মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শাকিন রেজিস্ট্রি পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই রাতে কালিহাতী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে স্বামী শওকত হোসেন তালুকদার ওরফে ঠান্ডু, ভাসুর মমিন তালুকদার ও জা আকলিমা মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং এমএসডব্লিউ ৩৭৮২৩৩৬ ও ৩৭৮২৩৩৭ নম্বরের দুটি ব্ল্যাংক চেক আত্মসাৎ করা হয়। যা ভয়ংকর প্রতারণা ও জবরদস্তির ঘটনা। পরে খবর পেয়ে কালিহাতী থানা পুলিশ গিয়ে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরদিন ১৪ জুলাই তিনি কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং দুই দিন সেখানে চিকিৎসা নেন।
নির্যাতনের পর তিনি তার মা’র সহায়তায় টাঙ্গাইল শহরের একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেন। ফারহানার পৈতৃক বাড়ি কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাছিনা লখাই গ্রামে। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
ঘটনার পর টাঙ্গাইলে কোটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারা এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৬ (চাঁদাবাজি), ৩৭৯ (চুরি), ৩২৩ (আঘাত) ও ৫০৬ (হুমকি) ধারায় নথিভুক্ত হয়।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফারহানা আরও বলেন, “আমি শুধু একজন স্ত্রী নই, একজন মানুষ। অথচ আমাকে বারবার টাকার কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছে ওরা। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি চাই না, আর কোনো নারী আমার মতো পরিস্থিতির শিকার হোক।” তিনি আরও বলেন, “তদন্ত যেন দ্রুত ও সঠিকভাবে হয় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন তারা আর কোনো নারীর জীবন নষ্ট করতে না পারে। এই সমাজ বদলাতে হবে। যৌতুক নামের সামাজিক বিষ থেকে মুক্তি চাই।”
তার বক্তব্যে উঠে আসে, এই ঘটনা নিছক পারিবারিক কলহ নয়, বরং নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। যৌতুকবিরোধী আইন ও মানবাধিকার সনদের বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয় এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
সুনামগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর কোন সুযোগ নেই। অবাধ,সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সকল বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর মন্দির কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সেই সাথে ইতিমধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎস উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে সেই প্রস্তুুতি সরকারের আছে। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা আমাদের পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক ,শ্রী শ্রী অদ্বৈত ধাম পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অদ্বৈত রায় ও সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা প্রমুখ।
টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে ৩ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ এক নারী মাদককারবারি ও ডাকাতির ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব ১৪ এর তিন নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাহাকোদিয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন দর্জির মেয়ে মর্জিনা বেগম ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাদাপুর গ্রামের ভাদু মন্ডলের ছেলে মো. সামাদ মন্ডল। কোম্পানি কমান্ডার সংবাদ সম্মেলন বলেন, ‘একজন মাদক ব্যবসায়ী টাঙ্গাইল সদর এলাকা থেকে সিএনজি যোগে ইয়াবা নিয়ে টাঙ্গাইল নাগরপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেলদুয়ারের মোহাম্মদপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি করার সময় সিগনাল দিয়ে সিএনজি থামানো হয়। সিএনজি তল্লাশিকালে মর্জিনা বেগমের কাছ থেকে তিন হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, স্মার্ট ফোন, নগদ টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদক দ্রব্যের বাজারমূল্য ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। পরে দেলদুয়ার থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে মর্জিনাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বুধবার, ২৯ অক্টোবর) রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ডাকাতি মামলার আসামি মো. সামাদ মন্ডলকে মির্জাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চোর ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত ইমন মিয়া (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রনির নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আল মাহাবুব (৩৭) ও তার পিতা দিল মোহাম্মদ (৬৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই জানায়, গত ৫ অক্টোবর রাতে আড়াইহাজার উপজেলার মারুয়াদী এলাকায় অটোরিকশা চুরির অভিযোগে একজনকে আটক করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমন মিয়া গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রেফতারকৃত দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পিবিআই-এর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সিনিয়র রিপোর্টার জুয়েল খন্দকার :- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মূলহোতা সিফাত ও আবরারসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। সোমবার বেলা ১২ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন উক্ত মামলার আসামি ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন কোতয়ালী মডেল থানা ১৪ জন ও র্যাব-১১ এর কুমিল্লা গ্রেফতার করেছেন ০২ জন। পুলিশ জানায়, দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে চারজন গুরুতর আহত হন মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাত তার বাহিরের বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল। তদন্তে জানা গেছে, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণ সিফাত। ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।” জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার দু’জন ও কিশোর গ্যাং এর ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ওসি মহিনুল ইসলাম জানান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জন ও কিশোর গ্যাং এর ০৮ জন সকল আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : হামলাকারীদের মূল দুই লিডার ১।মোঃ তানভীর সীফাত ২। আলমগীর জিসান, ভিক্টোরিয়া কলেজ, ৩। আরিফুল ইসলাম নাঈম, ৪। দ্বীন ইসলাম, ৫। লোহান তালুকদার, ৬। আলিফুল হক জিহাদ, ৭। আব্দুল্লাহ আল সিয়াম, ৮ মোঃ আরাফাত হোসেন, ৯। আলিফুল হক জিহাদ হুইচ্চামিয়া হাইস্কুল, ১০। মোঃ তাহসিন ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ১১। সোয়াদ আহসান তৌসিন ইবনে তাইমা স্কুল, ১২। আব্রার লালমাই সরকারি কলেজ, ১৩। তৌহিদুল ইসলাম মাহিন রূপসী বাংলা কলেজ, ১৪। সাফায়েত ইসলাম, ১৫। আশরাফুজ্জামান সীফাত, ১৬। তৌহিদুল ইসলাম মাহিম সহ কিশোর গ্যাং এর ৮ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।