রাজনীতি

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে তিন প্রার্থীর বিরামহীন শোডাউন

reporter-icon
নাদিম তালুকদার: স্টাফ রিপোর্টার ( মুক্তধ্বনি )
নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | 0
বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশাকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন এখন এক প্রাণচঞ্চল রাজনৈতিক শহরে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল ও রাতে মিছিল, শোভাযাত্রা, পথসভা আর মোটরসাইকেল শোডাউনে সরব হয়ে উঠেছে পুরো সদর উপজেলা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট, মোড়, দোকানের ছাউনি, এমনকি গৃহস্থ বাড়ির দেয়ালও। স্থানীয়দের ভাষায়- ‘টাঙ্গাইল এখন সভা ও মিছিলের শহর’। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল। এ তিন নেতার পক্ষেই প্রতিদিন শহরজুড়ে চলছে কর্মী-সমর্থকদের শোডাউন। মিছিল, মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও পথসভা এখন টাঙ্গাইলের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান, প্রেসক্লাব চত্তর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ পাড়া, বেবিস্ট্যান্ড, আদালত পাড়া ও জেলা সদর মসজিদ রোড এলাকা এখন কার্যত রাজনীতির পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রতি রাতে দলীয় কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছে, ভোর সকালে আবার অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা নতুন পোস্টার সাটাচ্ছে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ‘দেওয়ালই এখন ভোট চায়!’ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল মিছিল প্রতিদিনই চলছে। পোস্টার-ব্যানারে লেখা হচ্ছে ‘টাঙ্গাইলের প্রিয় মুখ টুকু ভাই- ধানের শীষের টিকিট চাই’, ‘মাঠের নেতা ফরহাদ ভাই- ত্যাগী নেতার মনোনয়ন চাই’, ‘যুবশক্তির বিকল্প নাই- সাতিল ভাইয়ের যোগ্য কেউ নাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা স্লোগান। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইলে বিএনপির রাজনীতিতে এখন তিনটি শিবিরে বিভিক্ত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি জাতীয় রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি। পরে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি হন। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার পরিচিতি ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা তাঁকে প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তাঁর অনুসারীরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও পথসভার আয়োজন করছেন। সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একই সঙ্গে নানা স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন। টুকুর সমর্থকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অভিজ্ঞ এবং জনবান্ধব হিসেবে টুকুই এখন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের যোগ্য প্রার্থী। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র জীবন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক-বাহক। তাঁর পক্ষে শহরে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে পেশাগত পরিচিতির পাশাপাশি দলের দীর্ঘ সাংগঠনিক ভূমিকার কারণে তিনি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন। শহর ছাড়াও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিশেষ করে চরাঞ্চলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। এরআগেও তিনি একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। কিন্তু দলের প্রার্থীর পক্ষে সরব থেকেছেন। বিগত ১৭ বছরে হামলা-মামলা ও শত নির্যাতন-কারাভোগ করেও তিনি দলীয় কর্মসূচি থেকে বিচ্যূত হননি। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সমর্থকরা প্রতিদিন মিছিল, ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, ‘যাঁর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন জাতীয়তাবাদী ঘরাণার রাজনীতি, তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে মানুষ রাজনীতি করবে কেন? এবার ফরহাদ ইকবালই বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ বলে বিবেচিত হয়ে দলের মনোনয়ন পাবেন’। এদিকে, খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউন শহরের মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। বিগত সময়ে তিনি জীবন বাঁচাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর সমর্থকদের দাবি, ‘সাতিল ভাই তরুণ নেতৃত্বের প্রতীক, তিনিই পরিবর্তনের কণ্ঠস্বর’। টাঙ্গাইল শহর ঘুরে দেখা গেছে, এ তিন প্রার্থীর পক্ষে তাদের অনুসারীরা প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা, পথসভা ও মিছিল করছেন। শহরের প্রতিটি এলাকায় তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। দোকানের টিনের ছাউনি, দেয়াল, সেতু, এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটিও বাদ পড়েনি। শহরের বেবিস্ট্যান্ড মোড় থেকে নিরালার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় টানা ব্যানার-ফেস্টুনে অনেক দোকানের সাইনবোর্ডও আড়াল হয়ে গেছে। ব্যানার টানানো এবং মোটরসাইকেল শোডাউন এখন নিত্যদিনের চিত্র। শুধু শহরই নয়, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলেও শোভা পাচ্ছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। এসব এলাকার প্রায় চা-স্টলেই চলছে পছন্দের প্রার্থীর গান আর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত মিছিল-সমাবেশে প্রিয় নেতার দেওয়া বক্তব্য। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে টাঙ্গাইল এখন ব্যস্ত, উচ্ছ্বসিত ও উত্তপ্ত রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে। কে পাবেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ- এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আগ্রহী শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আগে শহরের প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি স্লোগান যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে- টাঙ্গাইল বিএনপির অভ্যন্তরীণ প্রাণ চাঞ্চল্যের। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে- মিছিলের এই শহর শেষ পর্যন্ত কার বিজয়ের হাসিতে মুখর হবে। টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে- সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত (৩ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। শুধুমাত্র টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি।
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হলেন সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) হলেন মোঃ মনিরুজ্জামান। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবারে ব্যুরো চিপ (ঢাকা বিভাগ) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী মোঃ মনিরুজ্জামান। তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীলরা জানান, দুর্নীতি দমন ও সামাজিক অন্যায়-অবিচার তুলে ধরতে মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নেবে। এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেনঃ ১️⃣ মোঃ শাহ নেওয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ২️⃣ মোঃ শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি ৩️⃣ মোঃ মাহমুদুল হাসান, বার্তা সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— “আমরা মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। তার প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি পরিবার অচিরেই আরও শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে।”

