক স্বামী মারুফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  তাই এলাকার জনগণের একটাই দাবি আর কত মেয়ে স্বামীর লোভের কারণে তার পথ বেছে নেবে তাই দ্রুত এই লোভী নরঘাতক পাষন্ড স্বামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রশাসনের কাছে  করার জন্য অনুরোধ জানান।  

শীর্ষ সপ্তাহ

মুসলিম বিশ্ব

হামাস জানাল ‘গ্যারান্টি’—গাজার যুদ্ধ শেষ; ইসরায়েল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি অনুমোদন

মুক্তধ্বনি ডেক্স অক্টোবর ১১, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে