দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ, বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।
(২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। তিনি তার বিশেষ মনিটরিং টিম নিয়ে দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন। অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
“মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”–এ প্রথম রানার্সআপ আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া দেশের আয়োজিত বর্ণাঢ্য প্রতিযোগিতা “মিস এন্ড মিসেস এলিগেন্স বাংলাদেশ সিজন ওয়ান”-এ প্রথম রানার্সআপের মুকুট জয় করলেন তরুণ ফ্যাশন মডেল আদ্রিজা আফরিন সিনথিয়া। ফ্যাশন জগতে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। শুধু মডেলিং নয়, সিনথিয়া অভিনয়ের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় “দেনা পাওনা” সিনেমায় অভিনয় করছেন। রানার্সআপের মুকুট মাথায় পরার পর আবেগে আপ্লুত সিনথিয়া জানান—ঢালিউড কুইন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস আমাকে মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন এই আনন্দ আমি বুঝাতে পারবো না। “এই সাফল্য আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তবে আমি শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমি চাই নিজেকে মিডিয়া অঙ্গনে আরও দূর, বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই।” আজকের এই অর্জন আমি আবার মা বাবা পরিবার এবং আমাকে যারা সাপোর্ট করেছেন তাদেরকে উৎসর্গ করতে চাই। বহু বাধা ও প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন সিনথিয়া। তাঁর অদম্য চেষ্টা, আত্মবিশ্বাস আর স্বপ্নই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাশন থেকে চলচ্চিত্র—সব জায়গাতেই আলো ছড়ানোর ইচ্ছে তার। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সিনথিয়া এখন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়— “এই মুকুট আমার স্বপ্নযাত্রার প্রথম ধাপ মাত্র। সামনে আরও অনেক পথ, আরও অনেক লড়াই।”
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন এখন এক প্রাণচঞ্চল রাজনৈতিক শহরে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল ও রাতে মিছিল, শোভাযাত্রা, পথসভা আর মোটরসাইকেল শোডাউনে সরব হয়ে উঠেছে পুরো সদর উপজেলা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট, মোড়, দোকানের ছাউনি, এমনকি গৃহস্থ বাড়ির দেয়ালও। স্থানীয়দের ভাষায়- ‘টাঙ্গাইল এখন সভা ও মিছিলের শহর’। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। এ তিন নেতার পক্ষেই প্রতিদিন শহরজুড়ে চলছে কর্মী-সমর্থকদের শোডাউন। মিছিল, মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও পথসভা এখন টাঙ্গাইলের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব চত্তর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ পাড়া, বেবিস্ট্যান্ড, আদালত পাড়া ও জেলা সদর মসজিদ রোড এলাকা এখন কার্যত রাজনীতির পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রতি রাতে দলীয় কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছে, ভোর সকালে আবার অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা নতুন পোস্টার সাটাচ্ছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ‘দেওয়ালই এখন ভোট চায়!’ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল মিছিল প্রতিদিনই চলছে। পোস্টার-ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘টাঙ্গাইলের প্রিয় মুখ টুকু ভাই- ধানের শীষের টিকিট চাই’, ‘মাঠের নেতা ফরহাদ ভাই- ত্যাগী নেতার মনোনয়ন চাই’, ‘যুবশক্তির বিকল্প নাই- সাতিল ভাইয়ের যোগ্য কেউ নাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা স্লোগান। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইলে বিএনপির রাজনীতিতে এখন তিনটি শিবিরে বিভিক্ত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি জাতীয় রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি। পরে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি হন। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার পরিচিতি ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তাঁর অনুসারীরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও পথসভার আয়োজন করছেন। সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একই সঙ্গে নানা স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন। টুকুর সমর্থকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অভিজ্ঞ এবং জনবান্ধব হিসেবে টুকুই এখন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের যোগ্য প্রার্থী। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র জীবন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক-বাহক। তাঁর পক্ষে শহরে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে পেশাগত পরিচিতির পাশাপাশি দলের দীর্ঘ সাংগঠনিক ভূমিকার কারণে তিনি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন। শহর ছাড়াও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিশেষ করে চরাঞ্চলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। এরআগেও তিনি একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। কিন্তু দলের প্রার্থীর পক্ষে সরব থেকেছেন। বিগত ১৭ বছরে হামলা-মামলা ও শত নির্যাতন-কারাভোগ করেও তিনি দলীয় কর্মসূচি থেকে বিচ্যূত হননি। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সমর্থকরা প্রতিদিন মিছিল, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, ‘যাঁর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন জাতীয়তাবাদী ঘরাণার রাজনীতি, তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে মানুষ রাজনীতি করবে কেন? এবার ফরহাদ ইকবালই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ বলে বিবেচিত হয়ে দলের মনোনয়ন পাবেন’। এদিকে, খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউন শহরের মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। বিগত সময়ে তিনি জীবন বাঁচাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর সমর্থকদের দাবি, ‘সাতিল ভাই তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক, তিনিই পরিবর্তনের কণ্ঠস্বর’। টাঙ্গাইল শহর ঘুরে দেখা গেছে, এ তিন প্রার্থীর পক্ষে তাদের অনুসারীরা প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা, পথসভা ও মিছিল করছেন। শহরের প্রতিটি এলাকায় তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দোকানের টিনের ছাউনি, দেয়াল, সেতু, এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিও বাদ পড়েনি। শহরের বেবিস্ট্যান্ড মোড় থেকে নিরালার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় টানা ব্যানার-ফেস্টুনে অনেক দোকানের সাইনবোর্ডও আড়াল হয়ে গেছে। ব্যানার টানানো এবং মোটরসাইকেল শোডাউন এখন নিত্যদিনের চিত্র। শুধু শহরই নয়, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলেও শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। এসব এলাকার প্রায় চা-স্টলেই চলছে পছন্দের প্রার্থীর গান আর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত মিছিল-সমাবেশে প্রিয় নেতার দেওয়া বক্তব্য। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে টাঙ্গাইল এখন ব্যস্ত, উচ্ছ্বসিত ও উত্তপ্ত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। কে পাবেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ- এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আগে শহরের প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি স্লোগান যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে- টাঙ্গাইল বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রাণ চাঞ্চল্যের। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে- মিছিলের এই শহর শেষ পর্যন্ত কার বিজয়ের হাসিতে মুখর হবে। টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে- সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (৩ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। শুধুমাত্র টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি।
আজ ১৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি তে কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী সদ্য জামিন প্রাপ্ত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংবর্ধনার জন্য এক আয়োজন করা হয়। এ সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী বলেন“ ডঃ ইউনুস কে প্রথম চিনেছিল শেখ হাসিনা " তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারাদেশের রাজনীতি ও আইন শৃঙ্খলা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে । সারাদেশে যেভাবে আওয়ামীলীগের নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা কখনও দেশের রাজনীতি ও আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কে স্বাভাবিক না করে আরো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার বক্তব্য আরো উল্লেখ করেন যখন সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তখন ইউনুস সাহেবের পাশে এক আমি (কাদের সিদ্দিকী) দাঁড়িয়েছি তার পক্ষে কথা বলেছি। তাই আমি বলবো, ডাঃইউনুস আমি আপনাকে বিশেষ ভাবে আহ্বান করছি সারাদেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন আপনার প্রশাসন কে নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করতে বলুন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ ই নভেম্বর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদা সহ লাঠি সোটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা টু খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগা ইউনিয়নের শুয়াদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯ টার পর্যন্ত তারা সড়ক অবস্থান করে। জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়ন কে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ ভিডিওতেও দেখা যায়। মহাসড়কটির ও পর গাছের গুড়ি ফেলে রেখে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা - কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা,ঢাল,সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন।এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ টি শিশুরা ও হেলমেট মাথায় ও অবস্থান করতে দেখা যায়, তাদের একটি শিশুকে রামদা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ঢাকা মুখি যানবাহন সহ সড়কে দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ মুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধু্্যষিত । লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোররাত থেকে কয়েকজন নেতা কর্মী লকডাউন এর সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনাসৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রোকিবুজ্জামান বলেন, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধ করতে পারেনি। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় অবরোধ করা হলেও সেটিও এক ঘণ্টার মধ্যেই অবসর করা হয়েছে। পুলিশ অবরোধ করিয়ে দিতে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফরিদপুর বাস মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩: টা পর্যন্ত তারা সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সকাল ৬ টা থেকে বেলা ৩: ০০ টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের নেতা কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমরা বাস চালাতে চাই, তবে যাত্রী না পেলে তো বাস চালানো সম্ভব না। খালি বাস নিয়ে তো আর পথে নেওয়া যায় না।