বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের ৪ ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশোকিয়া ডোলকানে এই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক( ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) বেনজীর আহমেদ টিটো। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশ আজ চরম সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ দুঃশাসনের কবলে পড়েছে। এই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রূপরেখা। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে এই দফাগুলো পৌঁছে দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিনু, গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ,পাইকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছামাদ আজাদ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা, দশোকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরুল ইসলাম নূরু সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লাভলুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম আহম্মদ । সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের-সভাপতি নূরুল ইসলাম।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।
মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।
টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শহরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে সাধারণ জনগণ। সোমবার বিকেলে শহরের নিরালা মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মুখে কালো কাপড়, হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড—কিন্তু স্লোগানহীন নীরব প্রতিবাদই ছিল তাদের প্রধান বার্তা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষোভ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তারা এই মৌন মিছিলে যোগ দিয়েছেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের দাবি–দাওয়া ও ভোগান্তির বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্যই এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারা জানান, দাবি পূরণ না হলে আরও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মী, সুধীজন ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক উপস্থিতি জানান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম আব্দুল হামিদ। দেলদুয়ার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আল মোমেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল–৬ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা পরিচালক রাশেদুল হাসান এবং জামায়াতপ্রার্থী ডা. আব্দুল হামিদের ছেলে ব্যারিস্টার হাসনাত জামিল। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে বিজয়ী করা সময়ের দাবি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনগণের সমর্থনই হলো জামায়াতের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রধান অতিথি ডা. একেএম আব্দুল হামিদ তার বক্তব্যে বলেন,“আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে দেলদুয়ার–নাগরপুরবাসী আমাকে তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। জয়ী হলে জনগণের অধিকার ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।” তিনি আরও বলেন,“এ অঞ্চলের অবহেলিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে নাগরপুর–দেলদুয়ারকে উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।” সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে মিছিলসহকারে উপজেলা পরিষদ চত্বর ত্যাগ করেন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সদ্য ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল করেছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই টাঙ্গাইল সদর বিএনপিতে বিরোধ, ক্ষোভ ও অস্থিরতা প্রকট হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে একত্রিত হন। পরে তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করেন। পুরো মিছিলজুড়ে ‘টুকুর মনোনয়ন বাতিল চাই’, ‘ফরহাদ ইকবালকে মনোনয়ন দাও’, ‘সদরের প্রার্থী চাই’—এমন নানা স্লোগানে এলাকাজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, বিএনপি নেতা মামুন সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবিদ হোসেনসহ আরও অনেকে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন। এ সুযোগে একটি সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে কয়েকটি আসনে ইচ্ছামতো মনোনয়ন ঘোষণা করেছে।টাঙ্গাইল সদরের জন্ম এমন কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে—যা কর্মীদের প্রতি অন্যায়।সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন আমরা মানি না, দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করে ফরহাদ ইকবালকে প্রার্থী করা হোক।” মশাল মিছিলে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নেতাকর্মীদের হাতে জ্বলন্ত মশাল, ব্যানার ও স্লোগানে শহরের পরিবেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনমতের প্রতি গুরুত্ব না দিয়েই কেন্দ্রীয়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী সদর বিএনপির তৃণমূলকে হতাশ করেছে। বক্তারা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করা হলে নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন হবে। তাই অবিলম্বে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে ফরহাদ ইকবালকে টাঙ্গাইল-৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে।”