বাংলাদেশের নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলী কৃষিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে সুনামগঞ্জের চিনাউড়ার আনারস বাগানে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে চিনাউড়ার আনারস বাগানে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হাউস এর নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ'র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক জন্য নাগরিক - সুজন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহের, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা, বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণবাবু দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,দেশের অধিকাংশ ভুমি কৃষিজমি হওয়ায় বৃহদাকৃতির সোলার নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা কঠিন হলেও কৃষি জমিতে সোলার নির্ভর বিদ্যুৎ ছোট ছোট বিদ্যুৎ প্লান্ট গড়ে তোলা অতি সম্ভাবনাময়। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায়, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলি কৃষি অর্থাত কৃষি জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে উক্ত কৃষক সমাবেশে কৃষক, তরুণ এবং পরিবেশ কর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫,টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আতাউর রহমান আজাদ সভাপতি এবং কাজী জাকেরুল মওলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শান্তিপূর্ণসুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ নির্বাচনে প্রেসক্লাবের ভোটার সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে। নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন টাঙ্গাইলের সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, পেশাগত মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিবেশ গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আপসহীনভাবে কাজ করব।সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা বলেন সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি কল্যাণমূলক কার্যক্রম জোরদার এবং নবীন-প্রবীণসাংবাদিকদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্রেসক্লাব গড়ে তুলতে আমরা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করব। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশিষ্টজন এবং সাংবাদিক মহল নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট ও আগাম বাজেট পেশ করেন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহিম। প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে উভয় রিপোর্টের ওপরে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, আতাউর রহমান আজাদ, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক বিমান বিহারী দাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামনাশীষ শেখর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন রিপন ও ইফতেখারুল অনুপম প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি বাংলাভিশন ও দৈনিক ইনকিলাবের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি আতাউর রহমান আজাদ, সাপ্তাহিক প্রযুক্তি ও হক কথা প্রতিদিনের সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এনটিএন বাংলার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ও কাজী তাজউদ্দিন রিপন (একুশে টেলিভিশন), যুগ্ম সম্পাদক শামিম আল মামুন (যমুনা টিভি) ও মালেক আদনান (নয়া দিগন্ত), কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রহমান মিয়া (ইনডিপেনডেন্ট টিভি), সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হেমায়েত হোসেন হিমু (সময় তরঙ্গ), ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাক হোসেন (সম্পাদক, টাঙ্গাইল প্রতিদিন), দফতর ও পাঠাগার সম্পাদক পারভেজ হাসান (বণিক বার্তা)। কার্যকরী সদস্যরা হলেন- জাফর আহমেদ (দৈনিক যুগান্তর ও সম্পাদক, দৈনিক মজলুমের কণ্ঠ) আব্দুর রহিম (সমকাল), এসএম আওয়াল হোসেন (দৈনিক বর্তমান), সোহেল তালুকদার (ডিবিসি টিভি) এবং সুমন খান বাবু (দীপ্ত টিভি)।তারা আশা প্রকাশ করেন, এই নেতৃত্ব টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবকে আরও সক্রিয়, সংগঠিত ও সময়োপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবে।টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব জেলার সাংবাদিকদের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। নবনির্বাচিত কমিটির হাত ধরে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মধুপুর থানার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস) উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন গীর্জার প্রতিনিধি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আদিবুল ইসলাম, পিপিএম- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), টাঙ্গাইল। এছাড়াও সভায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মধুপুর থানা পুলিশের অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন গীর্জার প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।সভায় আসন্ন বড়দিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা,গীর্জা ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি টহল জোরদার, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি,যানজট নিরসনসহ সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আদিবুল ইসলাম বলেন,বড়দিন উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।গীর্জা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সদা প্রস্তুত থাকবে।তিনি যেকোনো সন্দেহজনক বিষয় দ্রুত পুলিশকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।সভায় জেলা পুলিশ টাঙ্গাইল-এর পক্ষ থেকে বড়দিন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করা হয়। উৎসব চলাকালীন সময়ে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানানো হয়।এসময় উপস্থিত খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা শান্তিপূ আনন্দঘন ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন উদযাপনে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।সভাটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নিরাপদ উৎসব উদযাপনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে উপস্থিত বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তায় দুর্গাপুরের বৃদ্ধা রোজেলা হাজং আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ চিকিৎসা ও সফল অস্ত্রোপচারের পর ২০/১২/২০২৫ রোজেলা হাজং-এর শরীরে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন সম্পন্ন হয়। ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশনায় তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য কাপড়, শীতবস্ত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে এবং টিমের পক্ষ থেকে তাঁকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘদিনের অসহায় জীবন,উল্লেখ্য, প্রায় ৮০ বছর বয়সী রোজেলা হাজং গত ৫ মাস ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ফলে চিকিৎসা তো দূরের কথা, নিত্যদিনের খাবার জোগাড় করাও তাদের জন্য ছিল দুঃসাধ্য। চরম মানবিক সংকটের মধ্যেই দিন কাটছিল এই পরিবারটির। দূর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকি ঢাকা পাড়া গ্রামের এই অসহায় বৃদ্ধাকে গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে লেংগুড়া ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে দু’জন সহৃদয় মানুষ বাঁশের তৈরি চাঙ্গারীতে করে নিয়ে আসেন চিকিৎসা করানোর জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা গুরুতর এবং দ্রুত অর্থোপেডিক সার্জারি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। প্রতিশ্রুতি থেকে বাস্তবায়ন, এই বিষয়টি জানতে পেরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাৎক্ষণিকভাবে সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকেননি—বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রোজেলা হাজংকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সফলভাবে তাঁর অপারেশন সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন করা হয়। কায়সার কামাল বলেন আলহামদুলিল্লাহ, চিকিৎসা শেষে আজ তিনি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন—যা এলাকাবাসীর জন্য এক আনন্দঘন ও আবেগঘন মুহূর্ত। কায়সার কামালকে আদিবাসী জনপদের কঠিন বাস্তবতা স্থানীয়রা জানান, গারো পাহাড় অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজও অবহেলিত। বিশেষ করে হাজং সম্প্রদায় অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার অভাব, চিকিৎসা সেবার দুর্বলতা ও দারিদ্র্যের কারণে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এই মানবিক উদ্যোগ শুধু একটি চিকিৎসা সহায়তাই নয়, বরং অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মানবতার পক্ষে অঙ্গীকার এ বিষয়ে এলাকা বাসিরা বলেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রাজনীতিকে শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন। মানবতার কল্যাণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরো বলেন -অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই পথচলা অব্যাহত থাকবে—ইনশাআল্লাহ।