কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ ই নভেম্বর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদা সহ লাঠি সোটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা টু খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগা ইউনিয়নের শুয়াদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯ টার পর্যন্ত তারা সড়ক অবস্থান করে। জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়ন কে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ ভিডিওতেও দেখা যায়। মহাসড়কটির ও পর গাছের গুড়ি ফেলে রেখে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা - কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা,ঢাল,সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন।এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ টি শিশুরা ও হেলমেট মাথায় ও অবস্থান করতে দেখা যায়, তাদের একটি শিশুকে রামদা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময় ঢাকা মুখি যানবাহন সহ সড়কে দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ মুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধু্্যষিত । লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোররাত থেকে কয়েকজন নেতা কর্মী লকডাউন এর সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনাসৃষ্টি হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মোঃ রোকিবুজ্জামান বলেন, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটিও এক ঘণ্টার মধ্যেই অবসর করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ করিয়ে দিতে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফরিদপুর বাস মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩: টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬ টা থেকে বেলা ৩: ০০ টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব না। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নেওয়া যায় না।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৯২৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কানিজ নাহার দিপা জানতে চেয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ। প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-মাহফিল করা জায়েজ কি? উত্তর : না দোয়ার জন্য আলাদা কোনো মাহফিল নেই। এটা আসবে কেন? আমরা একটা জায়গা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করছি। কিন্তু সেই কাজটি ভুল করে আরও বড় ভুলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমাদের সমাজে একটি প্রথা একেবারে ছেয়ে গেছে। যেমন—একজন মারা গেলে তার জন্য মিলাদ-মাহফিল করা কিংবা কূলখানি করা। কিন্তু এগুলো সবই বেদআতি কাজ। এগুলো সঠিক কাজ নয়। অনেকে মনে করছে, দোয়া-মাহফিল করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। এসব ইসলামে অনুমোদন দেয়নি। এইগুলো পুরোটাই বেদআত। মানুষ চাইলে যে কোনো সময় কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে দোয়া করতে পারবেন। দোয়ার সঙ্গে মাহফিল কিংবা আলাদা কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ঘোষণা করা জায়েজ নেই। আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
র্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি ও চীনের ডিপসিকের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতার নয়, বরং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ লেখা, গবেষণা, প্রোগ্রামিংসহ নানান কাজে অপরিহার্য টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চীনের তৈরি ডিপসিক এআই জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, তুলনামূলক কম চিপ ব্যবহার করেই অত্যাধুনিক এআই সেবা দেওয়া সম্ভব, যেখানে ওপেনএআই-এর বিশাল মডেলগুলোর জন্য ১৬,০০০ বা তারও বেশি চিপ প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র ২০০০ চিপ দিয়ে ডিপসিক কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ✅ চ্যাটজিপিটি: বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও গভীর গবেষণা উপস্থাপন করতে পারে, যা একাডেমিক ও জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক। ✅ ডিপসিক: দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে পারে, যা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশী ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। লেখালেখির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কেবল ধারণা ও প্লটের কাঠামো গড়ে তোলে, যেখানে ডিপসিক প্রায় পুরো গল্প তৈরি করে দিতে পারে। একইভাবে, কোডিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিপসিক কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ডিপসিকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সংরক্ষণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার ইতোমধ্যেই ডিপসিকের ডেটা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওপেনএআই নিজেও অতীতে অনুমতি ছাড়া মানুষের লেখা ডেটা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের অভিযোগের মুখে পড়েছিল, যা এখন ডিপসিকের বিরুদ্ধে উঠছে। ডিপসিকের সাফল্যের ফলে এআই চিপের বাজারেও বড় প্রভাব পড়েছে। এনভিডিয়া, যারা উন্নত চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগণ্য, তাদের শেয়ারের মূল্য একদিনে প্রায় ১৭% কমে গেছে। কারণ, কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারেও কার্যকর এআই সম্ভব হলে উচ্চমূল্যের উন্নত চিপের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে ডিপসিকের উদ্ভাবন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনে উন্নত চিপ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম খরচে ভালো এআই তৈরি হলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতেরও লাভ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎকে আরও উন্নত ও বহুমাত্রিক করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে দ্রুত এবং সাশ্রয়ী সমাধান দরকার, সেখানে হয়তো ডিপসিক এগিয়ে থাকবে, আর যেখানে গবেষণা ও জটিল বিশ্লেষণের প্রয়োজন, সেখানে চ্যাটজিপিটির মতো বৃহৎ মডেলগুলো প্রাধান্য পাবে। শেষ পর্যন্ত, এই প্রতিযোগিতাই হয়তো এআই প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী করবে।