বাংলাদেশের বৃহত্তম এনজিও সংস্থা"আশা"উদ্যোগে গোপালপুরে সোনামুই গ্রামে হয়ে গেল মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্পিং

বাংলাদেশের বৃহৎ এনজিও সংস্থা "আশা"এর উদ্যোগে হয়ে গেল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন যেখানে ফ্রিতে চিকিৎসা দেওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের মধ্যে। ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার সোনামুই গ্রামে সকাল থেকে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয় আশায় এনজিও হেমনগর শাখার উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য সেবিকারা। আশা এনজিও কর্তৃক ক্যাম্পেইনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন "আশা" হেমনগর ব্রাঞ্চের পক্ষথেকে আশা এনজিওর এই ক্যাম্পেইনে গ্রামের সকল পেশাজীবীর মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং তারই মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে নিরূপণ করতে সহযোগিতা করেন। আশা এনজিওর মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে মানুষের জন্য সময় উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যেটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য সঠিকভাবে পর্যালোচনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভাবে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ। এবং তাদের ক্যাম্পেইন ডাক্তার সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। আশা এনজিও আগামী দিনগুলোর জন্য এইরকম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধাপ হিসাবে গণ্য হবে।

শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে?

মাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৩৪তম পর্বে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে নিয়ামত কমে যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া। প্রশ্ন : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কি নিয়ামত কমে যাবে? উত্তর : নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরি। এটা বড় কুফরি না, ছোট কুফরি। যদি আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কুফরি কাজ করে থাকলেন। এ জন্য আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো, আমার সঙ্গে কুফরি করো না।’ আল্লাহ যে নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, আল্লাহর নিয়ামত লাভ করে সুন্দর জীবনযাপন করা, এটা যদি কেউ আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া করলেন না, কুফরি করলেন। এই জন্য আল্লাহ সুরা দোহার শেষ আয়াতে বলেছেন, ‘তুমি তোমার রবের নিয়ামত প্রকাশ করো। কারণ, তোমার কাছে যখন নিয়ামত আসছে, তখন আল্লাহ পছন্দ করেন যে তুমি আল্লাহর এই নিয়ামতের বিষয়টি তুলে ধরবে।’ আল্লাহর কাছে বলবে, আল্লাহ আমাকে এই নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আল্লাহ নিয়ামতকে বান্দার কাছে তুলে ধরার জন্য বলেছেন, বহিঃপ্রকাশ করার জন্য বলেছেন। বহিঃপ্রকাশ দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো নিয়ামতের ব্যবহারের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নিয়ামতের বিষয়টি হলো মানুষের কাছে নিয়ামত তুলে ধরবে। যাতে করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ পায়। নিয়ামতের শুকরিয়া যদি কেউ আদায় না করেন, তাহলে কুফরি হবে। আল্লাহ বলেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করে থাক, তাহলে আমি আরো বৃদ্ধি করে দেব। বান্দারা যখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবে, তখন আল্লাহ আরো নিয়ামত দিয়ে সমৃদ্ধ করে দেন। আর যদি আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা হয়, তাহলে আল্লাহ নিয়ামত কমিয়ে দেবেন এবং সেইসঙ্গে আরেকটি কঠিন বাণী আল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো আল্লাহর কঠিন আজাবও তোমাদের জন্য অবধারিত থাকবে।’ নিয়ামতের শুকরিয়া শুধু মুখে আদায় করা যথেষ্ট নয়। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর শুকরিয়া আমলের মাধ্যমে আদায় করো।’ সুতরাং বান্দারা শুকরিয়া আদায় করবে। শুকরিয়ার অনেকগুলো দিক রয়েছে, তার মধ্যে আমলের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা হলো শুকরিয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার  বিকালে সদর উপজেলার স্থানীয় বেতগঞ্জ বাজাএই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল কাশেম দুলু সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট দীপংঙ্কর বনিক সুজিতের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মনাজ্জির হোসেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সুহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়া, এডভোকেট আব্দুল আহাদ জুয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুজাব্বির হোসেন অপু, ইমরান হোসেন শ্যামল, বিপ্লব খান, মো:শামিম আহমদ, সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতাউর চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।  এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার আলম, লিয়াকত আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আতহাব চৌধুরী হাসান, শাখাওয়াত হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  ইমন আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, মিছবাহ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈনুদ্দিন আহমেদ রিপন,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সৌরভ,  বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, ময়না মিয়া,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুজেল আহমেদ, আবুল হাসনাত, জেলা ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া হাসান প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  বক্তারা বলেন,বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের দুঃসময়ে যারা রাজপথে নির্যাতিত ও নিপিিতড় হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘেঁষা বা ফ্যাসিস্টদের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানান। দুর্দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদেরকে কমিটিতে মুল্যায়ন করা হবে। তারা বলেন,সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদি শক্তির প্রাণপূরুষ এবং বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল জুলুম,হুলিয়া মাথায় নিয়ে এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কেবল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তূমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং আগামী নির্বাচনে এই আসনে জনপ্রিয় ধানের শীষের প্রার্থী একমাত্র নুরুল ইসলাম নুরুলকে বিএনপির প্রার্থী করতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা জোর দাবী জানান।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) - নিষ্পাপ চরিত্রের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ

