১৩৩, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত প্রার্থী , বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন এর নির্বাচনী কর্মী সভার আয়োজন করে হয় এলেঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি উক্ত নির্বাচনী কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র সাফি খান, কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক হিরু, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউল আলম তালুকদার, পর্তুগাল বিএনপির আহ্বায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকের) সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহি খন্দকার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও যুবদল নেতা শেখ আমিনুর ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও যুবদল নেতা ইমরান হোসেন তালুকদার,রফিক, শরীফ, আরিফ, আল আমিন সহ ছাত্রদল , যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত নির্বাচনী কর্মী সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন : ৪কোটি তরুণ ভোটার, তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে বাস্তবতা বিবেচনা করে, আমরা আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফায় আস্বস্ত হয়ে তরুণ ভোটারগণ ধানের শীষে ভোট দিবেন। কালিহাতীর তরুণ ভোটারগণ অবশ্যই ধানের শীষের প্রার্থী জনাব লুৎফর রহমান মতিন কে ভোট দিবে, কারণ লুৎফর রহমান মতিন তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিবেন, একই সাথে তিনি এই কালিহাতীর নারী শিক্ষার অগ্রদূত।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের আয়োজনে গোড়াই ইউনিয়নের শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব এবং বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান। এ সময় তাদের অনুসারী, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকা ঘুরে গোড়াই ফ্লাইওভারের নিচে এসে সমাবেশ করেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসীন হলের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব ছাড়াও বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর মৃধা, লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি, বিএনপি নেতা খন্দকার মোবারক হোসেন, ছোরহাব হোসেন মাহবুব শিকদার, সেতু হায়দার খান, আলী আযম খান উথান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জানা গেছে, গত (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনসহ দেশের ২৩৭টি সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকায় টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে মনোনয়ন পান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, ওই ঘোষণার পর থেকেই দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসীন হলের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাবের অনুসারীরা মনোনয়নটি বাতিলের দাবিতে এর আগে একাধিক কর্মসূচি পালন করেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের বক্তব্য: বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মাহফিলটি ধর্মীয় আবহ ও উপদেশপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফর রহমান মতিন বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা একটি জাতিকে নৈতিক, মানবিক ও আলোচিত পথে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কুরআনের হাফেজ হয়ে সমাজে আলোর পথ দেখাবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি আরও বলেন যে, মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ভবিষ্যতের সকল প্রকল্পে তিনি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবেন। বল্লভ বাড়ি কবরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মাদ্রাসার বিভিন্ন চাহিদা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রধান অতিথিকে অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনাব মতিন প্রতিটি বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, “মাদ্রাসার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করা হবে।” ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, মাদ্রাসার ছাত্র, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা ইসলামি আদর্শ, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতার গুরুত্বসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, জনাব লুৎফর রহমান মতিনের উপস্থিতি মাদ্রাসার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁর সহযোগিতার আশ্বাস ভবিষ্যতে মাদ্রাসার উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, মাদ্রাসার সমৃদ্ধি এবং সকল অতিথির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে : ভিপি নূর আজ সোমবার টাঙ্গাইলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। টাঙ্গাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ সোমবার টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুর বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন হারালেও দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের সাধারণ নেতাকর্মী রয়েছেন, যারা কেবল পরিস্থিতির কারণে দলটির সঙ্গে ছিলেন এবং কাউকে নির্যাতন করেননি। বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান এদের রাজনীতিতে জায়গা করে দিন। তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশে বিলাসী জীবনযাপনকারী কিছু ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে ককটেল ফাটানো ও নাশকতার উস্কানি দিচ্ছে। এ ধরনের কথাবার্তায় কর্ণপাত না করার আহ্বান জানান তিনি। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারেনি। একইভাবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আগামী ৪১ বছর দলটি রাজনীতিতে দাঁড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান নুর।
সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওয়াকার্স পার্টির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত । বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা। সোমবার অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণমানুষের অধিকার এবং শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে সংগঠনের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখা কর্তৃক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে অদূর ভবিষ্যতে আবারও গণঅভ্যুত্থান অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে আইসিটি ট্রাইব্যুনালের রায় প্রমাণ করেছে স্বৈরশাসকেরাও আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। 'গণঅভ্যুত্থান-২৪ পরবর্তীতে বর্তমানেও বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীর প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সাইফুর রহমান রেজা মামুন এবং সঞ্চালনা করেন আওয়াল মাহমুদ। এর আগে পার্টির নেতৃবৃন্দ মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল রেজা মামুন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়াল মাহমুদমওলানা ভাসানীর সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক হীনমন্যতার কারণে এখানকার সরকার ও শাসকগোষ্ঠী মওলানাকে উপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারেনি।’ মওলানা ভাসানীকে দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘যতদিন শোষণ আর বৈষম্য থাকবে, ততদিন ভাসানী আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবেন; দ্রোহ আর বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে তিনি থাকবেন।’ পার্টির টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে এবং আওয়াল মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পিপলু, মওলানা ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, এমডি ফিরোজ, কেন্দ্রীয় সংগঠক যুবরান আলী জুয়েল, জেলা জেএসডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। বক্তারা মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পালনের দাবি জানান। এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সাইফুল হকের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,রফিকুল ইসলাম বাবলু জননেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শেখ আব্দুর নুর,মাহমুদুল হাসান পিপলু ,বন্নিশিখা জামালী বক্তারা বলেন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা ও সংগঠনের ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে। টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে সভাস্থল ছিল মুখরিত। বক্তব্য পর্ব শেষে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সাজিদ পিয়াল:টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের প্রার্থীতা: নির্বাচনী মাঠে নতুন উত্তাপ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন দেশের উদীয়মান শিল্পপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ও লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল। ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক উন্নয়ন এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিনের সুনামের কারণে তিনি এলাকার পরিচিত মুখ। সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন ব্যবসা ও সমাজসেবার মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্কুল-কলেজ উন্নয়ন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তার এই কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও হাট-বাজারে গণসংযোগ শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়, সমস্যা শোনা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরার মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। বিশেষ করে যুব ও ছাত্র সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা পড়ার মতো। রাসেল এ আসনের জন্য যে উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন, তার মধ্যে রয়েছে— ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ যুব ও নারীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ কৃষি উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন পানি, বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যবসায়িক পরিচয়ের পাশাপাশি মানুষের পাশে কাজ করার কারণে তিনি এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনী মাঠে তার সক্রিয়তা ও পরিকল্পনা নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “রাসেল সাহেব দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করে আসছেন। তার প্রার্থীতা নিয়ে আমরা আশাবাদী। আশা করি, তিনি এলাকার উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবেন।” নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, টাঙ্গাইল-৮ আসনের ভোট রাজনীতিতেও উত্তাপ বাড়ছে। ভোটাররা নতুন নেতৃত্ব ও উন্নয়নমুখী কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে ভোটের প্রতিটি পদক্ষেপে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন এখন এক প্রাণচঞ্চল রাজনৈতিক শহরে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল ও রাতে মিছিল, শোভাযাত্রা, পথসভা আর মোটরসাইকেল শোডাউনে সরব হয়ে উঠেছে পুরো সদর উপজেলা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট, মোড়, দোকানের ছাউনি, এমনকি গৃহস্থ বাড়ির দেয়ালও। স্থানীয়দের ভাষায়- ‘টাঙ্গাইল এখন সভা ও মিছিলের শহর’। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। এ তিন নেতার পক্ষেই প্রতিদিন শহরজুড়ে চলছে কর্মী-সমর্থকদের শোডাউন। মিছিল, মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও পথসভা এখন টাঙ্গাইলের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব চত্তর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ পাড়া, বেবিস্ট্যান্ড, আদালত পাড়া ও জেলা সদর মসজিদ রোড এলাকা এখন কার্যত রাজনীতির পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রতি রাতে দলীয় কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছে, ভোর সকালে আবার অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা নতুন পোস্টার সাটাচ্ছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ‘দেওয়ালই এখন ভোট চায়!’ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল মিছিল প্রতিদিনই চলছে। পোস্টার-ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘টাঙ্গাইলের প্রিয় মুখ টুকু ভাই- ধানের শীষের টিকিট চাই’, ‘মাঠের নেতা ফরহাদ ভাই- ত্যাগী নেতার মনোনয়ন চাই’, ‘যুবশক্তির বিকল্প নাই- সাতিল ভাইয়ের যোগ্য কেউ নাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা স্লোগান। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইলে বিএনপির রাজনীতিতে এখন তিনটি শিবিরে বিভিক্ত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি জাতীয় রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি। পরে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি হন। