দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
২০০৭ সালে মধুপুর পুরাতন তিন তলা উপজেলা পরিষদের ভবনের ছাদে ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটির গোলাকৃতি টাওয়ার স্থাপন করা হয় কিন্তু বর্তমানে এটি অচল অবস্থায় আছে। মধুপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় "মেশিনটি স্থাপনের কয়েক বছরের মধ্যেই মেশিনটিতে আগুন ধরে এবং তারপর থেকে মেশিনটির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়"। বর্তমানে মেশিনটি অংশবিশেষ মধুপুর পুরাতন উপজেলা পরিষদ ভবনের লাইব্রেরির একটি কোণে জরাজীর্ণ অংশবিশেষ পড়ে আছে। ভূমিকম্প বিশ্লেষকদের মতে, মধুপুর অঞ্চলে যে ভূমিকম্প ফল্ট টি রয়েছে সেটিতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ঢাকা শহরের প্রায় অর্ধেক অবকাঠামো ধসে পড়বে এবং বিপুল পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটবে। তাছাড়াও এ অঞ্চলের ভূমিকম্প ফল্টটি আঘাত হানলে আশেপাশের অঞ্চলগুলো বিশেষ করে ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হবে। ভূমিকম্পন প্রবল এ অঞ্চলের সিসমোগ্রাফ যন্ত্রটি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে আছে যেটি খুবই দুঃখজনক এবং এর ফলেএ অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে ভূমিকম্পের সঠিক পরিমাপ টি গণনা করা যাবেনা। বিগত দুইদিন যাবত ছোট ছোট মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানছে এটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর-২০২৫ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্ব ও আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে। শনিবার সকাল থেকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে এ সভা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার—বিস্তৃত আলোচনা সভায় প্রথমেই নভেম্বর মাসে জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ, মামলা রুজু, তদন্ত অগ্রগতি এবং অপরাধ দমনে পুলিশের অর্জন তুলে ধরা হয়। মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন অপরাধী চক্র শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশের সাম্প্রতিক সফলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও নতুন কৌশলে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। বিট পুলিশিং, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল—কঠোর নির্দেশনা সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এলাকা ভিত্তিক পুলিশিং জোরদার করে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের ক্ষেত্রে যেসব থানা পিছিয়ে রয়েছে তাদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয় এবং দ্রুততম সময়ে পরোয়ানা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্পর্শকাতর মামলা, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সাইবার মনিটরিংয়ে গুরুত্বারোপ সভায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়। পুলিশ সুপার নির্দেশনায় বলেন, এসব মামলার তদন্তে গতি আনতে হবে, যাতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে পারে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, অপরাধ প্রবণতা বিশ্লেষণ এবং অপরাধীদের গতিবিধি নজরদারি আরও জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের কার্যক্রম উন্নত করে অনলাইন প্রতারণা, চাঁদাবাজি, মানহানি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক অপরাধ দমনে বাড়তি নজরদারির কথাও সভায় উল্লেখ করা হয়। দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও সততা—পুলিশ সুপারের আহ্বান সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে হলে পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করতে হবে এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ, বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তা, ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিরা এবং গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা। সভার মাধ্যমে নভেম্বর মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি মূল্যায়নের পাশাপাশি ডিসেম্বর ও আগামীর কার্যক্রমের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা গ্রহণ করা হয়।টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের নভেম্বর/২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল মহোদয়ের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের সম্মেলন কক্ষে নভেম্বর/২০২৫ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার, সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয়, জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিতকরণে সকলকে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প, রাজধানীসহ আশপাশে অনুভূত কম্পন ২২ নভেম্বর ২০২৫, নরসিংদীর মাধবদীতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো এই কম্পন জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সাভারের বাইপাইল এলাকায় ভূমিকম্পটি রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটি খুব গভীর না হলেও হালকা দুলুনি কয়েকটি স্থানে অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি একটি মাইনর ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়। ভূকম্পনটির স্থায়ীত্ব খুব বেশি না হলেও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ভূমিকম্পের কারণে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই কম্পনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক দোলন অনুভূত হয়। দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশে একের পর এক ভূমিকম্পে সাধারণ মানুষ যেমন আতঙ্কে রয়েছে, তেমনি বিশেষজ্ঞরাও ভূকম্পন প্রবণতার বাড়তি ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভবন কাঠামোয় নিয়ম মেনে নির্মাণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।