তিনি ছিলেন মানবজাতির আদর্শ। তিনি অত্যন্ত উদার ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং একজন সাহসী যোদ্ধা। এছাড়াও তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন সফল প্রচারক ছিলেন। তিনিই উত্তম চরিত্র ও উদারতার একমাত্র উৎস। তিনি সকলের আদর্শহীন এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। যার প্রেমে, দুনিয়া মাতাল। তিনি আমার আদর্শ, তিনি আমার নেতা। তিনি আমার নবী, আমাদের নবী এবং সকলের নবী। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। সমস্ত মানবজাতির জন্য করুণা। অন্ধকারে নিমজ্জিত বিশ্বের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে। তার অসাধারণ চরিত্র, মাধুর্য এবং অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব সবাইকে অবাক করেছে। মুমিনের চঞ্চল হৃদয় তাকে এক নজর দেখার জন্য আকুল হয়ে থাকে। কবি কাজী নজরুল বলেছেন: “বিচ্ছেদের রাত ছিল একাকার কান্নার ভোর; আমার মনে শান্তি নেই, আমি কাঁদছি। হে মদিনাবাসীর প্রেমিক, আমার হাত ধর।" তার নিষ্কলুষ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আল-আহজাব, আয়াত 21)। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ কিছু লোক সেই নবীর সম্মানকে অবমাননা করছে। হৃদয় ভেঙ্গে যায়। আমাদের ক্ষমা করুন, হে নবী! তিনি তার অবিস্মরণীয় ক্ষমা, উদারতা, সততা, নম্রতা প্রভৃতির বিরল মুগ্ধতা দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা তাকে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকার করেছিল যে তিনি নম্র এবং গুণী ছিলেন। টাকা দিয়ে নয়, ভালো ব্যবহার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীকে জয় করেছেন। আল্লাহ তাঁর গুণাবলী সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।’ (সূরা আল কালাম, আয়াত ৪)। তিনি কখনো মানুষকে তুচ্ছ করেননি। আত্মসম্মানবোধে তিনি কাউকে তুচ্ছ মনে করেননি। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে উচ্চতর চরিত্রের একটি অনুপম মানদণ্ড স্থাপন করেছেন। নম্রতা তার চরিত্রে সর্বদা উপস্থিত ছিল। পৃথিবীর মানবতার কল্যাণে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল শ্রেষ্ঠ আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাকে আমার উত্তম চরিত্র পূর্ণ করার জন্য প্রেরিত করা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত) ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। দুর্বল ব্যক্তিকে কড়া কথায় আঘাত করবেন না। তিনি কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অসাধ্য সাধন করতে বাধ্য করেননি। গরিব-অসহায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তিনি লোকদেরকে তাদের আচরণে অপ্রয়োজনীয় রাগ ও রাগ থেকে সর্বদা বিরত থাকার উপদেশ দিতেন এবং মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন এবং যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (মিশকাত) কাফেররাও তার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সদয় ও নম্র আচরণ পেয়েছিল। তার অনুসারীরা তাকে উচ্চ সম্মানের সাথে ধরেছিল কারণ তিনি খুব নমনীয় এবং নম্র ছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) তার ভদ্র আচার-আচরণ সম্পর্কে বলেন, ‘নবী (সা.) রূঢ় বক্তা ছিলেন না, প্রয়োজনের সময়ও তিনি কঠোর ভাষা ব্যবহার করতেন না। প্রতিহিংসা তার সাথে ছিল না মোটেও। মন্দের বিনিময়ে ভালোই করেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি ক্ষমা পছন্দ করতেন। তিনি লোকদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, “আল্লাহর ইবাদত কর, করুণাময় প্রভু, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, সালাম দাও এবং এসব কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ কর। তিনি উত্তর দিলেন, "ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং অপরিচিত সকলকে সালাম করা।" (বুখারী ও মুসলিম)। মহানবী (সা.)-এর মর্যাদাকে সম্মান করা মুসলমানদের ধর্মীয় কর্তব্য এবং প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের মৌলিক অংশ।