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার পরিচিতি ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তাঁর অনুসারীরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও পথসভার আয়োজন করছেন। সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একই সঙ্গে নানা স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন। টুকুর সমর্থকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অভিজ্ঞ এবং জনবান্ধব হিসেবে টুকুই এখন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের যোগ্য প্রার্থী। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র জীবন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক-বাহক। তাঁর পক্ষে শহরে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে পেশাগত পরিচিতির পাশাপাশি দলের দীর্ঘ সাংগঠনিক ভূমিকার কারণে তিনি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন। শহর ছাড়াও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিশেষ করে চরাঞ্চলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। এরআগেও তিনি একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। কিন্তু দলের প্রার্থীর পক্ষে সরব থেকেছেন। বিগত ১৭ বছরে হামলা-মামলা ও শত নির্যাতন-কারাভোগ করেও তিনি দলীয় কর্মসূচি থেকে বিচ্যূত হননি। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সমর্থকরা প্রতিদিন মিছিল, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, ‘যাঁর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন জাতীয়তাবাদী ঘরাণার রাজনীতি, তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে মানুষ রাজনীতি করবে কেন? এবার ফরহাদ ইকবালই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ বলে বিবেচিত হয়ে দলের মনোনয়ন পাবেন’। এদিকে, খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউন শহরের মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। বিগত সময়ে তিনি জীবন বাঁচাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর সমর্থকদের দাবি, ‘সাতিল ভাই তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক, তিনিই পরিবর্তনের কণ্ঠস্বর’। টাঙ্গাইল শহর ঘুরে দেখা গেছে, এ তিন প্রার্থীর পক্ষে তাদের অনুসারীরা প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা, পথসভা ও মিছিল করছেন। শহরের প্রতিটি এলাকায় তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দোকানের টিনের ছাউনি, দেয়াল, সেতু, এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিও বাদ পড়েনি। শহরের বেবিস্ট্যান্ড মোড় থেকে নিরালার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় টানা ব্যানার-ফেস্টুনে অনেক দোকানের সাইনবোর্ডও আড়াল হয়ে গেছে। ব্যানার টানানো এবং মোটরসাইকেল শোডাউন এখন নিত্যদিনের চিত্র। শুধু শহরই নয়, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলেও শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। এসব এলাকার প্রায় চা-স্টলেই চলছে পছন্দের প্রার্থীর গান আর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত মিছিল-সমাবেশে প্রিয় নেতার দেওয়া বক্তব্য। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে টাঙ্গাইল এখন ব্যস্ত, উচ্ছ্বসিত ও উত্তপ্ত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। কে পাবেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ- এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আগে শহরের প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি স্লোগান যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে- টাঙ্গাইল বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রাণ চাঞ্চল্যের। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে- মিছিলের এই শহর শেষ পর্যন্ত কার বিজয়ের হাসিতে মুখর হবে। টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে- সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (৩ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। শুধুমাত্র টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সজীব হোসেনকে সভাপতি ও নবাব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্যাডে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আরাফাত অনিম, রেজাউল হান্নান, মাহমুদুল হাসান মিলন, আল আমিন উদয়, সুলতান খান, অনিক হাসান, এস এ শিশির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হাসেম, আমির হামজা, তামান্না ইসলাম তরী, আল আমিন, সজীব হাসান, রাসেল রানা, শামীম পারভেজ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ছার আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মেহেদী, রনি, রবিউল ইসলাম মোছা: সাজিয়া আক্তার, মমিনুর রহমান, পলাশ আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক জুবায়দুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নিলয়, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসরুফ মইন উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মাহাতাব আহমদ মাহি, সহ অর্থ সম্পাদক মাহীম তালুকদার, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক ফামিম হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সজীব সিকদার, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক আরিয়ান ইসলাম আশা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রনি ইসলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক নাঈমুল রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাজমুন নাহার শিখা, ক্রীড়া সম্পাদক ইমরুল হাসান পারভেজ, রাজনৈতিক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক রুহুল আমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদ বিন মুজিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক শাহীন আল মামুন। কার্যকরী সদস্যরা হলেন- আসাদুল ইসলাম, শাহীন শাহ, কালাম শেখ, এনামুল হক, সাব্বির আহমেদ, আবদুল আওয়াল। এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী বলেন, আজ আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পাওয়া আমার জীবনের এক বিশেষ সম্মান। এই দায়িত্ব আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়-এটি আপনাদের সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ত্যাগের ফসল। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্র অধিকার পরিষদের শক্তি হলো সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা। আমরা কখনো ক্ষমতার লোভে কাজ করি না; আমরা কাজ করি নীতি, আদর্শ ও দেশপ্রেমকে আঁকড়ে ধরে। আমি দলের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করব। যে অন্যায়, দুর্নীতি, অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে আগের মতোই অবিচল থাকব।