ঢাকা, ২০২৫ – ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের এসব পণ্য এখন শুধুমাত্র নহবা সেবা (Nhava Sheva) ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পাঠানো যাবে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের শুল্কপয়েন্ট, এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, তুলার পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং কাঠের আসবাব আমদানি বন্ধ করা হয়েছে।
তবে, মাছ, ভোজ্য তেল, এলপিজি এবং চূর্ণ পাথরের মতো কিছু পণ্যের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
🟨 রপ্তানির খরচ বাড়বে:
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র নৌ ও বিমানপথ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে।
🔁 বাণিজ্যিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতা:
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন। এর আগে গত মার্চে চীনের বেইজিংয়ে এক বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল স্থলবেষ্টিত এবং সেসব অঞ্চলের একমাত্র ‘সমুদ্র অভিভাবক’ বাংলাদেশ। এরপর ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে।
এছাড়া, গত মাসে বাংলাদেশ ভারত থেকে তুলা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যা দেশের স্থানীয় শিল্পকে সস্তা আমদানির চক্র থেকে বের করে আনার কৌশলের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালে ভারত বাংলাদেশে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের তুলা রপ্তানি করেছিল, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছিল স্থলপথে।
📉 রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা ও আস্থাহীনতা বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
🧵 আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রপ্তানি বিপন্ন:
বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, যার একটি বড় অংশ স্থলপথে ভারতে প্রবেশ করত এবং সেখান থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকায় পৌঁছে যেত। নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে এই চেইনে বড় ধরণের বিঘ্ন ঘটবে।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। কনফারেন্সে ফোকাল পার্সন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখনে টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম রিপন, টাঙ্গাইলের সিভিলি সার্জন ডা. ফরাজী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি জহুর আজহার খান প্রমুখ। ওই পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ), বিদ্যুৎ আদালত সহ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পারিবারিক আদালতের বিচারক, বন আদালতের বিচারক, জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট ইন্সপেক্টর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিএসআই ও জিআরও উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে বক্তারা ফৌজদার মামলার দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত, যথাসময়ে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা, মরদেহের ময়নাতদন্ত দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভারী ও বড় আলামত সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে মামলার যথাযথ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবন্ধকতা নিরসন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী সরকারি সা'দত কলেজের ১২ প্রভাষককে "সহকারী অধ্যাপক" পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতে "মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ" সরকারি কলেজ-১ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কলেজ গুলোর ১৮৭০ প্রভাষককে "সহকারী অধ্যাপক" পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি প্রাপ্ত ব্যক্তিরা স্ব স্ব কলেজেই নিজ দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়। সরকারি সা'দত কলেজের পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেনঃ- ১। তানিয়া তাসরিন (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ), ২। রাজিবুল ইসলাম (ইংরেজি বিভাগ) ৩। শারমিন আক্তার (ইতিহাস বিভাগ) ৪। সুবীর পাল (উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ) ৫। জামিল হোসেন (দর্শন বিভাগ) ৬। মোহাম্মদ সাব্বির হাসান (পদার্থবিদ্যা বিভাগ) ৭। ফাহিমা আক্তার (বাংলা বিভাগ) ৮। মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাংলা বিভাগ) ৯। শারমিন সুলতানা (বাংলা বিভাগ) ১০। মুমু আক্তার (রসায়ন বিভাগ) ১১। লায়লা ইয়াসমিন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) ১২। মোঃ রাসেল খান (হিসাববিজ্ঞান বিভাগ)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভারত কোনো পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। দত্ত আল-জাজিরাকে বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে হস্তান্তর করবে না। গত দেড় বছরে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না, বেশ কয়েকবার টানাপড়েনও দেখা গেছে।” আল-জাজিরাকে দত্ত জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর রায় আসা খুবই প্রত্যাশিত ছিল। তার ভাষায়, “দেশের পরিস্থিতি দেখে সবাইই অনুমান করেছিল তার বিরুদ্ধে কঠোর বিচার আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বলছে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাংলাদেশের আইনি কাঠামো অনুযায়ী হয়েছে।” দত্ত দাবি করেন, নিরস্ত্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং গুলি করার নির্দেশ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর অপরাধ হয়েছে—এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন—এ ধরনের প্রমাণও রয়েছে।” অধ্যাপক দত্তের মতে, আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা বিবরণ তৈরির চেষ্টা করবে। তবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বড় অংশ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।” জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, উস্কানি, ষড়যন্ত্র ও নির্দেশ—এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। রায়ের পর থেকেই ভারত তাকে বাংলাদেশে ফেরত দেবে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠে। আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে শ্রীরাধা দত্তের মন্তব্যে সেই বিতর্কে আরও স্পষ্টতা আসে।
অসাধারণ