রাজনীতি

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব
টাঙ্গাইলের পাঁচটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলাজুড়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ৮টি আসনের মধ্যে অন্তত পাঁচটিতে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ ও বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নেয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। প্রায় প্রতিদিনই এসব আসনে মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলছে। একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও ঘটছে। অবস্থান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে—বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ সংকটের সুযোগ নিতে ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর–ধনবাড়ী), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই তীব্র প্রতিযোগিতা ও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিতরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়নকে কেন্দ্রেও জমেছে ক্ষোভ। তার বিপক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ ইকবালের সমর্থকেরা মশাল মিছিল, মৌন মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করছেন। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনেও মনোনীত প্রার্থী রবিউল আওয়াল লাভলুকে ঘিরে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে দৃশ্যমান অসন্তোষ বিরাজ করছে। দেলদুয়ারে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহতও হয়েছেন। টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন বনাম অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। এই আসনে কোন্দল দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইতোমধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, দোকানপাট ভাঙচুরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, দু’গ্রুপের প্রতিনিয়ত অবস্থান—এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিএনপির এই বিভক্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী। টাঙ্গাইল-৩: নাসির বনাম আজাদ, উত্তেজনায় ঘাটাইল। ঘাটাইলে নতুন মুখ অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির মনোনয়ন পেলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ তার ছেলে-মেয়ে, অনুসারীদের নিয়ে শোডাউনে ব্যস্ত। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মানববন্ধনসহ নানা ধরনের কর্মসূচির কারণে ঘাটাইল এলাকায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। এদিকে জামায়াতের প্রার্থী হুসনি মোবারক বাবুল নীরবে-নিভৃতে মাঠ গরম রাখছেন। টাঙ্গাইল-৪: দীর্ঘদিনের বিভক্তি, যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়। কালিহাতীতে দীর্ঘদিনের বিএনপির বিভক্তি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রহমান মতিন সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকলেও, বেনজির আহমেদ টিটো মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত মিটিং-মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আসনে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে ঘিরে। তার অনুসারীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে যে শোডাউন করেছেন, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিকে জামায়াত, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং সারওয়ার সিরাজ শুক্লার সম্ভাব্য প্রার্থিতাও এই আসনকে বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। টাঙ্গাইল-৭: আজাদ সিদ্দিকী বনাম সাইদ সোহরাব—মির্জাপুরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। মির্জাপুরে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী পুরোদমে প্রচারণায় নেমেছেন। অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব প্রকাশ্যেই মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তুলে সভা-সমাবেশ করছেন। এই আসনে কয়েকটি ইসলামী দলের প্রার্থীও সক্রিয় হওয়ায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। টাঙ্গাইল-৮: বাসাইল–সখীপুরে দুই প্রার্থীর শক্ত অবস্থান। বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান মাঠে প্রচারণা জোরদার করলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন প্রত্যাশী সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল মাঠে ব্যাপক তৎপরতা বজায় রেখেছেন। রাসেলের তহবিল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অনুদান, রাস্তাঘাট মেরামতসহ জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। এ আসনে কাদের সিদ্দিকীর সম্ভাব্য প্রার্থিতা এবং জামায়াতের সক্রিয়তা নির্বাচনকে আরও জটিল করবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন,“মনোনয়ন নিয়ে এমন বিভক্তি থাকলে বিএনপির ভোটব্যাংক ছিন্নভিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীরা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।”অন্যদিকে, তৃণমূল বিএনপি নেতাদের দাবি—“কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কার্যকর না হলে প্রার্থী–বিরোধিতা বিএনপির নিজস্ব শক্তিকেই দুর্বল করে দেবে।” জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন—“বিএনপি বড় দল। একাধিক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক, তবে বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একমঞ্চে আসতে হবে।”

ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 0

টাংগাইল সদর আসন ৫ জামাতে ইসলাম হতে মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল সদরে মৌন মিছিল: মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মৌন মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ
টাঙ্গাইল-৫ এ গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম শফিকের গণসংযোগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে গণসংযোগ জোরদার করেছেন গণ অধিকার পরিষদ (ট্রাক প্রতীক) মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং জেলা গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক। নির্বাচনী মাঠ গরম হওয়ার আগেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও মতবিনিময়ে তিনি দিন-রাত ছুটে চলেছেন শহর থেকে গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রেজিস্ট্রিপাড়া ও পোস্ট অফিস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। শুধু সেদিনই নয়, প্রতিদিন তিনি শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নানান পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের মতামত ও সমস্যার কথা শুনছেন। গণসংযোগে শফিকুল ইসলাম শফিকের সঙ্গে ছিলেন— করটিয়া ইউনিয়ন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াদ আলী,জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার আহমেদ,অর্থ সম্পাদক মাহতাব মাহি,সহ দপ্তর সম্পাদক জুবাইদুল ইসলাম,টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমাদ সিয়াম,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদ,কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,“আমি নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে একটি সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত এলাকায় পরিণত করব। যুবসমাজকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়—তাদের এই উৎসাহ ও আস্থা প্রমাণ করে দেয়, জনগণ নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনই আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি দিচ্ছে। নতুন কিছু হবে আপনাদের নিয়েই, আপনাদের জন্যই।” গণসংযোগ চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দারা শফিকের সঙ্গে মতবিনিময় করে নানা সমস্যা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এলাকায় মাদক, সড়কের বেহাল দশা, কর্মসংস্থানের স্বল্পতা এবং যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অনেকে। শফিকুল ইসলাম শফিক আরও বলেন,“রাজনীতিকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাই। ন্যায়বিচার, সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে গণ অধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক উপজেলা প্রশাসন গঠন করা।” অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে শফিকুল ইসলাম শফিকের মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে শুরু করেছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যেও তাকে নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একটি বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছেন।

ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 2

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নে যুব বিভাগের নতুন অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জামায়াতে ইসলামীর সুধী সমাবেশ, বিজয়ের প্রত্যাশায় ডা. আব্দুল হামিদ

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

“নির্বাচন বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চলছে"—টাঙ্গাইলে জোনায়েদ সাকি

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থিতা ঘোষণার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আহসান হাবীব মাসুদ তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার এই উদার পদক্ষেপ রাজনৈতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। মনোনয়ন ঘোষণার পর সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজে পোস্ট দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা কমিটির আমীর আহসান হাবীব মাসুদ। তিনি লিখেন, “অভিনন্দন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের জন্য।” এ পোস্টে তার অনুসারীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, রাজনীতিতে এ ধরনের উদার ও শিষ্টাচার আচরণ সবার জন্য উদাহরণ হওয়া উচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানানো একটি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়। এটি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রসার ঘটায় এবং মতবিরোধের মধ্যেও সহমর্মিতা ও শালীনতা বজায় রাখে। এদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ জনগণও আহসান হাবীব মাসুদের এই পোস্টকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে সম্মান জানানো দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এভাবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানানোর ঘটনা টাঙ্গাইল-৫ আসনে আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0

টাঙ্গাইল সদরের জনগণের উদ্দেশ্যে এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের আবেগঘন বার্তা

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

টাঙ্গাইল-৫ এ বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নাকি আহসান হাবীব মাসুদ ?

0 মন্তব্য

শীর্ষ সপ্তাহ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
সারা দেশ

বেগম খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতীক-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ 0

ভোট জরিপ

আমাদের নতুন ওয়েবসাইট আপনাদের কাছে কেমন লাগছে