দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি দেশের যেসব বেসরকারি স্কুল ও কলেজে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁর প্রতিনিধি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (১৫ নভেম্বর) একটি পরিপত্র জারি করেছে। ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকাসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ড (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০২৪’-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা থেকে পরিপত্রটি জারি হয়। পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন নং ১৬৭৫৭/২০১৫ মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গত ৮ সেপ্টেম্বর যে পরিপত্রের মাধ্যমে এডহক কমিটি ও নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিল, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব ইউএনও বা ডিসি পালন করবেন।
অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আমার দেশ তাদের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে—এমন দাবি তারা উপস্থাপন করেছে। একই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। ভিডিওতে যেভাবে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে— ১) ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক উল্লেখ ভিডিও দাবি করে, আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা রাজাকার বংশধর বলে মন্তব্য করেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। ২) হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রতিবেদন মতে, আন্দোলনকারীদের দমন করতে এসব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ৩) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যু রংপুরে গুলিতে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার দায়ও মামলার অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ৪) চাংখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকায় ছয়জন আন্দোলনকারী গুলিতে নিহত হন—এ অভিযোগও মামলার অন্তর্ভুক্ত। ৫) মার্চ টু ঢাকা চলাকালে আশুলিয়ায় গুলি ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ভিডিওতে বলা হয়, আশুলিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনা মামলার বড় অংশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটি প্রথম যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর আগে আদালত অবমাননার আরেক মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলেও ভিডিওতে উল্লেখ আসে। ভিডিওটিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৮৩টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলা, দুদক মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং গুমের মামলাও অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করা হয়। বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে এবং কিছু বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, এই সংবাদে বর্ণিত সব তথ্যই আমার দেশ ভিডিও রিপোর্টে উপস্থাপিত দাবি—স্বাধীনভাবে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।