দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই—সেই সময়কার ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঘটনার বিচার এখন শেষ প্রান্তে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার প্রথম রায়ের কাউন্টডাউন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। প্রায় ৪০০ দিনের টানা শুনানি, সাক্ষ্য, প্রমাণ উপস্থাপন আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল দেওয়া হবে রায়। মামলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইন্টারপোল জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে কনভিকশন ওয়ারেন্ট ও রেড নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে। পাঁচটি অভিযোগের সারসংক্ষেপ ১. উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাষ্ট্রীয় দমন অভিযান ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের পর আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, সেই বক্তব্যের পর উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। ২. হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন আইজিপি বিশেষ নির্দেশনা দেন। তদন্ত সংস্থা হেলিকপ্টার থেকে র্যাবের গুলিবর্ষণের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে। ৩. রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটিও এই মামলার অংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের দমননীতির ধারাবাহিকতা। ঘটনার পর এটিকে ভিন্ন খাতে নিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। ৪. পুরান ঢাকার চাঁখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ৫ আগস্ট চাঁখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়। ট্রাইব্যুনালের নথিতে বলা হয়েছে, এটি ছিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পরিচালিত এক অভিযান। ৫. আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলা সবচেয়ে নৃশংস অভিযোগ—আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলা এবং আহত একজনকে জীবিত অবস্থায় আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা। আদালতে এই ঘটনাকে জুলাইয়ের সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। উপস্থাপন করা হয়েছে অডিও-ভিডিও ফুটেজ, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ও ফরেনসিক রিপোর্ট। রায়ের অপেক্ষায় এখন পুরো দেশ—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে মামলার পরবর্তী গতি।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে সিগার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ, কামালিয়াচালা থেকে কর্মরত ওয়েল্ডিং কর্মী সনজিৎ মোহন্তের (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে লা*শটি সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১নং আটগাও ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা পরিচয়ে পরিচিত অভিযুক্ত ডিলার সালাম মিয়ার এই কর্মকান্ডে ডিলারশিপ অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তোষ ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪-এর একাধিক মৌলিক শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালা-২০২৪ অনুযায়ী, ডিলারকে ইউনিয়নের নির্ধারিত হাট/বাজারের নিজস্ব বা ভাড়ার দোকান থাকতে হবে এবং সেখানে কমপক্ষে ১৫ (পনের) মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে এই শর্তগুলোর মারাত্মক ব্যত্যয় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিলার সালাম মিয়া আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানেই তাঁর চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মেম্বার কালাম মিয়া, ইউনূস মিয়া সহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস আগে এই অবৈধ স্থাপনাটি ঘর তোলা হয়েছে। নীতিমালায় বলা আছে ১৫মে. টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সরেজমিনে দেখা গেছে ডিলারের সরকারি ভূমিতে নির্মিত ঘরটিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ মে. টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা সম্ভব। নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়ার দোকানের ক্ষেত্রে ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্র জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারি জায়গা দখল করে নির্মিত একটি অবৈধ স্থাপনার জন্য কিভাবে বৈধ ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরি এবং তা ডিলারশিপের জন্য গৃহীত হলো, তা নিয়ে জনমনে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান,এই ডিলারশিপ অনুমোদনের পেছনে বড় ধরনের অনিয়ম থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এদিকে, দাউদপুর বাজার কমিটির সহ-সভাপতি প্রেমতুষ দাস অভিযোগ করেন, ঘরটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পূর্বে গ্রামের শিব (বেন্নাথ) গাছ থাকায় তারা পূজা-পার্বণে প্রসাদ বিতরণ করতেন। তিনি বলেন, ডিলার ও চেয়ারম্যান তাদের বলেছিলেন 'কিছু দিনের জন্য চাল বিতরণ করা হবে, পরে ভেঙে ফেলা হবে'। কিন্তু এখন যেভাবে কার্যক্রম চলছে, তাতে স্পষ্টতই জায়গাটি দখল করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, বিএনপি নেতা সালাম হঠাৎ করেই পরিষদের জায়গায় ২০/৪০ জন মানুষ নিয়ে এসে সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘর নির্মাণ করে। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এখানে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে ইউএনও সাহেব অবগত আছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ডিলারশিপ নেওয়া সালাম মিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন ডিলার সালাম ফোন চার্জে লাগিয়ে বাহিরে গেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আটঁগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন-নোমান স্থাপনাটির অবৈধতা স্বীকার করে বলেন,"এটা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা না। এখানে পূর্বে বিআরডিবির অফিস ছিল। এখানে আমরা অস্থায়ী কার্যালয় করেছি। এই জায়গাটি সরকারি জমি স্থাপনাটি অবৈধ।" তবে তিনি দাবি করেন, ডিলার সালাম মিয়ার বাজারে দোকান থাকলেও জায়গা কম থাকায় এখানে এসে চাল বিতরণ করে থাকেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, "এই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সচেতন মহলের দাবি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি ভূমি দখলের অভিযোগ একটি গুরুতর অপরাধ। স্থানীয়রা মনে করেন, অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটির মাধ্যমে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিলারশিপের শর্ত পূরণের নথি এবং স্থাপনার বৈধতা যাচাই করা প্রয়োজন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
সাজিদ পিয়াল: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা, গ্রেফতার ৪। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে বাংলা স্টার নামে যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা ওই বাসটিতে আগুন দেয়। এসময় যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যান। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ূন কার্ণায়েন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—বাঐখোলা গ্রামের মাসুদ, জুলহাস, কামাল ওরফে তালু এবং বয়রা গ্রামের শহিদ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী ‘বাংলা স্টার’ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ বাসটিতে আগুন দেয়। বাসের যাত্রীরা দ্রুত নেমে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাসাইল থানা পুলিশ, গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ এবং টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে পুড়ে যাওয়া বাসটি রেকারের সহায়তায় গোড়াই হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অগ্নিসংযোগে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে চলন্ত বাসে আগুন ধরানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে গোড়াই হাইওয়ে থানার এসআই মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বাসাইল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”