দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
রাজশাহীতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে বিভাগীয় সমাবেশ উৎসবমুখর পরিবেশে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর এস.কে ফুড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই সমাবেশে রাজশাহীর ৮ জেলা, মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলার কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই সমাবেশে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা, অধিকার, স্বাধীনতা, আধুনিক সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। সমাবেশ শেষে প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ৩৬ জুলাই আহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সানোয়ার আরিফ, কালের কণ্ঠের আহত সাংবাদিক নাঈম হোসেন এবং সংবাদ চলমানের সাংবাদিক মতিউর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি রাজশাহীর ৮ জেলা, মহানগর এবং সকল উপজেলা কমিটির সদস্যদেরও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রদান করা হয় রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. নুরে ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপুকেও। বিভাগীয় দপ্তর সম্পাদক মো. সুরুজ আলী সম্মেলন সফল করার বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন। প্রধান অতিথি জাতীয় সংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মো. আলমগীর গনি সবার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. নুরে ইসলাম মিলন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীতি নির্ধারণ পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মনজুর হোসেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি মো. আবুল বাশার মজুমদার। প্রধান অতিথি মো. আলমগীর গনি তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকরা সত্য, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো মানুষ। অথচ তাদের ওপর অব্যাহত হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানি গণতন্ত্রের জন্য গভীর হুমকি। তিনি বলেন, “সত্য বলা কখনোই অপরাধ হতে পারে না, বরং সেই সত্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।” তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় জাতীয়ভাবে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের DFP মিডিয়া তালিকাভুক্ত, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক ঐশী বাংলা-এর গাজীপুর জেলা সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ শামীম শাহরিয়ার-কে পদোন্নতি প্রদান করে পত্রিকাটির Special Correspondent (বিশেষ প্রতিনিধি) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিষ্ঠা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন। সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সাফল্য ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে। ঐশী বাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত Special Correspondent মোঃ শামীম শাহরিয়ার-এর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আমরা তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের আরও সাফল্য, সম্মান ও অগ্রগতির জন্য শুভ কামনা জানাই।
মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মসজিদের ইমাম দম্পত্তিকে রাতভর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্ত সৈয়দ মিস্ত্রীর ছেলে মো. রুবেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. জলিলে ছেলে মো. জহিরুল (২৭) ও আ. সাত্তার মেম্বারের ছেলে মো. পলাশ (২৬)। অভিযুক্ত সকলেই উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরআগে গত ১ অক্টোবর দিনগত রাত ২টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৬টার পর্যন্ত ভুক্তভোগী ইমাম দম্পত্তি নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর শিকার হন। ভুক্তভোগীরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮) ও তার স্ত্রী (২৬)। আব্দুল্লাহ আল মামুন জেলার পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্গাপুরের সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন পাঁচ মাস পূর্বে সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং সুতিয়াপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গত ছয়-সাত দিন পূর্বে মাদরাসা ও মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য লোকজনের অনুমতি স্বাপেক্ষে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে নিয়ে আসার অনুমতি পান এবং মাদরাসার পার্শ্বে পৃথকভাবে টিনসেড ঘর তৈরি করেন। গত ১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভুক্তভোগী তার স্ত্রীকে বাড়ি হতে মাদরাসায় নিয়ে আসেন। ক্যাশিয়ার তার নিজ বাড়িতে হতে তাদের জন্য ওই দিন রাতের খাবার পাঠান। রাতের খাবার শেষে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। দুদিন বন্ধ থাকায় মাদরাসায় শুধুমাত্র দুজন ছাত্র ছিল। তারা মাদরাসার ফ্লোরে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত অনুমান ২টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল যোগে মাদরাসা এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে মাদরাসার দরজা খুললে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ব্যক্তিগণকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এবং দরজা খোলামাত্র অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনধিকারভাবে মাদরাসার কক্ষে প্রবেশ করে এবং স্ত্রীকে দেখিয়া ভুক্তভোগীর উপর রাগান্বিত হয়। পনের হাজার টাকা দাবি চাঁদা দাবি করে এবং এলোপাথারী কিল-ঘুষি মেরে ভুক্তভোগীর শরীরের নানাস্থানে ফোলা জখম করে এবং অভিযুক্ত মো. পলাশ ভুক্তভোগীর স্ত্রী’র পড়নের কাপড় ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা মারপিট করে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং মোবাইল দিয়ে ভুক্তভোগী দম্পত্তিকে নানা রকম প্রশ্ন ও ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে অভিয্ক্তু মো. পলাশ মাদরাসায় ঘুমন্ত দুজন ছাত্রকে ডাক দিয়ে তুলে এবং নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করে একজন ছাত্রের গালে চর-থাপ্পর মারে। অভিযুক্তরা মাদরাসায় অনুমান চার ঘন্টার বেশি অবস্থান করে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ওই দম্পত্তিকে নানা রকম হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কাহরো কাছে বিচার কিংবা মামলা মোকদ্দমা করলে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে সকালের দিকে মাদরাসার আশপাশের লোকজন আসলে তাদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন