ময়মনসিংহ রেল স্টেশন থেকে যাএীর চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার সহ ব্যাগ ও ২জন চুরকে ৩০ঘন্টার মধ্য গ্রেপ্তার ও অপর আরেক অভিযানে অবৈধ ৯৬০পিস মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাব উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বাদী মোঃ আতিকুর রহমান(৪৭), পিতা-মৃতঃ নুরুল ইসলাম, সাং-হাটশিরা, থানা-কলমাকান্দা, জেলা-নেত্রকোনা এর দেয়া তথ্যমতে জানা যায় যে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রি: তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন হতে নেত্রকোনাগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে অনুমান ১৩:৪৫ ঘটিকায় যাত্রা করেন। তার সাথে থাকা ব্যাগের ভিতরে জমির মূল দলিলপত্র ও ০৮ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ব্যাগটি তার সিটের উপরে বাংকারে রেখে দেন। একই তারিখ ১৬:৩০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করার সময় স্ত্রী সন্তানদের সিটে রেখে তিনি জিআরপি মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে এসে দেখেন বাংকারে রাখা ব্যাগটি কৌশলে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। উক্ত ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানা’য় মামলা নং-০১, তারিখ-২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড দায়ের করেন। উক্ত চুরির ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয। বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তৎপর হয়।
এরই প্রেক্ষিতে সদর কোম্পানী, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রিঃ সময় আনুমানিক রাত ২৩:০০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ সদর থানার ডিবি রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত চোর ১। মোঃ বাবুল (৩২), পিতা-মোঃ আবুল কালাম, সাং-শেওড়া ধোপাখোলা এবং ২। রনি বনিক(৩৫), পিতা-প্রশন্ন বনিক, সাং-শেওড়া ডিবি রোড, উভয় থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিং’দের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত চোরদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি যাওয়া ব্যাগসহ জমির মূল দলিলপত্র, পরিবারের ব্যবহৃত প্রায় ০৭ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৭,০০০/-টাকা র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
এছাড়াও পৃথক একটি অভিযানে অদ্য ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০:১০ ঘটিকায় র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৬০(নয়শত ষাট) পিস অবৈধ মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
ইশ্বরদীতে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতে ৮ কুকুরছানার নির্মম হত্যা পাবনার ইশ্বরদীতে ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক ও নিন্দনীয় এক ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে— এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে ৮টি কুকুরছানাকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের জানান, নিহত ছানাগুলোর মা কুকুরটি ছিল শান্ত, নিরীহ ও মিশুক স্বভাবের। মানুষের প্রতি ছিল তার গভীর বিশ্বাস। মা কুকুরটি কোয়ার্টার এলাকায় সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করত। কিন্তু তার সদ্যোজাত ছানাগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর দেখা যায়, মা কুকুরটি দিশেহারা হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে করুণ স্বরে কান্না করছে— “কি দোষ ছিল আমার বাচ্চাদের?”— যেন এমনই প্রশ্ন তার চোখে-মুখে। খবর জানাজানি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে ওই দম্পতিকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী মনে করছেন, এমন জঘন্য ঘটনার শাস্তি শুধু কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া— এটা অত্যন্ত সামান্য। “যে দেশে মানুষ হত্যার বিচার ঠিকমতো হয় না, প্রাণীর হত্যার বিচার আশা করাও যেন বোকামি”— এমন ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। প্রাণী অধিকার activists ও সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী এ ধরনের প্রাণী হত্যা ও নির্যাতন স্পষ্টভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যায়। তাদের মতে— “মানুষ যে হারে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, প্রাণী হত্যা বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।” ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। অনেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতা করতে সাহস না পায়।
ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ফারুক পাটোয়ারী আবারও আলোচনায়। এবার দেশবর্ণ নিউজের একজন সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বারবার প্রতারণা ও গ্রেফতারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি অল্প কিছুদিন আগে উত্তরা উত্তরখানের চায়না ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে “সাংবাদিক” পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে পুলিশ ফারুক পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি সাতক্ষীরার একটি বেকারিতে “ম্যাজিস্ট্রেট” পরিচয়ে পুনরায় চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার সঙ্গে আরও দুইজনকেও আটক করা হয়। জেল থেকে বের হয়ে তিনি পুনরায় একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশবর্ণ নিউজ সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গালাগাল একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়—ফারুক পাটোয়ারী দেশবর্ণ নিউজ প্রতিষ্ঠানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে উচ্চস্বরে বলেন, “কোনো সাংবাদিককে গোনায় ধরি না।” এই মন্তব্যের পর সাংবাদিক নাদিম শেখ আদর তাকে জিজ্ঞাসা করেন— “আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক? এবং সাংবাদিক সমাজকে এভাবে গালাগাল করছেন কেন?” প্রশ্ন শুনে ফারুক পাটোয়ারী মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন এবং পেশাদার সাংবাদিকদের নামে “নিউজ করে দেখে নেওয়া হবে” বলে হুমকি দেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোনো বৈধ পরিচয় দিতে পারেননি। সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন—এই ভুয়া সাংবাদিকদের শেষ কোথায়? ফারুক পাটোয়ারীর মতো প্রতারকদের কারণে পেশাদার সাংবাদিকতার সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাদের মন্তব্য— শুধু কথা বলতে পারলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না একজন প্রকৃত সাংবাদিককে প্রতিনিয়ত যে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার কিছুই জানেন না এসব ভুয়া ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার মুখোশ পরে যারা পেশাটিকে কলঙ্কিত করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি—ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে যারা প্রতারণা, হুমকি ও চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। নইলে এই অপসংস্কৃতি বিস্তার লাভ করবে এবং সাধারণ মানুষসহ প্রকৃত সাংবাদিকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কান্দাপাড়ায় একটি রান্নাঘরকে পচা ও বাসি মাংস দিয়ে বিরিয়ানি প্রস্তুত এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর, ২০২৫) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে পরিচালিত এক যৌথ অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। জহিরুল ইসলাম নামে এক রান্নাঘর মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রান্নাঘরটিতে বাসি, পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত মাংস ব্যবহার করে খাবার তৈরি করা হচ্ছিল। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার স্থানীয় জনপ্রিয় কয়েকটি রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করা হতো। খাবার সরবরাহ করা হতো এমন নামিদামি হোটেলগুলো হলো - কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি। ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।টাঙ্গাইলে পচা-বাসি মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (২৪ নভেম্বর) পৌরসভার কান্দাপাড়া রোডে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাইওয়ে সুইটসকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা জহিরুল ইসলাম উৎপাদিত এসব খাবার স্থানীয় কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি ও হানিফ বিরিয়ানিতে সরবরাহ করতেন। এই তিনটি দোকানের মালিকও তিনি। ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, ‘‘রান্নাঘরজুড়ে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধ বিরাজ করছিল। প্রতিদিনই পচা-বাসি মাংস দিয়ে নতুন করে খাবার রান্না করা হতো। যা ভোক্তার জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয় ও রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’’