ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৯ পিএম

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
HTML tutorial

গাজায় জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবারের এই ঘটনায় যুদ্ধবিরতির নবায়ন আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বসবাসকারী নিহত তিনজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা রান্নার জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে বের হয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ইসরায়েল গত দুই সপ্তাহ ধরে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বহু পরিবারকে প্রতিদিন জ্বালানির বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা তাদের বাহিনীর কাছাকাছি অবস্থানরত "সন্ত্রাসীদের" লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যারা একটি বোমা স্থাপন করার চেষ্টা করছিল।

গাজার দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করেন। নিহতদের একজনের বাবা, জাবর আবু হাজির বলেন, "তারা লক্ষ্যবস্তু ছিল – যখন তাদের কাজিন এবং অন্যরা তাদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, তখন ড্রোন দিয়ে তাদের ওপর আরও বোমা নিক্ষেপ করা হয়।"

সোমবারের ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া এক বাবা ও তার ছেলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন, ফলে দিনের মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা বুরেইজ এলাকায় তাদের বাহিনীর নিকটে মাটিতে বোমা পুঁতে রাখার চেষ্টা করছিল এমন দুইজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা ইসরায়েলের এই হামলাকে "যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন" বলে অভিহিত করেন এবং জানান, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল টানা ১৬ দিন গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ রেখেছে, যা সেখানে বসবাসরত ২৩ লাখ মানুষের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া মানুষদের জন্য এটি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হামাসকে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় চাপ প্রয়োগ করা।

খাদ্য সংকট তীব্র হওয়ায় গাজার বেশ কয়েকটি বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, খাবারের দাম বেড়েছে এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে নিরাপদ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ দীর্ঘায়িত করতে চায়। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের পরেই কেবল বন্দিদের মুক্তি দেবে, যা ২ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

মিশরে আলোচনায় অংশ নেওয়া হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানুয়া বলেছেন, "আমরা চুক্তির শর্ত মেনে চলছি, কিন্তু ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপের মাধ্যমে চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে।" HTML tutorial

মু্ক্তধ্বনি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Google News Icon গুগল নিউজে দেখুন

মুসলিম বিশ্ব রিলেটেড নিউজ

HTML tutorial