আইন-অপরাধ

ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা

reporter-icon
কৌশিক সাজ্জিদ পিয়াল: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ | 0
ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা
ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা পাবনার ইশ্বরদীতে ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক ও নিন্দনীয় এক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে— এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে ৮টি কুকুরছানাকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের জানান, নিহত ছানাগুলোর মা কুকুরটি ছিল শান্ত, নিরীহ ও মিশুক স্বভাবের। মানুষের প্রতি ছিল তার গভীর বিশ্বাস। মা কুকুরটি কোয়ার্টার এলাকায় সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করত। কিন্তু তার সদ্যোজাত ছানাগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর দেখা যায়, মা কুকুরটি দিশেহারা হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে করুণ স্বরে কান্না করছে— “কি দোষ ছিল আমার বাচ্চাদের?”— যেন এমনই প্রশ্ন তার চোখে-মুখে। খবর জানাজানি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে ওই দম্পতিকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী মনে করছেন, এমন জঘন্য ঘটনার শাস্তি শুধু কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া— এটা অত্যন্ত সামান্য। “যে দেশে মানুষ হত্যার বিচার ঠিকমতো হয় না, প্রাণীর হত্যার বিচার আশা করাও যেন বোকামি”— এমন ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। প্রাণী অধিকার activists ও সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী এ ধরনের প্রাণী হত্যা ও নির্যাতন স্পষ্টভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যায়। তাদের মতে— “মানুষ যে হারে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, প্রাণী হত্যা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।” ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। অনেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতা করতে সাহস না পায়।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি?

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা: চ্যাটজিপিটি বনাম ডিপসিক?

র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।

আইন-অপরাধ

আরও পড়ুন
ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান

ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো বড় ধরনের জনসমাগম এবং দীর্ঘমেয়াদি উৎসব বর্জনের আহ্বানের প্রেক্ষিতেই এ অভিযান পরিচালিত হয়। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন সখিপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুন্নাহার শিলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দীন, বাসাইল সেনা ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।অভিযানকালে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা মেলা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচনকালীন সময়ে সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। মেলা আয়োজকদের বিষয়টি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয় সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় সচেতন মহল এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন নির্বাচনকালীন সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের এ ধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাঁচ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ২৯ লাখ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাঁচ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ২৯ লাখ টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ

দুই মাদককারবারি গ্রেফতার, জব্দ পিকআপ ও মোবাইল ফোন

টাঙ্গাইলে র‍্যাব-১৪ এর বিশেষ অভিযানে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এ ১৬ জন গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এ ১৬ জন গ্রেপ্তার টাঙ্গাইল ২১ ডিসেম্বর (রোববার) টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে পরিচালিত এই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতা, হামলা, মারধর, গুরুতর জখম, হত্যাচেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত নানা অভিযোগ রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নাগরপুর, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, ঘাটাইল,সখীপুর,ধনবাড়ী,কালিহাতী, ভূঞাপুর, মধুপুর, বাসাইল ও গোপালপুর থানার বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত ও সন্দিগ্ধ আসামী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: আল আমিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন ভূঁইয়া জাহাঙ্গীর আলম,আলমাস মিয়া, মমিন সিকদার তারেক আহাম্মেদ নাদিম আব্দুর রউফ মোস্তফা কামাল আব্দুল বাছেদ মন্ডল মফিজ শিকদার তানভির হোসেন মোতালেব আরাফাত আনিছুর রহমান, ওলিউর রহমান সিফাত ও মিজানুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হবে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ 0
গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে পুলিশের অভিযানে ১৬ জন গ্রেফতার

গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে পুলিশের অভিযানে ১৬ জন গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিজিবি ও সেনাাবহিনীর যৌথ অভিযানে ৪০ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত সহ ৭ আসামি গ্রেফতার

কালিহাতি ও এলেঙ্গায় তিন বেকারি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে জরিমানা

কালিহাতি ও এলেঙ্গায় তিন বেকারি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে জরিমানা এলেঙ্গায় মারহাবা এ ওয়ান বেকারি, তাজমহল বেকারি এবং মামা ভাগ্নে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে BSTI এর স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার,BSTI এর সার্টিফিকেটশন ব্যতীত নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রয় ইত্যাদি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন আইন, ২০১৮ এর অধীন তিনটি পৃথক মামলায় ১০৫০০০/- (এক লক্ষ পাচঁ হাজার টাকা) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি),কালিহাতি,টাংগাইল। এসময় ফিল্ড অফিসার BSTI এবং কালিহাতি থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলা ও এলেঙ্গা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে প্রশাসন। লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়াই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার এবং বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন ব্যতীত নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলায় মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পরিচালিত এ অভিযানে কালিহাতি ও এলেঙ্গা এলাকার মারহাবা এ ওয়ান বেকারি, তাজমহল বেকারি এবং মামা ভাগ্নে মিষ্টান্ন ভাণ্ডার-এ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় লাইসেন্স গ্রহণ না করেই বিএসটিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করছে এবং বিএসটিআই সার্টিফিকেশন ছাড়াই নির্দিষ্ট খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে, যা স্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘনের শামিল।এ প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কালিহাতি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) টাঙ্গাইল। অভিযানে বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার এবং কালিহাতি থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন ও বিক্রি রোধ এবং আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা নিশ্চিত করতে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
টাঙ্গাইলে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’পরিচালিত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’পরিচালিত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন গ্রেফতার

কালিহাতীতে বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

টাঙ্গাইলে ভেজাল জিরা বিক্রির দায়ে মালেক এন্টারপ্রাইজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

0 মন্তব্য