কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে যেভাবে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে, আমি মনে করি এটা আমাকেও করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। সে যেই দলেরই হোক, বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা, এটা কাম্য নয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডলকে মোবাইল ফোনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা ও গালিগালাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আহমেদ আযম খানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম একথা বলেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের আয়োজনে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কমান্ডের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি আবু তালেব মিয়াসহ অন্যরা। এ সময় বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন সেটা কোনো ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে না। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাকে সমগ্র জাতি ও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একই সঙ্গে দল থেকে তার মনোনয়ন বাতিল ও বহিষ্কারের দাবিও জানান মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টেলকি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকুলের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৭) এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রাকিব (২৫)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলটি মধুপুর বনাঞ্চলের টেলকি রসুলপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরানুল কবির জানান, নিহতরা মধুপুর বনে বেড়াতে এসেছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা নিহত দুই যুবকের স্বপ্ন থেমে গেল মুহূর্তে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটে গেল হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই তরুণ। মুহূর্তেই নিভে গেল দুটি সম্ভাবনাময় জীবনের প্রদীপ। নিহত দুইজন হলেন—ঘাটাইল উপজেলার পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকুলের ছেলে মো. ইয়াসিন হোসেন (২৭) এবং বরিশাল জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার মো. রাকিব (২৫)। পরিবার ও স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, ভেঙে পড়েছে দুই পরিবারই। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলটি মধুপুর বনাঞ্চলের টেলকি রসুলপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি শক্ত পিলারের সঙ্গে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে গিয়ে অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরানুল কবির বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ অরণখোলা ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একদিকে ঘাটাইলের পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রামে, অন্যদিকে বরিশালের চর ফ্যাশনের জনপদে নেমেছে গভীর শোক। তরুণ দুইজনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার ও স্বজনরা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে কিছুক্ষণ আগেও হাসিমুখে থাকা দুই তরুণ এমন করেই চলে গেলেন চিরতরে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, টেলকি সাইনবোর্ড রসুলপুর মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত গতিনিরোধক ও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপনের দাবি জানান। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়কে আতঙ্ক বিরাজ করে। যান চলাচলও কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
২০০৭ সালে মধুপুর পুরাতন তিন তলা উপজেলা পরিষদের ভবনের ছাদে ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটির গোলাকৃতি টাওয়ার স্থাপন করা হয় কিন্তু বর্তমানে এটি অচল অবস্থায় আছে। মধুপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় "মেশিনটি স্থাপনের কয়েক বছরের মধ্যেই মেশিনটিতে আগুন ধরে এবং তারপর থেকে মেশিনটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়"। বর্তমানে মেশিনটি অংশবিশেষ মধুপুর পুরাতন উপজেলা পরিষদ ভবনের লাইব্রেরির একটি কোণে জরাজীর্ণ অংশবিশেষ পড়ে আছে। ভূমিকম্প বিশ্লেষকদের মতে, মধুপুর অঞ্চলে যে ভূমিকম্প ফল্ট টি রয়েছে সেটিতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক অবকাঠামো ধসে পড়বে এবং বিপুল পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটবে। তাছাড়াও এ অঞ্চলের ভূমিকম্প ফল্টটি আঘাত হানলে আশেপাশের অঞ্চলগুলো বিশেষ করে ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হবে। ভূমিকম্পন প্রবল এ অঞ্চলের সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে যেটি খুবই দুঃখজনক এবং এর ফলেএ অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে ভূমিকম্পের সঠিক পরিমাপ টি গণনা করা যাবেনা। বিগত দুইদিন যাবত ছোট ছোট মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানছে এটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবজাগরণ শিশুদের জন্য প্লেগ্রাউন্ড কর্মসূচীর অগ্রগতি পরিদর্শন ও উদ্বোধন করেন। আজ ২৩/১১/২০২৫ তারিখ জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে গৃহীত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেগ্রাউন্ড কর্মসূচী পরিদর্শন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। পরিদর্শনকালে তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের বাগবাড়ী চৌবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্লেগ্রাউন্ড উদ্বোধন করেন। এছাড়াও পরিদর্শনকালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। উন্নত শিক্ষা পরিবেশ গঠনে জোর দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা টাঙ্গাইলে প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য গৃহীত প্লেগ্রাউন্ড কর্মসূচীর বাস্তবায়ন অগ্রগতি যাচাই করতে আজ ২৩ নভেম্বর ২০২৫ টাঙ্গাইলে সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল-এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত এই প্লেগ্রাউন্ড উদ্যোগটি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের বাগবাড়ী চৌবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্লেগ্রাউন্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের জন্য এমন আধুনিক ও নিরাপদ খেলার মাঠ নির্মাণকে তিনি দেশের প্রাথমিক শিক্ষাখাতে এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলার মাঠে নতুন স্থাপিত দোলনা, স্লাইড, ব্যালেন্স বারসহ বিভিন্ন আধুনিক সুবিধা পরিদর্শন করে উপদেষ্টা বলেন— “শিক্ষার মানোন্নয়নে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম। শিশুরা খেলাধুলার মধ্য দিয়েই শিখতে, বেড়ে উঠতে এবং সুস্থ চরিত্র গঠন করতে পারে। এই উদ্যোগ দেশের সকল অঞ্চলে বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা আরও গতিশীল হবে।” পরিদর্শন শেষে তিনি অংশ নেন প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায়, যেখানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় তিনি শিক্ষকদের প্রতি কয়েকটি দিকনির্দেশনা প্রদান করেন— বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা শিক্ষকদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান প্রশিক্ষণ দেওয়া শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাদান পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করা তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলে শুরু হওয়া এই প্লেগ্রাউন্ড কর্মসূচী দেশের অন্যান্য জেলায়ও সম্প্রসারণ করা হলে প্রাথমিক শিক্ষা খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল জানান, শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে আরও বেশ কিছু বিদ্যালয়ে এ ধরনের প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণের কাজ চলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ, সবল ও সৃষ্টিশীল হিসেবে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মণ্ডলকে মারধর করার হুমকি এবং আপত্তিকর ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায়। তিনি ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল জানান, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আহমেদ আযম খান তাঁকে ফোন করেন। তাঁদের কথোপকথন হয় ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। সেই কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, আহমেদ আযম খান আমাকে ফোন করে গালাগাল করেছেন। পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তার হুবহু রেকর্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই অডিওতে বিএনপির মনোনিত এমপি প্রার্থী আহমেদ আযম খান বলেন, আপনি আমার নির্বাচনী এলাকায় কমিটি করবেন, আর আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না? আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সিএস আরএস কী। আপনি আমার নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করবেন, এটা করতে দেওয়া হবে না। খামোশ। আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না। কীভাবে আপনি বাসাইল আসেন, দেখব। ফাজিলের বাচ্চা। তিনি আরও বলেন, আপনি কি একা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? আর কেউ করে নাই? ফাইজলামি পাইছেন। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পকেটে নিয়ে আইসেন। মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি হয়ে দুর্নীতি করছেন। টাকার লোভে পাইছে। টাকার লোভ আপনাকে খাইয়ে দেব, আপনার পিঠের চামড়া থাকবে না, একেবারে খাইয়ে দেব। ফাজিলের বাচ্চা, তোর সাথে আবার কিসের শ্লালিনতা রে, আমি তোকে দেখব। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তবে কোনো হুমকি দিইনি। অডিওতে এআই ব্যবহার করে অন্য রকম করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি চক্রান্ত করছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সখীপুর-বাসাইল আমার নির্বাচনী এলাকা। খালেক মণ্ডল আমার সঙ্গে কথা না বলে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজনকে দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছেন। তাঁরা আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও আমার ইমেজ নষ্ট করতে অডিও এডিট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি অপেক্ষা করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মণ্ডল বলেন, ওই অডিও স্পষ্ট। এখানে কোনো এআই ব্যবহার করা হয়নি। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানায় অনলাইনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে তাঁকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের হামকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আরশেদ শেখ, তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আরশেদ আলীর সঙ্গে ছেলে আসলাম শেখের প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই থাকতো। পারিবারিক কলহের জের ধরেই শনিবার বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে আসলাম শেখ বাঁশের লাঠি দিয়ে আরশেদ শেখের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই আসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, আসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর-২০২৫ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্ব ও আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে। শনিবার সকাল থেকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে এ সভা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার—বিস্তৃত আলোচনা সভায় প্রথমেই নভেম্বর মাসে জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ, মামলা রুজু, তদন্ত অগ্রগতি এবং অপরাধ দমনে পুলিশের অর্জন তুলে ধরা হয়। মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন অপরাধী চক্র শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশের সাম্প্রতিক সফলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও নতুন কৌশলে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। বিট পুলিশিং, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল—কঠোর নির্দেশনা সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এলাকা ভিত্তিক পুলিশিং জোরদার করে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের ক্ষেত্রে যেসব থানা পিছিয়ে রয়েছে তাদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয় এবং দ্রুততম সময়ে পরোয়ানা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্পর্শকাতর মামলা, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সাইবার মনিটরিংয়ে গুরুত্বারোপ সভায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়। পুলিশ সুপার নির্দেশনায় বলেন, এসব মামলার তদন্তে গতি আনতে হবে, যাতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে পারে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, অপরাধ প্রবণতা বিশ্লেষণ এবং অপরাধীদের গতিবিধি নজরদারি আরও জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের কার্যক্রম উন্নত করে অনলাইন প্রতারণা, চাঁদাবাজি, মানহানি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক অপরাধ দমনে বাড়তি নজরদারির কথাও সভায় উল্লেখ করা হয়। দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও সততা—পুলিশ সুপারের আহ্বান সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে হলে পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করতে হবে এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ, বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তা, ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিরা এবং গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা। সভার মাধ্যমে নভেম্বর মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি মূল্যায়নের পাশাপাশি ডিসেম্বর ও আগামীর কার্যক্রমের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা গ্রহণ করা হয়।টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর/২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল মহোদয়ের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের সম্মেলন কক্ষে নভেম্বর/২০২৫ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার, সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয়, জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিতকরণে সকলকে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বালুমহাল নিয়ে সাংবাদিকদের অপব্যাখ্যা "টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলায় চল্লিশটি অবৈধ বালু মহাল গড়ে উঠেছে এবং এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে" বলে স্থানীয় তথাকথিত কিছু সাংবাদিক বেশ কিছু দিন যাবত সংবাদ প্রচার করে আসছে। কালিহাতী উপজেলার পৌলি ভাবলা, সল্লা, সল্লা চরপাড়া , ধলাটেংগার, জোকারচর, বিনোদ লুহুরিয়া, সরাতৈল এলাকার বালু ঘাট পরিচালনাকারি ব্যবসায়ীরা জানান, "যে আমরা সিরাজগঞ্জের বৈধ বালু মহাল থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বালু ক্রয় করে বিক্রি করি কেননা, আমাদের কালিহাতীতে তথা টাঙ্গাইল জেলায় কোনো বৈধ বালু মহাল নেই তাহলে, আমাদের এ ব্যবসা কিভাবে অবৈধ হয়? যারা এ বিষয়ে খবর প্রচারণা করে আসছে তাদের সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন" । তারা আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় সাংবাদিক নাম ধারী কিছু ব্যক্তি তাদের কাছে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে যায় । এ বিষয়ে কালিহাতি উপজেলার যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকার 'মন্ডল বাড়ি' বালুর ঘাটের পরিচালনাকারী বালু ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন তালুকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল মুক্তধ্বনি ডটকমকে জানান," আমরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করিনা আমরা সিরাজগঞ্জের বৈধ বালু মহাল থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বালু ক্রয় করে যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্তে বালুর-ঘাট পরিচালনা করি আমাদের এ বালুর ঘাট সরকার অনুমোদিত ও বৈধ বালুরঘাট এর ফলে সরকার কোনো রাজস্ব হারাচ্ছে না এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ ও জনগণের অবকাঠামো গত উন্নয়নে এ বালু ব্যাবহার হচ্ছে"। আমরা দীর্ঘদিন যাবত বৈধ লাইসেন্স ও " বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০" অনুযায়ী এ অঞ্চলে বালুরঘাট পরিচালনা করে আসছি। তবে বিগত কিছুদিন যাবত টাঙ্গাইলের তথাকথিত কিছু সাংবাদিকগণ ইমরান হোসেন তালুকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডলের বৈধ বালুর ব্যবসা নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইমরান হোসেন তালুকদার আরো উল্লেখ করেন ," আমরা কোনো আওয়ামীলীগ নেতার বালুর ঘাট দখল করে ব্যবসা করছি না নিজেদের লাইসেন্স দিয়ে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করছি এবং আমরা শঙ্কিত কেননা,নানা সময় সাংবাদিক নাম ধারী কিছু ব্যক্তি এসে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে কারণ, আমরা তাদেরকে আর্থিক সেবা করতে পারিনা আমি (ইমরান হোসেন তালুকদার) কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এবং বর্তমানেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কালিহাতী উপজেলার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আমাকে রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল সাংবাদিকদের দিয়ে এ সকল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে"। এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান তিনি "এ অঞ্চলের বালুর ঘাট গুলোতে কিছুদিন পরপরই অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং এখন পর্যন্ত পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ এমন কোনো বিষয় চোখে পড়েনি তবে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ কোন বিষয় চোখে পড়লে তার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। স্থানীয় জনগণ এ বিষয়ে জানান যে," এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বালু ব্যবসায়ীরা বালুরঘাট পরিচালনা করে আসছে এতে করে বহু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে" ।
সাজিদ পিয়াল:ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে টাঙ্গাইল পৌর সড়ক, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। টাঙ্গাইল শহরের সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে উপ-সড়ক—সবখানেই দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে এসব রিকশার দাপট দেখা যায়। যত্রতত্র দাঁড়ানো, নিয়ম না মেনে রাস্তা দখল করে চলা, ফুটপাত দখল করে রাখা—সব মিলিয়ে যেন এক অনিয়ন্ত্রিত রিকশা নগরীতে রূপ নিয়েছে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা। এতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলকারীরা। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ শহীদ জগৎজ্যোতি সড়ক, নিরালা মোড়, আদালত চত্বর, আকুর টাকুর পাড়া, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকা—প্রায় সব সড়কেই ব্যাটারিচালিত রিকশার ভিড় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সংকীর্ণ সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও মাঝ রাস্তায় যাত্রী ওঠানামার কারণে সামান্য যানজটই মুহূর্তে দীর্ঘ লাইনে পরিণত হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপন বাহিনীর গাড়িও রিকশার ভিড়ে আটকে যাচ্ছে। এতে রোগী পরিবহনে দেরি এবং প্রয়োজনীয় সময়ে জরুরি কাজে যেতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এসব সেবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব রিকশার অধিকাংশই কোনো ধরনের নিবন্ধন বা অনুমোদন ছাড়াই চলছে। চালকদের অনেকেই ন্যূনতম ট্রাফিক নিয়ম জানেন না, সড়ক ব্যবহারের প্রাথমিক ধারণাও নেই। ফলে তারা ইচ্ছেমতো সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে বা হঠাৎ করে ঘুরে যায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাটারিচালিত রিকশায় নেই হেডলাইট, ব্যাকলাইট বা সাইড সিগন্যাল। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাস্তায় এসব রিকশার বেপরোয়া চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অনেক রিকশায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলা ও বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় আশঙ্কা আরও বাড়ছে। পথচারীরা জানায়, শহরের বেশির ভাগ ফুটপাত রিকশা রাখার স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হচ্ছে। এতে pedestrian safety মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তা দিয়ে হাঁটা এখন দুঃস্বপ্ন। যে দিকে তাকাই কেবল রিকশা আর রিকশা। ট্রাফিক পুলিশও খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারে না।” টাঙ্গাইল পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তারা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শিগগিরই এসব যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া, স্টিকার ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট রুট ও স্টপেজ চিহ্নিতকরণ এবং চালকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ নয়, তবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত জরুরি। নীতিমালা তৈরি হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।” সাধারণ মানুষের দাবি—রিকশার জন্য আলাদা স্টপেজ নির্ধারণ, অনিয়ন্ত্রিত রিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান, ফুটপাত দখলমুক্ত করা এবং চালকদের নিয়ম মানার বিষয়ে কড়া নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। নগরবাসী মনে করেন, যথাযথ তদারকি ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে সৃষ্ট যানজট, বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে এবং টাঙ্গাইল শহরও ফিরে পাবে স্বস্তির ধারা।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প, রাজধানীসহ আশপাশে অনুভূত কম্পন ২২ নভেম্বর ২০২৫, নরসিংদীর মাধবদীতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো এই কম্পন জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সাভারের বাইপাইল এলাকায় ভূমিকম্পটি রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটি খুব গভীর না হলেও হালকা দুলুনি কয়েকটি স্থানে অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি একটি মাইনর ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। ভূকম্পনটির স্থায়ীত্ব খুব বেশি না হলেও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ভূমিকম্পের কারণে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই কম্পনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক দোলন অনুভূত হয়। দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশে একের পর এক ভূমিকম্পে সাধারণ মানুষ যেমন আতঙ্কে রয়েছে, তেমনি বিশেষজ্ঞরাও ভূকম্পন প্রবণতার বাড়তি ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভবন কাঠামোয় নিয়ম মেনে নির্মাণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
টাঙ্গাইল পৌর শহরের ব্যস্ততম বটতলা–বেবিস্ট্যান্ড সড়কে অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কারপেটিং কাজ শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি, গর্ত আর বারবারের অস্থায়ী মেরামতের কারণে এই সড়ককে শহরের ‘সবচেয়ে ভোগান্তিপূর্ণ’ রুটগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এবার স্থায়ীভাবে কারপেটিং করার উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই সড়কে সর্বশেষ বড় ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সড়কের অংশবিশেষ ভেঙে গেলে সাময়িকভাবে প্যাচওয়ার্ক, ইট-ঢালাই অথবা সরু অংশ কার্পেট বসিয়ে মেরামত করা হতো। কিন্তু এসব কাজ ছিল তড়িঘড়ি করা ও অস্থায়ী। কয়েক মাসের মধ্যে আবার একই জায়গায় গর্ত তৈরি হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতো। বর্ষা মৌসুমে পানি জমে সড়কটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠত। এ অবস্থায় পৌরসভা এবার সম্পূর্ণ সড়কজুড়ে মানসম্মত বিটুমিন দিয়ে কারপেটিংয়ের কাজ শুরু করেছে। কাজ শুরুর পর থেকেই ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পথচারীরা আশা করছেন—দীর্ঘদিনের ঝামেলা অবশেষে কাটবে। পার্ক বাজার এলাকার ব্যবসায়ী শাহরিয়ার ইসলাম সাদ বলেন, “প্রতি বছরই সামান্য মেরামত করত, কিন্তু দুই-তিন মাস যেত না আবার একই অবস্থা। এবার পুরো রাস্তা কারপেটিং করলে সমস্যা কমবে আশা করি এবং আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি তাদের পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে"। পৌরসভার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, আগের মেরামতগুলো ছিল জরুরি ও স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা। এবার পরিকল্পিতভাবে পুরো সড়কের ভিত্তি পরীক্ষা করে টেকসই কারপেটিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থার কিছু জায়গা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধনও করা হবে বলে জানানো হয়। সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ হলে বটতলা থেকে বেবিস্ট্যান্ড পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং শহরের সেই অংশে দীর্ঘমেয়াদে আর মেরামতের প্রয়োজন হবে না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টাঙ্গাইল পৌরসভা আধুনিক হলেও ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ নিয়ে প্রবেশ করতে হয় জেলা শহরে। ১৩৮ বছরের পুরানো এই পৌরসভায় এখন পর্যন্ত গড়ে উঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরে প্রবেশের তিনটি পথেই রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ময়লার দুর্গন্ধে নাক চেপে শহরে ঢুকতে হয়। এই দুর্গন্ধ দিয়েই যেন স্বাগত জানানো হয় শহরবাসী ও শহরে আগত অতিথিদের। পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের রাবনা বাইপাসের পাশেই ফেলা হচ্ছে শহরের সকল ময়লা আবর্জনা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৬টি উপজেলার লোকজনসহ জেলা থেকে ঢাকামুখি ও বিভিন্ন জেলায় মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও ময়লার ভাগারের পাশেই রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। শহরের ময়লা আবর্জনা অন্যত্র ফেলার জন্য বার বার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নিয়ে হচ্ছে না তারা। পৌরসভা সূত্র জানা যায়, বিগত ১৮৮৭ সালের (১ জুলাই) টাঙ্গাইল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভা। বিগত ২০২২ সালের আদম শুমারীর তথ্যতে বলা হয়েছে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৯২ জন লোকের বসবাস। ১৩৮ বছরের পুরনো এই পৌরসভায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা তো দূরের কথা, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট ভাগাড় নির্মাণ হয়নি আজও। শহরের সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরে প্রবেশের বিভিন্ন সড়কের পাশে। বিগত ৯/১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শহরের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে উত্তর দিক দিয়ে শহরের প্রবেশমুখে রাবনা এলাকার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে। আর দক্ষিণ অংশের ময়লা ফেলা হচ্ছে শহরের আরেক প্রবেশমুখ কাগমারি বেবিস্ট্যান্ড এলাকায়। এছাড়াও শহরের আশেকপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা ফেলা হলেও লোকজনদের চাপের মুখে তা বন্ধ রয়েছে। শুধু ময়লাই নয় মৃত জীবজন্তু, গরু-ছাগল, কুকুরও এই ময়লা আবর্জনার সঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এতে করে দুর্গন্ধে ওই এলাকায় দাঁড়ানো যায় না। বাসাবাড়িতে বসবাস করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে, প্রায়ই আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ধোঁয়া ও গন্ধে আশপাশের ঘরবাড়ি ও দোকানদারদের পোহাতে হয় চরম কষ্ট। একই চিত্র দেখা যায় বেবিস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে আবর্জনার ভাগাড় অতিক্রম করে দক্ষিণাংশের মানুষকে মূল শহরে ঢুকতে হয়। বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমএম আলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের। স্থানীয়বাসিন্দা শাহিনা বেগম বলেন, এই ময়লার গন্ধে আমাদের পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ময়লার গন্ধে বসবাস করাই আমাদের দায় হয়ে গেছে। মাসুদ মিয়া বলেন, এই ময়লার গন্ধে আমার বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া পাই না। দুগন্ধে নিজেরাও থাকতে পারি না। নিজের বাড়ি ফেলে যেতে পারি না, তাই কষ্ট হলেও বসবাস করছি। শিক্ষার্থী কফিল ইসলাম বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন আমি কলেজ বাসে উঠি। ময়লার দুগন্ধে দুই মিনিটও দাড়িয়ে থাকতে পারি না। আমার দাবি পৌরসভা খুব দ্রুত এই ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নিবে। পরিবেশবিদ সোমনাথ লাহিরী বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা পরিবেশ আইন অনুযায়ি আইন পরিপন্থি কাজ। টাঙ্গাইল পৌরসভার যে পরিমান ময়লা খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে এতে প্রচুর পরিমান মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক। যে কোন সময় মানুষ মেরে ফেলতে পারে এই গ্যাস। এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে বার বার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করলেও তার স্বদোত্তর পাইনি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান, পৌরসভার পক্ষকে থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভাকে নির্ধারিত জায়গা দেয়ার জন্য প্রস্তাব রেখেছি। আমরা নতুন জায়গা পেলে সেখানে ময়লা রি-সাইকেল করতে পারবো। এতে আমাদের পৌরসভার পরিবেশ সুন্দর হবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে, টাঙ্গাইল সদর থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. বিপুল ইসলাম তাঁর কর্মদক্ষতা ও সততা স্বীকৃতি স্বরূপ অক্টোবর ২০২৫ মাসের টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন। জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসেবায় তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য তিনি এই সম্মাননা লাভ করেন। জেলার মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণ সভায় আজ বিপুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা জানানো হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাসিক সভায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এএসআই মো. বিপুল ইসলামকে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে তেল,চিনি,চাল, ডাল, লবণ ও মসলা মোট ১৫ কেজি করে জনপ্রতি বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২০নভেম্বর) সকালে মধুপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে এ খাবার বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন-মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা জুবায়ের হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজীব আল-রানা। এসময় মধুপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সুমি, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও আইসিটি কর্মকর্তা আবরারুল হক শিমুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মধুপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজীব আল-রানা জানান, দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার দুস্থ ২শ৬২ জন মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদকসহ নানা অপরাধ নির্মূলে সদা সর্বদা তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ। ধনবাড়ী উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটি ও উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার অনুষ্ঠানে তিনি এসবকথা বলেন। বৃহস্পতিবার(২০ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদের এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: উত্তম কুমার সরকার, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ এম আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধনবাড়ী উপজেলা শাখার আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফা হোসাইন, প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: বিল্পব কুমার পাল, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান মাসুদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ও ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সহ সভাপতি সৈয়দ সাজন আহমেদ ও সরকারী ধনবাড়ী আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল বারীসহ সহ অন্যান্যরা। বক্তারা সভায় ধনবাড়ী উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, বখাটে, চুরি-ছিনতাই, ঘুষ কারবারি বন্ধ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মাভাবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে “নবীন উৎসব ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন” শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টা থেকে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির টাঙ্গাইল শহর শাখা সাবেক সভাপতি ও টাংগাইল সদর-৫ আসনে জামায়াত ইসলামির এমপি প্রার্থী আহসান হাবিব মাসুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের জিএস মাজহারুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাভাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের কর্মী-সমর্থক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্নস্থানে প্রদক্ষণিক করে বিএনপির অফিসে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় মধুপুর বিএনপি সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, ধনবাড়ি উপজেলা সভাপতি আজিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল মোতালেব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল ১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পরিবর্তনের নাম করে দাবিতে গতকাল বুধবার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিক্ষোভ করছিলো মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মী ও শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে মোহাম্মদ আলী সমর্থকরা হামলা করে। এসময় দুটি ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। আমরা এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করছি। একই সাথে ঘটনার জড়িত সবাইকে বহিষ্কারের দাবি করেছি। এছাড়া মোহাম্মদ আলী লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
টাঙ্গাইল সদরে প্রান্তিক কৃষাণীদের মাঝে সবজির বীজ বিতরণ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রান্তিক কৃষাণীদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে শীতকালীন সবজির উন্নতমানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার নগরজলফৈ এলাকায় ব্রাকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী [নাম], উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা [নাম], স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি এবং নারী উন্নয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার ও উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষাণীদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। তিনি আরও বলেন, “নারী কৃষকেরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের হাতে উন্নত জাতের বীজ পৌঁছে দিলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টি ও আয়ের পথও উন্মুক্ত হবে।” ব্রাক কর্মকর্তারা জানান, কৃষাণীরা যেন ঘরে বসেই শাকসবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারেন—এ লক্ষ্যেই এই বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। বীজের পাশাপাশি কৃষাণীদের মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে বলে তারা জানান। অনুষ্ঠান শেষে প্রায় প্রান্তিক কৃষাণীর হাতে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শশা, করলা, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির উচ্চফলনশীল জাতের বীজ প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। বীজ পেয়ে কৃষাণীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সময়ে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় তারা নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন। এ ধরনের সহায়তা তাদের উৎপাদন বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে এবং সংসারের আর্থিক সঙ্কট কিছুটা লাঘব করবে। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় কৃষাণীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নারী কৃষকদের স্বনির্ভরতার পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিল বলে আয়োজকরা মন্তব্য করেন।
কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব,মতিউল আলম তালুকদার বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বরের স্কাই-ভিউ রেস্টুরেন্টে একটি সংবাদ সম্মেলনে করেন। মতিউল আলম তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন,“ গত ১৮ তারিখে বল্লভবাড়ী এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিরা মাহফিলে অংশ নেন। একটি মহলের লোকজন তার আমার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপব্যাখ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।”তিনি ৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন থেকে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বিগত ১৭ বছর তিনি জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দলের ভেতরে থাকা কতিপয় কিছু লোক তার ক্লিন ইমেজ কে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজগুলো করে যাচ্ছেনতাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে এই কাজগুলো করে বেড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। এ সময় তার ছোট ভাই পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম( ইউকের)সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও নেতা- কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ,মতিউল আলম তালুকদার ২০১১ সালে নবগঠিত গোহালিয়া বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে, ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৎকালীন প্রশাসন এর মাধ্যমে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল কোর্ট মসজিদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান সানু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম ঝলক, সদস্য সচিব সালেহ মোহাম্মদ সাফি ইথেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমএ বাতেন, সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আমিনুর রহমান সুমন প্রমুখ। এ সময় বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”