দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
নেত্রকোনা দুর্গাপুরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তায় দুর্গাপুরের বৃদ্ধা রোজেলা হাজং আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ চিকিৎসা ও সফল অস্ত্রোপচারের পর ২০/১২/২০২৫ রোজেলা হাজং-এর শরীরে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন সম্পন্ন হয়। ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে তিনি ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশনায় তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য কাপড়, শীতবস্ত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে এবং টিমের পক্ষ থেকে তাঁকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘদিনের অসহায় জীবন,উল্লেখ্য, প্রায় ৮০ বছর বয়সী রোজেলা হাজং গত ৫ মাস ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর একমাত্র ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ফলে চিকিৎসা তো দূরের কথা, নিত্যদিনের খাবার জোগাড় করাও তাদের জন্য ছিল দুঃসাধ্য। চরম মানবিক সংকটের মধ্যেই দিন কাটছিল এই পরিবারটির। দূর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকি ঢাকা পাড়া গ্রামের এই অসহায় বৃদ্ধাকে গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে লেংগুড়া ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে দু’জন সহৃদয় মানুষ বাঁশের তৈরি চাঙ্গারীতে করে নিয়ে আসেন চিকিৎসা করানোর জন্য। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অবস্থা গুরুতর এবং দ্রুত অর্থোপেডিক সার্জারি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। প্রতিশ্রুতি থেকে বাস্তবায়ন, এই বিষয়টি জানতে পেরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাৎক্ষণিকভাবে সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকেননি—বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রোজেলা হাজংকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সফলভাবে তাঁর অপারেশন সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল পা সংযোজন করা হয়। কায়সার কামাল বলেন আলহামদুলিল্লাহ, চিকিৎসা শেষে আজ তিনি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন—যা এলাকাবাসীর জন্য এক আনন্দঘন ও আবেগঘন মুহূর্ত। কায়সার কামালকে আদিবাসী জনপদের কঠিন বাস্তবতা স্থানীয়রা জানান, গারো পাহাড় অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজও অবহেলিত। বিশেষ করে হাজং সম্প্রদায় অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার অভাব, চিকিৎসা সেবার দুর্বলতা ও দারিদ্র্যের কারণে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এই মানবিক উদ্যোগ শুধু একটি চিকিৎসা সহায়তাই নয়, বরং অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। মানবতার পক্ষে অঙ্গীকার এ বিষয়ে এলাকা বাসিরা বলেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রাজনীতিকে শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন। মানবতার কল্যাণে এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরো বলেন -অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই পথচলা অব্যাহত থাকবে—ইনশাআল্লাহ।
দীর্ঘ কয়েক বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উদ্বোধন করা হলো টাঙ্গাইলের সোনালিয়া–করটিয়া রেলস্টেশন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনে উঠে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নেড়ে স্টেশনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি ট্রেন দিয়ে এ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ আরও কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে। এতে টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার মানুষের যাতায়াত আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নে অবস্থিত এই রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান শরিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুমার কুন্ডু, করটিয়ার জমিদার ও সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলী খান পন্নী, এইচএম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ রেলওয়ে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ সময় সোনালিয়া, করটিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হলেও নাম জটিলতাসহ নানা প্রশাসনিক কারণে এতদিন চালু করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন পর স্টেশনটি চালু হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি রেলসেবার আওতায় আসবে। স্থানীয়রা জানান, এই স্টেশন চালুর ফলে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী, করটিয়া হাটের ব্যবসায়ীসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এতদিন স্টেশনটি পরিত্যক্ত থাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল বলেও তারা মন্তব্য করেন। হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক বলেন, স্টেশনটি ২০১০ সালের দিকে বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া গ্রামে নির্মিত হয়। এটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় নাম ও সীমানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। দীর্ঘদিনের সেই জটিলতা নিরসন হওয়ায় আজ স্টেশনটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করটিয়া ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। তাই এই স্টেশনে ধাপে ধাপে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্টেশনকেন্দ্রিক সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোনালিয়া–করটিয়া রেলস্টেশন চালু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ ও স্বস্তির অনুভূতি বিরাজ করছে। তারা আশা করছেন, এই স্টেশন টাঙ্গাইল অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি সঞ্চার করবে।
টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিবির সঙ্গে পুলিশ সুপারের গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), টাঙ্গাইলের সকল অফিসার ও ফোর্সদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার।সভা শুরুর আগে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), টাঙ্গাইলের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় ডিবির সকল স্তরের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সময়োপযোগী ও অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে মামলা রুজুসহ সন্ত্রাসী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনে পুলিশ সদস্যদের সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করা হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেন। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, নির্বাচন ও গণভোট চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ডিবির অফিসার ও ফোর্সরা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব পালনে আরও নিষ্ঠা ও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিবির সঙ্গে পুলিশ সুপারের গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), টাঙ্গাইলের সকল অফিসার ও ফোর্সদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার। সভা শুরুর আগে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), টাঙ্গাইলের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় ডিবির সকল স্তরের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সময়োপযোগী ও অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে মামলা রুজুসহ সন্ত্রাসী ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, জনগণের আস্থা অর্জনে পুলিশ সদস্যদের সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করা হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেন। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, নির্বাচন ও গণভোট চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।তবিনিময় সভায় উপস্থিত ডিবির অফিসার ও ফোর্সরা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব পালনে আরও নিষ্ঠা ও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।