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিগত ৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ১৩৩ টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন। তার নির্বাচনের প্রচারণায় পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার আগামী কাল পর্তুগাল থেকে বাংলাদেশ আসছেন। শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার হয়ে প্রবাস জীবনে ১৭ বছরে টাঙ্গাইল থেকে একমাত্র লড়ে যাওয়া ব্যাক্তি আবু ইউসুফ তালুকদার বলেন, আমাদের দলের হাই কমান্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঠের পরিস্থিতি ভালোভাবে অবজার্ভ করে সেদিকে খেয়াল রেখে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। টাঙ্গাইল -৪ আসনে নির্বাচনী আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন জনাব লুৎফর রহমান মতিন’কে। তিনি যোগ্য সৎ ও ভালো মানুষ। তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত আমি তার সব কথা মাথাপেতে নিবো কারণ তিনি কাউকে বঞ্চিত করেন না। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। আমি সেদিকে লক্ষ্য রেখে বলতে চাই, আমার নির্বাচনী এলাকায় যারা আমার সমর্থক রয়েছেন যারা শান্তিপূর্ণভাবে আমার পক্ষে মিছিল করেছেন। আগামী দিনেও তারা যেন কোনও ধরনের সহিংসতায় না যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে অবস্থান নেন তার আহ্বান জানাচ্ছি। জনাব লুৎফর রহমান মতিন সাহবের প্রচারণায় আমি আগামী কাল দেশে আসবো ইনশাল্লাহ আমার জন্যে দোয়া করবেন। উল্লেখ্য, এ আসনে একাধিক বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জনাব লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন দিয়ে ও দলীয় আদেশ মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শুকুর মাহমুদ, ডাক্তারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা জনাব ডঃশাহ আলম তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বেনজীর আহম্মেদ টিটো, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো: আব্দুল হালিম মিয়া, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে’র সভাপতি আবু ইউসুফ তালুকদার, মো: শফি খান কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব মোজাম্মেল হক হিরু, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি জনাব এ কে এম আবদুল আওয়াল। মনোনয়ন প্রত্যাশী দের মধ্যে শুধু মাত্র বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো ব্যতীত সকল প্রার্থীই লুৎফর রহমান মতিন কে সমর্থন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত রাজশাহী চারঘাট-বাঘা-৬ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ নামজুল হক এর মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলাধীন চন্ডিপুর হাই স্কুল মাঠে মোটরসাইকেল শোডাউনের জমায়েত হয়। চারঘাট ও বাঘা উপজেলার শত শত মোটরসাইকেল জমায়েত হয়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে প্রায় ১৫শত মোটরসাইকের শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলা শাখার সেক্রেটারি জনাব গোলাম মর্তুজা।আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা নায়েবে আমীর মইনুল হোসেন শেখ,চারঘাট -বাঘা আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক। বাঘা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জিন্নাত আলী, রাজশাহী জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক কামরুজ্জামান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম,বাঘা উপজেলা আমীর শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন নুহু, চারঘাট উপজেলা আমীর শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, বাঘা উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার ইউনুছ আলী, নায়েবে আমীর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম,বাঘা পৌরসভার আমীর অধ্যাপক সাবদার হোসেন, আড়ানী পৌরসভা আমীর অধ্যাপক মনিরুল আজম জিন্জু , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাঘা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সবুজ মাহমুদ প্রমুখ। তথ্য সূত্রে পাওয়া , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চারঘাট-বাঘা-৬ আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুল হক এর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি বাঘা উপজেলা চন্ডিপুর হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু করে বাঘা বাজার, মনিগ্রাম বাজার,মীরগঞ্জ হয়ে চারঘাট বাজার, সরদা হয়ে শিশাতলা দিয়ে নন্দনগাছী বাজার,কালুহাটি, আড়ানী বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার হয়ে বাঘার ঐতিহাসিক ঈদগাঁ ময়দানে এসে শেষ হয়
আজ ১৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি তে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী সদ্য জামিন প্রাপ্ত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনার জন্য এক আয়োজন করা হয়। এ সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী বলেন“ ডঃ ইউনুস কে প্রথম চিনেছিল শেখ হাসিনা " তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারাদেশের রাজনীতি ও আইন শৃঙ্খলা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে । সারাদেশে যেভাবে আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা কখনও দেশের রাজনীতি ও আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কে স্বাভাবিক না করে আরো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন যখন সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তখন ইউনুস সাহেবের পাশে এক আমি (কাদের সিদ্দিকী) দাঁড়িয়েছি তার পক্ষে কথা বলেছি। তাই আমি বলবো, ডাঃইউনুস আমি আপনাকে বিশেষ ভাবে আহ্বান করছি সারাদেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন আপনার প্রশাসন কে নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করতে বলুন।
