বিশুদ্ধতম মতে, পুরুষ ও নারী সকলের জন্য কবর জিয়ারত করা মুস্তাহাব, এবং কবর জিয়ারতের সময় সুরা ইয়াসিন পাঠ করা মুস্তাহাব। কেননা হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কবর স্থানে গমন করে ও সুরা ইয়াসিন পাঠ করে আল্লাহ তা'আলা ওই গোরস্থানে সমাহিত সকলের ওই দিনের শাস্তি লঘু করে দেন এবং পাঠকারি এত সংখ্যক নেকি লাভ করে যত সংখ্যক লোক তাতে সমাহিত থাকে। গ্রহণযোগ্য মতে, পাঠ করার জন্য কবরের উপর বসা মাকরুহ নয়। তেলাওয়াত ব্যতীত কবরের উপর বসা এবং কবর কে পদদলিত করা এবং তাতে পায়খানা পেশাব করা এবং কবরের ঘাস ও গাছপালা উন্মলিত করা মাকরূহ। তবে শুকনো ঘাস ও গাছপালা উন্মলিত করাতে কোন ক্ষতি নেই।
কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্য হলো মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়িত্বের কথা মনে বদ্ধমূল করা। মৃতদের জন্য দোয়া করা এবং তাদের বর্তমান ও অতীত অবস্থা হতে শিক্ষা গ্রহণ করা। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزورها فانها تذكره الاخرة
অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারতের ব্যাপারে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা তা জিয়ারত করতে পার; কারণ তা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এখন যদি কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্য এই হয়ে থাকে, তবে এর উপর আমল করা কেবল জায়েজ হবে তাই নয়, বরং তা সুন্নাতও বটে। এজন্যই ঈদ ও জুমুয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে যা আনন্দের দিন সেদিন কবর জিয়ারত করা সুন্নত, যাতে আনন্দের মুহূর্তগুলোতে পরকালের কথাও স্মরণ থাকে।
উপরে যে সমস্ত কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে সমস্ত কারণ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে যেমন কবরবাসীর কাছে নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করা,তাদের সন্তুষ্টি কামনা করা, কবরে চুমু খাওয়া, সেজদা করা, কাওয়ালী শুনা এবং মৃতের স্মরণে কান্নাকাটি করা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে কবর জিয়ারত করা হারাম।