দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
শিশু-কিশোর প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’র সংগীত বিভাগের ক গ্রুপে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টাঙ্গাইলের প্রেয়সী চক্রবর্তী। মাত্র আট বছর বয়সেই সংগীতে জাতীয় সেরা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে পুরো টাঙ্গাইলকে গর্বিত করেছে সে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও ৩ লাখ টাকার পুরস্কার গ্রহণ করে প্রেয়সী। আকুর টাকুর পাড়া এলাকার সঞ্জয় চক্রবর্তী বাবুল ও রাখী চক্রবর্তী দম্পতির কনিষ্ঠ মেয়ে প্রেয়সী বর্তমানে শাহীন ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংগীতশিল্পে প্রেয়সীর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ সংগীত পরিবার। তার বড় বোন শ্রেয়সী চক্রবর্তী পাঁচবার জাতীয় সংগীত পুরস্কার জয় করে বর্তমানে আইসিসিআর স্কলারশিপে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করছে। বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী বাবুল নিয়মিত বিভিন্ন চ্যানেলে সংগীত পরিবেশন করেন এবং মা রাখী চক্রবর্তীও একজন দক্ষ সংগীতশিল্পী। প্রেয়সীর অর্জনে টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনন্দের জোয়ার বইছে। কন্যাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “আমার মেয়েরা একদিন সংগীতের মাধ্যমে সবার মন জয় করে কালজয়ী শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমার স্বপ্ন।”
ফরিদপুরের মধুখালীতে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখা কার্যালয়ের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝখানদি এলাকার রায়পুর শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মধুখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের রায়পুর শাখার ব্যবস্থাপক নবিনা নুরুল পিয়া বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের দরজায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ভিতরে কোন ক্ষতি হয়নি। দরজার সামনে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। এ সময় দরজার সামনে পেট্রোলের খালি বোতল ও ন্যাকড়া পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থল প্রদর্শন করেছে। কে বা কাহারা আগুন লাগিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানেন
আমার দেশ প্রকাশ করেছে: বাংলাদেশের শিপিং খাতে ইসরায়েলের অঘোষিত বাণিজ্যিক উপস্থিতি প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাইডেন্ট শিপিং লাইন লিমিটেডকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলের শীর্ষ শিপিং সংস্থা জেড আইএম ইন্টিগ্রেটেড শিপিং সার্ভিসেস লিমিটেড। নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশের জেড আইএম-এর সমস্ত আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম ট্রাইডেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাইডেন্ট শিপিংয়ের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং এফবিসিসিআই সদস্য ফারুবার আনোয়ার। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন: সিএফও: আবু জাফর পোর্ট ক্যাপ্টেন: আলী ইউসুফ কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার: আসাদ খান জিএম সেলস: গৌতম চন্দ্র দাস সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার: দেলোয়ার হোসেন (৩০ সেপ্টেম্বর অবসরগ্রহণ) আইটি ম্যানেজার: উজ্জ্বল কুমার এইচআর ম্যানেজার: ওয়ারদা সাইয়েদা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ইংরেজি নববর্ষে ট্রাইডেন্টের ঢাকা অফিসে জেড আইএম-এর নামের কেক কাটা হয়, যেখানে ইসরায়েলি পতাকার রং ও প্রতীক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, জেড আইএম-এর ওয়েবসাইটেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ট্রাইডেন্টের নাম এবং কর্মকর্তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তদন্তে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত “March for Gaza” কর্মসূচির খবর ট্রাইডেন্ট অফিস থেকে সরাসরি জেড আইএম-এর হাইফা সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মনিটরিং সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়। ইমেইলের মাধ্যমে জেড আইএম-এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি দোতান সার–কে তথ্য পাঠানো হয়। এছাড়াও, ইউনাইটেড আরব আমিরাত প্রবাসী ক্যাপ্টেন বিবেক শর্মা (সারাফ শিপিং এজেন্সির জেনারেল ম্যানেজার) আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। মেইলের কার্বন কপিতে ছিলেন আরিফ সিদ্দিকী, সাইফুল এবং আবু জাফর। সূত্র মতে, ট্রাইডেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে দোতান সার-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এই যোগাযোগ কেবল ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তথ্য আদানপ্রদান, বিশেষ পণ্যবাহী রুট নির্ধারণ এবং কনটেইনার স্ক্যানিং সংক্রান্ত নির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত। জেড আইএম ১৯৪৫ সালে ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর হাইফায়, যা সামরিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বহুবার উল্লেখ করেছেন, জেড আইএম শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক সংযোগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের শিপিং ডেটা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল। কোন পণ্য কোন দেশে যাচ্ছে, কে রপ্তানি করছে এবং কে আমদানি করছে—এই তথ্য কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শিপিং খাতে এই অঘোষিত নেটওয়ার্কের উপস্থিতি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক নজরও আকর্ষণ করছে।