সুনামগঞ্জে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৮তম শুভ জন্মোৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপি অনুষ্ঠান চলছে। শহরের সরকারি জুবিলী স্কুল মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমবেত বিনতি প্রার্থনা, নাম জপ ও সদ্গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপি উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১৩৮ তম জন্ম-মহোৎসব উদযাপন কমিটি ও সৎসঙ্গ বিহার সুনামগঞ্জের উদ্যোগে শহরে সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়(বালুর) মাঠ থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় বালুর মাঠে গিয়ে ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান,কুইজ প্রতিযোগিতা, কর্মী সম্মেলন, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, নীলা কীর্ত্তন,ধর্ম সভা ও উপস্থিত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৩৮ তম জন্ম-মহোৎসব উদযাপন কমিটি ও সৎসঙ্গ বিহার সুনামগঞ্জের সভাপতি শ্রী রঞ্জিত কুমার তালুকদার,সাধারন সম্পাদক শ্রী দিবাকর দাসসহ অনেকেই। সবারই প্রত্যাশা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সুনামগঞ্জ হচ্ছে সম্প্রীতির একটি নিদর্শন। এই জেলায় যুগ যুগ ধরে হিন্দু.মুসলিম,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির যে একটি মিলবন্ধন রয়েছে তা আগামী প্রজন্ম ও ধরে রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অঙ্গীকার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা । টাঙ্গাইলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা বিষয়ে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এক বিশেষ অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত আন্তঃদলীয় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডেমোক্রেচি ইন্টারন্যাশনাল, এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ, টাঙ্গাইল।অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী সুলতাল সালাউদ্দিন টুকু,জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবিব মাসুদ,গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী ফাতেমা রহমান বীথি,জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী মাসুদুর রহমান রাসেল।শান্তি ও দায়িত্ববোধের অঙ্গীকার সংলাপে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেন— পারস্পরিক সম্মান ও রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখা,দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা,দলে বা এলাকায় কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে তা নিরসনে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।প্রার্থীরা জানান, সম্ভাব্য সংঘাতের ঝুঁকি দেখা দিলে দ্রুত যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তা প্রশমিত করা হবে। সহিংসতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আক্রমণাত্মক না হয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকারও করেন তারা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও বক্তারা ডেমোক্রেচি ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি একেএম মনিরুল হক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম বাবু,সম্প্রতির সংলাপ পাঠ করেন রকসি মেহেদী।অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী তথ্য ও বিশেষ টোকা বিএনপি চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ভোটার হবেন ২৭ ডিসেম্বর, জানিয়েছেন সুলতাল সালাউদ্দিন টুকু।খুলনা বিভাগের ৭৯৬টি কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত।সংলাপ ও শপথবাক্য পাঠের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের সামনে শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে কোনো ধরণের সহিংসতা হবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসনরাজা মিলনায়তনে সংগঠনের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা শায়খ ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসাইন ও সহ সাধারন সম্পাদক মাওলানা বোরহান উদ্দিনের যৗথ সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা আব্দুল বাছিত আজাদ । সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান এবং কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও শ্রমিক মজলিসের সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মদ আব্দুল করীম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন মোহন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির,সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী এডভোকেট মোঃ ফজর আলী,জেলা খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি মাওলানা ছদরুল আমীন, মোঃ মোস্তফা কামাল, মাওলানা খলিল আহমদ এবং সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব মজলিস ও ছাত্র মজলিসের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, দেশের প্রচলিত সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনের লক্ষ্যে আদর্শহীন, সুবিধাবাদী ও স্বৈরাচারী নেতৃত্বের অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের আস্থাভাজন সৎ ও আদর্শবান নেতৃত্ব এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। একইসঙ্গে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশে শান্তি ও ধর্মীয় অনুশাসন কায়েমে সর্বত্র বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।