জীবনে আর কোনো রাজনৈতিক দল করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য কারামুক্ত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটিতে উপস্থিত কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘জীবদ্দশায় আমি আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না, কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর পাশে সারাজীবন থাকব। ’ তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর সরকারের প্রতি মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষা, অনেক আশা ছিল। কিন্তু তার লক্ষ ভাগের এক ভাগও পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেননি, জিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি, খালেদা জিয়াও পারেননি। আর একজনের নামই আমি বলতে চাই না। ’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী ও কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামিম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন এলাকার সিদ্দিকী পরিবারের কর্মী-সমর্থক-অনুসারীরা।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিনের গণসংযোগ। ১৪ নভেম্বর ২০২৫ টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ গণসংযোগ কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গণসংযোগকালে তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়া শোনেন। এ সময় তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা এবং এলাকার উন্নয়নই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে উন্নয়ন বঞ্চনা ও নানামুখী সংকটে কালিহাতীর মানুষ আজ চাপে রয়েছে। তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। কর্মসূচিতে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় চলছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে বিগত ৩ রা নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭ টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করে। এরই মধ্যে ১৩৩ টাঙ্গাইল -৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব লুৎফর রহমান মতিন। তিনি দীর্ঘদিন জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ও বহুবার রাজনৈতিক মামলায় জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। এ আসনে একাধিক বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই জনাব লুৎফর রহমান মতিনকে সমর্থন দিয়ে ও দলীয় আদেশ মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। মনোয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব শুকুর মাহমুদ, ডাক্তারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতা জনাব ডঃশাহ আলম তালুকদার, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বেনজীর আহম্মেদ টিটো,, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার জনাব মো: আব্দুল হালিম মিয়া, মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান বাদল, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জনাব মোজাম্মেল হক হিরু, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি জনাব এ কে এম আবদুল আওয়াল। মনোনয়ন প্রত্যাশী দের মধ্যে শুধু মাত্র বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ - সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো ব্যতীত সকল প্রার্থীই লুৎফর রহমান মতিন কে সমর্থন দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনাব বেনজীর আহমেদ টিটো বলেন দল এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করেনি তিনি এখনো আশাবাদী তার দল তাকে মূল্যায়ন করবে এবং তিনি তার নেতা - কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ ই নভেম্বর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদা সহ লাঠি সোটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা টু খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগা ইউনিয়নের শুয়াদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯ টার পর্যন্ত তারা সড়ক অবস্থান করে। জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়ন কে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ ভিডিওতেও দেখা যায়। মহাসড়কটির ও পর গাছের গুড়ি ফেলে রেখে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা - কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা,ঢাল,সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন।এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ টি শিশুরা ও হেলমেট মাথায় ও অবস্থান করতে দেখা যায়, তাদের একটি শিশুকে রামদা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ঢাকা মুখি যানবাহন সহ সড়কে দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ মুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধু্্যষিত । লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোররাত থেকে কয়েকজন নেতা কর্মী লকডাউন এর সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনাসৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রোকিবুজ্জামান বলেন, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটিও এক ঘণ্টার মধ্যেই অবসর করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ করিয়ে দিতে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফরিদপুর বাস মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩: টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬ টা থেকে বেলা ৩: ০০ টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব না। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নেওয়া যায় না।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ধিত সভা। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পাইকরা গোপালদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা পতাকা, ব্যানার ও শ্লোগানে মুখর হয়ে মাঠে সমবেত হন। পুরো এলাকা যেন পরিণত হয় উৎসবের মেলায়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জননেতা বেনজীর আহমেদ টিটো। তিনি তার আবেগঘন বক্তব্যে বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার নাম। এই দলই মানুষের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য নিরলসভাবে লড়ছে। আমি যেখানে যাই, কালিহাতীর মানুষকে ভুলতে পারি না। কালিহাতী আমার প্রাণ এখানকার মানুষই আমার জীবনের শক্তি ও প্রেরণা। তিনি আরও বলেন, যত বাধাই আসুক না কেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন থেকে বিএনপি একচুলও পিছু হটবে না। তৃণমূল কর্মীরাই আমাদের আসল শক্তি, আপনারাই বিএনপির প্রাণশক্তি ও ভবিষ্যৎ। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা ও শামীম প্রামাণিক, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওয়াদুদ তৌহিদ, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারন অর রশিদ মিনু, পাইকরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুস ছাত্তার পলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান তালুকদার লিটনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন, দেশ আজ গভীর রাজনৈতিক সংকটে। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তৃণমূল থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সভা শেষে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই বর্ধিত সভাকে আসন্ন আন্দোলনের প্রস্তুতি ও তৃণমূল সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ইতিমধ্যেই সরগরম হলেও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে এখনো বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে করে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও উদ্বেগ। এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহমেদুল হক সতিল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। মাঠপর্যায়ের তৃণমূল নেতাদের মতামত, সাংগঠনিক শক্তি, এবং বিগত দিনের ভূমিকার ওপর ভিত্তি করেই প্রার্থী বাছাই করবে কেন্দ্র। স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, প্রার্থী ঘোষণা বিলম্বিত হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের প্রচারণা ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম কিছুটা ধীর হয়েছে। তারা দ্রুত প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, টাঙ্গাইল-৫ আসনটি বিএনপির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলটি এই আসনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চায়। এ কারণেই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে দলটি।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচন অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও নির্বাচন অফিস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালিদ হাসান উত্থান ও কাজী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাদের কী সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের বলেন- তোরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিস। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। কয়েকজন ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা শুধু ফিরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে আমাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। মামলার বাদী গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে আসেন। সোমবার এসেই তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করছি। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করেছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন হামলা হবে তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঞা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারত। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার আহমেদুল হক সাতিলের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাতিলের উদ্যাগে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌর উদ্যানে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। সেইসাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষে টাঙ্গাইলে বিএনপির লিফলেট বিতরণ করেন সাতিল। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে বিএনপি। কিন্ত টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে আরো রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার।উঠান বৈঠক জন স্রোতে পরিণত। কালিগঞ্জ গাজীপুর। বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার। কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খান বাড়িতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মোঃ রাফিক মোড়লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর কলেজ শাখার সাবেক ভিপি ও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান খান লাভলু। শুরু থেকেই এলাকাবাসীর ব্যাপক আগ্রহে বৈঠকটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নারী-পুরুষ, কৃষক-শ্রমিকসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপচে পড়া ভিড়ে খান বাড়ির উঠানটি যেন ছোট হয়ে যায়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বৈঠকের কার্যক্রম শুরু হয় এক মনোরম ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মনিরুজ্জামান খান লাভলু বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।” তিনি কালিগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, জননেতা এ.কে.এম ফজলুল হক মিলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম পৌঁছে দেন। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর পর আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষ মার্কায় প্রদান করবেন। কারণ একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে আহ্বান জানান—কালিগঞ্জের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জননেতা ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপি, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব হারুনুর রশিদ দেওয়ান, জনাব জাহাঙ্গীর কবির, সালাউদ্দিন খান টিপু, ইকবাল হোসেন সরকার, জহির মোড়ল, এবং জেড করিম খান জুবায়েরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উঠান বৈঠকের এ মহাসমাবেশ প্রমাণ করেছে—জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, বিজয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে বিএনপি’র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তালিকা প্রকাশ করেন। তবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা: টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী): ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর): আব্দুস ছালাম পিন্টু, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল): ওবায়দুল হক নাসির টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী): লুৎফর রহমান মতিন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে): রবিউল আউয়াল লাভলু, উপজেলা বিএনপি সদস্য টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর): আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক টাঙ্গাইল-৮: আহমেদ আযম খান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন না দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল উভয়ই ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধারণা, এ আসন থেকে কেউ একজন নির্বাচিত মনোনয়ন পাবেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”