মোস্তফা মাসুদ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালিকাপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মাঠে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল ঢালী (৫০) ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় একই এলাকার কয়েকজন যুবক। অভিযুক্তরা হলেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (৪২), আজগার আলী মোড়ল (২৪) আলাউদ্দীন (৩২), নাসির উদ্দীন (২৫), সাইফুল আলম সুমন (২৮), হাসান (২৫), ইমরান হোসেন (২২), মনিরুল ইসলাম (২৩) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক (ইয়াবা) ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় এবং পাওনা টাকা দাবি করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুকুল ঢালী ও তার আত্মীয়রা মাঠের পাশে অবস্থানকালে বিবাদীরা ধারালো দা, রামদা, লোহার রড, স্টাম্প, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় মুকুল ঢালীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (১৯)-এর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। হামলায় তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এছাড়া আব্দুর রহমান (৩৮), মাছুম ঢালী (৩৫), মিজান ঢালী (৫০) ও আয়ুব আলী (৪২) গুরুতর জখম হন। হামলাকারীরা মুকুল ঢালীর লুঙ্গির গাঁটিতে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত মোঃ হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
স্বামীর অতিরিক্ত লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন ঘটনাটি ঘটে জিইসির মোর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইসমাইল টাওয়ারের (২য়) তলায় তথ্য সুত্রে জানাযায় গত ১৬/০৯/২০১৯ সালে সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ (৩৮) এর সাথে আবিদা তাসমিন (৩২) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী কিছু বছর তাদের দাম্পত্য জীবন স্বভাবিক ছিল। কিন্তু ইসমাইল টাওয়ারের ফ্ল্যাট টি ছিল আবিদা তাসমিন (৩২) এর নামে। উক্ত ফ্ল্যাটটি তাহার স্বামির নামে লিখে দেওয়ার জন্য তাসমিনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তাসমিন উক্ত ফ্লাটটি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় গত ২ বছর যাবৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও পারিবারিক কলহে লিপ্ত হইয়া তাসমিনকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার করতে লাগলো। তার স্বমীর এসব কর্মকান্ডে তাসমিন মানসিক ভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করিছিল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় তাসমিনকে হুমকি ও দিত। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখআনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময় আবিদা তাসমিন (৩২) তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ এর সঙ্গে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ অনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৩০ হতে অনুমান ০৭:৪০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বিল্ডিং এর নীচ থেকে লোকজনের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। শোরগোলের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বিল্ডিং এর নীচে গিয়ে দেখতে পাই আবিদা তাসমিন (৩২) রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিং এর মূল গেইটের সামনে রাস্তায় পরে আছে। তথ্য সুত্রে জনা যায় তাসমিন ৯ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নীচে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাহার স্বামী সাইফুদ্দিন মাহমুদ মারুফ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাসমিনকে প্রথমে চট্টগ্রাম চকবাজার থানাধীন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরবর্তীতে পার্কভিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্কভিও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাসনিমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ০২/১০/২০২৫ ইং তারিখ ১০ ঘটিকার সময় মৃত ঘোষনা করেন। ডাক্তার আবিদা তাসমিন (৩২) এর মৃত্যুর কারণ Brought in Dead/Fall from height বলে উল্লেখ করেন। উক্ত ঘটনা নিয়েঐ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে চকবাজার থানার একটি চৌকশ টিমের সহায়তায় ঘাতক স্বামী মারুফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাই এলাকার জনগণের একটাই দাবি আর কত মেয়ে স্বামীর লোভের কারণে তার পথ বেছে নেবে তাই দ্রুত এই লোভী নরঘাতক পাষন্ড স্বামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করার প্রশাসনের কাছে করার জন্য অনুরোধ জানান।
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর আওনা ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে মোঃ হারুন (৩৮) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারুন আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ মাখনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন শিপ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং কিছুদিন আগে ছুটিতে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতের কোনো এক সময় হারুন বাটিকামারী গ্রামে তার মামার বাড়ির দরজার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দরজায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ (যার ভেতরে ছিল ২,৪১০ টাকা) এবং কিছু ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিনারা আশরাফ ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।” পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের দাবি, হারুন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলেন, এক সময় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন হারুন, কিন্তু নেশার কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েন তিনি।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নদী, খাল-বিল জুড়ে নির্বিচারে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না জাল। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পাশাপাশি হাঁস পালন ও প্রাকৃতিক খাদ্যশৃঙ্খলও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সৌরভ কুমার দে জানান, সম্প্রতি একাধিক অভিযানে শতাধিক চায়না জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সোনামুই গ্রামের গৃহিণী জুলেখা বেগম বলেন, “হাঁস পালন করেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতাম। আগে বিল থেকে হাঁসের খাবার হিসেবে প্রচুর শামুক পাওয়া যেত। কিন্তু গত দুই বছর ধরে চায়না জালের কারণে শামুক প্রায় নেই বললেই চলে। এতে আমি ও আশপাশের প্রায় ২৫টি পরিবার হাঁসের খাবার সংকটে পড়েছি।” কাহেতা গ্রামের জহুরা বেগম বলেন, “কারেন্ট জালের বদলে চায়না জাল ব্যবহারের পর থেকেই দেশি মাছ কমে গেছে। এখন তো হাঁস পর্যন্ত এই জালে আটকে মারা যাচ্ছে।” স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য বিপ্লব কুমার জানান, “আগে খাল-বিলে কুঁচিয়া ধরে বিক্রি করেই সংসার চলত। কিন্তু এখন প্রায় কোথাও কুঁচিয়া নেই। বর্ষাকালে মা মাছ ও পোনা ধরার সময় কুঁচিয়াও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।” সোনামুই গ্রামের শিমুল পারভেজ বলেন, “আমাদের গ্রামসহ আশপাশের ছয়-সাতটি গ্রামে শত শত পরিবার হাঁস পালন করে সংসার চালায়। কিন্তু এখন চায়না জালের ফাঁদে শুধু মাছ নয়, হাঁসও মারা যাচ্ছে। এতে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।” ফলদা শরীফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন, “চায়না জাল শুধু দেশি মাছই শেষ করছে না; জলজ প্রাণী, হাঁস খামার ও জীববৈচিত্র্যকেও ধ্বংস করছে। এমনকি খাদ্যসংকটের কারণে অতিথি পাখির আগমনও কমে গেছে।” ঝাওয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, “নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার বন্ধে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। তবে টেকসই সমাধানের জন্য প্রশাসন ও জনগণের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।” স্থানীয়দের দাবি, নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে গোপালপুরের জলজ সম্পদ, হাঁস খামার ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।